চাঁদাবাজিতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, হাতিয়ার 'গুজব'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে চাওয়া হতো চাঁদা। চাহিদামতো টাকা পেলে দুর্বল কোম্পানির নামে ভালো তথ্য ছড়িয়ে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করা হতো। আর টাকা না পেলে ভালো কোম্পানির নামে ছড়ানো হতো গুজব।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে এবং অনলাইন মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে বাজার কারসাজি করা একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. আমির হোসাইন ওরফে নুরনুরানী (৩৭), নুরুল হক হারুন (৫২)  আব্দুল কাইয়ুম (৩৯)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদের নেতৃত্বে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি জানায়,  আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। আমির হোসাইনেরর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনেসহ বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।

তারা দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), কমিশনের চেয়্যারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের প্রতারিত করে আসছিল। এছাড়া, সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিসস্থিতি তৈরী করে আসছিল।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজার স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তাদের সর্বস্ব নিয়ে এসে বিনিয়োগ করেন। অল্পতেই এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র মিথ্যা তথ্যে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে আসছিল, এমন অভিযোগে বিএসইসি রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্তের ধারাবাহিকতায় ডিবি তিনজনকে গ্রেফতার  করে।

তিনি আরও বলেন, মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে আসামিরা। এসব গ্রুপে গুলোতে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য প্রদান করে আসছিল। বিভিন্ন প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগে ভাগে প্রকাশ করে দেয়, যা বেশিরভাগ সময় বানোয়াট ও মিথ্যা। যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, তারা বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে রাস্তা দখল করে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করে।

এছাড়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে সেসব কোম্পানি সম্পর্কে অন-লাইনে অপপ্রচার শুরু করে। এমনকি কোম্পানির অফিস গুলোতেও হামলা করে।

তারা বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে। এসব করার জন্য গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে আসছিল। এসব গ্রুপের সদস্যদের একটি নিদিষ্ট ফি দিয়ে গ্রুপে যুক্ত হতে হয়। আবার শেয়ারে প্রফিট হলে লভ্যংশ দিতে হয়। কিন্তু লোকসান হলে তারা দায়িত্ব নেয় না।

গ্রেফতারদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রে জড়িত অন্যদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

এডিসি সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, গ্রেফতার আমির হোসাইন ছদ্মনাম নূর নূরানী ব্যবহার করে গ্রুপগুলো পরিচালনা করতো। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে সব মিলিয়ে ৮-১০ টি গ্রুপ চালায়। নুরুল হক হারুন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি পরিচয়ে বিভিন্ন সদস্যদের একত্রিক হয়ে কোম্পানি গুলোতে চাঁদাবাজি করে। আব্দুল কাইয়ুম রয়েল ক্যাপিটাল নামক ব্রোকারেজ হাউজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি হোয়াটস্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন শেয়ার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করত।

   

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসগে এ বাজেট উত্থাপন করবেন। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী ৬ জুন, জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।’

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট।

এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

সূত্র: বাসস

;

বাজেট ২০২৪-২০২৫

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের



জাহিদুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবহন, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর মধ্যে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি ১ লাখ কোটি টাকা ঋণ ও অনুদান হিসেবে বিদেশি উৎস থেকে আসবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (৭ মে) পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালামের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় প্রস্তাবিত এডিপি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় প্রস্তাবিত এডিপির সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ৯৪ হাজার কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। এ হিসাবে আগামী অর্থবছরে এডিপির আকার মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বা ০.৭৬% বাড়ছে।

পরিকল্পনা কমিশন চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ ৪ হাজার কোটি টাকা বা ২.৩৭% কমিয়ে আনছে। অন্যদিকে, বৈদেশিক উৎসের বরাদ্দ ৬ হাজার কোটি টাকা বা ৬.৩৮% বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

অবশ্য বাস্তবায়নে ধীরগতি আর আর্থিক সংকটের কারণে চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) তুলনায় আগামী বছরে বরাদ্দ বাড়ছে ২০ হাজার কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) ধারাবাহিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নানামুখী সংকটের কারণে আগের বছরের তুলনায় অভ্যন্তরীণ উৎসের বরাদ্দ কিছুটা কমেছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী অন্য কোনো বছরেই উন্নয়নখাতে অভ্যন্তরীণ উৎসের বরাদ্দ কমেনি।

এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, চলমান আর্থিক সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই বললেই চলে।

তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণে সফলতা না থাকায় সরকারের অর্থ ব্যয়ের সুযোগ কমে এসেছে। মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে আসায় আমদানি শুল্ক আহরণও কমছে। তা ছাড়া তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংক বা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগও কমে এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন রয়েছে। বাজারে নগদ টাকার প্রবাহ বাড়লে নিত্যপণ্যের দাম দ্রুতই বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

তবে এডিপির বরাদ্দ গণহারে না কমিয়ে শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বা তাড়াতাড়ি শেষ করা যাবে, এমন প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

চাপের মুখে অভ্যন্তরীণ আর্থিক উৎস

সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বিত চাহিদার তুলনায় মোট ২০ হাজার ৩শ ৯১.১৯ কোটির টাকা কম বরাদ্দ প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো এই তহবিল থেকে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা চাইলেও এর ৮৯% বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

সব মিলিয়ে বিভিন্ন বাস্তবায়নকারী সংস্থা এডিপিতে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪ শ ২ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। সে হিসাবে এডিপিতে বরাদ্দের ঘাটতি থাকছে, ১১ হাজার ৪ শ ২ কোটি টাকা।

অবশ্য বিদেশি উৎস থেকে চাহিদার চাইতে ৮ হাজার ৯শ ৮৯ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ নিতে প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন। ৯১ হাজার ১১ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে বিদেশি ঋণ বাবদ এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

;

ডলারের দাম বাড়লেও আমদানির ওপর প্রভাব পড়বে না: সালমান এফ রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডলারের দাম বাড়লেও দেশে আমদানির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তবে রফতানির ওপর প্রচুর প্রভাব পড়বে। এর ফলে রেমিট্যান্স আয় ও রফতানিমুখী শিল্প উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইউএস ট্রেড শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডলারের দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় রিজার্ভের ওপর চাপ কমে যাবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই প্রয়োজন ছিল। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে যা আমাদের কমানো দরকার। একই সঙ্গে ডলারের দাম বাড়ায় দেশের অর্থনীতির ওপর কোনো চাপ পড়বে না। তার কারণ কৃষিখাতে দেশ অনেক ভালো করছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন হতে পেরেছি।

যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, যারা ট্যাক্স দিচ্ছে তাদের ওপর আরও ট্যাক্স চাপানো হচ্ছে। যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে ট্যাক্স রেট কমিয়ে ট্যাক্স নেট বাড়ানো দরকার। বিশ্বের যেসব দেশ ট্যাক্স রেট কমিয়েছে এবং ট্যাক্স নেট বাড়িয়েছে তাদেরই রাজস্ব বেড়েছে।

সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপজেলা এমনকি গ্রাম অঞ্চলেও অনেকে ভালোভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তাদেরকেও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।

বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি করা হয় সেইসব দেশের মুদ্রায় যদি ট্রেড করা হয় তাহলে ডলারের ওপর চাপ কমে যাবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা।

;

রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৪ ব্যক্তিকে সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান করবে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকাল ৩টায় রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বিকাল ৩টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকতা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

দেশের রফতানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করতে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ এ ১৮৪ ব্যক্তিকে কার্ড প্রদান করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত "সি” ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হবে।

রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১ বছর মেয়াদে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিবৃন্দ পরবর্তী বছরের সিআইপি (রফতানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রপ্তানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

;