করোনা: পোশাক খাতে ৬৫ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
টিআইবি

টিআইবি

  • Font increase
  • Font Decrease

​তৈরি পোশাক খাতে সুশাসনের উল্লেখযোগ্য ঘাটতি বিভিন্ন সময়ে উঠে আসলেও তা নিরসনে সরকার ও মালিকপক্ষের সদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি লক্ষ্যণীয়- করোনার সময়ে এই প্রবণতা আরও প্রকট হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিজিএমইএর ৩ শত ৪৮টিসহ মোট ১ হাজার ৯ শত ৪টি কারখানা লে-অফ ও বন্ধ ঘোষণা করে এবং প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার হয়। কারখানাসমূহে ইচ্ছাকৃত ছাঁটাই আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে কম বেতন ও মজুরি ছাড়া অতিরিক্ত কর্মঘণ্টায় কাজ করানো এবং ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করার অভিযোগ রয়েছে।

‘তৈরি পোশাক খাতে করোনা ভাইরাস উদ্ভূত সংকট: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পক্ষ হতে এ মন্তব্য করা হয়।

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, করোনা সংকটের প্রাথমিক পর্যায়ে শ্রমিকদের স্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থে আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে কারখানা লে-অফ ঘোষণার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। সর্বোপরি করোনা সংকটের কারণে দেশের তৈরি পোশাক খাত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় সংকট হতে উত্তরণের জন্য এ খাতে সরকার বিপুল প্রণোদনা ও সহায়তা প্রদান করলেও তার ক্ষুদ্র অংশই শ্রমিকরা পেয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্ট-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ নূরে আলম মিল্টন এবং আ্যাসিসট্যান্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুল হুদা মিনা।

সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার ও মালিকপক্ষ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত করোনা সংকট মোকাবিলায় তৈরি পোশাক খাতে কোনো পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়ন করেনি। সরকার করোনার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে মূলত মালিকপক্ষের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে। তাছাড়া, এ খাতের নেতৃবৃন্দের করোনা মহামারির কারণে চীন থেকে তৈরি পোশাক ব্যবসার একটি বড় অংশ বাংলাদেশে চলে আসবে এমন আত্মতুষ্টিতে ভোগার উদাহরণ রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মার্চ ২০২০ এ করোনা মহামারির শুরুতে সরকার কর্তৃক দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও সরকার বা মালিকপক্ষের কোনো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষই কলকারখানা বন্ধের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে পরবর্তী সময়ে সরকার ১ এপ্রিল ২০২০ এই সাধারণ ছুটি বর্ধিত করলেও কারখানা মালিকগণ অপরিকল্পিতভাবে কারখানা খুলে দেয়। কারখানা খোলার খবরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় চলে আসে, আবার একই দিনে কারখানা বন্ধ ঘোষণায় পুনরায় ফেরত যেতে বাধ্য হয়। এতে করে পরিবহণ সংকটে শ্রমিকদের হয়রানির শিকার হতে হয় এবং সারাদেশে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।

গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য মতে, শিফটিং পদ্ধতিতে ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ শ্রমিকের মাধ্যমে কারখানা চালুর নির্দেশনা অধিকাংশ কারখানা মালিক মানেনি। তাছাড়া, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা সীমিত হওয়ায় প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও অনেক শ্রমিক এই পরীক্ষা সুবিধা নিতে পারছেন না এবং অনেকক্ষেত্রে চাকরি হারানোর আতঙ্কে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও শ্রমিক কর্তৃক তা লুকানোর প্রবণতার কারণে কারখানার অন্যান্য শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনা ভাইরাস আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আমাদের জিডিপির ১০ শতাংশ এবং রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮৪ শতাংশের অংশীদার তৈরি পোশাক খাত উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তৈরি পোশাক খাতটি উৎপাদন ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই যেহেতু বিদেশের ওপর নির্ভরশীল। স্বাভাবিকভাবেই নেতিবাচক প্রভাব ব্যাপকতর এ খাতটিকে ঘিরে। আমরা লক্ষ্য করেছি ব্যাপকভাবে কার্যাদেশ বাতিল হয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো কিছুদিনের জন্য, শত শত কারখানা লে-অফসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং শ্রমিকদের চাকরি হারানোর ঘটনা ঘটেছে। বৈদেশিক বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে এ খাতের এই যে ভূমিকা, তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ায় সার্বিকভাবেই বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সুশাসনের যে-সকল মাপকাঠি ব্যবহৃত হয়েছে, তার প্রায় প্রতিটির ক্ষেত্রেই ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। যা নিরসনে সরকার ও মালিক পক্ষের উভয়ের দিক থেকেই সদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ঘাটতি ছিলো বলে মনে করেন ড. জামান।​​

তৈরি পোশাক খাতে করোনা উদ্ভূত বর্তমান ও ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে অংশীজনদের করণীয় চিহ্নিত করে ৯ দফা সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

উল্লেখযোগ্য সুপারিশসমূহ হলো- করোনা মহামারি বিবেচনায় নিয়ে সকল শ্রেণির শ্রমিকের চাকরির নিরাপত্তার বিধান সংযুক্ত করে ‘ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬’ এর ধারা ১৬ ও ২০ সংশোধন করতে হবে; বিজিএমইএ কর্তৃক প্রণীত গাইডলাইন মোতাবেক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ এবং স্বাস্থ্য-বিধি প্রতিপালন ব্যত্যয় হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ‘ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি)’ সুবিধা বাতিল এবং জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে; বিজিএমইএর অঙ্গীকার করা করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার বাকি তিনটি ল্যাব দ্রুততার সাথে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে স্থাপন করতে হবে; ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নৈতিক ব্যবসা পরিচালনায় অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। পোশাকের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ ও কার্যাদেশসমূহের বিদ্যমান শর্তের সাথে দুর্যোগকালে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতকরণের বিষয় সংযুক্ত করতে হবে; করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকার ও মালিক সংগঠনসমূহ কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন কমিটিকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে এসব কমিটি শ্রমিকদের অধিকার ও কারখানায় তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে; লে-অফকৃত কারখানায় একবছরের কম কর্মরত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; শ্রমিক অধিকার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির নিয়মিত ও কার্যকর পরিদর্শন নিশ্চিত করতে হবে; ইইউ ও জার্মানির সহায়তা তহবিল ব্যবহারের জন্য করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সঠিক তালিকা অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই, কার্যাদেশ বাতিল ও পুনর্বহাল, প্রণোদনার অর্থের ব্যবহার ও বণ্টন, ইত্যাদি সব তথ্য সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে ও নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।

   

ফের বাড়ল সোনার দাম, প্রতি ভরি ১১৯৫৪৪ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের বেড়েছে সোনার দাম। এবার এক হাজার ৮৪ টাকা বাড়িয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম বাড়ায়, সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর সোমবার (২০ মে) থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, হল-মার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ৮৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার (১৮ মে) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এনিয়ে এ বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৪ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

;

বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ১৭ দিনে এলো ১৩৬ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দেশে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

দেশে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে আবার রেমিট্যান্স প্রবাহে ‍সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ডলার।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। আর গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১১৪ কোটি ৫৮ লাখ, ১০৯ কোটি ৩১ লাখ , ১২১ কোটি ৭২ লাখ ও ১২২ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে দেশের প্রবাসী আয়। মূলত আসন্ন কোরবানিকে ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা।

এদিকে মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২০ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

;

‘সমস্যা আমাদের মতো করেই সমাধান করতে হবে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প ও সহজলভ্য উৎস আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের সমস্যা আমাদের মতো করেই সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার (১৯ মে) বিদ্যুৎ ভবনে ইনোভেশন শোকেসিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ আয়োজন করা হয়। এতে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন দফতর, সংস্থা হতে ২৪টি ইনোভশন উদ্যোগ প্রদর্শন করা হয়।

ভার্চয়ালি যুক্ত হয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশকে সামনে রেখে পরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। নতুন নতুন উদ্ভাবনকে আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (এআই) এখনই অনেক সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। এআই-এর ব্যবহার বাড়িয়ে গ্রাহক সন্তুষ্টিতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়বে অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় তত হবে। একই সাথে প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যও নিশ্চিত হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে নিজস্ব প্রযুক্তির উদ্ভাবন বা ব্যবহৃত প্রযুক্তির নিজস্ব ভার্সন সৃজন করতে হবে।

ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৪-এ আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) থ্রি-ডি প্রিন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পেয়ার পার্টস তৈরিকরণ-এ প্রথম স্থান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বেজড ‘স্মার্ট কাস্টমার এসিস্ট্যান্ট- চ্যাটবট” ২য় স্থান, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) জিআইএস বেসড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থপনার আউটেজ ডিজিটালি মনিটরিং এবং লোড ম্যানেজমেন্ট-এ ২য়, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) আন্ডারগ্রাউড ক্যাবল টেস্ট ভ্যান, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি) অটোমেটিক ইমার্জেন্সী রেসপন্স টেস্ট অব এসটি ইমার্জেন্সী লুব অয়েল পাম্প থ্রো ডিসিএস ইন্ট্রিগেশন এবং রুরাল পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (আরপিসিএল) চার্জ এয়ারকুলার এন্ড চার্জ এয়ার রিসিভার ড্রেইন লাইন মডিফিকেশন ফর প্লান্ট আউটেজ রিডাকশন তৃতীয় স্থান অর্জন করে।

বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান ইনোভেশন কর্মকর্তা নিরোদ চন্দ্র মন্ডেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবির। স্রেডার চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, বিআরইবি’র চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন সহ দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত সেভিংস খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সব শ্রেণির জনগোষ্ঠিকে আরো সহজ, ঝামেলাহীন সেভিংস-সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে এবং তাদের মাঝে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে এবার বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো দুটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী ‘সাপ্তাহিক সেভিংস’। প্রথমবারের মতো দেশে সাপ্তাহিক এই ডিজিটাল সেভিংস সেবা চালু হলো বিকাশ অ্যাপে, যেখানে গ্রাহকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই ২৫০ থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সাপ্তাহিক কিস্তিতে সেভিংস করতে পারছেন। সেভিংস করা যাচ্ছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ।

নতুন এই সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। স্বল্প আয় এবং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক পেশাজীবীদের অল্প অল্প করে অর্থ জমানোর সুযোগ করে দিবে, যা তাদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা, কৃষি-ব্যবসায় বিনিয়োগ, শিক্ষা, চিকিৎসা বা অন্য যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে কাজে আসবে।

সাপ্তাহিক সেভিংস-এর পরিমাণ এবং মেয়াদ:

এই সেবার আওতায় বিকাশ গ্রাহকরা সাপ্তাহিক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, এবং ‌৫০০০ টাকা কিস্তিতে ৬ মাস অথবা ১২ মাস মেয়াদে আইডিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ সেভিংস খুলতে পারছেন। বিকাশ অ্যাপেই ব্যাংকগুলোর দেয়া তুলনামূলক মুনাফার হারের তথ্য বিবেচনা করে দিনে-রাতে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটেই সেভিংস খোলার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাপে সেভিংস করার পদ্ধতি:

নতুন সেভিংস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ট্যাপ করতে হবে। সেভিংস এর ধরন থেকে ‘সাধারণ সেভিংস’ বেছে নিয়ে সেভিংসটি কেনো খুলতে চান সেটি বাছাই করতে হবে। এরপর, সেভিংস-এর মেয়াদ ৬ মাস বা ১২ মাস, জমার ধরন (সাপ্তাহিক) এবং প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, বা ৫০০০ নির্বাচন করতে হবে।

পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক বা ঢাকা ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। এরপর সেভিংস-এর নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। তারপর সেভিংস-এর বিস্তরিত দেখে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিতে হবে। সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই সেভিংস-এর আবেদন সম্পন্ন হবে। প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে বিকাশ ও ব্যাংক থেকে চলে আসবে নিশ্চিতকরণ মেসেজ। বিকাশ অ্যাপ থেকে একাধিক সেভিংস খুলতে পারবেন যেকোনো গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভিংস-এর টাকা কেটে নেয়া হবে। সেভিংস-এর মেয়াদপূর্ণ হয়ে যাবার পর বিকাশ অ্যাপেই মুনাফাসহ মূল টাকা পেয়ে যাবেন গ্রাহক যা কোনো খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট করতে পারবেন যেকোনো বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট বা নির্দিষ্ট ব্যাংকের এটিএম থেকে। এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তীর আগেই সেভিংস সেবা বন্ধ করতে চাইলে গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকেই তা করতে পারবেন।

সাপ্তাহিক সেভিংস প্রসঙ্গে বিকাশ-এর চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মাসে বা সপ্তাহে টাকা জমানো বেশ কঠিন। এদিকে দৈনিক বা সপ্তাহ ভিত্তিতে আয় করা মানুষদের জন্য নিয়মিত বিরতিতে ব্যাংকে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব। তাই ব্যস্ত জীবনে সকল পেশার মানুষের জন্য আর্থিক লেনদেনে স্বস্তি এনে দিতেই বিকাশ তার অ্যাপে দুটি নতুন ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা যুক্ত করেছে। সঞ্চয়ের অভ্যাস ব্যক্তি এবং সমাজের আর্থিক নিরাপত্তাকে যেমন নিশ্চিত করবে তেমনি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করবে বলে আমরা মনে করি।”

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিকাশ অ্যাপে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাসিক সঞ্চয় সেবা চালু হয়। এই সেবার জনপ্রিয়তার কারনে স্বল্প সময়ের মধ্যে চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ লাখ সেভিংস গ্রহণ করেছেন বিকাশ গ্রাহকরা, যাদের এক-তৃতীয়ংশই নারী। বর্তমানে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-এর পাশাপাশি ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক সিটি ব্যাংকের মাসিক ‘সিটি ইসলামিক’ সেভিংস সেবা গ্রহণ করছেন গ্রাহকরা।

সেভিংস সেবা নিয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে– https://www.bkash.com/products-services/savings।

;