সিলিকন ভ্যালির অস্কার কোয়ালিফাইং উৎসবে নির্মাতা সিজু



বিনোদন প্রতিবেদক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৮ মার্চ স্থানীয় সময় বিকেল ৪:৪৫ এ আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের স্যান হোসে শহরের হ্যামার থিয়েটার সেন্টারে ইউএস প্রিমিয়ার হলো বাংলাদেশী নির্মাতা শাহনেওয়াজ খান সিজু নির্মিত ওয়ান শট মুভি 'নট আ ফিকশন'-এর।

অস্কার কোয়ালিফাইং উৎসব সিনেকুয়েস্ট ফিল্ম এন্ড ভিআর ফেস্টিভ্যালে নিজের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার প্রদর্শনী শেষে সঞ্চালকের আমন্ত্রণে মঞ্চে ওঠেন নির্মাতা সিজু। এর পর সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে সিনেমা নিয়ে কথা বলা শেষে পুরো হল ভর্তি দর্শকদের সামনে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা মেলে ধরেন তিনি।

এই ঘটনার পরে কানাডা, মেক্সিকো, চীন, কলম্বিয়া, ইতালি, সাউথ কোরিয়া-সহ নানান দেশ থেকে আসা নির্মাতা, কলাকুশলী এবং মার্কিন দর্শকদের করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো থিয়েটার।

নিজের সিনেমার ইউএস প্রিমিয়ার প্রসঙ্গে নির্মাতা সিজু জানান, 'হলিউডের অস্কার কোয়ালিফাইং এই উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আয়োজিত শর্টস প্রোগ্রাম ওয়ান এ জায়গা করে নিয়েছে সিনেমাটি। প্রিমিয়ার শেষে নানান দেশের নির্মাতা, কলাকুশলী এবং দর্শকেরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন সিনেমাটি নিয়ে। মাত্র ১০০ ডলারেরও কম বাজেটে নির্মিত ওয়ান শট এই সিনেমাটি নিয়ে তুমুল আগ্রহ দেখাচ্ছেন দর্শক, সমালোচকেরা।

সিনেকুয়েস্টের এবারের আসরে একমাত্র ওয়ান শট ফিল্ম হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি।

এবারের উৎসবে অংশ নিয়েছেন ৪৫ টি দেশের নির্মাতা, কলাকুশলীরা। প্রশ্নোত্তর পর্বে সঞ্চালক তাকে জিজ্ঞেস করেন, পুরো সিনেমাটি ঠিক কি কারনে গাছের দৃষ্টিভঙ্গিতে নির্মাণ করলেন তিনি?

জবাবে নির্মাতা জানান, বাজেটের অভাবে এমনটা করেছেন তিনি। কেননা মূল সিনেমায় একটা জিপ গাড়ির প্রয়োজন ছিলো, কিন্তু শ্যুটিং এর সময়ে এই গাড়ির বাজেট ছিলো না তার কাছে। তাই তিনি পুরো ব্যাপারটা ভিজ্যুয়ালি না দেখিয়ে শুধুমাত্র সাউন্ড ডিজাইনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেন।

তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ছবিটির শ্যুটিং করেন তিনি, তখনো ইন্ডাস্ট্রির বড় বড় সাউন্ড ডিজাইনার, কালারিস্ট, সিজিআই আর্টিস্টদের সঙ্গে পরিচয় ছিলো না তার। বাজেট এবং যোগাযোগের অভাবে প্রায় ২ বছর রাশ ফুটেজটা নিজের ল্যাপটপেই ফেলে রাখেন তিনি।

এরপর দেশের প্রখ্যাত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজের সুযোগ পাবার পরে ছবিটির কাজ আবারও শুরু করেন তিনি। ছবিয়ালে যুক্ত হবার পরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার বিজয়ী সাউন্ড ডিজাইনার রিপন নাথ এবং রনি সাজ্জাদ যুক্ত হন এই ছবির সঙ্গে এবং বিনামূল্যেই করেন পুরো ছবির কাজটি। এ ছাড়া এডিট এর কাজ করেন লিওন রোজারিও এবং কালার করেন রাশেদুজ্জামান সোহাগ।

সিলিকন ভ্যালির প্রাণকেন্দ্রে চলমান এই উৎসবের বেস্ট ড্রামাটিক শর্টস বিভাগে নট আ ফিকশন এর প্রিমিয়ারের শো এর পরে সবাই বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ছবিটি নিয়ে। আগামী ১৭ মার্চ রাত ৯ টায় শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া থিয়েটার সেন্টারর উৎসবের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হতে যাচ্ছে।

এই উৎসবে বেস্ট ড্রামাটিক শর্টস বিভাগে পুরষ্কার পেলে ছবিটি সরাসরি কোয়ালিফাই করবে পৃথিবীর সবচাইতে বড় উৎসব অস্কারে।

প্রসঙ্গত, সিজুর সঙ্গে এই ছবির সহ-প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার, সাংবাদিক এবং গোল্ডেন গ্লোবসের সম্মানিত ভোটার সাদিয়া খালিদ রীতি।

   

সব গান সুপারহিট হতে হয় না : কনা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

দিলশাদ নাহার কনা / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, অডিও, জিঙ্গেল এবং ভয়েস ওভার ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন দিলশাদ নাহার কনা। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা। তার ঝুলিতে তথাকথিত সুপারহিট গানের সংখ্যাও কম নয়। দুই-তিন ঘন্টার স্টেজ শো আরামসে নিজের গান গেয়ে মাতিয়ে রাখতে পারেন এই শিল্পী। মা দিবসে এসেছে তার নতুন গান। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


কেমন আছেন?


আলহামদুলিল্লাহ বলতেই হবে। সবমিলিয়ে সৃষ্টিকর্তা ভালো রেখেছেন। এই তো বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম বিদেশে। দারুণ সময় কাটিয়েছি। দেশে ফিরে কক্সবাজারে একটি শো করতে গিয়েছিলাম। আসার পথে শরীরটা খারাপ হতে শুরু করে। এরপর বেশ কদিন ধরে শরীরটা একটু খারাপ। শিল্পীদের কণ্ঠ বসে গেলে তো মুশকিল। তারমধ্যেও বেশ কয়েকটি গানে কণ্ঠ দিতে হয়েছে।

দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

মা দিবসে ‘মা’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেছেন। সেটি নিয়ে জানতে চাই...


কদিন আগে চলে যাওয়া বিশ্ব মা দিবসে এই গানটির একটি মিউজিক ভিডিও কনা তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছি। ‘আমি বুড়ো হয়ে গেলেও / মা’র কোলে গিয়ে শোবো / মা কপালে রাখবে হাত / সব ক্লান্তিগুলো ধোবো...’- এমন কথার গানটির গীতিকার ও সুরকার কিংবদন্তিতূল্য প্রিন্স মাহমুদ।


এই গানটিরতে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?


একজন শিল্পীর গাওয়া সব গান সুপারহিট হতে হয় না। সব গান শ্রোতার মুখে মুখে থাকবে সেটাও আমি মনে করি না। একজন শিল্পী তার রূচি অনুযায়ি এমন কিছু গানও করবেন যা বিশেষ শ্রেণীর শ্রোতার জন্য, আবার এমন গানও করবেন যা সবাই সমানতালে শুনবে। এমনও গান গাইতে হবে যা একজন শ্রোতা তার বিশেষ অনুভূতির সময় সঙ্গী হিসেবে নেবে। তেমনি একটি গান ‘মা’। যারা গানটি শুনেছেন তারা তাদের ভালোলাগার কথা আমাকে জানিয়েছেন। তবে এটি এমন গান নয় যে অলিতে গলিতে বাজবে। এ ধরনের গান শ্রোতার একান্ত অনুভূতির সঙ্গী হবে বলেই আমার বিশ্বাস।

দিলশাদ নাহার কনা /  ছবি : ফেসবুক

প্রতিটি গান তৈরীর নেপথ্যে দারুণ সব গল্প থাকে। এই গানের পেছনে তেমন কোন গল্প আছে?


এই গানটি আসলে দুই বছর আগে ইমরান (জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল) গেয়েছিলেন। শোনার পর আমার ভীষণ ভালোলাগে। সেকথা প্রিন্স মাহমুদ জানতে পেরে বলেন, তুইও একবার গাইতে পারিস গানটা। তার কথামতোই আমি গানটি গেয়েছি। এরপর তো এবারের মা দিবসে আমার ইউটিউব চ্যানেলে সেটি প্রকাশ করি।


সম্প্রতি একটি অ্যাওয়ার্ড পেলেন...


হ্যাঁ। সম্প্রতি ২০২২ সালের সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি প্রবর্তিত প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছি। আমি খুব আনন্দিত, কারণ এটি এসেছে চলচ্চিত্রের পরিচালকদের বিবেচনায়। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার ‘তার হাওয়াতে’ গানের জন্য এই অর্জন। গানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

পরিচালক সমিতির অ্যাওয়ার্ড হাতে কনা /  ছবি : ফেসবুক

বর্তমানে ব্যস্ততা কি নিয়ে?


একাধিক পণ্যের জিঙ্গেল নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। সম্প্রতি আমিন জুয়েলার্সের বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দিয়েছি। আজ গাইবো ফ্যাশন হাউজ দেশাল-এর বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য একটি গান। দুটি বিজ্ঞাপনই দর্শক নন্দিত হবে বলে আমার ধারনা।

;

ডিপজলকে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ হাইকোর্টের



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিপুণ ও ডিপজল

নিপুণ ও ডিপজল

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক সময়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেল ও নিপুণের মধ্যকার বিবাদে নতুন মোড় নিয়েছে।

নির্বাচনের এক মাস যেতে না যেতেই নতুন কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন নিপুণ। কেন তিনি এ কাজ করলেন এ নিয়ে তাকে মিশা-ডিপজল প্যানেলের একাধিক সদস্য কটাক্ষ করেছেন।

নিপুণও ছেড়ে কথা বলেননি। তিনি বরাবরই বলে এসেছেন যা হবে আইনের আওতায় হবে।

গত ১৯ এপ্রিল সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট হয়। ২৩ এপ্রিল ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ডিপজলের চেয়ে ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ।

নিপুণ ও ডিপজল

তিনি এবারের নির্বাচনে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগে তিনি নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন। অবশেষে নিপুণের অভিযোগের দিকে আমল দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে (২০২৪-২৬) অনিয়মের অভিযোগ ঢাকার সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তর্র্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রুলসহ এ আদেশ দেন।

;

কেন তার ছবিতে যৌনকর্মীদের জয়গান, জানালেন সঞ্জয় লীলা বানশালি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নন্দিত পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালি / ছবি: সংগৃহীত

নন্দিত পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালি / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেবদাস, সাওয়ারিয়া, গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াডি হোক বা হীরামান্ডি- সঞ্জয় লীলা বানশালির সিনেমায় প্রতিটি যৌনকর্মীই আসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারিণী। দেবদাস-এ মাধুরি দীক্ষিতের চন্দ্রমুখী, গাঙ্গুবাঈতে আলিয়া ভাটের গাঙ্গু কিংবা সাওয়ারিতে রানি মুখার্জি- সব অভিনেত্রীকেই ভিন্নভাবে পর্দায় তুলে ধরেন সঞ্জয়।

তবে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া হীরামান্ডি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে যেন তাকে নিয়ে আলোচনা শেষই হতে চাইছে না। কারো মতে সিরিজের ভিজ্যুয়াল দৃশ্য, গল্পের সঙ্গে চরিত্রের ধারাবাহিকতা, পোশাক, সঙ্গীত, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অসাধারণ। আবার কারো কাছে সিনেমায় গল্পের কয়েকটি মোড় তেমন যৌক্তিক মনে হয়নি। সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয় ভাগ্নি শারমিন সেগলকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে বাছাই করে। শারমিনের অভিনয় সিংহভাগ দর্শকেরই পছন্দ হয়নি।

তবে সব আলোচনা-সমালোচনা ছাপিয়ে কথা হচ্ছে সঞ্জয়ের কল্পনা শক্তি নিয়ে। যৌনকর্মীরা সমাজের এক লাঞ্ছিত অংশ। যদিও এই পেশা কেউই শখ করে বেছে নেন না। তবুও সমগ্র সমাজ তাতেই ঘৃণার চোখেই দেখে। ঘৃনীত এই মানুষরা কীভাবে পরিচালকের কাজে প্রতিবার অপরূপ ভাবে ফুটে ওঠে সেটাই এখন নেটিজেনদের আলোচনার মূখ্য বিষয়। এই ব্যাপারে মুখ খুললেন সঞ্জয় খোদ।

'নর্তকী, যৌনকর্মীরা আমাকে মুগ্ধ করে। রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলারা নয়'- বললেন সঞ্জয় লীলা বনশালি। বনশালির অধিকাংশ সিনেমার একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে নর্তকী, যৌনকর্মীদের জীবন। এই বিশেষ শ্রেণীর মানুষের প্রতি পরিচালকের এত মুগ্ধতা কেন? সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনই প্রশ্ন করা হয়েছিল পরিচালককে। উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি তাঁরা এমন মহিলা যাদেরকে ঘিরে অনেক রহস্য আছে। এই যে নর্তকী, যৌনকর্মী, ওঁরা সকলের থেকে আলাদা। সর্বদা একটি নির্দিষ্ট ধরণের শক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটায় যা দেখতে আমার কাছে খুব আকর্ষণীয় মনে হয়…তাঁদের নাচ, গান, তাঁদের সাজপোশাক সবই আকর্ষণীয়।'

সঞ্জয়ের ছোটবেলা কেটেছিল কাঠিয়াওয়াডিতে। সেইসূত্রে ছোটবেলা থেকেই যৌনকর্মীদের জীবন বেশ কাছে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। এই কারণেই তাদের জীবনের সংগ্রাম এত সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন পরিচালক। সমাজে যৌনকর্মীদের ধারণা পাল্টে, তাদের প্রতি সম্মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে সঞ্জয়ের সিনেমাগুলোর বেশ পোক্ত ভূমিকা রয়েছে। 

;

কানে বলিউড তারকারা, কেউ নন্দিত তো কেউ নিন্দিত!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কানে ঐশ্বরিয়া, ঊর্বশী, ত্বাহা ও কিয়ারা

কানে ঐশ্বরিয়া, ঊর্বশী, ত্বাহা ও কিয়ারা

  • Font increase
  • Font Decrease

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ৭৭ তম আসর চলছে মহাসমারোহে। বিশ্ব সিনেমার প্রদর্শন, মার্কেটিং, সেমিনার, কর্মশালাসহ নানা আয়োজন তো থাকছেই। তবে ফ্যাশনপ্রিয় মানুষের চোখ থাকে রেড কার্পেটের দিকে। প্রতিদিন হলিউড-বলিউডসহ বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় শোবিজ তারকারা কানের লাল গালিচা মাতিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের দর্শকের অবশ্য সবচেয়ে আগ্রহ থাকে পাশের দেশ ভারতের কোন তারকা কি পোশাক পরলেন সেদিকে!

সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে বলা হয় ‘কানের রেড কার্পেটের রানী’! কারণ তিনি ২০ বছর ধরে কানের লাল গালিচায় যাচ্ছেন।

কানের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

রাই সুন্দরীর চেহারার এখনো একটুখানি দ্যূতি কমেনি। তবে এ বছর তার পোশাক আশাক সেভাবে দর্শক মাতাতে পারছে না। এখন পর্যন্ত কানের দুটি লুক প্রকাশিত হয়েছে অ্যাশের। দুটির ডিজাইনই করেছে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘ফাল্গুনী এন্ড শেন পিকক’।

কানের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

প্রথম দিন তিনি সাদা কালো টেলওয়ালা গাউন পরে রেড কার্পেটে হাটেন। তবে গাউনের ডিজাইন মনে ধরেনি দর্শকের।

দ্বিতীয় দিনও ওই একই অবস্থা। ঝলমলে নীল রঙের জরির গাউন পরেন ঐশ্বর্য্য। তবে এদিন গাউনের সুউচ্চ হাতা নিয়ে মজা করতে ছাড়েননি নেটিজেনরা।

কানের লাল গালিচায় ঊর্বশী রাউটেলা

আরেক বলিউড তারকা ঊর্বশী রাউটেলাও বিগত কয়েক বছর ধরে কানে যাচ্ছেন। শুরুর দিকে তার ফ্যাশন সেন্স নিয়ে হাসাহাসি হলেও আস্তে আস্তে তিনি বেশ মানিয়ে নিচ্ছেন। এ বছর তার পোশাকগুলো দেখে অন্তত তাই মনে হচ্ছে। ঊর্বশী সাধারনত গাঢ় রঙের পোশাকে হাজির হন। এবারও তার বিকল্প হয়নি।

কানের লাল গালিচায় ঊর্বশী রাউটেলা

প্রথমদিন তিনি পরেন গোলাপী রঙের গাউন। তবে নজর কাড়ে ঘাড়ের কাছে গাউনটির নাটকীয় ডিজাইন। সঙ্গে নেটের হাতমোজাটিও কারও দৃষ্টি এড়ায়নি।

আর দ্বিতীয় দিন এই তারকা হাজির হন গাঢ় লাল আর সোনালী রঙের অফ সোল্ডার গাউনে। এদিনের সাজ কারও বেশ পছন্দ হয়েছে। কেউ আবার বলছে, অতোটাও জমেনি!

কানের সমূদ্র সৈকতে ত্বাহা শাহ

সঞ্জয়লীলা বানশালীর নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ ‘হীরামন্ডি’তে অভিনয় করে বর্তমানে বেশ আলোচনায় রয়েছেন বলিউডেরা তরুণ তুর্কী ত্বাহা শাহ। এই তারকাও পৌঁছে গেছেন কানে। তাকে রেড কার্পেটে একবার দেখা গেলেও এরইমধ্যে কানের তিনটি লুক প্রকাশ করেছেন এই আবেদনময় অভিনেতা। কানের সাগরপাড়ে ফুরফুরে বাতাসে কালো ট্রান্সপারেন্ট শার্টে দারণ দেখাচ্ছে ত্বাহাকে। আরেকটি লুকে তিনি হাজির নীল পানির মধ্যে ইয়োটে নীল জ্যাকেট পরা। 

কানের লাল গালিচায় ত্বাহা শাহ

আর রেড কার্পেটে তিনি হাজির হন ভারতীয় ট্রেডিশনাল পোশাকে। তাকে অফ হোয়াইট পাঞ্জাবী ও প্রিন্স কোটে দেখা গেছে। যাতে বাহারি সুতার হেভি অ্যাম্ব্রয়ডারি করা।

কানের লাল গালিচায় কিয়ারা আদভানি

এবার কানে যাওয়া বলিউড তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়াচ্ছেন হালের সেনসেশন কিয়ারা আদভানি। এই তারকাও রেড কার্পেটে একবারই হাজির হয়েছেন। এমনকি তিনি এবারই প্রথম কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। কিয়ারার প্রথম দিনের রেড কার্পেট লুক ছিল দুর্দান্ত। ভিন্ন ধাচের কালো ও বেবি পিংক গাউন, নো মেকাপ লুক, ক্ল্যাসিক হেয়ার স্টাইল, ছিমছাম ডিজাইনের ডায়মন্ডের গয়না আর নেটের হাত মোজা- সবমিলিয়ে যেন কোন দেশের রাজকন্যা কিয়ারা।

কানের সমূদ্র সৈকতে কিয়ারা আদভানি

তবে রেড কার্পেটে হাজির হওয়ার আগে কিয়ারা নিজেকে কানের সমূদ্র সৈকতের শীতল বাতাসেও ভিজিয়ে নিয়েছেন কিছুক্ষণ। সে সময় তার পরনের স্লিট কাটিংয়ের অফ হোয়াইট ফ্লোলেস টপ আর কানের পার্লের বৈচিত্রময় ঝোলানো দুল নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। সবাই বলছে, কিয়ারা বেশ বুঝেশুনে আটঘাট বেঁধেই তার প্রথম কান যাত্রা সম্পন্ন করেছেন।

;