চট্টগ্রামে মাল্টিপারপাস বে-টার্মিনাল, আবুধাবি পোর্টস দিচ্ছে ১০০ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল প্রতীক্ষিত বে-টার্মিনাল প্রকল্পের অধীন মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ (এডি পোর্টস)। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই স্মারকে সই করেন। এসময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও এডি পোর্টসের বাংলাদেশ এজেন্ট সাইফ পাওয়ারটেকের প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পের অধীনে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করবে।


জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগরের তীরে ‘বে- টার্মিনাল’ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়ার পর সেখানে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য ২০১৭ সালে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সমীক্ষা অনুযায়ী, মাস্টারপ্ল্যানে এক হাজার ২২৫ মিটার দীর্ঘ দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল এবং এক হাজার ৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালসহ মোট তিনটি টার্মিনাল রয়েছে। তিনটি টার্মিনালের দৈর্ঘ্য চার দশমিক ৯৫ কিলোমিটার। মাস্টারপ্ল্যানে মোট ১১টি জেটি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

চ্যানেলে যথোপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে। আবহাওয়া এবং সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার বা ঢেউনিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বে-টার্মিনাল থেকে বহির্নোঙরের দূরত্ব এক কিলোমিটার।

মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ যৌথভাবে নির্মাণ করবে। এক হাজার ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে সিঙ্গাপুরের পিএসএ এবং অপরটি নির্মাণে দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড অর্থায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রেক ওয়াটার ও অ্যাক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করবে বিশ্বব্যাংক।

বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৬৬ দশমিক ৮৫ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫০০ দশমিক ৬৯ একর সরকারি খাস জমি অনুমোদন পেয়েছে। ব্রেক ওয়াটার নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বন্দর পরিচালনাকারীরা বিনিয়োগ করছেন। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, এক সময় আসবে, যখন চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোনো দেশেও এর কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে মেরিটাইম সেক্টরে আমাদের যে যাত্রা, তা পুনর্জীবিত ও উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সময়ে সমুদ্র ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মোংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়েছে। এটি নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য পরিবহনের জন্য আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের ওপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক হাবে পরিণত হবে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। খুব শিগগিরই এর কার্যক্রম শুরু হবে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। জোয়ার-ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে-টার্মিনালের সঙ্গে সড়ক, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন সহজলভ্য হবে। বে-টার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্র পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। অল্প সময়ের মধ্যেই মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।


জানা যায়, টার্মিনালটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দর বছরে ১০ লাখ টিইইউ (টোয়েন্টি-ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট) কন্টেইনার এবং ৭০ লাখ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং করতে পারবে। এতে দেশের আমদানি ও রপ্তানি দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবহন খরচ এবং সময় কমে আসবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্তর্জাতিক কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় এডি পোর্ট গ্রুপ একটি দক্ষ প্রতিষ্ঠান। এডি পোর্ট গ্রুপের ৫টি সমন্বিত বিজনেস ক্লাস্টার ডিজিটাল, ইকোনমিক সিটিস এন্ড ফ্রি জোন, লজিস্টিকস, মেরিটাইম এবং পোর্ট রয়েছে। আবুধাবি অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের তত্ত্বাবধানে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপ মাকতা গেটওয়ে এডভান্সড ট্রেড এন্ড লজিস্টিক প্লাটফরম তৈরি এবং পরিচালনা করেছে। যা আবুধাবি জুড়ে বাণিজ্য ও লজিস্টিক নৌ, স্থল ও আকাশ পথে পরিষেবা গুলোকে একীভূত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমসহ বে-টার্মিনাল প্রজেক্টে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথভাবে এডি পোর্ট গ্রুপ বিনিয়োগ করবে । এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে তথা বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য বিদেশী বিনিয়োগ আসবে এবং দেশীয় অর্থের সাশ্রয় হবে। এতে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে। এডি পোর্ট গ্রুপের সাথে অংশীদারিত্বে কাজ করার ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে মর্মে আশা করা যায় ।

উল্লেখ্য, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ মিটার গভীরতা ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বড় জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না। বে টার্মিনালে ভিড়তে পারবে ১২ মিটার গভীরতা ও ২৮০ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের জাহাজ।

   

ঈদের আগে মসলার ঝাঁজে পুড়ছে পকেট



মোঃ আব্দুল হাকিম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অস্থির হয়ে উঠেছে রাজশাহীর সর্ববৃহৎ মসলার বাজার সাহেব বাজার। পুরো মসলার বাজারই এখন সিন্ডিকেটের কবলে। গত এক সপ্তাহে জিরা, এলাচ ও লবঙ্গের মতো মসলার দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। অথচ এসব মসলা আমদানি হয়েছে তিন থেকে চার মাস আগে।

কোরবানির ঈদকে ঘিরে বাজারে শুরু হয়েছে নানান প্রস্তুতি। কিন্তু উৎসবের আগে বাজারে গিয়ে সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। মসলার আকাশচুম্বী দামে পুড়ছে তাদের পকেট। গত কয়েক সপ্তাহে হঠাৎ করেই মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই তাদের পছন্দের খাবার তৈরি করতে অসুবিধায় পড়ছেন। যোগান সংকট, চাহিদার বৃদ্ধি, এবং বাজার সিন্ডিকেটের কারণে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।


সংশ্লিষ্টরা বলছে, পুরো মসলার বাজারই এখন সিন্ডিকেটের কবলে। গত এক সপ্তাহে জিরা, এলাচ ও লবঙ্গের মতো মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। অথচ এসব মসলা আমদানি হয়েছে তিন থেকে চার মাস আগে। চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত আমদানি হওয়ায় এ মুহূর্তে বাজারে মসলার কোনো সংকট নেই। এরপরও মসলার প্রতিটি পণের দাম বেড়েছে।

রাজশাহীর সর্ববৃহৎ মসলার বাজার সাহেব বাজার। সেখানে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মসলা ১০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই চাল-ডাল-আটাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সে তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে এলাচ দানা, জিরা, লবঙ্গ, মরিচ, হলুদ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন প্রকারের মসলা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরাতে ছোট এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই এলাচ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। আর ভালো মানের বড় এলাচ প্রতি কেজি ৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৮০০ টাকায়।

লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লবঙ্গের দাম বেড়েছে প্রায় এক হাজার টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে মান ভেদে ৫৫৭ টাকায়, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। গোলমরিচ প্রতি কেজি হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতি কেজি দারুচিনি ৭০০ টাকা, হলুদ ৩৫০ টাকা, কালিজিরা ৪০০ টাকা, কিশমিশ ৮০০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা আর সাদা সরিষা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এসবের কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকায়।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তালিকা অনুযায়ী এক বছর আগে (গত বছর এদিনে) দাম ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। খুচরা বাজারে বড় আকারের প্রতি কেজি এলাচ ৪ হাজার ২০০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে। তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। ধনে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৮৫০ টাকা। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। শুকনা মরিচ ৪২০ থেকে ৫০০ টাকায়। এছাড়া শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। আর আদা, রসুন, পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে প্রতিকেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা করে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট ও ডলারের দাম বাড়ার কারণে এখন মসলার দাম অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। তাদের দাবি অনুযায়ী মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে দুই কারণে। প্রথমত, দেশে এখন চলছে ডলার সংকট। ডলারের অভাবে এলসি করা যাচ্ছে না। একইভাবে বেড়েছে ডলারের দামও। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও।

অথচ কোরবানির মসলা দুই তিন মাস আগে থেকেই মজুদ করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।


গত রোববার (২৬ মে) দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। সে সময় তিনি বলেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে মসলার দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। ব্যবসায়ীরা তিন মাস আগ থেকেই দেশের বাজারে মসলা আমদানি করছেন। ঢাকা ও খাতুনগঞ্জে মসলা চলে এসেছে। সেই মসলা খুচরা বাজারে যাচ্ছে। কেউ যদি দাম বাড়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মসলার বাজারের ক্রেতা আমির ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই কোরবানির আগে ব্যবসায়ীরা নিজেদের অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য মসলার দাম বাড়িয়ে দেয়। কারণ তারা জানেই কোরবানিতে মসলা একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। কোরবানির গোশত খাওয়ার জন্য সবাইকে মসলা কিনতে হবে। তারা সাধারণ জনগণকে এক প্রকার জিম্মি করে ব্যবসা করছে। এদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এবং সরকারকে সিজনাল সময়গুলোতে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম রাখা উচিত। অথচ তারা করে উল্টো।

তিনি বলেন, সব কিছুর সিজনে যদি এই ভাবে দাম বাড়ে তাহলে সাধারণ মানুষ খাবে কী? রমজানের সময় ছোলা খেজুরসহ সব কিছুর দাম বেড়েছিল। আর এখন কোরবানির সময় মসলা জাতীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। ঈদের শব্দের অর্থ খুশি, অথচ এদেশে সাধারণ জনগণের কাছে ঈদ মানেই অতিরিক্ত খরচ। কোনোভাবেই যেন বাজারের কালো সিন্ডিকেট বন্ধ করা যাচ্ছে না।

সাহেব বাজারের মসলা ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু কিছু মসলার দাম বেড়েছে। মসলাকে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এ পণ্য আমদানিতে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয়। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ায় মসলার বাজার চড়া। এ কারণে এলাচসহ সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। আমরা অল্প করে মসলা কিনে নিয়ে আসি। এবং অল্প লাভে বিক্রি করি। দাম যা বাড়ে তা পাইকারি থেকে। আমাদের বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

সাহেব বাজারের মসলার পাইকারি বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের এই মসলা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও মৌলভীবাজার থেকে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার ব্যবসায়ীরা ডলারসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। একারণে এখন দাম বাড়ছে।

রাজশাহী কাস্টমস থেকে জানা যায়, মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি করা হয়েছে। মূলত ভারত থেকে জিরা ও এলাচ, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও ভিয়েতনাম থেকে দেশে লবঙ্গ ও দারুচিনি আমদানি করা হয়।

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, রাজশাহীর কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি করা হয়েছে। বিশেষ করে ভারত থেকে জিরা ও এলাচ এবং ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভিয়েতনাম ও গুয়েতেমালা থেকে লবঙ্গ ও দারুচিনি আমদানি করা হয়। পূর্বে এসব দেশে উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাত দেওয়া হলেও বর্তমানে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এই সমস্যায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।


তিনি বলেন, যথাসম্ভব চেষ্টা করছি বাজারে মসলার পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে। তবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকদের খরচ বেড়ে গেছে, যার প্রভাব বাজারমূল্যে পড়ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাস্টমস বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং আমদানিকারকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

রাজশাহী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে কোথাও কোনো ব্যবসায়ী পণ্য মজুদ করে কোনো সিন্ডিকেট করছে কিনা সে বিষয়ে তদারকি করা। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি এই রকম অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ থাকে তাহলে আমাদের নিয়মিত অভিযানে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

তিনি আরও বলেন, বাজারের পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের না। মুক্ত বাজারে কোনো পণ্যের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাবের) রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, মসলার বাজারে সিন্ডিকেট ঢুকেছে। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরকারকে এ বিষয়ে আরও কঠোর হতে হবে। যেন কেউ সিন্ডিকেট করে কোনো পণ্যর দাম বাড়াতে না পারে।

;

ইউরোপের পর্তুগালে টিভি রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ ওয়ালটনের



নিউজ ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রিস, পোল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্পেন, ইতালি, ক্রোয়েশিয়া, আয়ারল্যান্ড ও জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করছে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। পাশাপাশি ইউরোপের এসব দেশে বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগালে এবার নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে টিভি রপ্তানি বাণিজ্য শুরু করেছে ওয়ালটন। রপ্তানির একটি শিপমেন্ট দেশটির উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছে।

জানা গেছে, পর্তুগালের বাজারে দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় ও বিখ্যাত টেলিকমিউনিকেশন্স এক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টেলিভিশনের রপ্তানি আদেশ পেয়েছে ওয়ালটন। এরই প্রেক্ষিতে পর্তুগালের উদ্দেশ্যে টিভি রপ্তানির প্রথম শিপমেন্ট সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশের টেলিভিশন খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন।

গত বুধবার (২২ মে, ২০২৪) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে পর্তুগালে টিভি’র প্রথম শিপমেন্ট প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) ইউসুফ আলী।

এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন টিভির ডেপুটি চিফ বিজনেস অফিসার (ডিসিবিও) আবির আহমেদ, হেড অব টিভি রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন (আরএন্ডআই) মিঠুন চক্রবর্তী, পর্তুগালসহ ইউরোপের লিড এক্সপোর্ট ম্যানেজার রাশেদ ইসলামসহ টিভি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

টিভির শিপমেন্ট অনুষ্ঠানে ডিএমডি ইউসুফ আলী বলেন, ২০০৮ সালে টিভি রপ্তানিযাত্রা শুরু করেছে ওয়ালটন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ইউরোপের ১৪টি দেশে ১ লাখ ১০ হাজার ইউনিট টিভি রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে টিভি রপ্তানি পাশাপাশি ওইএম (ওরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) পদ্ধতির আওতায়ও বিভিন্ন দেশে টিভি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। পর্তুগালের ব্যবসায়িক পার্টনারের মাধ্যমে পর্তুগাল ও এর পাশ্ববর্তী অন্যান্য ইউরোপিয় দেশগুলোতে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে ওয়ালটন সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ওয়ালটন টিভির ডিসিবিও আবির আহমেদ বলেন, রপ্তানি কার্যক্রমকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। এতে বিভিন্ন দেশ থেকে ভালো সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়েবেশি সাড়া পাচ্ছি ইউরোপের দেশগুলো থেকে। পর্তুগালে স্মার্ট টিভির চাহিদা দিন বাড়ছে। দেশটির বিখ্যাত টেলিকমিউনিকেশন্স সার্ভিস প্রোভাইডার ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, ডোমিনিকান রিপাবলিক ও সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তাদের ব্যবসয়িক নেটওয়ার্ক বিস্তৃত রয়েছে। তাদের মাধ্যমে ওইসব দেশে ওয়ালটন টিভির রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের পথ আরো সুগম হবে তিনি বলে আশাবাদী।

উল্লেখ্য, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ৩৫টিরও বেশি দেশে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত টেলিভিশন রপ্তানি করছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

;

ডিজেল ৭৫ পয়সা, পেট্রোল-অকটেনের দর বাড়ল আড়াই টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য ১০৭ টাকা লিটার থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১০৭.৭৫ টাকা, পেট্রোলের বিদ্যমান মূল্য ১২৪.৫০ টাকা ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৭.০০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৮.৫০ টাকা ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৩১.০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সমন্বয়কৃত এ মূল্য ১ জুন, ২০২৪ হতে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। সরকার গত মার্চ, ২০২৪ হতে বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে করে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা হ্রাস পেলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে বলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে।

জ্বালানি বিভাগ বলেছে, মূল্য সমন্বয়ের পরেও ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি ৯০.৭৬ রুপী বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১২৫.৭০ টাকায় এবং পেট্রোল ১০৩.৯৪ রুপী বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৪৩.৯৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা বাংলাদেশ থেকে লিটার প্রতি যথাক্রমে প্রায় ১৭.৯৫ টাকা ও ১৬.৯৬ টাকা বেশি।

;

সিটি ব্যাংকের ১৫% নগদ ও ১০% স্টক লভ্যাংশ অনুমোদন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিটি ব্যাংক

সিটি ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

সিটি ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার।

ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, পরিচালকবৃন্দ রুবেল আজিজ, হোসেন মেহমুদ, সৈয়দা শায়রীন আজিজ, সাভেরা এইচ মাহমুদ, রেবেকা ব্রোসন্যান, স্বতন্ত্র পরিচালকদ্বয় সেলিম মাহমুদ এমপি ও মতিউল ইসলাম নওশাদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, কোম্পানি সেক্রেটারি মো. কাফি খান, পদস্থ কর্মকর্তাগণ ও বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার এই এজিএম-এ অংশগ্রহণ করেন।

স্বাগত বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ২০২৩ সালের ব্যাংকের ৬৩৮ কোটি টাকার সমন্বিত কর পরবর্তী মুনাফার প্রশংসা করে বলেন, তার আগের বছরের ৪৭৮ কোটি টাকা থেকে মুনাফার এই ৩৩.৫% প্রবৃদ্ধি সিটি ব্যাংকের শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তি ও সুশাসনের স্মারক।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের মোট চলতি ও সঞ্চয়ী আমানত বেড়ে ২০২৩-এর ডিসেম্বরে এসে দাঁড়িয়েছে মোট আমানতের ৫১ শতাংশে, যা ৪ বছর আগেও ছিল মাত্র ৩৬ শতাংশ। তিনি সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংক প্ল্যাটফর্ম সিটিটাচ-এর প্রবল জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে জানান, ২০২৩ সালে গ্রাহকেরা সিটিটাচ-এ ৬০,০০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেছে যা চলতি বছরে ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ অনুযায়ী ব্যাংকের নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী এই সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণ ব্যাংকের কার্যক্রমের ওপর আলোচনা করেন।

সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মাসরুর আরেফিন প্রতিষ্ঠানের সার্বিক চিত্র শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তুলে ধরে তাদের উত্থাপিত নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

সভায় পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সুপারিশকৃত ১৫% ক্যাশ এবং ১০% স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়।

;