গাজায় ত্রাণকর্মীদের ওপর ইসরায়েলের হামলায় ক্ষুব্ধ বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বিদেশি সাত ত্রাণকর্মীকে নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি ক্ষুব্ধ এবং মর্মাহত।

বুধবার (৩ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রাণকর্মীদের নিরাপদ রাখতে ইসরায়েল উদাসীন ছিল বাইডেন অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় ইসরায়েলের সুষ্ঠু তদন্ত করা উচিত এবং তদন্তের ফলাফল সর্বসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত বলেও দাবি করেন তিনি।

ইসরায়েলের সোমবারের (১ এপ্রিল) ওই হামলায় নিহতরা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পোল্যান্ড নাগরিক ছিল।

এদিকে, এঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বার বার ইসরায়েলকে বলেছে ত্রাণ সহায়তা কর্মকাণ্ড আর হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান যেন আলাদা থাকে।

সোমবারের ওই হামলায় নিহত ৭ জন ওয়াশিংটনভিত্তিক ত্রাণ সহায়তাকারী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের কর্মী ছিলেন। সংস্থাটি জানায়, তাদের কর্মীরা সংঘাতহীন এলাকায় দুটি গাড়িতে করে ঘুরছিলেন। গাড়িতে ত্রাণকর্মী হিসেবে লোগোও ছিল। গাজার দায়ের আল-বালাহ এলাকায় ১০০ টনের বেশি খাদ্য সরবরাহ করে তারা ফিরছিলেন। সার্বিক বিষয় ইসরায়েল পর্যবেক্ষণও করেছে। তার পরও তাদের কর্মীদের ওপর বিমান হামলা হয়।

 

   

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, IRNA

ছবি: সংগৃহীত, IRNA

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় হেলিপকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার স্থান থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্যদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়ে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এ খবর জানায়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআবদুল্লাহিয়ান এবং অন্য কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি শনাক্ত করেছেন উদ্ধারকারীরা। তবে এ হেলিকপ্টারের যাত্রীদের জীবিত থাকার কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান পীর হোসেইন কোলিভান্দ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, সোমবার সূর্য ওঠার পর উদ্ধারকারীরা প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে হেলিকপ্টারটি দেখতে পান। তবে এর বেশি কিছু তিনি জানাতে পারেননি। তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কোনো কারণও জানা যায়নি।

এর আগে রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

এরপর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন। এরপর সোমবার সকালে একটি ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, হেলিকপ্টারটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপরই উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী শহর জোলফার কাছে বিমানটি বিধস্ত হয়। তবে পরে বলা হয়, এটি উজি গ্রামের কাছে আরও পূর্ব দিকে।

রাইসির সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআবদুল্লাহিয়ান, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও দেহরক্ষীরা ছিলেন।

সোমবার সকালে, তুর্কি কর্তৃপক্ষ একটি ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, জঙ্গলে আগুন দেখা গেছে। আর এটি ‘হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ বলে সন্দেহ করছে’।

ফুটেজে দেখা যায়, আজারবাইজান-ইরান সীমান্তের প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দক্ষিণে একটি খাড়া পাহাড়ের পাশে আগুন জ্বলছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ভাহিদি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীরা কয়েকটি হেলিকপ্টারে করে ফিরছিলেন কিন্তু খারাপ আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে একটি হেলিকপ্টার জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।’

দুর্ঘটনার পর দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছিলেন, যাই হোক না কেন ইরান সরকারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রেসিডেন্ট মারা গেলে ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, খামেনির সম্মতিক্রমে ভাইস ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেবেন। ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করা হবে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানের জানায়, রাইসির অনুপস্থিতিতে দেশটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার এরই মধ্যে দেশটির কর্মকর্তা ও বিদেশি সরকারের কাছ থেকে ফোন পেয়েছেন।

৬৩ বছর বয়সী কট্টরপন্থী রাইসি এর আগে দেশের বিচার বিভাগের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাকে খামেনির একজন অনুসারী হিসেবে দেখা হয়। কিছু বিশ্লেষক মনে করতেন, খামেনির মৃত্যু বা অবসর গ্রহণের পরে ৮৫ বছর বয়েসি এ নেতার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন রাইসি।

রোববার ভোরে আজারবাইজান সীমান্তে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন রাইসি। আরাস নদীর উপর দুই দেশের নির্মিত তৃতীয় বাঁধ এটি। ২০২৩ সালে তেহরানে আজারবাইজান দূতাবাসে বন্দুক হামলা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আজারবাইজানের কূটনৈতিক সম্পর্কসহ দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও এই সফর অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যাকে ইরানের শিয়া মতাদর্শের অনুসারীরা এই অঞ্চলে তাদের প্রধান শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে।

ইরানের ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাইসি জয়ী হন, যে ভোটে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছিল। ১৯৮৮ সালে রক্তক্ষয়ী ইরান-ইরাক যুদ্ধ শেষে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাইসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

রাইসির অধীনে ইরান এখন প্রায় উইপন-গ্রেড স্তরে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে এবং আন্তর্জাতিক পরিদর্শনের ক্ষেত্রে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করে।

এদিকে দেশটিতে গণবিক্ষোভ চলছে বছরের পর বছর ধরে। ২০২২ সালে মাহসা আমিনি নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। যাকে হিজাব না পরার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। বিক্ষোভের পর মাসব্যাপী নিরাপত্তা অভিযানে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত এবং ২২ হাজারেরও বেশি লোককে আটক করা হয়।

গত মার্চে জাতিসংঘের একটি তদন্ত প্যানেল জানায়, আমিনির মৃত্যু ও 'শারীরিক নির্যাতনের' জন্য ইরান দায়ী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইরান দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তার সহযোগীরা ব্রিফ করেছেন। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে যা প্রকাশিত হয়েছে তার চেয়ে বেশি কিছু জানতে পারেননি।

;

জরুরি বৈঠক ডেকেছে ইরানের মন্ত্রিসভা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর ইরানের মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠক ডেকেছে।

ইরানের বার্তাসংস্থা ইরনা ইন্টারন্যাশন্যালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জনগণের জন্য তার দায়িত্ব পালন করার সময় একটি দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি শহীদ হয়েছেন।

ইরানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও একই খবর দিয়েছে। ইরানের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। 

ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজানে একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে যাচ্ছিলেন রাইসি। একটি জরুরি ফোনকলে তখন হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর আসে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের কেউ ওই ফোন করেছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের উদ্ধারে অংশ নিয়েছে ৪০টি দল। উদ্ধাকারী দল এসেছে তুরস্ক ও রাশিয়া থেকেও। পাহাড়-পর্বতে ঘেরা দুর্ঘটনাস্থলে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছিল।

অবশেষে ১৬ ঘণ্টা পর ইব্রাহিম রাইসি ও তার সাথে থাকা সবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরান প্রসাশন।

;

ইরানের প্রেসিডেন্ট হবেন মোহাম্মদ মোখবার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় কে হবেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিবেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদন নিয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় পদক্রম অনুসারে, রাষ্ট্রের প্রধান সুপ্রিম লিডার আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট সরকার প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।

সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মারা গেলে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট তাৎক্ষণিক দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেবেন।বর্তমান প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোখবার ২০২১ সালের আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এর আগে, ২০২১ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। ৬৩ বছর বয়সী কট্টরপন্থী রাইসি এর আগে দেশের বিচার বিভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

রাইসিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে অভিহিত করেছেন কাতার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মাহজুব জুইরি। তার মতে, রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ রাইসি ইরানের রাজনীতিতে একজন 'হেভিওয়েট' নেতা। তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাও আরোপ ছিল।

রাইসির শাসনামলে ইরান পর্যাপ্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ হয়েছে যার মাধ্যমে নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ইরান রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে বলেও ধারণা করা হয়। পাশাপাশি চলমান গাজা সংকটের মধ্যেই খুব সম্প্রতি ইসরায়েলের ওপর ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুতি বিদ্রোহীদের এবং লেবাননের হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সরবরাহ করছে ইরান। ২০২২ সালে ইরানে হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।

;

ইরানে উদ্ধার তৎপরতায় বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে রাশিয়া: পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের ঘন জঙ্গলবেষ্টিত যে পাহাড়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ সফরসঙ্গীরা হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত হয়েছেন, সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ৫০ জন বিশেষজ্ঞকে পাঠাবে রাশিয়া। ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এজন্য দুটো বিমান প্রস্তত আছে বলে জানিয়েছে ইরানের বার্তাসংস্থা ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (ইরনা)। সোমবার সকালে থেকে তারা তাদের উদ্ধার তৎপরতা শুরু করবে।

সোমবার (২০ মে) ইরনার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কাশেম জালিলি এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, রোববার সরকারি ছুটি থাকলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাত ১০টায় ইরানের প্রতিনিধি দলকে ক্রেমলিনে ডেকে পাঠান। এসময় পুতিন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সফরের বিস্তারিত জানতে চান।

বিস্তারিত জেনে তিনি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন যে কোনো দরকারে রাশিয়া ইরানের পাশে থাকবে।

পুতিন জালিলিকে বলেন, দুর্গম পাহাড়ে অনুসন্ধানে ৫০ জন বিশেষজ্ঞকে দুটো প্লেনে করে ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে। যেখানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে, সে এলাকা জুড়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাবে তারা।

পুতিনের সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান সের্গেই সৈগু, চিফ জয়েন্ট স্টাফ অব দ্য আর্ডমড ফোর্সেস ভ্যালেরি জেরাসিমভ, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং জরুরি উদ্ধার তৎপরতা প্রধান আলেক্সান্দার কোরেনকভসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

;