প্রথম আন্তর্জাতিক কনসার্টের অভিজ্ঞতা আজীবন স্মৃতিময় হয়ে থাকবে : আনিসা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
অস্ট্রেলিয়ার সমূদ্র সৈকতে আনিসা; (ইনসেটে) মেলবোর্নের শোতে গাইছেন তিনি

অস্ট্রেলিয়ার সমূদ্র সৈকতে আনিসা; (ইনসেটে) মেলবোর্নের শোতে গাইছেন তিনি

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরটি ছিল তরুণ সঙ্গীতশিল্পী আতিয়া আনিসার জন্য স্বর্ণালী একটি সময়। কেননা, একই বছরে তিনি অল্প দিনের সঙ্গীত ক্যারিয়ারে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার। তার গাওয়া ‘পরান’ সিনেমার ‘চলো নিরালায়’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায় গত বছরেই।

এই শিল্পী এখন গান আর পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সদ্য অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কনসার্টে গাইতে। এবারই প্রথম তিনি দেশের বাইরে গাইতে গেলেন। প্রসঙ্গটি তুলতেই আনিসা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এটা আমার প্রথম আন্তর্জাতিক সঙ্গীত সফর। তাও আবার অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে। চমৎকার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। সবমিলিয়ে এ শোটি আজীবন স্মৃতিময় হয়ে থাকবে।’

মেলবোর্নের শোতে গাইছেন আনিসা

প্রথম যে কোন অভিজ্ঞতাই অন্যরকম মনে হয়। কেমন ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক শোয়ের অভিজ্ঞতা, সে কথাও জানালেন আনিসা। তার ভাষ্য, ‘এক কথায় অনবদ্য অভিজ্ঞতা। আমি জানতামও না, অস্ট্রেলিয়ার মতো ব্যস্ত দেশে থেকেও বাঙালিরা আমার গান এভাবে শোনেন, আমাকে এভাবে ভালোবাসেন! তারা আমার গানের নাম ধরে ধরে গাওয়ার অনুরোধ করেছেন। চলো নিরালায় গানটি তো আমার গাইতেই হয়নি। তারা আমার সঙ্গে অনবরত ঠোট মিলিয়ে গেছেন। সে সময় তাদের এক্সপ্রেশন দেখে বেশ গর্ব অনুভব হয়েছিল। এই ভালোবাসাটা আমি ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবো।’

আতিয়া আনিসা আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতে ছিলাম ৬ দিন। দুটি শো নিয়ে গিয়েছিলাম। ২৮ এপ্রিল মেলবোর্নে শোটি সফলভাবে সম্পন্ন করি। কিন্তু ৫ মে সিডনির শোটি আর করতে পারিনি। কারণ ৩ মে থেকে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ পড়ে হুট করেই। বাধ্য হয়ে একটি শো করে দেশে ফিরি। এখন পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। আর একটা পরীক্ষা বাকী। এরমধ্যে ঢাকায় যে শোগুলোর কথা চলছিল সেগুলো নিয়েছি।’

মেলবোর্নের শোতে মুগ্ধ হয়ে আনিসার গান শুনছেন দর্শক

এতোদিন পর দেশের বাইরে গাইতে যাওয়ার সুযোগ পেলেন? জানতে চাইলে আনিসা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘‘আসলে বেশ আগে থেকেই বিভিন্ন দেশে শো করার প্রস্তাব পাই। কিন্তু নিজেই তখন শোগুলো করিনি। আমার সব সময় মনে হয়েছে, নিজের পরিচিতি তৈরী করার পর আমি দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে দেশের বাইরে যাব। এরমধ্যে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু পুরস্কার অর্জন করেছি। সবচেয়ে বড় কথা- আমার মৌলিক কয়েকটি গান হয়েছে যা দর্শক শোনার জন্য আবতার করে। বলতে গেলে, ‘চলো নিরালায়’ গানটি আমার গলায় লাইভ শোনার জন্যই অস্ট্রেলিয়াতে আমাকে শো করতে নিয়ে গিয়েছেন আয়োজকরা। সবমিলিয়ে এখন নিজেকে সেই যোগ্যতা সম্পন্ন মনে করেছি বলেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শো করতে সম্মত হয়েছি।’’

মেলবোর্নের সবচেয়ে সুন্দর জায়গার একটি এই সমূদ্র সৈকত। সেখানে ঘুরেছেন আনিসা

গত বছর মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পাওয়ার পর এবারও এই সম্মানজনক পুরস্কারের সেরা গায়িকার মনোনয়ন পেয়েছেন আনিসা। এবার দর্শক ভক্তরা তাকে সেরার তালিকায় রেখেছেন চরকির ওয়েব ফিল্ম ‘পুর্নমিলনে’র গান ‘পুড়ে গেলাম’-এর জন্য। তার সঙ্গে মনোনয়ন তালিকায় আরও রয়েছেন কোনাল, অবন্তী সিথি ও জেফার রহমান। এবার পুরস্কার নিয়ে কতোটা আশাবাদী জানতে চাইলে আনিসা বলেন, ‘নিজের জন্য সবাই শতভাগ আশাবাদী থাকেন। আমিও তার বাইরে নই। কেননা, একটি বছরের এতো গানের ভীড়ে যখন ভক্তরা আমার গানটিকে সেরা চার-এ স্থান দেন তখন প্রত্যাশা না বেড়ে পারে না। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, পুরস্কার পাই আর না পাই, মনোনয়ন পাওয়াটাও পুরস্কারের চেয়ে কোন অংশে কমকিছু নয়।’

   

বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল

বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারেত লোকসভা নির্বাচন চলছে। মহারাষ্ট্রে পঞ্চম দফা নির্বাচনে, বলিউডের অনেক তারকা তাদের ভোটকেন্দ্রে গেছেন ভোট দিতে।


ভোট দেওয়ার প্রমাণ হিসাবে তাদের হাতের কালিও তুলে ধরেছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন নতুন মা-বাবা দীপিকা পাডুকোন এবং রণবীর সিংও। এসময় হবু মায়ের বেবি বাম্প দেখা গেছে ।


দীপিকা এবং রণবীর ভোটকেন্দ্রে যাওয়া মন কেড়েছে ভক্তদের। তাদের একসঙ্গে হেঁটে যেতে দেখে মুগ্ধ সবাই।

রণবীর, সব পরিস্থিতিতে দীপিকার হাত ধরে আগলে রাখেন। তিনি তাঁকে বুথেও নিয়ে যান। ভোট দিতে যাওয়ার সময় দু’জনেই সাদা শার্ট এবং নীল রঙের ডেনিম পরেন।

এখানেই দীপিকার প্রথমবার বেবি বাম্প দেখা গেল। ক্যামেরার সামনে হাসতে হাসতে তাদের পোজ দিতেও দেখা যায়।

;

সব গান সুপারহিট হতে হয় না: কনা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

দিলশাদ নাহার কনা / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, অডিও, জিঙ্গেল এবং ভয়েস ওভার ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন দিলশাদ নাহার কনা। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা। তার ঝুলিতে তথাকথিত সুপারহিট গানের সংখ্যাও কম নয়। দুই-তিন ঘণ্টার স্টেজ শো আরামসে নিজের গান গেয়ে মাতিয়ে রাখতে পারেন এই শিল্পী। মা দিবসে এসেছে তার নতুন গান। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


কেমন আছেন?


আলহামদুলিল্লাহ বলতেই হবে। সবমিলিয়ে সৃষ্টিকর্তা ভালো রেখেছেন। এই তো বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম বিদেশে। দারুণ সময় কাটিয়েছি। দেশে ফিরে কক্সবাজারে একটি শো করতে গিয়েছিলাম। আসার পথে শরীরটা খারাপ হতে শুরু করে। এরপর বেশ কদিন ধরে শরীরটা একটু খারাপ। শিল্পীদের কণ্ঠ বসে গেলে তো মুশকিল। তারমধ্যেও বেশ কয়েকটি গানে কণ্ঠ দিতে হয়েছে।

দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

মা দিবসে ‘মা’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেছেন। সেটি নিয়ে জানতে চাই...


কদিন আগে চলে যাওয়া বিশ্ব মা দিবসে এই গানটির একটি মিউজিক ভিডিও কনা তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছি। ‘আমি বুড়ো হয়ে গেলেও / মা’র কোলে গিয়ে শোবো / মা কপালে রাখবে হাত / সব ক্লান্তিগুলো ধোবো...’- এমন কথার গানটির গীতিকার ও সুরকার কিংবদন্তিতূল্য প্রিন্স মাহমুদ।


এই গানটিরতে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?


একজন শিল্পীর গাওয়া সব গান সুপারহিট হতে হয় না। সব গান শ্রোতার মুখে মুখে থাকবে সেটাও আমি মনে করি না। একজন শিল্পী তার রূচি অনুযায়ি এমন কিছু গানও করবেন যা বিশেষ শ্রেণীর শ্রোতার জন্য, আবার এমন গানও করবেন যা সবাই সমানতালে শুনবে। এমনও গান গাইতে হবে যা একজন শ্রোতা তার বিশেষ অনুভূতির সময় সঙ্গী হিসেবে নেবে। তেমনি একটি গান ‘মা’। যারা গানটি শুনেছেন তারা তাদের ভালোলাগার কথা আমাকে জানিয়েছেন। তবে এটি এমন গান নয় যে অলিতে গলিতে বাজবে। এ ধরনের গান শ্রোতার একান্ত অনুভূতির সঙ্গী হবে বলেই আমার বিশ্বাস।

দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

প্রতিটি গান তৈরীর নেপথ্যে দারুণ সব গল্প থাকে। এই গানের পেছনে তেমন কোন গল্প আছে?


এই গানটি আসলে দুই বছর আগে ইমরান (জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল) গেয়েছিলেন। শোনার পর আমার ভীষণ ভালোলাগে। সেকথা প্রিন্স মাহমুদ জানতে পেরে বলেন, তুইও একবার গাইতে পারিস গানটা। তার কথামতোই আমি গানটি গেয়েছি। এরপর তো এবারের মা দিবসে আমার ইউটিউব চ্যানেলে সেটি প্রকাশ করি।


সম্প্রতি একটি অ্যাওয়ার্ড পেলেন...


হ্যাঁ। সম্প্রতি ২০২২ সালের সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি প্রবর্তিত প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছি। আমি খুব আনন্দিত, কারণ এটি এসেছে চলচ্চিত্রের পরিচালকদের বিবেচনায়। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার ‘তার হাওয়াতে’ গানের জন্য এই অর্জন। গানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

পরিচালক সমিতির অ্যাওয়ার্ড হাতে কনা /  ছবি : ফেসবুক

বর্তমানে ব্যস্ততা কি নিয়ে?


একাধিক পণ্যের জিঙ্গেল নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। সম্প্রতি আপন জুয়েলার্সের বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দিয়েছি। আজ গাইবো ফ্যাশন হাউজ দেশাল-এর বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য একটি গান। দুটি বিজ্ঞাপনই দর্শক নন্দিত হবে বলে আমার ধারনা।

;

ডিপজলকে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ হাইকোর্টের



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিপুণ ও ডিপজল

নিপুণ ও ডিপজল

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক সময়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেল ও নিপুণের মধ্যকার বিবাদে নতুন মোড় নিয়েছে।

নির্বাচনের এক মাস যেতে না যেতেই নতুন কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন নিপুণ। কেন তিনি এ কাজ করলেন এ নিয়ে তাকে মিশা-ডিপজল প্যানেলের একাধিক সদস্য কটাক্ষ করেছেন।

নিপুণও ছেড়ে কথা বলেননি। তিনি বরাবরই বলে এসেছেন যা হবে আইনের আওতায় হবে।

গত ১৯ এপ্রিল সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট হয়। ২৩ এপ্রিল ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ডিপজলের চেয়ে ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ।

নিপুণ ও ডিপজল

তিনি এবারের নির্বাচনে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগে তিনি নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন। অবশেষে নিপুণের অভিযোগের দিকে আমল দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে (২০২৪-২৬) অনিয়মের অভিযোগ ঢাকার সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তর্র্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রুলসহ এ আদেশ দেন।

;

কেন তার ছবিতে যৌনকর্মীদের জয়গান, জানালেন সঞ্জয় লীলা বানশালি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নন্দিত পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালি / ছবি: সংগৃহীত

নন্দিত পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালি / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেবদাস, সাওয়ারিয়া, গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াডি হোক বা হীরামান্ডি- সঞ্জয় লীলা বানশালির সিনেমায় প্রতিটি যৌনকর্মীই আসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারিণী। দেবদাস-এ মাধুরি দীক্ষিতের চন্দ্রমুখী, গাঙ্গুবাঈতে আলিয়া ভাটের গাঙ্গু কিংবা সাওয়ারিতে রানি মুখার্জি- সব অভিনেত্রীকেই ভিন্নভাবে পর্দায় তুলে ধরেন সঞ্জয়।

তবে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া হীরামান্ডি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে যেন তাকে নিয়ে আলোচনা শেষই হতে চাইছে না। কারো মতে সিরিজের ভিজ্যুয়াল দৃশ্য, গল্পের সঙ্গে চরিত্রের ধারাবাহিকতা, পোশাক, সঙ্গীত, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অসাধারণ। আবার কারো কাছে সিনেমায় গল্পের কয়েকটি মোড় তেমন যৌক্তিক মনে হয়নি। সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয় ভাগ্নি শারমিন সেগলকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে বাছাই করে। শারমিনের অভিনয় সিংহভাগ দর্শকেরই পছন্দ হয়নি।

তবে সব আলোচনা-সমালোচনা ছাপিয়ে কথা হচ্ছে সঞ্জয়ের কল্পনা শক্তি নিয়ে। যৌনকর্মীরা সমাজের এক লাঞ্ছিত অংশ। যদিও এই পেশা কেউই শখ করে বেছে নেন না। তবুও সমগ্র সমাজ তাতেই ঘৃণার চোখেই দেখে। ঘৃনীত এই মানুষরা কীভাবে পরিচালকের কাজে প্রতিবার অপরূপ ভাবে ফুটে ওঠে সেটাই এখন নেটিজেনদের আলোচনার মূখ্য বিষয়। এই ব্যাপারে মুখ খুললেন সঞ্জয় খোদ।

'নর্তকী, যৌনকর্মীরা আমাকে মুগ্ধ করে। রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলারা নয়'- বললেন সঞ্জয় লীলা বনশালি। বনশালির অধিকাংশ সিনেমার একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে নর্তকী, যৌনকর্মীদের জীবন। এই বিশেষ শ্রেণীর মানুষের প্রতি পরিচালকের এত মুগ্ধতা কেন? সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনই প্রশ্ন করা হয়েছিল পরিচালককে। উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি তাঁরা এমন মহিলা যাদেরকে ঘিরে অনেক রহস্য আছে। এই যে নর্তকী, যৌনকর্মী, ওঁরা সকলের থেকে আলাদা। সর্বদা একটি নির্দিষ্ট ধরণের শক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটায় যা দেখতে আমার কাছে খুব আকর্ষণীয় মনে হয়…তাঁদের নাচ, গান, তাঁদের সাজপোশাক সবই আকর্ষণীয়।'

সঞ্জয়ের ছোটবেলা কেটেছিল কাঠিয়াওয়াডিতে। সেইসূত্রে ছোটবেলা থেকেই যৌনকর্মীদের জীবন বেশ কাছে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। এই কারণেই তাদের জীবনের সংগ্রাম এত সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন পরিচালক। সমাজে যৌনকর্মীদের ধারণা পাল্টে, তাদের প্রতি সম্মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে সঞ্জয়ের সিনেমাগুলোর বেশ পোক্ত ভূমিকা রয়েছে। 

;