তবুও জীবনের হাল ছাড়েননি মাকসুদা



রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জীবনকে রাঙাতে মানুষ ভালোবাসে। ভালোবাসার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এক সঙ্গে থাকার ইচ্ছাই লক্ষ্য। ভালোবেসে বিশ্বাস করে প্রিয়জনের হাত ধরেই আজ সর্বস্ব হারিয়েছেন তিনি। যে বয়সে হাতে থাকার কথা কলেজের বই, সে বয়সেই অটোরিকশার শক্ত হাতল ধরে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা তার। লক্ষ্য এখন একমাত্র সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ।

বলছি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকার মান্নান ইসলামের মেয়ে মাকসুদা ইসলামের কথা। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে মায়ের অভাবের সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন তিনি। ঢাকায় মায়ের সাথে গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছিলেন। তবে নিজের চাচাতো ভাইকে ভালোবেসে বিয়ে করাই কাল হয়েছিল তার।

প্রিয় মানুষটিকে সাথে নিয়ে একটা ছোট ঘর বানানোর স্বপ্ন ছিল মাকসুদার। সে ইচ্ছাই আজ কেড়ে নিয়েছে সব। হারিয়েছেন পরিবার। স্বামীর অন্যায় আর অবিচার মেনে নিতে না পেরে এক স্বামীর থেকেই পর পর দুইবার হয়েছে বিচ্ছেদ।


তবে এতকিছুর পরও হাল ছাড়েনি মাকসুদা। সব হারিয়ে বাঁচার আশায় আবার যোগ দিয়েছিলেন গার্মেন্টস চাকরিতে। সন্তানের জন্য পরে ঠেলাগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করেছেন। কিন্তু সে চেষ্টাতেও ব্যর্থ হয়ে এখন চালাচ্ছেন অটোরিকশা। পাঁচ বছরের ছেলে মাহিমকে আলেম বানাতে ভর্তি করেছেন মাদ্রাসায়। সব কূল হারিয়ে চোখে-মুখে হতাশা নিয়ে মাত্র ২০ বছর বয়সেই একা তিনি।

মাকসুদা ইসলাম জীবন সংগ্রামের গল্প বলেন বার্তা২৪.কমকে।

অশ্রুভেজা চোখে মাকসুদা বলেন, আমি যখন ছোট তখন বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা চার বোন, এক ভাইকে মানুষ করতে মা অনেক কষ্ট করতেন। আমি আমার চাচাতো ভাইকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। সবাই বলেছিল তার ঘরবাড়ি নেই; ভালো না, কষ্ট হবে। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম দুজন কষ্ট করে একটা ঘর বানাব। সুন্দর একটা সংসার করব। কিন্তু সেটাই আমার জীবনের কাল হয়েছিল।


মাকসুদা বলেন, বিয়ের পর দুজনে গার্মেন্টসে চাকরি করতাম। আমার পেটে একটা বাচ্চা আসল। আমাদের তো ঘর নাই আর আমার স্বামীর মাও বেঁচে নেই। তাই আমি সন্তানের জন্য বাড়িতে গেলাম। আর সে এদিকে জুয়া ও নেশা ধরল। ধার-দেনা করে সংসারের সব কিছু শেষ করে দিয়েছিল। আমাকে একটাকাও দিত না। আমি টেইলারিং কাজ করতাম, আর সে টাকা দিয়েই বাচ্চার চিকিৎসা করতাম। দুধ কিনতাম।

তিনি আরও বলেন, তার এসব শুনে ঢাকায় আসি। ভেবেছিলাম সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সে ভালো হয়ে যাবে। আমি আবার গার্মেন্টসে চাকরি করে সংসার চালালেও সে জুয়া খেলত। গাজা খেত। আর এসব পরিবারের কাউকে বললে বলত, "আমার কী করার, তোর ভাগ্য তুই বেছে নিয়েছিস।"

অনেক রাত ডুকরে কেঁদেছি। সারাদিন কাজ করতাম। রাতে বাসায় ফিরতাম কিন্তু শান্তি পেতাম না। মারত, অপমান করত। শেষে তালাক নিয়ে সন্তানকে নিয়ে ভ্যানে সবজি বিক্রি করেছি। সেখানেও শান্তি পাইনি। পুলিশ তাড়া দিত। মেয়েমানুষ কতটা দৌড়াতে পারি। জরিমানা দিয়ে-দিয়ে সেটাও শেষ করেছি। শেষে আর সইতে না পেরে তালাক নিয়েছি।

কষ্টকঠিন জীবনের এক পর্যায়ে একটা সময় মাকসুদার অগোছালো জীবনে কিছুটা ভালোর দেখা মিলছিল, কিন্তু টেকেনি বেশিদিন।


কান্নাজড়িত কণ্ঠে মাকসুদা বলেন, আমার স্বামী ফিরে এসেছিল। বলেছিল ভালো হয়ে যাবে। ভুলও স্বীকার করেছিল। কিস্তিতে অটোরিকশা কিনে দিয়েছিলাম। কিন্তু সে জুয়া আর গাঁজা ছাড়েনি। নেশা করে মারত আমাকে। সব শেষে ভেবেছি সে সাথে থাকলেও আমাকে কষ্ট করতে হয়। না থাকলেও কষ্ট করতে হয়। তাই স্বামীকে দ্বিতীয়বার তালাক দিয়ে এখন অটোরিকশা চালাচ্ছি।

এত অল্প বয়সে সংসারের বোঝা টানতে-টানতে আমি ক্লান্ত। বাঁচার ইচ্ছা নেই। তবে সন্তানের জন্য বেঁচে আছি। সন্তানকে আমার কষ্ট বুঝতে দেব না বলে মাদ্রাসায় রেখেছি। সারাদিন কাজ করে রাতে বাসায় যাই আর কাঁদি। সন্তান থেকেও কাছে নেই। স্বামী তো থেকেও নেই। আমি সংসার করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সে বোঝেনি। মা-বোন কেউ আমার খোঁজ নেয় না। এই পৃথিবীতে এখন আমি শুধু একা। প্রতিটা রাত চোখের পানিতে বালিশ ভেজে। তবে আমি থেমে থাকব না ইনশাআল্লাহ।

সব হারিয়েও মাকসুদার সংগ্রামের ফল এখন একটি অটোরিকশা। নিজের কেনা সেই অটোরিকশা দিয়ে ভালোই আয় হয় তার। অটোরিকশার কিস্তি ও সংসারের খরচ বাদ দিয়ে সন্তানের জন্য বাকি টাকা জমান ব্যাংকে। স্বপ্ন দেখেন তার ছেলে মানুষের মত মানুষ হবে। আর মায়ের কষ্ট মুছবে।

   

চাকরি ছেড়ে বসের সামনেই ঢোল বাজিয়ে নাচলেন যুবক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যদিনের অফিসের কর্মপরিবেশে অনেকের মধ্যেই 'বিরক্তি' চলে আসে। তবুও ধৈয্য নিয়ে সব সহ্য করে টিকে থাকার জন্য চালিয়ে যান লড়াই। তবে এ যাত্রায় সকলের দ্বারা টিকে থাকা সম্ভব হয় না। অফিসের 'বিষাক্ত' কর্মপরিবেশে অনেকেই ভোগেন মানসিক সমস্যায় কিংবা ব্যক্তিজীবনে। এমন পরিবেশ থেকে বাঁচতে একেক জন একেক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন।

তবে অনিকেত নামের এক যুবক এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করেছেন নেট দুনিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল। এসব থেকে মুক্তি পেতে চাকরিটাই ছেড়ে দিয়েছেন এই যুবক। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বসের সামনেই ঢাকঢোল বাজিয়ে নেচে উদযাপন করেছেন এমন মুহূর্তের।

ঘটনাটি ভারতের পুনে রাজ্যের। অনিকেত নামের ওই যুবক বিক্রয় সহযোগী হিসেবে চাকরি করতেন।

তার এমন উদযাপনের একটি ভিডিও ইন্সটাগ্রাম শেয়ার করেছেন অনীশ ভগত।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, গত তিন বছর ধরে এই কোম্পানির সাথে কাজ করেও বেতন খুব একটা বাড়েনি। এছাড়াও অফিসের বসের দ্বারাও তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে।

তাই তার কাজের শেষ দিনে বন্ধুরা অফিসের বাইরে ঢোল নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন এবং নেচেছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এ ঘটনায় তার বস অনেক উত্তেজিত হয়েছেন। পাশাপাশি তার বস লোকজনকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং চিৎকারও করেছেন।

ভিডিওটির ক্যাপশনে ভগত লিখেছেন, আমি মনে করি আপনারা অনেকেই এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। আজকাল বিষাক্ত কাজের সংস্কৃতি খুব বেশি দেখা যায়। সম্মান এবং অধিকারের অভাব খুবই সাধারণ। অনিকেত তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আমি আশা করি এই গল্প মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

পোস্ট করা ভিডিওটি এক মিলিয়নেরও (১০ লাখের বেশি) বেশি ভিউ পেয়েছে। পোস্টটিতে অসংখ্য লাইক ও কমেন্টও রয়েছে।

একজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি জানি না কেন এটি আমাকে এত সন্তুষ্ট করেছে।'

আরেকজন লিখেছেন, 'নাচটি আমাকে অন্য মাত্রার তৃপ্তি দিয়েছে।'

'আপনি সত্যিই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ইতিবাচক এবং উত্সাহী ব্যক্তি'- তৃতীয় একজন ঠিক এভাবেই নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস 

;

অভয়ারণ্যে মানুষ যখন বন্দিখাঁচায়



প্রমা কোয়েল, ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিড়িয়াখানা, নানানরকম পশুপাখি ও প্রাণীর বন্দিশালা। কেবল রং-বেরঙের চিড়িয়াই নয়; বাঘ, সিংহ, ভালুক, বানর, গণ্ডারসহ কত বন্যপ্রাণীই না খাঁচায় বন্দি থাকে!

চিড়িয়াখানায় রাখতে বন্য প্রাণীদের প্রকৃতির স্বাধীন জীবন থেকে ছিনিয়ে আনা হয়। তাদের খাঁচায় বন্দি করা হয় যেন, মানুষ তাদের দেখে আনন্দ পায়। অনেক প্রাণীর জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি খাঁচাতেই কেটে যায়।

ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। শিশুরা না হয় অবুঝ! তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারাও চিড়িয়াখানায় এই বন্দি প্রাণীদের জীবনকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারেন না।

এশিয়ার বড় দেশ চীনে রয়েছে, এক অদ্ভুত চিড়িয়াখানা। চংকিংয়ে অবস্থিত সেই চিড়িয়াখানার নাম ‘লেহে লেদু বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা’। একে ‘রিভার্স জু’ (বিপরীত চিড়িয়াখানা) বলেও ডাকা হয়।

এখানেও মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে পশু দেখতে আসেন। তবে একেবারেই ভিন্ন উপায়ে। মূলত, একটি খাঁচা রয়েছে, যেখানে মানুষদের সেই খাঁচায় পুরা হয়। তারপর সেই খাঁচাবন্দি মানুষদের নিয়ে রাখা হয়, অভয়ারণ্যে। সেখানে বন্য প্রাণীরা মানুষের খাঁচার চারপাশে অবাধে ঘুরতে থাকে। চিড়িয়াখানায় বন্দি প্রাণীদের বন্দিজীবনের এক প্রতীকী দৃশ্য!

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা!

অভয়ারণ্যে খাঁচায় বন্দি মানুষ, ছবি-সংগৃহীত

খুব কাছে থেকে হিংস্র বন্যপ্রাণীদের মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যেমন লোমহর্ষক, ঠিক তেমনই আতঙ্কজনকও হতে পারে। বিপরীতধর্মী এই চিড়িয়াখানাটি সবার জন্য প্রথম উন্মুক্ত করা হয়, ২০১৫ সালে। তখন বিশ্বের সংবদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়েছিল এ চিড়িয়াখানাটি।

একটি শক্ত লোহার খাঁচাবেষ্টিত দর্শনার্থীদের একটি ট্রাকে তুলে অভয়ারণ্যে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ঘিরে ধরে ঘুরতে থাকে বাঘ, ভালুক, সিংহ ইত্যাদি হিংস্র প্রাণী।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার প্রধান চ্যান লিয়াং বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। খাঁচার ফাঁকা অংশ দিয়ে হাতের আঙুলও বের না করার নির্দেশনা দেওয়া থাকে।

তবে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই চিড়িয়াখানাটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক। এর নৈতিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন।

অনেকে মনে করেন, এরকম ব্যবস্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ, শিকারী প্রাণীগুলো প্রচণ্ড হিংস্র। তাই, সে কারণে যে কোনো সময় বিপজ্জনক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

আবার এরকম চিন্তাভাবনার প্রশংসাও করেছেন অপর একটি পক্ষ। তাদের বক্তব্য, পৃথিবীটা কেবল মানুষদের নয়। প্রকৃতিতে সব প্রাণীদের একটা ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। তাদের বন্দি করে রাখা মানুষের উচিত নয়। কারণ, মুক্ত প্রকৃতিতে বিরাজ করার অধিকার সব প্রাণীরই রয়েছে।

তাদের মন্তব্য, আমরা প্রাণীদের আবাসস্থল বনজঙ্গল সব উজাড় করেছি। সে কারণে তাপমাত্রাও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আবার প্রাণীদের বন্দি রেখে তাদের জীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলি।

চাইলে এবং সুযোগ পেলে এই ধরনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চিড়িয়াখানাটি ঘুরে আসতে পারেন বৈকি!

তথ্যসূত্র: এনিমেল অ্যারাউন্ড দ্য গ্লোব

;

৫ বছরের শিশুর বিস্ময়কর প্রতিভা!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স সবে ৫ কিংবা ৬। এই বয়সেই তার প্রতিভা দেখে অবাক হবে যে-কেউ!

গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিডিওটি ১ মিলিয়নের (১০ লাখের বেশি) বেশি মানুষ দেখেছেন। খবর এনডিটিভি। 

ভিডিওতে রিলি নামের ওই শিশুটিকে প্রথমে শ্বাস নিতে দেখা যায়। তারপর সে একটি শক্তিশালী গর্জন দিয়ে শ্বাস ছাড়ে। ওই গর্জনটি হুবুহ সিংহের গর্জনের অনুরূপ।

রিলির মা অ্যামি ভিডিওটি এক্সে শেয়ারের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। শিশুটির এমন নিখুত দক্ষতা দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। ভিডিওটিতে অনেকেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, এত অল্প বয়সে এমন বাস্তবসম্মত গর্জন তৈরি করার রিলির ক্ষমতার বিস্ময় প্রকাশ করে।

আরেকজন লিখেছেন, শিশুরা খুব দ্রুত শিখে। তার এমন প্রতিভা সত্যিই অবাক করার মতো।

;

বান্টি গ্রাম: উড়ছে রং-বেরঙের কাপড়



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বান্টি গ্রামের মাঠে শুকাতে দিচ্ছেন বাটিকের রং করা কাপড়/ছবি: নূর এ আলম

বান্টি গ্রামের মাঠে শুকাতে দিচ্ছেন বাটিকের রং করা কাপড়/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই বান্টি গ্রাম। বাটিকের গ্রাম বলেই এর পরিচিতি। এখানে ঘরে ঘরে বাটিক-ব্লকের কাজ চলে। গ্রামজুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কারখানা। এই গ্রামে দিনরাত কাজ করেন হাজারো শ্রমিক। এই কাজে তাদের সংসার চলে। বান্টি গ্রামের কর্মময় জীবন চিত্র তুলে এনেছেন বার্তা২৪.কম এর ফটো এডিটর নূর এ আলম। 

বান্টি গ্রামে থ্রিপিস, ওড়না, সালোয়ার, কামিজ, বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারে বাটিকের কাজ করা হয়/ছবি: নূর এ আলম


 

দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এসব কিনতে আসেন। তাদের হাত ধরেই এসব কাপড় চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে


কাপড় রং করার আগে প্রতিটি কারখানায় গরম পানিতে রং প্রস্তুত করা হয়/ছবি: নূর এ আলম

 

কাপড়ের রং পাকা করতে সেদ্ধ করা হচ্ছে।/ছবি: নূর এ আলম


কয়েক ধাপে চলে কাপড়ে বাটিকের করার কাজ/ছবি: নূর এ আলম


রং মেশানোর প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে কিনা হাত দিয়ে দেখছেন একজন/ছবি: নূর এ আলম


গ্রামে কাপড়ে রঙ মেশানোর কাজ ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলে/ছবি: নূর এ আলম


বাটিকের গ্রামের অনেক বাড়িতে বসানো হয়েছে লুম মেশিন। এই মেশিন দিয়ে নানান ধরনের নকশা করা হয়/ছবি: নূর এ আলম


লুম মেশিনে চলছে কাপড় বুননের কাপড়/ছবি: নূর এ আলম


কাপড়ে রঙ করা শেষে শুকাতে দেওয়ার আগে পানি ঝরিয়ে ফেলা হয়/ছবি: নূর এ আলম


রং করা কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন এক নারী শ্রমিক/ছবি: নূর এ আলম


বান্টি গ্রামের নারী পুরুষ সবাই ব্লক বাটিক ও প্রিন্টের সঙ্গে জড়িত/ছবি: নূর এ আলম

রং করা কাপড় ছাদে ও মাঠে শুকাতে দেওয়া হয়/ছবি: নূর এ আলম


কড়া রোদে শুকানোর পর তা কারখানায় নিয়ে আসেন শ্রমিকরা।/ছবি: নূর এ আলম


প্রচন্ড তাপদাহে বাটিকের চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। /ছবি: নূর এ আলম


;