মেট গালায় মানব-ঈশ্বরী আলিয়া, ১৯৬৫ ঘণ্টায় তৈরি ২৩ ফুট লম্বা আঁচলের শাড়িটি



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মেট গালায় এমন সাজে উপস্থিত হন আলিয়া ভাট

মেট গালায় এমন সাজে উপস্থিত হন আলিয়া ভাট

  • Font increase
  • Font Decrease

এ যেন রূপকথার পাতা থেকে উঠে আসা রাজকন্যা। স্বপ্নের মতো সাজ। ‘মেট গালা ২০২৪’-এর সাদা-সবুজ কার্পেটে বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সাজ যেন এমনই কিছু বিশেষণের জন্ম দিল। মে মাসের প্রথম সোমবার অর্থাৎ গতকালই নিউ ইয়র্কের ‘মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট’-এ বসেছিল ‘মেট গালা’র আসর। উপস্থিত ছিল হলিউডের প্রথমসারির তারকারা। তাদের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন বলিউড তারকা আলিয়া। মেট গালার জন্য আলিয়া ভাটের গর্জিয়াস ভারতীয় ট্র্যাডিশনাল লুক নিসন্দেহে ‘আউট অফ দ্য বক্স’।

গত বছর মেট গালায় প্রথম বারের জন্য ডাক পেয়েছিলেন আলিয়া। সাদা পোশাকে পরির সাজে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এ বার অন্য রূপে ধরা দিলেন তিনি।

মেট গালায় এমন সাজে উপস্থিত হন আলিয়া ভাট

যেন এক মানব-ঈশ্বরী

মেট গালায় এবারের থিম ‘দ্য গার্ডেন অফ টাইম’। আর সেই ভাবনাকেই মাথায় রেখে দুর্দান্ত কিছু ‘আউট অফ বক্স’ লুক ক্রিয়েট করেছেন তারকারা। আর সবার মাঝেই আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন আলিয়া ভাট। মেট গালায় শাড়ির সাজে ধরা দিলেন আলিয়া ভাট। তাকে যে শাড়ির সাজে অপরূপ দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহল্য।

মেট গালা রেড কার্পেটে আলিয়া ভাট

ভারতের অন্যতম খ্যাতিসম্পন্ন ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখার্জির ডিজাইন করা এই শাড়িতে ছিল ২৩ ফুট লম্বা আঁচল, যা সকলের নজর কেড়েছে। ‘দ্য গার্ডেন অফ টাইম’ থিমটিকে ফ্যাশনের এক অপরূপ ভাষায় বিশ্লেষণ করেছিলেন তিনি। কথা স্বীকার করতে আপত্তি নেই যে, আলিয়ার লুকে বহাল রয়েছে ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া। মেট গালার সবুজ কার্পেটে আলিয়া-সব্যসাচীর হাত ধরে ভারতীয় ফ্যাশনের মুকুটে যোগ হল আরেকটি নয়া পালক।

মেট গালায় এমন সাজে উপস্থিত হন আলিয়া ভাট

কালার প্যালেটে প্রকৃতির ছোঁয়া

ডিজাইনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিন্ট গ্রিন এই শাড়িটি ছিল হ্যান্ড ক্রাফটেড। সম্পূর্ণ শাড়িজুড়ে অপূর্ব কারুকার্য করা হয়েছিল। বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছিল চমৎকার ফ্লোরাল মোটিফ। ১৯২০-এর ফ্রিঞ্জ ডিটেলিং স্টাইল ফুটে উঠেছিল আলিয়ার শাড়িতে। এটির কালার প্যালেটে ছিল পৃথিবী, আকাশ এবং সমুদ্রের রঙের ছোঁয়া, যা প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ ছাড়া আর কিছুই নয়!

মেট গালায় আলিয়া ভাট

শাড়িটি তৈরি করতে কত সময় লেগেছিল?

১৬৩ জন কারিগর মিলে প্রায় ১৯৬৫ ঘণ্টা ধরে এই শাড়িটি তৈরি করেছিলেন, যার সৌন্দর্য মুহূর্তেই মন ছুঁয়ে গিয়েছিল প্রত্যেকের। আলিয়ার শাড়ির উপরে স্টোন ওয়ার্ক এবং অন্যান্য এমবেলিশমেন্ট ছিল দেখার মতো। আর এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া লম্বা ট্রেইন লুকে দিয়েছিল ড্রামাটিক এফেক্ট।

শাড়িটির সঙ্গে ব্রালেট স্টাইল করেছিলেন আলিয়া ভাট। আর এই ব্রালেটের ব্যাকে বো ডিটেলিং ও স্টোল এমবেলিশমেন্ট সবাইকে মুগ্ধ করেছিল। সঙ্গে রয়েছে গোলাপী এবং সবুজ রঙের ফুল, পুঁতির ট্যাসেল। এগুলিও কিন্তু হাতেরই কাজ। এই শাড়ির অন্যতম আরেক আকর্ষণ হল সামনের দিকে থাকা রাফলড প্লিট।

আলিয়া শাড়িটি পরেছিলেন একটি বাস্টিয়ার ব্লাউজের সঙ্গে। যাতে রয়েছে প্লাঞ্জিং সুইটহার্ট নেকলাইন, রাফলড হাতা। ব্লাউজেও রয়েছে সূক্ষ্ম হাতের কাজ। সেখানেও স্টোনের কাজ লক্ষণীয়।

মেট গালায় আলিয়ার গয়না ও সাজে ছিল বিশেষত্ব

আলিয়ার সাজগোজ

অভিনেত্রীকে শাড়ি ড্রেপ করেছিলেন ডলি জৈন। লুকটি স্টাইল করেছিলেন লক্ষ্মী লেহর ও আনাইতা শ্রফ অদাজনিয়া। এদিন আলিয়ার জুয়েলারিও ছিল দেখার মতো। সব্যসাচীর ‘বেঙ্গল রয়্যাল কালেকশন’-এর জুয়েলারিতে সেজে উঠেছিলেন তিনি। গয়না হিসেবে সব্যসাচী বেছে নেন একটি মাং টিকা। মাথায় ছিল একটি ব্যান্ড, স্টেটমেন্ট কানের দুল, হাই হিল ও আংটি।

মেট গালায় আলিয়া ভাট

মেকআপেও ছিল বিশেষত্ব। আলিয়ার চোখে সোনালি রঙের স্যাজো, গালে রুজ, ফুশিয়া গোলাপী ঠোঁট, বিমিং হাইলাইটার, মাস্কারা। আর সাজের ফাইনাল টাচ ছিল মেসি হেয়ার। সব মিলিয়ে যেন স্বপ্নে দেখ রাজকন্যে তিনি। রাহা-র মা, রণবীর কাপুরের বউের সৌন্দর্যের কাছে হার মানেন একাধিক হলি-তারকাও। সবমিলিয়ে আলিয়াকে যে এদিন এক প্রাচীন অপরূপা ঈশ্বরীর মতো দেখাচ্ছিল, সে কথা বলাই বাহুল্য!

   

এলো হাবিব-আনিসার ‘তোমার আদরে’, আসছে আরও তিন



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রেকর্ডিং-এর ফাঁকে ফ্রেমবন্দী হাবিব ওয়াহিদ ও আতিয়া আনিসা

রেকর্ডিং-এর ফাঁকে ফ্রেমবন্দী হাবিব ওয়াহিদ ও আতিয়া আনিসা

  • Font increase
  • Font Decrease

হাবিব ওয়াহিদকে নতুন শতাব্দির বাংলা গানের অন্যতম আকর্ষণ বলা যায়। তিনি বাংলাদেশের গানে ভিন্নতা এনেছেন। সবচেয়ে বড়কথা তিনি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। ফলে এ দেশের সব শিল্পী তার সঙ্গে গান করতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবার তো আর সেই সুযোগ হয় না। সেদিক থেকে আতিয়া আনিসা বেশ সৌভাগ্যবান।

গত বছরই তিনি হাবিবের সঙ্গে প্রথমবার গেয়েছিলেন ‘হোক বাড়াবাড়ি’ শিরোনামের একটি গান।

আতিয়া আনিসা ও হাবিব ওয়াহিদ

আতিয়া আনিসা নিজেও এ প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী। পেশাগত সংগীত ক্যারিয়ার অল্প দিনের হলেও তার অর্জনের ঝুলি বেশ পরিপূর্ণ! এরইমধ্যে তিনি সেরা গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন। ‘পরাণ’ সিনেমার ‘চলো নিরালায়’ গানটি গেয়ে প্রথমসারির শিল্পীর কাতারে উঠে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক কনসার্ট শেষ করে দেশে ফিরেছেন আনিসা।

যাই হোক, বছর ঘুরতে না ঘুরতে হাবিব-আনিসা হাজির দ্বিতীয় নিবেদন ‘তোমার আদরে’ নিয়ে। গত ১৭ মে গানটি প্রকাশিত হয়েছে হাবিব ওয়াহিদেও অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।

অমিতা কর্মকারের কথায় এই গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন হাবিব ওয়াহিদ। আপাতত অডিও ভার্সন বের হয়েছে। নতুন এই গানে কেমন সাড়া পাচ্ছেন জানতে চাইলে আতিয়া আনিসা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি সত্যিই এতোটা সাড়া আশা করিনি। কারণ এখন সবাই বলেন ভিডিও ছাড়া অডিও গান তেমন কেউ শোনেই না। সে হিসেবে এই গানের অডিওটি দারুণ সাড়া পাচ্ছে। তবে ইউটিউবের কমেন্টে বেশিরভাগ শ্রোতারই অনুরোধ, গানটির যেন ভিডিও করা হয়। তাই আমরা পরিকল্পনা করেছি গানটির ভিডিও প্রকাশ করব।’

রেকর্ডিং-এর ফাঁকে ফ্রেমবন্দী হাবিব ওয়াহিদ ও আতিয়া আনিসা

আনিসা আরও জানালেন, হাবিব ওয়াহিদের গানের ভক্ত তিনি অনেক আগে থেকেই। তার সঙ্গে কাজ করা মানে নতুন কিছু শেখা, নিজেকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করা। তাইতো দ্বিতীয় গান প্রকাশের আগেই হাবিবের সঙ্গে আরও তিনটি গান করে ফেলেছেন আনিসা। প্রতিটি গানই নিয়েই আশাবাদী তরুণ এই শিল্পী।

;

সদস্যপদ ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন জায়েদ খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জায়েদ খান / ছবি : ফেসবুক

জায়েদ খান / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং এ সময়ের ভাইরাল নায়ক জায়েদ খানের সদস্য পদ বাতিল হওয়ার ঘটনা শোবিজে বেশ আলোচিত হয়। তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক নিপুণের নামে জন সম্মুখে আজে বাজে মন্তব্য করার দায়ে তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়।

গত ১৯ এপিল জায়েদ খান সমর্থিত মিশা সওদাগর-ডিপজল প্যানেল শিল্পী সমিতির দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন দ্রুতই জায়েদ তার সদস্য পদ ফিরে পাবেন। তবে একই কারণে যে নিপুণকে উল্টো সদস্য পদ হারাতে হবে সেকথা হয়তো কেউ ভাবনাতেও আনেননি। সম্প্রতি নিপুণও জন সম্মুখে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডিপজলকে নিয়ে কুরূচিকর মন্তব্য করেছেন বলে দাবী মিশা-ডিপজল প্যানেলের। ফলে জায়েদ খানের সদস্য পদ বাতিল হলে নিপুণের ক্ষেত্রে কেন একই সিদ্ধান্ত হবে না জানতে চেয়ে শিল্পী সমিতিতে নোটিশ দিয়েছে বর্তমান কমিটি। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে নিপুণ অবশ্য বলেছেন, তার সদস্যপদ বাতিল করা হলে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন।

নিপুণ আক্তার

যাই হোক আজ জায়েদ খানের সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব জানান, জায়েদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছিল তার যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে। তা খতিয়ে দেখার পর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক প্রজ্ঞাপনেও বিষয়টি জানিয়েছে শিল্পী সমিতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগরও।

ইতোমধ্যে সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার চিঠি পেয়েছেন জায়েদ খান। এরপর তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অন্যায়ভাবে আমার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু মিশা-ডিপজল ভাই পরিষদ সেই অন্যায় প্রশ্রয় না দিয়ে সঠিক তদন্ত করে সদস্যপদ ফিরিয়ে দিয়েছেন। এজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’

এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে জায়েদ খান বলেন, ‘তখন নতুন কমিটিকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে তিনি (নিপুণ) বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অথচ এত দিন পরে উনার মনে হলো, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এটা দ্বৈতনীতি! আলোচনায় থাকা অথবা কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করেছেন তিনি।’

জায়েদ খান

জায়েদ এটাকে নোংরা মানসিকতা উল্লেখ করে বলেন, ‘শিল্পীরা এত জঘন্য হতে পারে না। তার কারণে শিল্পীদের বদনাম হচ্ছে। আশা করি, শিল্পীরা সবাই মিলে উনাকে প্রতিহত করবে।

;

মম’র চোখে নিজের সেরা ৫ চরিত্র



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
জাকিয়া বারী মম / পোশাক : হুর বাই সৌমিন, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন, ছবি : নূর এ আলম

জাকিয়া বারী মম / পোশাক : হুর বাই সৌমিন, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন, ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে তারকারা নানা চরিত্র হয়ে হাজির হন পর্দায়। চরিত্রগুলো কখনো দর্শকে হাসায়, কখনো কাঁদায়, কখনো বিষণ্ন করে আবার কখনো ভাবনার জগতে নিয়ে যায়। এতো এতো চরিত্রের ভিড়ে তারকার কাছে তার অভিনীত সেরা চরিত্র কোনগুলো, তা নিয়ে বার্তা২৪.কমের নতুন বিভাগ ‘তারকার সেরা ৫ চরিত্র’। এ বিভাগের আজকের তারকা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


আপনার অভিনীত সেরা ৫টি চরিত্র নিয়ে কথা বলতে চাই...


শিল্পী হয়ে নিজেই নিজের সেরা কাজগুলো নিয়ে বলাটা কঠিন। কারণ সবকটি কাজই তো সর্বোচ্চ অনেস্টি দিয়ে করার চেষ্টা করে থাকি। তারপরও নিজের ভালোলাগা তো বটেই, সেই সঙ্গে দর্শক ও সমালোচকপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে ৫টি চরিত্রের কথা বলছি...

জাকিয়া বারী মম / পোশাক : হুর বাই সৌমিন আফরিন, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

‘দারুচিনি দ্বীপ’-এর জরী


অনেকেই হয়তো জানেন, লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমা দিয়ে আমার পেশাগত অভিনয়জীবন শুরু। হুমায়ূন আহমেদের মতো কথাসাহিত্যিকের গল্প, তৌকীর আহমেদের মতো অভিনেতার নির্মাণ এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ছিল ছবিটি। সবমিলিয়ে আমার শুরুটা দারুণ হয়েছিল বলতেই হয়। এই ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র ‘জরী’। সেই চরিত্রে আমি অভিনয় করি। একে তো প্রথম যে কোন কিছুর প্রতি মানুষের আলাদা দুর্বলতা থাকে। তারওপর জরি চরিত্রটি সত্যিই অনবদ্য। একজন তরুণী, যে আবার চোখে দেখে না তার জীবনযাপন, সংগ্রাম, সমাজে অ্যাকসেপ্টেন্স-এর কথা বলা হয় চরিত্রটিতে। শুরুতেই বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্র করার সুযোগ পেয়েছিলাম। ছবিটি মুক্তির পর সবার কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাই। প্রথম ছবির জন্য আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও পাই। সবমিলিয়ে ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এর জরি আমার প্রথম পছন্দের চরিত্র।

জাকিয়া বারী মম / পোশাক : হুর বাই সৌমিন আফরিন, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর নীলা


‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর নীলাও আমার খুব প্রাণের কাছের একটি চরিত্র। শুধু এজন্য না যে সিনেমাটি একইসঙ্গে সুপারহিট এবং সমালোচকপ্রিয়। এই চরিত্রটি আমার চোখের সামনে তৈরী করেছিলেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। ফলে আমি চরিত্রটির মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম শুরু থেকেই। এরপর নিজের মধ্যে তা লালন করেছি দীর্ঘদিন। এই চরিত্রে আমি শুধু অভিনয়ই করিনি, এর পুরো লুক কেমন হবে, কি ধরনের সাজ পোশাক হবে সবটাই আমার আইডিয়া ছিল। ফলে এই চরিত্রটির প্রতি আমার দুর্বলতা অণ্যরকম। রোমান্টিক গল্পের ছবি ‘ছুঁয়ে দিলে মন’। আমার আর আরিফিন শুভ’র রোমান্টিক রসায়ন দর্শক খুব পছন্দ করে। তার বাইরেও যে নায়িকা চরিত্রটি আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে স্বকীয় হতে পারে সেটি নীলা চরিত্রটি দেখলে বোঝা যায়। এই চরিত্রটি করে আমি মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারের দর্শক জরিপ এবং সমালোচক- দুই শাখাতেই সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাই।

জাকিয়া বারী মম / মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

‘আলতা বানু’র আলতা


‘আলতা বানু’ আমার সাম্প্রতিক কাজ। এটি একটি নারীকেন্দ্রীক সিনেমা। অরুণ চৌধুরীর পরিচালনায় এই ছবিটিও প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মস। এখানে আমি নাম ভূমিকায় অভিনয় করি। একটি আটপৌরে মেয়ের জীবন সংগ্রামের গল্প ‘আলতা বানু’। চরিত্রটিতে অনেক বাঁক ছিল। তাই কাজটি করে আনন্দ পেয়েছি। মুক্তির পর যে সব দর্শক গল্পনির্ভর ছবি দেখতে পছন্দ করেন তারা আমাকে দারুণ ফিডব্যক দিয়েছিলেন।

আমার অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা তো খুব বেশি নয়। তারমধ্যে এই তিনটি চরিত্র বেশি পছন্দ। এছাড়া ‘স্ফূলিঙ্গ’ নামে তৌকীর আহমেদের আরেকটি ছবি করেছিলাম সরকারি অনুদানের। সেখানেও উচ্চবিত্ত পরিবারের ড্রাগ অ্যাডিক্টেড একটি মেয়ের চরিত্র করেছিলাম। সেটিও আমার বেশ ভালো লেগেছিল।

জাকিয়া বারী মম / পোশাক : হুর বাই সৌমিন আফরিন, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

‘ফুলমতি’ নাটকের ফুলমতি


নাটকেই তো সবচেয়ে বেশি অভিনয় করা হয়েছে। তারমধ্যে অনেক চরিত্র আছে খুব প্রিয়। তবে একটি চরিত্র বাছতে বলা হলে সুমন আনোয়ারের গ্রামীণ পটভূমির নাটক ‘ফুলমতি’র কথা বলব। এখানেও আমি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলাম। আফরান নিশো একটি ছোট্ট চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন। গ্রামীণ সমাজে একটি দরিদ্র মেয়ে নিজের সম্মান নিয়ে বাঁচতে কি ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে তার জীবন্ত চিত্র তুলে ধরেছিলেন সুমন আনোয়ার। চরিত্রটিতে অভিনয়ের অনেক জায়গা ছিল। আমি চেষ্টা করেছিলাম ফুলমতির গহনের জ্বালা পর্দায় মূর্ত করতে। নাটকটি প্রচারের পর ভীষণ সাড়া পেয়েছিলাম সব শ্রেণীর দর্শকের কাছ থেকে।

দর্শক অবশ্য আমার নাটকের মধ্যে সবচেয়ে পছন্দ করেছে শিহাব শাহীনেরই পরিচালনায় ‘নীলপরী নীলাঞ্জনা’র নীলাঞ্জনা চরিত্রটি। তাহসান খানের সঙ্গে এই রোমান্টিক কাজের কথা এখনো দর্শক আমাকে বলে থাকে।

জাকিয়া বারী মম / পোশাক : হুর বাই সৌমিন আফরিন, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

ওয়েব সিরিজ ‘অগোচরা’র হিন্দু বাড়ির বউ


সম্প্রতি ওয়েবেই পছন্দের কাজগুলো করা হচ্ছে। এরমধ্যে একটি চরিত্র বাছতে বললে বিঞ্জের ‘অগোচরা’ ওয়েব সিরিজের চরিত্রটির কথা বলব। জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর এক ভিন্ন রকম গল্প নিয়ে ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিদ্দিক আহমেদ। প্রযোজনা করেছেন হাসিবুল হাসান তানিম। পুরান ঢাকার আন্ডাওয়ার্ল্ডের গল্প নিয়ে নির্মিত। এ ধরনের গল্পে নারী চরিত্রের খুব একটা কাজ থাকে না। তবে আমাকে প্রধান নারী চরিত্রটি করতে দেওয়া হয়েছিল, যে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল। এখানে আমি একটি হিন্দু ঘরের বউ। তবে এই বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে সে স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখে। চরিত্রটিতে গ্রে শেড রয়েছে। তাই কাজটি করে মজা পেয়েছি।

;

‘সংবাদ’ সিনেমার তারকাবহুল মহরত



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘সংবাদ’ সিনেমার মহরতে নির্মাতা ও স্টার কাস্ট

‘সংবাদ’ সিনেমার মহরতে নির্মাতা ও স্টার কাস্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে কয়েক বছর সিনেমা নির্মাণ করেননি সোহেল আরমান। তবে আগামী পহেলা জুন থেকে নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করছেন জনপ্রিয় এই নির্মাতা। বিরতিহীনভাবে চলবে তার তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘সংবাদ’র দৃশ্য ধারণ। সিনেমটিতে অভিনয় করছেন দর্শকপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ইরফান সাজ্জাদ, আইশা খান ও সোহেল মন্ডল। গতকাল (১৮ মে) নিজের জন্মদিনে মহরতের মাধ্যমে সিনেমাটির শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দেন নির্মাতা সোহেল আরমান।

সোহেল আরমান ১৯৯২ সালে নির্মাণে নামেন। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচশোর অধিক নাটক, বেশকিছু বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন। ক্যারিয়ারের তৃতীয় চলচ্চিত্র নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুঃখ-আনন্দ নিয়ে আজকের সোহেল আরমানের পথচলা। খোকনের অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। হুট করে চার বছর আগে সিনেমা প্রযোজনার কথা জানান। চার বছর পর শুরু। সবাই দোয়া করবেন। আশা করছি, দর্শক দারুণ কিছু পেতে যাচ্ছেন।’

ভয়েস টুডের ব্যানারে নির্মিতব্য সিনেমাটির গল্প লেখার পাশাপাশি প্রযোজনা করছেন এন এ খোকন। তিনি বলেন, ‘সিনেমা পরিচালনা বা প্রযোজনা না করলেও একজন চলচ্চিত্রের কর্মী ছিলাম। একশোর উপরে নাটক প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনা করেছি। অবশেষে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসা। সোহেল আরমানের উপর আস্থা আছে বলেই তাকে দিয়ে শুরুটা করেছি। আশা করছি, দর্শকরা ভালো কিছুই পাবে।’

সালাউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘আমজাদ হোসেনের সিনেমা দেখে স্বপ্ন দেখেছি। বাংলা সিনেমায় তাকে বলা হয় গ্রাম বাংলার জীবন। আশা করছি, সংবাদ সিনেমা চলচ্চিত্রের জন্য সু-সংবাদ বয়ে নিয়ে আসবে।’

‘সংবাদ’ সিনেমার মহরতে আইশা ও ইরফান সাজ্জাদ

প্রথমবারের মতো ছোট ভাইয়ের নির্দেশনায় চলচ্চিত্রে কাজ করবেন প্রযোজক, নির্মাতা ও অভিনেতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। সিনেমাটিতে যুক্ত হতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি। বলেন, ‘সোহেল আরমান খুব ভালো লিখে। ওর সিনেমায় কাজ করতে পারছি বেশ ভালো লাগছে। বর্তমানে চলচ্চিত্রের জোয়ার বইছে। আমজাদ হোসেনের পরিবারের সবাই যদি বছরে একটি করেও কাজ করি তাহলে চলচ্চিত্র আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারব। সংবাদ যেন বাংলা সিনেমার জন্য অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারে দোয়া করবেন।’

ক্যারিয়রের চর্তুথ সিনেমা নিয়ে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, ‘চলতি বছরটি আমার জন্য লাকি। কয়েক বছর পারিবারিক কারণে কাজ থেকে কিছুটা দূরে ছিলাম। এখন সিনেমার ভালো সময় যাচ্ছে। সিনেমা বড় মাধ্যম। মানুষ আমাকে সিনেমার মাধ্যমে চিনুক সবসময় সেটাই চেয়েছি। সেই প্রচেষ্টার মধ্যেই আছি। সংবাদের গল্পটা দুর্দান্ত। চরিত্র শুনেই সিদ্ধান্ত নেই কাজটি করতেই হবে। সবসময় সব চরিত্রের সুযোগ হয় না। সবকিছু মিলিয়ে সিনেমার জোয়ার বইছে। সংবাদ অন্য সিনেমার মতো ভালো লাগার এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।’

আইশা খান বলেন, ‘সুন্দর একটি গল্পের আইডিয়া নিয়ে এসেছেন খোকন ভাই। আমি সবসময় ভালো নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে চাই। তার মধ্যে সোহেল ভাই একজন। তিনি যখন গল্প বলেছেন চোখ দিয়ে পানি বের হয়েছে। যতবার গল্পটি পড়েছি চোখ দিয়ে পানি পড়েছে। আমি তার লেখার ভীষণ ভক্ত। চরিত্র নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। আশা করি, দর্শকরা নিরাশ হবেন না।’

সোহেল মন্ডল বলেন, ‘সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করছি। গল্প শুনেই মনে হয়েছে এটার সঙ্গে যুক্ত হওয়া দরকার। সিনেমাটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী।’

‘সংবাদ’ সিনেমার মহরতে নির্মাতা ও স্টার কাস্ট

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাহমিনা সুলতানা মৌ। ১৯৯৯ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে নাম লেখান। এরপর টানা অভিনয়ের মধ্যেই আছেন। অভিনয়ের ফাঁকে বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছেন। প্রথমবারের মতো কাজ করছেন চলচ্চিত্রে। যে কারণে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। প্রথম চলচ্চিত্র নিয়ে মৌ বলেন, ‘এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র। নির্মাতা অনেক বিশ্বাস করে আমাকে নিয়েছেন। চেষ্টা থাকবে তার বিশ্বাস রাখার। সংবাদের ভেতর সংবাদ আরও আছে, সঙ্গেই থাকুন।’

সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করছেন কাজী খুরশীদুজ্জামান উৎপল, সালাউদ্দিন লাভলু, সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, তাহমিনা সুলতানা মৌ, আজম খান প্রমুখ। এসময় প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু সোহেল আরমানকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। অচিরেই তার প্রযোজনায় সোহেল আরমানের পরিচালনায় একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

১৮৭২ সালের জমিদার বাড়ির একটি হারানো গল্পে সিনেমাটি নির্মিত হবে। এর চিত্রনাট্য করেছেন সোহেল আরমান নিজেই। আগামী ১লা জুন শুরু হয়ে ১৩ জুন পর্যন্ত প্রথম লটের শুটিং চলবে বলে জানান নির্মাতা। একই মাসের ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত একটানা কাজ করে শেষ হবে সিনেমার পুরো দৃশ্য ধারণ। আগামী বছর সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

;