গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৯০ শতাংশের উপরে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভর্তি পরীক্ষা

ভর্তি পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার গড়ে ৯০ শতাংশের উপরে ছিল বলে জানিয়েছেন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১টায় শেষ হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ভুল প্রশ্নপত্রে সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে গুচ্ছের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ উপস্থিতির হার ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জে এবং সর্বনিম্ন ৭৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ উপস্থিতির হার রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে। তবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গড় উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশের উপরে। আর যবিপ্রবি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯২ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত আর্কিটেকচার ড্রয়িং পরীক্ষায় উপস্থিতির হারও ছিল সন্তোষজনক। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু হয়। একইদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি বিকেল সাড়ে ৩টা হতে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ বছর ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। তবে পরীক্ষায় তাদের গড় উপস্থিতি ছিল ৯০ শতাংশের উপরে।

জিএসটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, আগামী ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

   

রাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আরেক ছাত্রলীগ নেতার ছিনতাইয়ের অভিযোগ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের দিনে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কক্ষে ভাঙচুর ও ২৬ হাজার ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলেছে আরেক ছাত্রলীগ নেতা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন- সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ।

বুধবার (১৫ মে) বিকেলে হল প্রাধ্যক্ষকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান। তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ১৯৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, 'গত ১১ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হল শাখা ছাত্রলীগের বিতর্কিত সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আমার অনুপস্থিতিতে আমার রুমের তালা ভেঙে প্রবেশ করে এবং রুমের ভিতরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমার রুমে থাকা ১টি ল্যাপটপ, ২টি ফ্যান, লাইট, ঘড়ি ও রুমের যাবতীয় আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং ড্রয়ারে থাকা মোবাইল বিক্রির ২৬ হাজার টাকা ছিনতাই ও লুটতরাজ করে। অতএব জনাবের নিকট বিনীত আবেদন এই যে, উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমার ক্ষতিপূরণ ও অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।'

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, এখন কত কিছুই বের হবে। আমি তো আতিকের রুমেই যাইনি। আর যেখানে আমি যাইনি, সেখান থেকে টাকা পয়সা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এটা একটা ডাহা মিথ্যা অভিযোগ।

এর আগে, গত শনিবার (১১ মে) রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে হলের নিরাপত্তা প্রহরীকে আতিকসহ শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীর মারধর এবং ১৩ মে রাতে পুনরায় রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। এঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিয়াজ মোর্শেদসহ শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;

জাবিতে ২ হলের মারামারি: একজনকে জরিমানা, বহিষ্কার ২



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মধ্যরাতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে সংঘটিত মারামারির ঘটনায় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নাবিলা ইসলামকে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে। একই ঘটনায় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী মহিউদ্দিন মিরাজ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবিদ হোসেন রাফিকে আর্থিক জরিমানা ও বহিষ্কার করা হয়েছে৷

৩ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ গত ১৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, গত বছরের ১৪ জুলাই রাতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সম্পর্কে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন ও গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডিসিপ্লিন বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, নারী শিক্ষার্থী ঘটনার দিন বা পরের দিন অভিযোগ না দিয়ে চার দিন পরে মধ্যরাতে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরে প্রক্টর বরাবর ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। যা তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ঘটনাটিকে অন্য দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীদের রাতভর মারামারি বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলার পরিপন্থি। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের অপরাধ বিবেচনায় বোর্ডের সুপারিশ পর্যালোচনা করে গত ০৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রদান করা হলো।

এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নাবিলা ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও সতর্ক করা হয়। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী মহিউদ্দিন মিরাজ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবিদ হোসেন রাফিকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা ও ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়৷ শাস্তিপ্রাপ্ত ৩ জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ জুলাই (শুক্রবার) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়৷ এ ঘটনায় দুই হলের প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।

;

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দেশসেরা খুবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই)-এর গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে টানা দ্বিতীয়বার স্থান পাওয়ার পর এবার টাইমস হায়ার এডুকেশনের বৈশ্বিক ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) নাম।

যে সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ৫০ বছর কিংবা তার চেয়ে কম, শুধুমাত্র তাদের মধ্যে গুণগত মান বিবেচনায় ধরে এই র‌্যাঙ্কিং করা হয়। এবার সব মিলিয়ে বিশ্বের ৬শ ৭৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এই র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান করতে পেরেছে, যা বিগত বছর ছিল ৬শ ৫টি।

সম্প্রতি, এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃপক্ষ। র‌্যাঙ্কিংয়ে বৈশ্বিক তালিকায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ৪০১-৫০০ এর মধ্যে রয়েছে, যা বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবার আগে।

এবারের প্রকাশিত ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।

গবেষণার মান, শিল্প, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি, গবেষণার পরিবেশ এবং শিক্ষাদান মোট ৫টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে করা ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অর্জন করেছে যথাক্রমে ৪৫.২ শতাংশ, ১৭.১ শতাংশ, ৪৩.৭ শতাংশ, ১৪.৫ শতাংশ, ২২.৭ শতাংশ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ও র‌্যাঙ্কিং কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর সেহরীশ খান বলেন, বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন নিজেই একজন গবেষক। তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দেন। গবেষণার জন্য যথোপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতেও উদ্যোগ নেন তিনি।

এ ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে যেতে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেন, যার ফলশ্রুতিতে টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিং, কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ের পর ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক্ষেত্রে পরিবর্তনের ছোঁয়া এখন দৃশ্যমান। বর্তমান উপাচার্যের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্বপ্নের পথে ডানা মেলেছে। একের পর এক অর্জনে দেশের সুনাম ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে।

উপাচার্যের নেতৃত্বে শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণা, প্রকাশনা, অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অতিদ্রুত বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, টানা দুইবার টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিং এবং কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়ার পর এবার টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান পাওয়ায় গর্বিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

গবেষণার প্রতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনোনিবেশ ও আন্তরিকতার ফলে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষ সাধনে সবার অবদান রয়েছে। একাডেমিক ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। আমি আশা করি, অতিদ্রুত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে।

উল্লেখ্য, ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ বিগত ২০১৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ শুরু করে। এতে যে সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ৫০ বছর কিংবা তার চেয়ে কম, শুধুমাত্র তাদের মধ্যে গুণগত মান বিবেচনায় ধরে এই র‌্যাঙ্কিং করা হয়। এবার সব মিলিয়ে বিশ্বের ৬শ ৭৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এই র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান করতে পেরেছে, যা বিগত বছর ছিল ৬শ ৫টি।

র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাদান, গবেষণা, জ্ঞান স্থানান্তর ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির ১৮টি সূচক মানদণ্ড হিসেবে গণনা করেছে, প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মৌলিক লক্ষ্য, পাঠদান ও গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও বিবেচনা করেছে তারা।

;

ইসলাম অবমাননায় কুবি শিক্ষার্থীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামধর্ম অবমাননার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল মুখার্জিকে স্থায়ী বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন, গণ-স্বাক্ষর, প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি এবং তার নারী সহপাঠীদের পক্ষ থেকে আরেকটি অভিযোগপত্র দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর।

বুধবার (১৫ মে) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয় গোলচত্বরে প্রথমে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদ হয়ে প্রসশনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি অভিযুক্ত স্বপ্নীল মুখার্জির ব্যাপারে আলোচনায় বসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্বপ্নীলকে বহিস্কারের প্রাথমিক সুপারিশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নূর আহমেদ আল আমিন বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় তার লেখাগুলো দেখলে আমাদের মুসলমানদের মাথার রক্ত পায়ে ওঠে যায়। তার লেখার প্রত্যেকটা শব্দে শব্দে মুসলমানদের উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকে। আমাদের প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে স্বল্প সময়ের মধ্যে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। আমরা কখনও এরকম উগ্রবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে চাই না।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, 'আমরা অবগত আছি যে জয়দেব নামে এক উগ্র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পূর্বে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছিল। এছাড়াও সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আমরা চাই তাকে আরও কঠোর শাস্তি দেয়া হোক। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ না হবে আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি সকাল ৯টায় একটা মিটিং করেছি। ফেইসবুকের বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে আমরা জেনেছি যে সে ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) কে নিয়ে কটুক্তি করেছে। তাই আমরা প্রক্টোরিয়াল বডি তার সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করেছি।'

দুটি অভিযোগপত্রের ব্যাপারে তিনি বলেন, 'একটি অভিযোগ দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আরেকটি অভিযোগ দিয়েছে স্বপ্নীলের নারী সহপাঠীরা। নারী সহপাঠীদের কিছু ছবি তার (স্বপ্নীল) ফোনে আছে। সেই ছবিগুলো স্বপ্নীল এআইয়ের মাধ্যমে বিকৃত করে ছড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করে এই অভিযোগপত্র দিয়েছে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৬তম আবর্তনের নারী শিক্ষার্থীরা। আমরা বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৪ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা এবং হযরত মোহাম্মদ (স.) কে কটুক্তি ও ফিলিস্তিন নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্যের স্ক্রিনশটগুলো ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুবি শিক্ষার্থী স্বপ্নীল মুখার্জির বিভিন্ন ফেসবুক একাউন্ট থেকে
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ইসলাম কে কটাক্ষ করা হয়েছে। ফেসবুক একাউন্ট গুলো হলো "Sawpnil, Sawpnil Mukharjee, স্বপ্নীলের বউ নেই, স্বপ্নীল পড়তে বস" প্রভৃতি ফেসবুক একাউন্ট থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ইসলাম কে কটাক্ষ করেছে।

;