গাড়িসহ কুবি ট্রেজারারকে পথরোধ, শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা



কুবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানকে গাড়িসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পথরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এসময় শিক্ষক সমিতির এ কাজে বাঁধা দিয়েছে শিক্ষকদের আরেকটি পক্ষ। এতে শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত অবরোদ্ধ অবস্থায় মূল ফটকে গাড়িতে অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাংলোতে যান উদ্ভুত পরিস্থিতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানার জন্য।

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়, ট্রেজারারের কার্যালয় এবং প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দিতে যায়। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে গেলে তারা দেখেন প্রশাসন থেকে আগে থেকেই উপাচার্য দপ্তরে তালা ঝোলানো। ফলে উপাচার্য দপ্তরে আর তালা দিতে পারেননি তারা।

পরবর্তী সময়ে তারা প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হয়ে দেখেন ট্রেজারার তার গাড়ি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। এ সময় মূল ফটকে অবস্থান নেন তারা এবং ট্রেজারারের গাড়ির চাবি দিয়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু ট্রেজারার তাদের কথার সাথে একমত না হওয়ায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে তাকে পথরোধ করেন।

শিক্ষক সমিতি ট্রেজারারকে পথরোধ করা অবস্থায় শিক্ষকদের একটি অংশ শিক্ষক সমিতির সাথে তালা লাগানো নিয়ে বাকবিতণ্ডা করেন। এ সময় তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তালা সংস্কৃতি' বন্ধ চান বলে মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল ভর্তি পরীক্ষার দিন কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। কিন্তু তারা পরবর্তীতে লিখলো শিথীল থাকবে। এটা এক প্রকার প্রতারণা। আমরাও শিক্ষক সমিতির সদস্য। এভাবে শিক্ষক সমিতি খেয়াল খুশি মত চলতে পারে না। আমরা এই তালা সংস্কৃতি থেকে মুক্তি চাই। কিছু হলেই তালা লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করি। শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ যে প্রতারণা করলো সাধারণ শিক্ষকদের সাথে সেই প্রতিবাদে আমরা এখানে এসেছি।'

এ ব্যাপারে কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের যত অনিয়ম হচ্ছে তার সহায়ক হচ্ছেন ট্রেজারার। আর এই অনিয়মগুলো তিনি চালু করেছেন। অর্থ কমিটির বিশৃঙ্খলা, শিক্ষকদের টাকা পয়সা বিভিন্ন খাতে ব্যয় করাসহ এই যে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা তার সবকিছুর পেছনে তিনি আছেন। এই কারণে শিক্ষকরা সাধারণ সভায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমাদের মূল দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রক্টর হিসেবে যদিও শিক্ষার্থীদের উপরে আমার দায়িত্ব তারপরেও সার্বিক শৃঙ্খলার ব্যাপারটা আমাদের উপরে আসে। আজকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিলো। আজকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত ট্রেজারারকে তারা এভাবে পথ আটকে দিয়েছে। আমি মনে করি শিক্ষক হিসেবে তারা নৈতিকতার জায়গা লঙ্ঘন করেছে।'

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিচ্ছে উপাচার্য স্যার। এখন বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে, সচল রাখতে কি করণীয় সে বিষয়ে স্যারের সাথে কথা বলার জন্য যাচ্ছি।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে ফোন দেওয়া হলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল কুবি শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি চিঠিতে তাদের সাতটি দাবি মেনে নেয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। শিক্ষক সমিতির দেওয়া সাত দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২৫ তারিখ সকালে শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের ও প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেন। তবে ২৭ এপ্রিল গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় শিক্ষক সমিতি তাদের কর্মসূচি শিথীল করে এবং তালা খুলে দেয়। তবে আজকের (২৭ এপ্রিল) অফিস সময়সূচি শেষ হওয়ার পর তারা আবার তালা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দপ্তরে।

 

   

গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬০ শতাংশ



যবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত জিএসটির ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষায় পাসের হার ৬০ দশমিক ৪২ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা  রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে ঢুকে তাঁদের ফলাফল জানতে পারবেন।

রোববার (১২ মে) সকালে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল তুলে দেওয়া হয়। পরে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এ বছর ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। এরমধ্যে ৩৫ হাজার ১৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তারমধ্যে ২১ হাজার ২৪৮ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার হিসাবে পাসের হার ৬০ দশমিক ৪২ শতাংশ। এছাড়া বিভিন্ন কারণে ০.০২ শতাংশ তথা ৭ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট https://gstadmission.ac.bd থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘সি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৮৬ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মো. রাশেদ ফরাজি। কৃতিত্বপূর্ণ এ শিক্ষার্থী চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেছেন, তাঁর রোল নং ৫০১৯৬৩ এবং কেন্দ্র ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া ৮৫ নম্বরের উপরে ২ জন, ৮০ নম্বরের উপরে ২৯ জন, ৭৫ নম্বরের উপরে ১৬৭ জন, ৭০ নম্বরের উপরে ৫৮৬ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে ১৪৭৭ জন, ৬০ নম্বরের উপরে ২৯৩২ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে ৫০০৩ জন, ৫০ নম্বরের উপরে ৭৬২৭ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে ১০৬৯৩ জন, ৪০ নম্বরের উপরে ১৪০১৩ জন, ৩৫ নম্বরের উপরে ১৭৪৯৩ জন এবং ৩০ নম্বরের উপরে ২১২৪৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ হাজার ৬২৯টি আসন রয়েছে। ইতোমধ্যে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটভুক্ত বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৫০ হাজার ৭৬০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। সেই হিসেবে ‘এ’ ইউনিটে পাসের হার ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ‘বি’ ইউনিটভুক্ত মানবিক বিভাগ থেকে ৩১ হাজার ৮১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। সে হিসেবে পাসে হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তির জন্য ১২ হাজার ৪০২টি এবং ‘বি’ ইউনিটে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের সময় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হলো। খুব দ্রুতই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তির পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যাঁরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাঁদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসামরিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

যবিপ্রবিতে এসে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় প্রত্যক্ষ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুরের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনার উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, জিএসটির টেকনিক্যাল উপ-কমিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তির পরবর্তী প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইট এবং জিএসটিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

 

;

ককটেল বিষ্ফোরণ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রণক্ষেত্র রাবি



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ককটেল বিষ্ফোরণ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রণক্ষেত্র রাবি

ককটেল বিষ্ফোরণ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রণক্ষেত্র রাবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষ চলছে। শনিবার (১১ মে) রাত ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্ট রুমে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হতাহতের পাশাপাশি দুটি বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ৯টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্ট রুমে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ওই হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হল সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানসহ প্রায় ৩০ জন অনুসারী বসে সাংগঠনিক আলোচনা করছিলেন। এমন সময় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ তার কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে এসে অন্যদের কয়েক মিনিটের জন্য গেস্ট রুম ত্যাগ করতে বলেন। এ বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডা তৈরি হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীগণ লাঠি, রড, রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে অংশ নেয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ ইটপাটকেল ছোঁড়ার পাশাপাশি প্রায় ৬টির মতো ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। আনুমানিক রাত ২টায় নিয়াজ মোর্শেদের অনুসারীরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা হলের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন। এতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলসহ তার আশপাশের এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে। হলের সাধারণ আবাসিক শিক্ষার্থীরা আতংকের মাঝে দরজা জানালা লাগিয়ে হলে অবস্থান করছেন।

এদিকে রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম (প্রশাসন) এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর (শিক্ষা)। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, 'ঘটনার সূত্রপাত অনেক আগে হলেও, আমাদের নলেজে এসেছে কিছুক্ষণ আগে। আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের নজরে হয়ত কমবেশি ছিল। তবে তারা আমাদের কিছুক্ষণ আগে জানিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যেভাবে দ্রুত সমাধান করা যায় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় আমরা সেটার চেষ্টা করছি।'

;

রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে রাতভর উত্তেজনা, ককটেল বিস্ফোরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (১১ মে) রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল ও মাদার বখ্শ আবাসিক হলের মধ্যবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

হল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী সোহরাওয়ার্দী হলের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানের কথা-কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আতিকুর রহমানের কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে নিয়াজ মোর্শেদের ছাত্রলীগের কিছু কর্মী হলে প্রবেশ করেন।

এ ঘটনার পর রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী মাদার বখশ হলের সামনে অবস্থান নেয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় দেশীয় অস্ত্রের মহড়াও দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি। পুলিশের সহায়তায় আমরা হলে প্রবেশ করছি। হলের মধ্যে যারা বহিরাগত আছে তাদেরকে হল থেকে বের করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি শান্ত করে সার্বিক বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি কাজ করছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।

;

অভিজ্ঞতা অর্জনে সুপ্রিম কোর্টে চবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা



চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের উদ্যোগে বিচারিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে একদল শিক্ষার্থী ভ্রমণ করেছেন।

গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার (৮ ও ৯ মে) দুই দিনব্যাপী বিচারপতির অনুমোদনক্রমে ও সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের সহযোগিতায় ৩য়, ৪র্থ বর্ষ ও এল.এল.এম এ অধ্যয়নরত ৫০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আয়োজন করে অনুষদটি।

এ সময় আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রকিবা নবী ও অধ্যাপক ড. আসমা বিনতে শফিক উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা এই সময় কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছে। দুদিনব্যাপী কার্যক্রমের শুরুতে সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো: গোলাম রব্বানী বলেন, বিচারিক কার্যক্রম পরিদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তবিক জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবে। সুপ্রীম কোর্ট বিষয়ক তথ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়৷ উদ্বোধনী সেশনে সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ৩ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রথমত আপীল বিভাগ ও পরে হাইকোর্ট বিভাগের বিভিন্ন বেঞ্চের বিচারিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা স্মারক সৌধ " স্মৃতি চিরঞ্জীব" এবং সুপ্রীম কোর্ট জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

এদিন বিকাল চারটায় শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম এসোসিয়েশন (চুলা) র উদ্দ্যেগে " নলেজ & এক্সপেরিয়েনস শেয়ারিং" শিরোনামে আয়োজিত সেমিনারে অংশগ্রহণ করে। সেমিনারে বিজ্ঞ অ্যাটর্নি -জেনারেল এ এম আমিন উদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি - জেনারেল শেখ গোলাম মুরশেদ, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দীন খোকন ও সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল সেমিনারে অংশগ্রহণকারী ছাত্র -ছাত্রীদের আইন পেশার ইতিবাচক বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করে আইন পেশায় যোগদানের বিষয়ে উৎসাহ প্রদানমূলক বক্তব্য প্রদান করেন।সেমিনার শেষে আইন সম্পর্কিত বিভিন্ন পেশা বিষয়ক প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। দ্বিতীয় দিনও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিভিন্ন বেঞ্চের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সুপ্রীম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তবিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারায় সকলে সন্তোষ প্রকাশ করে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ আদালতের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাওয়ায় সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসন এবং প্রাণবন্ত সেমিনার আয়োজন করাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম এসোসিয়েশন ( চুলা) র নিকট কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেছে।

;