উপজেলা নির্বাচন: ফুলগাজীতে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক ১১
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল থেকে ভোটারহীন বেশিরভাগ কেন্দ্র। এর মধ্যে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ও জাল ভোট দিতে গিয়ে উপজেলার দুই কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। ভোটার না হয়েও বিভিন্ন কেন্দ্রের বুথে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে কেন্দ্র দুইটি থেকে তাদের আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আলী আজম উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পুষ্পেন সাহা বলেন, এ কেন্দ্রে দরবারপুর ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের ৪ হাজার ৮৫৪ জন ভোটার এগারোটি বুথে ভোট দিচ্ছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫২২ ভোট পড়েছে। কেন্দ্র থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছেন। তারা এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। তারা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার তানভীর আহমেদ জানান, নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করার অপরাধে এ পর্যন্ত ১১ জন ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং একারণে কিছু ব্যালট পেপার বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুইটি পদে ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। এতে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন মজুমদারের সঙ্গে জাফর উল্ল্যাহ মজুমদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহাবুবুল হক কালা, অনিল বনিক, আবদুর রহিম পাটোয়ারী ও সাইফুদ্দিন মজুমদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুরা আজিজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ফুলগাজী উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭১ জন। এর মধ্যে ৫৪ হাজার ৭৬০ জন পুরুষ এবং ৫০ হাজার ৯১১ জন নারী ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৩২টি ভোট কেন্দ্রের ২৪৪ বুথে ভোট গ্রহণ চলছে।