ইনফোসিস মাইশুরে মনোমুগ্ধকর এক বিকেল



এম এ আমিন রিংকু
ইনফোসিস মাইশুরে মনোমুগ্ধকর এক বিকেল

ইনফোসিস মাইশুরে মনোমুগ্ধকর এক বিকেল

  • Font increase
  • Font Decrease

তন্দ্রা কাটলো পাশের সিটে বসা সতীর্থের ডাকে। চোখ কচলে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে বেশ খানিকটা আশ্চর্য হলাম। একগাদা বিস্ময় নিয়ে নিজেকেই জিজ্ঞেস করলাম 'এ কোথায় এলাম'? আশপাশে তাকিয়ে শত প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে লাগল মাথায়। বিস্ময় সামলে নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম। মনে মনে বলতে লাগলাম, 'ঘণ্টা খানেকের বাস যাত্রায় তো আর ভারতের মহীশুর থেকে ইউরোপের কোন শহরে চলে আসা যায় না!'

আমরা একশ তরুণ ভারতে এসেছি ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন টু ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় ভারত সরকারের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে। আটদিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরের প্রতিটি দিনই ছিল আমাদের কাছে স্বপ্নের মত। আর আমাদের সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য পরের দিন কোথায় যাচ্ছি সেটি জানানো হত না। শুধু সকালে কখন বের হতে হবে সেই সময়টা জানিয়ে দেওয়া হত।

১৭ অক্টোবর সকালের ব্যস্ত শিডিউল শেষ করে মধ্যাহ্নভোজের পর মহীশুরের বিখ্যাত হোটেল গ্র্যান্ড মার্কিউর থেকে সারপ্রাইজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম পরবর্তী চমকের জন্য উদগ্রীব থাকা শত তরুণ। ভারতের টেক হাব হিসেবে খ্যাত কর্ণাটক রাজ্যের প্রায় সব শহরই অনেক গোছানো আর পরিপাটি। তবে মহীশুরকে অনেক বেশি পরিপাটি সবুজ আর নির্মল বায়ুর শহর মনে হল। চারিদিকের সবুজের মাঝে ছুটে চলা বাসে কখন চোখ ভারি হয়ে এসেছে বুঝতে পারিনি। সতীর্থের ডাকে চোখ খুলে বিস্মিত হয়েছি।

ইনফোসিস ক্যাম্পাস

ভারতের টেক জায়ান্ট ইনফোসিসের মহীশুর ক্যাম্পাস প্রায় সাড়ে ৩০০ শ একর জুড়ে। মূল ফটকের পরে আমাদের ফুলেল অভ্যর্থনা জানালেন ক্যাম্পাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। ক্যাম্পাসের ভেতরে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য আছে ইনফোসিসের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা। কর্মকর্তারা জানালেন প্রথমে আমাদেরকে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখাবেন তারা। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ১০০টির মত বৃহদাকার বিল্ডিং আছে। এদের কোনটি ওয়ার্ক স্টেশন, কোনটি ট্রেনিং সেন্টার আবার কোনটি থিয়েটার। বাসে করে সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে যাবার সময় মনে হচ্ছিল ইউরোপের কোন শহরের মধ্যে আছি। ঝকঝকে তকতকে রাস্তার দুপাশে ইন্দো ইউরোপীয় স্থাপত্য কলায় নির্মিত আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব ভবনগুলোর শান শওকত দেখেই ইনফোসিসের অর্থনৈতিক ভিত্তি সম্বন্ধে বেশ ভালো ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল।

ভারতের সবচাইতে বড় এই তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির হেডকোয়ার্টার বেঙ্গালুরুতে। বিশ্বের ৫০টি দেশে শাখা অফিসে আছে তাদের। আর এসব শাখা অফিসে কাজ করেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার কর্মী । ইনফোসিসের টোটাল রেভিনিউ ১৬. ৯৭ বিলিয়ন ডলার! আর ভারতের জিডিপিতে ইনফোসিস এর অবদান ৮.৩৬ শতাংশ।

এ ক্যাম্পাসের অপারেশন ম্যানেজার অনিল কার্গ । তিনি আমাদের ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখানোর পাশাপাশি বিস্তারিত জানাচ্ছিলেন প্রতিটি স্থাপনার সম্পর্কে। ক্যাম্পাসের ঠিক মাঝখানে জিইসি ভবন। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল রাজপ্রাসাদ। ভেতরে ঢুকে দেখলাম এখানের পরিবেশ আর সাজসজ্জাও রাজকীয়। মি. কার্গ জানালেন এই ভবনে একসাথে দশ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। ভবন জুড়ে শুনশান নীরবতা অথচ করিডোর দিয়ে হেঁটে যাবার সময় দেখছিলাম প্রতিটি কক্ষে একাগ্র চিত্তে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিটি কর্মী। এখানে কাজের পরিবেশ বিশ্বমানের। আর কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থাও তারকা হোটেলের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

সবুজকে প্রাধান্য দিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে সব স্থাপনা

জিইসি ভবন থেকে বেরনোর পরে পড়ে স্পোর্টস কমপ্লেক্স। মর্ডান সুইমিংপুল, হাইলি ইকুইপড জিমনেশিয়াম আর বিস্তীর্ণ খেলার মাঠ দেখে মনে হচ্ছিল একটা প্রতিষ্ঠান কতটা কর্মী-বান্ধব হলে এত সুযোগ সুবিধা দিতে পারে! মাঠ পেরুলেই সবুজে ঘেরা উঁচু নিচু টিলা। আর তার মাঝে মাঝে ইকো ফ্রেন্ডলি ভবন। এদের কোনটি শিক্ষার্থীদের জন্য আবার কোনটি কর্মকর্তাদের জন্য। ইনফোসিসের এই পুরো ক্যাম্পাসটি ইকো ফ্রেন্ডলি ও গ্রিন প্রটেকটেড। সবুজকে প্রাধান্য দিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে সব স্থাপনা। ক্যাম্পাসের ভেতরেই- ভেহিক্যালস ছাড়া সব ধরনের যানবাহন প্রায় নিষিদ্ধ। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ই-বাইসাইকেল। কিছু দূর পরে পরেই আছে এসব বাইসাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট স্টেশন। অ্যাপের মাধ্যমে আনলক করে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে চালানো যায় এসব ই-বাইসাইকেল।

ইনফোসিস ক্যাম্পাসের প্রতিটি পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে মুগ্ধতা। ঘুরে ঘুরে আমরা ঠাওর করতে পারছিলাম না আসলে কোনটির চাইতে কোনটিতে বেশি মুগ্ধ হব। মনোমুগ্ধকর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পরেই চোখ ধাঁধানো মাল্টিপ্লেক্স। উইকেন্ডে বিনোদনের জন্য কর্মীদের যেন বাইরে যেতে না হয় এ চিন্তা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই মাল্টিপ্লেক্সটি। ছুটির দিনে দুটি শো দেখানো এখানে। মাস-জুড়ে মাত্র ১৫০ রুপির পাসে দেখা যায় সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সব সিনেমা। মাল্টিপ্লেক্সের পাশেই ফুড় কোর্ট। পুরো ক্যাম্পাসে ১০টি ফুড় কোর্ট আছে। যেগুলোর একেকটিতে একবারে প্রায় দুই হাজার মানুষ খেতে পারেন। বিনোদনের পুরো প্যাকেজ রয়েছে ক্যাম্পাসে।

পড়ন্ত বিকেলে আমাদের নিয়ে যাওয়া হল অডিটোরিয়ামে। ইনফোসিসের জন্মলগ্ন থেকে বেড়ে ওঠা ও আজকের টেক জায়ান্ট হয়ে উঠার গল্প একটা ছোট ডকুমেন্টারিতে দেখানো হল। একটা মানুষ কতটা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও নিবেদিতপ্রাণ হলে এমন একটা বিজনেস ইমপায়ার দাঁড় করাতে পারে সেটা ইনফোসিস এর প্রতিষ্ঠাতা নাগাভার রামরাও নারায়ণ মূর্তি সাহেবের দিকে তাকালেই পরিষ্কার হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ই-বাইসাইকেল

ইনফোসিস শুরু করার আগে নারায়ণ মূর্তি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আহমেদাবাদের একজন সিস্টেম প্রোগ্রামার হিসেবে এবং পুনেতে পাটনি কম্পিউটার সিস্টেমে কাজ করেছেন। একটা সময় মূর্তির মনে হয়েছে পরিবর্তিত বিশ্বের প্রযুক্তি চাহিদা মেটানোর জন্য কিছু করতে হলে সেটি নিজ উদ্যোগে শুরু করতে হবে। ভারতের পুনের ছোট একটা ফ্লাটে মাত্র আড়াইশো ডলার মূলধন নিয়ে ১৯৮১ সালে ইনফোসিস শুরু করেন তিনি। ইনফোসিসের প্রথম প্রোডাক্ট ছিল ব্যাংকিং সলিউশন সফটওয়্যার 'ফিনাকেল'। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই ফিনাকেল এতটা জনপ্রিয় হয় যে নারায়ণ মূর্তিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ইনফোসিস আজ ৭১.৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কোম্পানি!

নারায়ণ মূর্তি ১৯৮১-২০০২ সাল পর্যন্ত সিইও হিসেবে এবং চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১১ সাল পর্যন্ত কাজ করছেন। ২০১১ সালে তিনি বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ান এবং ইমেরিটাস চেয়ারম্যান হোন। ২০১৩ সালের ১ জুলাই তিনি ৫ বছরের জন্য নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। নারায়ণ মূর্তি ফরচুন ম্যাগাজিন কর্তৃক আমাদের সময়ের সেরা ১২ জন উদ্যোক্তার তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন। ভারতে আউটসোর্সিংয়ে অবদানের জন্য তাকে টাইম ম্যাগাজিন ও সিএনবিসি ‘ভারতীয় আইটি সেক্টরের জনক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। ভারতের অর্থনীতিতে বিপুল অবদান এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নারায়ণ মূর্তি ২০০০ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০০৮ সালে পদ্মবিভূষণ পুরস্কার লাভ করেন।

 ইনফোসিস

ডকুমেন্টারি দেখে বের হবার পরে আমাদেরকে বিকেলের নাস্তা পরিবেশ করা হল। কফি পান করতে করতে গল্প হচ্ছিল ইনফোসিস মাইসূরের অপারেশন ম্যানেজার অনিল কার্গের সাথে। জিজ্ঞাসা করলাম তাদের সফলতার মূল মন্ত্র কী। অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানালেন ‘আমরা মানুষের জন্য এবং সকলের কল্যাণের জন্য কাজ করি। কর্মীদের সাথে সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নেই। আমাদের আজকের 'আমরা' হয়ে উঠার মূলমন্ত্র এটাই’। পিঠ চাপড়ে আরও বললেন, ‘দেখো আমিন, তুমি যখন সবাইকে ভালবাসতে শিখবে, সবার কল্যাণে কাজ করে যাবে- জীবনের প্রান্তিলগ্নে গিয়ে দেখবে মানুষের ভালবাসায় তুমি একদম আকণ্ঠ ডুবে আছো! বিশ্বাস করো এর চেয়ে পরিতৃপ্তি জীবনে আর কিছুতে হতে পারে না!’

সন্ধ্যায় যখন হোটেলে ফিরছিলাম তখন সকলের চোখমুখে সারাদিনের ক্লান্তি ছাপিয়ে চিকচিক করছিল একরাশ মুগ্ধতা। আমাদের কেউ গুগলের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখিনি তবে আমাদের বিশ্বস্ত প্রতিবেশী ভারতের ইনফোসিস ঘুরে দেখলাম। আগামীতে অন্য কোন টেক জায়ান্টের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখলেও এ মুগ্ধতা ছাপিয়ে যাবে না। ইনফোসিস এর স্মৃতিগুলো চিরসবুজ থাকবে; অনুপ্রাণিত করবে আজীবন।

লেখক: সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী

   

প্রকৃতিতে শোভা ছড়াচ্ছে ‘সোনালু ফুল’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সবুজের ফাঁকে উঁকি দিয়ে হলুদ আভায় মুগ্ধতা ছড়ানো ফুল সোনালু। নজরকাড়া সৌন্দর্যে মুখরিত এই ফুল পথিকের মনে এনে দিচ্ছে প্রশান্তির ছোঁয়া। পরিবেশ ও প্রকৃতির শোভা বর্ধনে সোনালু দারুণ এক নিসর্গ মায়া এনে দিয়েছে। এই ফুলের দেখা মিলছে নওগাঁর বিভিন্ন পথে প্রান্তরে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, নওগাঁ শহরের বরেন্দ্র অফিসের পাশে থোকায়-থোকায় হলুদ আভায় ঝুলে আছে সোনালু। ফুলের মাথা হতে লম্বা লতার মত বড় হয়েছে।

শীতকালে সব পাতা ঝরার পর বসন্তে একেবারেই মৃতের মতো দাঁড়িয়ে থাকে গাছটি। গ্রীষ্মের শুরুতে দু’একটি কচিপাতার সাথে ফুল ফুটতে শুরু করে। হলুদ সোনালি রঙের অসংখ্য ফুল সারা গাছজুড়ে ঝাড় লণ্ঠনের মতো ঝুলতে দেখা যায়।


জানা যায়, সোনালু গাছের পাতাঝরা মাঝারি আকৃতির । এটি আট থেকে ৯ মিটার উঁচু হয়। হলুদ বরণ এ ফুল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি আছে তার বাহারি নামও। পরিচিত নামগুলো হলো সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল, বান্দরলাঠিসহ আরো অনেক। ফুল থেকে ধীরে ধীরে লাঠির মত কালো রঙের ফল হয়ে সেটি কয়েক সেন্টিমিটার অব্ধি লম্বা হয়ে থাকে।

পথচারী আলমগীর বলেন, সোনালু দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর শহরের মধ্যে চোখে পড়েনা বললেই চলে। যতবার দেখি খুব সুন্দর লাগে। মনের মধ্যে এনে দেয় এক প্রশান্তি। 

স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু বলেন, আমি মোবাইল দিয়ে প্রচুর ছবি তুলেছি এই ফুলের। আমার খুব ভালো লাগে সোনালু ফুল। তবে এই ফুল যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য আমাদের গাছ লাগানো উচিৎ। আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক সোনালু গাছ আছে যা আমাদের মুগ্ধ করে।


নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন- এটি মূলত সৌন্দর্য বর্ধনে রোপণ করা হয়। গ্রাম বাংলায় এই ফুলকে বাদর লাঠি গাছ বলেও ডাকা হয়। এটির বৈজ্ঞানিক নাম 'কেসিয়া ফিসটুলা (Cassia Fastula)। এই উদ্ভিদ বাংলাদেশে অনেক জাতের আছে। ফুলটার জন্য বেশি খ্যাতি রয়েছে বলে অনেক জায়গায় লাগানো হয়। গাছের কাঠগুলো জ্বালানি কাজে ব্যবহার করা হয়।

;

দৌলতদিয়ায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রখর তাপপ্রবাহের বিরূপ প্রভাবে বিপর্যস্ত প্রকৃতি। কোথাও নেই শান্তি। গ্রীষ্মের রুক্ষতা আর সব ক্লান্তি ছাপিয়ে আপন মহিমায় সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। জানান দিচ্ছে শিল্পের দ্যোতনা। পাশাপাশি প্রশান্তির বার্তা বয়ে দিচ্ছে জনমনে।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায় কৃষ্ণচূড়ার এমন সৌন্দর্য। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া অংশের দুই পাশে শোভাবর্ধন করছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। শত কষ্টের মাঝে এই মহাসড়ক পার হওয়ার সময় হাজারো পথচারীদের হৃদয়ে প্রশান্তির হাতছানি দেয় এই কৃষ্ণচূড়া ফুল। দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে।এ সড়কে যাতায়াতকারীদের নজর কাড়ছে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল।


সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের দু’পাশের গাছগুলো ছেয়ে গেছে লাল কৃষ্ণচূড়ায়। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন বৈশাখের প্রখর রোদ্দুরের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়েছে রক্তিম পুষ্পরাজি; সবুজ চিরল পাতার মাঝে যেন আগুন জ্বলছে। এই আগুনেই সেলফি তুলতে ব্যস্ত পথচারীরা। নিজেদেরকে কৃষ্ণচূড়ার সাথে একাকার করে স্মৃতিময় করে রাখতে ব্যস্ত সবাই।

দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের বাইপাস সড়ক থেকে শুরু করে ক্যানাল ঘাট এলাকার মহাসড়কের দুইপাশে ছেয়ে গেছে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষ আর পশু পাখি যখন বেসামাল,ঠিক তখনই কৃষ্ণচূড়ার ফুলে বিচিত্র রূপ নিয়েছে দৌলতদিয়ার মহাসড়ক। এ যেন কৃষ্ণচূড়ার রঙে মেতেছে সড়কটি। কৃষ্ণচূড়া ফুলে ভরা গাছগুলো নজর কাড়ছে দর্শনার্থীসহ এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রী ও পথচারীদের।


স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই দৌলতদিয়া ঘাটের এই অংশটুকুতে (ঢাকা-খুলনা মহাসড়ে) সৌন্দর্য বিলায় কৃঞ্চচূড়া। পুরো এলাকা কৃষ্ণচূড়া ফুলের লাল রঙে রঙিন হয়ে যায়। প্রখর রোদে মনে হয় যেন প্রকৃতিতে আগুন লেগেছে। পড়ন্ত বিকেলে পূর্ব আকাশের রক্তিম আভায় কৃঞ্চচূড়া মিশে যেন একাকার হয়ে যায়। প্রতি বছর এই সময়ে ঘাটের বাইপাস সড়ক নতুন রূপে সাজে। দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন ছবি তুলতে।

পথচারীরা জানান, ফুলগুলো দেখলে মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। গাছের ছায়া ও বাতাসে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। প্রখর রোদের মধ্যেও যেন এখানে একটু সবুজের শান্তি পাওয়া যায়।

;

নগরে ফুলের জলসা, গ্রীষ্মের উত্তাপে সৌরভ, স্বস্তি 



মানসুরা চামেলী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হাতিরঝিলে নাগরিক পর্যটকদের স্বাগত জানায় উচ্ছল জারুল, রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া ও সোনাইল/ছবি: নূর এ আলম

হাতিরঝিলে নাগরিক পর্যটকদের স্বাগত জানায় উচ্ছল জারুল, রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া ও সোনাইল/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

চারিদিকে খাঁ খাঁ রোদ্দুর। যেন বইছে গনগনে আগুনের ফুলকি। চারপাশের পরিবেশ ফুটন্ত কড়াইয়ে মতো টগবগে। দাবদাহের তেজে ব্রহ্মতালু ফেটে যাওয়ার উপক্রম। তাপদগ্ধ চরাচর ক্লান্ত, স্তব্ধ, স্থবির। বৈশাখের রুদ্র রূপে বিপর্যস্ত নাগরিক পরিসর আর জনজীবন। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় উচ্চারিত গ্রীষ্মের প্রতিচ্ছবিই দেখা যাচ্ছে রাজধানীর প্রকৃতিতে: 'প্রখর তপনতাপে, আকাশ তৃষায় কাঁপে,/বায়ু করে হাহাকার।’

পরিস্থিতি যখন এমনই খরতাপে পোড়া ও তামাটে, ঠিক তখন একপশলা বৃষ্টির ছোঁয়া ঢাকা নগরীর পথে পথে জাগিয়েছে খণ্ড খণ্ড ফুলের জলসা। গ্রীষ্মের এই রংবাহারের উজ্জ্বলতা এবং সৌরভ; নাগরিক বিড়ম্বনা মুছে বুলিয়ে দিয়েছে অনিন্দ্য স্বস্তির পরশ।

সাদা গোলাপীর মিশলে সোনাইল—দূর থেকে মনে হয় পুষ্পিত পোস্টকার্ড/ছবি: নূর এ আলম


নগরের ইটপাথর, কংক্রিটের কংকালের মধ্যে তাপ ও দূষণের সাম্রাজ্যে নানা রঙের বর্ণিল ফুলের বৃন্ত ও পত্রালীতে খেলা করছে মুক্তি ও স্বাধীনতার আরাম। কৃষ্ণচূড়ার বুনো ঘ্রাণ, টগরের শুভ্রতা এবং সোনালুর স্নিগ্ধ সৌন্দর্য দাবদাহে পীড়িত রাজধানীতে বসিয়েছে ফুলের জলসা। নিয়ে এসেছে রঙের উল্লাস। গন্ধের মাদকতা। ভালোলাগার এক অনির্বচনীয় অনুভূতি।

উচ্ছল জারুল


গ্রীষ্মের তপ্ত রোদের মধ্যেই শুক্রবার ও শনিবার ছুটির জোড়া দিনে হাতিরঝিলের নাগরিক পর্যটকদের স্বাগত জানাল উচ্ছল জারুল, রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া, কনকচূড়া ও সাদা গোলাপীর মিশলে সোনাইল। খুব কাছ থেকে দেখলে মনে হাতিরঝিলে ‘সোনাইল ব্লসম উৎসব’ চলছে। আর দূর থেকে মনে হয় পুষ্পিত পোস্টকার্ড।

কৃষ্ণচূড়ার বুনো ঘ্রাণ, টগরের শুভ্রতা এবং সোনালুর স্নিগ্ধ সৌন্দর্য দাবদাহে পীড়িত রাজধানীতে বসিয়েছে ফুলের জলসা/ছবি: নূর এ আলম


হালকা বাতাসে সোনাইল দুলুনির সমান্তরালে গুঞ্জরিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বহে কিবা মৃদু বায়' গানের শিহরণ জাগানিয়া আবেশ। হাতিরঝিলের পথে পথে হেঁটে ক্লান্ত হলে ছায়া দিতেও প্রকৃতি তৈরি হয়ে আছে। ফুলে ভরা মেঘশিরীষ গাছ প্রসারিত শাখা ও পল্লবে কাছে টানছে পথিকের মনোযোগ। এখানে জারুলের এমন অপূর্ব রূপ— চলতি পথে গাড়ি থামিয়ে, হাঁটতে হাঁটতে থমকে গিয়ে ক্যামেরাবন্দী করছেন নগরীর মানুষ।

নানা রঙের বর্ণিল ফুলের বৃন্ত ও পত্রালীতে খেলা করছে মুক্তি ও স্বাধীনতার আরাম/ছবি: নূর এ আলম


‘কি বলব- এত গরম, সহ্য করার মতো না। আমার বাসা মধুবাগে। প্রায় হাতিরঝিলে বাতাস খেতে আসি। এত ভালো লাগে বোঝাতে পারব না। তার সঙ্গে বাহারি ফুল তো রয়েছেই। অনেক ফুল চিনি না— কিন্তু ব্যাপারটা অসাম’, বলছিলেন হাতিরঝিলের বেঞ্চ বসা ইরাব নামের এক টগবগে যুবক। এখানকার প্রকৃতি যেন অগোচরে ইরাবের মতো অনেক তরুণ-যুবককে প্রকৃতিপ্রেমী ও ভাবুক বানিয়ে দিয়েছে।

নতুন শহর পূর্বাচলের সড়কে করবী/ছবি: নূর এ আলম


গ্রীষ্মের এই রূপ শুধু ঢাকার পর্যটন-হটস্পট হাতিরঝিলে নয়, প্রাচীন ও রমনীয় রমনা পার্ক, কলোনিয়াল আরবান নস্টালজিয়া মিন্টো রোড, আধুনিক এয়ারপোর্ট রোড, কুড়িল, স্থাপত্যকলার নান্দনিক সংসদ ভবন এলাকা ও ক্রিসেন্ট লেকসহ যেদিকে চোখ যায়- শুধু চোখে পড়ে ফুলের হাসি, রঙের খেলা। ইন্দ্রিয় স্পন্দিত হয় উদ্ভিদজাত গন্ধে ও সৌরভে।

কুড়িলে কৃষ্ণচূড়ার উচ্ছ্বাস/ছবি: নূর এ আলম


নগরীর সর্বাধুনিক সংযোজন মেট্রোরেলে বা এক্সপ্রেস ওয়ে থেকে বিস্তৃত রাজধানীর দিকে তাকালে সুবিশাল দালান-কোঠা আর সবুজের ফাঁকে মাথা চাড়া দিচ্ছে জারুল, কৃষ্ণচূড়া ও গ্রীষ্মকালীন গাছপালার উচ্ছ্বাস। কোথাও কোথাও ছাদবাগানের বিভা। ফুলে ফুলে রঙিন এসব দৃশ্য প্রাচ্যের রোমান্টিক নগরী ঢাকার প্রাচীন স্মৃতি মনে দোলা দেয়। ক্ষণিকের জন্য বর্ণিল ফুলে ছাওয়া এক অন্য ঢাকা হৃদয়ের অলিন্দে জায়গা করে নেয় সুভাষিত আবাহনে।

সবুজ পাতা ছাপিয়ে সোনালি রঙের ফুলে সেজেছে সোনালু গাছ/ছবি: নূর এ আলম


সংসদ ভবন এলাকা ও ক্রিসেন্ট লেকে গেলে তো মনে হবে সুনীল আকাশের পানে চেয়ে কৃষ্ণচূড়া বলছে- ‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে-/আমি ভুবন ভোলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে’। এখানে চোখে পড়ে লেকের দু’ধারে কৃষ্ণচূড়ার সুদৃশ্য বীথি-  ‘ডাক দিয়ে যায় পথের ধারের কৃষ্ণচূড়ায়।’ বাতাসে কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি ঝরে রঙিন হয়ে ওঠা চলার পথ।

চন্দ্রিমা উদ্যান; গাছের পাতার সবুজ রঙ আজ যেন আরও গাঢ় হয়েছে


এমন মনোরম প্রকৃতিতে ক্রিসেন্ট লেকে গরম নিবারণে নেমে পড়েছে একদল ডানপিটে কিশোর। যারা কৈশারকাল উদযাপনে মেতেছে। 

পাশেই চন্দ্রিমা উদ্যান; গাছের পাতার সবুজ রঙ আজ যেন আরও গাঢ় হয়েছে। গত রাতে ঝরেছে বহু প্রতীক্ষার বৃষ্টি। দীর্ঘ তাপদাহে পোড়ার পর বৃষ্টির পরশ পেয়ে গাছগুলো যেন- প্রাণ পেয়েছে। চড়া রোদে স্নিগ্ধ হয়ে দেখাচ্ছে সবুজ পাতা। নেতিয়ে পড়া ফুল আড়মোড়া ভেঙে সুভাষ ছড়াচ্ছে। প্রাণবন্ত সবুজ পাতার ফাঁক গলে উঁকি দিচ্ছে হরেক রঙ ও রূপের ফুল।

কংক্রিটের নগরীতে কৃষ্ণচূড়ার স্পর্শ/ছবি: নূর এ আলম


‘শোনো বন্ধু শোনো,/ প্রাণহীন এই শহরের ইতিকথা/ ইটের পাঁজরে, লোহার কাটায়/দারুণ মর্মব্যথা।/এখানে আকাশ নেই,/এখানে বাতাস নেই,/ এখানে অন্ধ গলির নরকে/মুক্তির আকুলতা।/জীবনের ফুল মুকুলেই ঝরে...।

হেমন্ত মুখোপাধ্যায় তার গানে নগরীকে তুলনা করেছেন ইটপাথরের প্রাণহীন গলি হিসেবে। যেখানে ব্যস্ততার ফাঁকে লুকিয়ে থাকে নানা কষ্ট। তবে এমন প্রাণহীন নগরীতে প্রশান্তির গান ধরেছে আগুন ঝরা কৃষ্ণচূড়া, সোনালু আর জারুল। সঙ্গে অফুরান শোভা ছড়িয়েছে ডুলি চাপা, বরুণ, নাগলিঙ্গম, মাধবীলতা ও কাঠগোলাপ। গরমে ওষ্ঠাগত জীবনে ঢাকার প্রকৃতির রূপ-রস মনে শান্তির সু-বাতাস বইয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর ফুলের নৈসর্গিকতা উপভোগ করার সবচেয়ে ভালো সময় ছুটির দিন।

হাতিরঝিলের পথে দেখা মেলে কাঠগোলাপের


‘উষ্ণ তাপমাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবুজ ও মনোরম পরিবেশ তৈরির দিকে জোর দেওয়া প্রয়োজন’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন।

তিনি বলেন, ঢাকার প্রকৃতিকে মনোমুগ্ধকর করতে দেশি ফুলের গাছ দিয়ে সাজালে আরো ভালো হত। পরিকল্পিতভাবে ১০টি প্রধান অ্যাভিনিউকে ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো যেতে পারে। তাহলে শোভা বর্ধনের পাশাপাশি মানুষকে প্রশান্তি দিত- এই নগর।

সোনালুর ছায়া মাখানো পথ/ছবি: নূর এ আলম


মাঝে মাঝে এই ঢাকা, একদিন স্বপ্নের দিন হয়ে, ফুলের জলসার মুগ্ধতা দগ্ধ নাগরিক জীবনের সকল গ্লানি মুছে দিয়ে যায়।  

;

হারিয়ে যাওয়া বিয়ের আংটি খুঁজে পেলেন ৫৪ বছর পর!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৪ বছর পর হারিয়ে যাওয়া বিয়ের আংটি খুঁজে পেয়েছেন ম্যারিলিন বার্চ (৭৬)। তিনি যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের পন্টারডাউইর বাসিন্দা।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ম্যারিলিন বার্চ স্কাই নিউজকে বলেন, এতো বছর পর আংটিটি খুঁজে পাওয়া সত্যিই অবাক করা বিষয়। ১৯৭০ সালে পারিবারিক খামারে গরুকে খড় খাওয়ানোর সময় আংটিটি হারিয়ে গিয়েছিল। পরে অনেক খোঁজার পরও না পেয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভেবে নিয়েছিলাম এটা আর কখনো পাবো না।

তবে শনাক্তবিদ কিথ ফিলিপসের মনে ছিল অন্য কিছু। তিনি খামারের লোকজনকে বিভিন্ন সময় সেখানকার ভূমি খননের পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন। তাঁর হিসাবে, সেখানে মাটির নিচে অনেক মূল্যবান জিনিস থাকতে পারে।

সেখান থেকে পাওয়া বিভিন্ন মুদ্রা এবং বিটের টুকরা আমাদের দেখাতেন। কিন্তু আংটিটির খোঁজ মেলেনি। 

ম্যারিলিন বলেন, ‘এক সন্ধ্যায় ফিলিপস যখন খামার ত্যাগ করছিলেন, আমি তাঁকে ঠাট্টাচ্ছলে বলি, ফিলিপস শোনো, যেসব আবর্জনা তুমি উদ্ধার করেছ এসব ফেলো। যাও, আমার বিয়ের আংটিটি খুঁজে বের করতে পার কি না, দেখো।’

এ কথা শোনার পর তারা দুজনেই তখন হেসেছিল। তবে এক সপ্তাহ বা তারও কিছু সময় পরে ফিলিপস ম্যারিলিনের আংটিটি নিয়ে হাজির হন।

ম্যারিলিন বলেন, আংটিটিকে খামারের মাঠে মাটির প্রায় ৮ ইঞ্চি নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে সেটিকে তিনি ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করেছেন এবং তখন থেকেই তিনি এটিকে আঙ্গুল দিয়ে রেখেছেন।

মিসেস বার্চের স্বামী পিটার বার্চ গত জানুয়ারিতে ৮০ বছরে পা দিয়েছেন। সে উপলক্ষে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। কিন্তু এমন ঘটনার পর সব আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে। এখন সবকিছু এই আংটিটি ঘিরেই হচ্ছে।

;