উপজেলা নির্বাচন: ফুলগাজীতে ৬ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২৫ শতাংশ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপের নির্বাচনে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটে উপজেলার প্রায় সকল কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি শূন্য। জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট কাস্টিং হয়েছে ২৫ শতাংশ।
বুধবার (৮ মে) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় সবকয়টি কেন্দ্র ভোটার শূন্য। সকাল থেকে দুপুর অব্দি সময় গড়ালেও ভোটারহীন ছিল বেশিরভাগ কেন্দ্র। অলস সময় পার করছেন প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসাররা। ইতোমধ্যে বিশৃঙ্খলা ও জাল ভোট দেয়ার অপরাধে ১১ জনকে আটক করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ভোটাররা বলছেন, এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে সহজ জয়ের পথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার। ভোটের আগেই বিজয় নিশ্চিত থাকায় ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নেই আগ্রহ ও কৌতুহল। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী থাকলেও তেমন কাউকেই ভোটের মাঠে দেখা যায়নি।
রাকিবুল হক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ভোট আসলে আমেজ থাকে আগ্রহ থেকে। ফুলগাজীর নির্বাচন নিয়ে প্রচার প্রচারণা থেকেই কারও তেমন আগ্রহ নেই। সাধারণ মানুষের তো নেই, সাথে প্রার্থীদের ও নেই। কারন হেভিওয়েট কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। যার কারনে ভোট শেষ পর্যায়ে হলেও ভোটাররা উল্লেখযোগ্যহারে কেন্দ্রে আসেননি।
জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার তানভীর আহমেদ জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী দুপুর ২টা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। উপজেলার সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাল ভোট দেয়ার চেষ্টার অপরাধে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে এবং একারনে কিছু ব্যালট পেপার বাতিল করা হয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইসমাত জাহান লিপি বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলায় একক প্রার্থী থাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। আর দুইটি পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ফুলগাজী উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭১ জন। এর মধ্যে ৫৪ হাজার ৭৬০ জন পুরুষ এবং ৫০ হাজার ৯১১ জন নারী ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৩২টি ভোট কেন্দ্রের ২৪৪ বুথে ভোট গ্রহণ চলছে।