চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা



মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী, চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা

চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। যেখানে প্রতি বছর আকাশসম স্বপ্ন  বাস্তবে রূপদান করতে হাজারো শিক্ষার্থী প্রবেশ করে। কিন্তু মুক্ত ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ ও অসৎসঙ্গ পেয়ে কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই যুক্ত হয় মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে। যেখান থেকে বের হতে না পেরে ঝরে যায় সহস্র মেধাবী শিক্ষার্থী, ভেস্তে যায় হাজারো পিতা-মাতার আশা-আকাঙ্ক্ষা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে। এদের মধ্যে অধিকাংশই অছাত্র ও বহিষ্কৃত। সন্ধ্যা নামতেই মদ, গাঁজা ও ইয়াবার আসর বসে তাদের। শুরু হয় মাদকাসক্তদের আনাগোনা। যে করিডরে পাওয়ার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চাপা গুঞ্জন, সেখানে মেলে গাঁজার উৎকট গন্ধ। এদের মধ্যে কেউ আবার নিয়মিত বিভিন্ন স্থান থেকে মাদকের চালান নিয়ে এসে করেন ব্যবসাও। সাপ্লাই দেন পুরো ক্যাম্পাসে।

সম্প্রতি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয়ের মাদক কারবারির সাথে যুক্ত থাকার একাধিক প্রমাণ মেলে। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, তার মাদক কেনাবেচা ও সরবরাহের জন্য রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। এজন্য সে রাজনৈতিক প্রভাবকে পুঁজি করে চালায় মাদক ব্যাবসা। তার দাবি- সে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের একাংশের অনুসারী, থাকেন এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই হলে সম্প্রতি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়েছে। মদ, গাঁজা ও ইয়াবা তাদের নিত্য সঙ্গী। এর ফলে প্রকাশ্যে মাতলামি করতেও দেখা যায় অনেককে।

ঘটনার অনুসন্ধানে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষে প্রকাশ্যে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়ায় কক্ষটি গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) সিলগালা করে দেয় হল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টায় এ. এফ রহমান হলে মদপান, মাতলামি ও মাদক সরবরাহের অভিযোগে আশিকুজ্জামান জয় নামের ওই শিক্ষার্থীকে হল থেকে পিটিয়ে বের করে দেয় শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন কর্মী।

এ ব্যাপারে এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ জানান, চবির এ এফ রহমান হলে সাম্প্রতিক সময়ে মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিলে দেখা যাবে সবচেয়ে বেশি মদ, গাজা ও ইয়াবা খায় এই হলের ছেলেরা। আমাদের ব্যাচেরই এক শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয় ঈদের পরপরই হলে ৭ থেকে ৮ কেজি মাদকদ্রব্য নিয়ে আসে এবং খেয়ে মাতলামি করে। এজন্য তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হলেও সে শুনেনি। ফলে তার সাথে আমাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার কাছে জয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ এফ রহমান হলের সকলেই জানে জয় সম্পূর্ণ মাদকাসক্ত। সে দীর্ঘদিন থেকে মদ ইয়াবা সেবনের সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি হলে মাদক বিক্রিও করতো। আমরা তাকে নিষেধ করা সত্বেও সে এগুলো না ছাড়াই তার সাথে আমাদের একটু ধাক্কা-ধাক্কি হয়েছে।

আশিকুজ্জামান জয়কে মারধরের পর সরেজমিনে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষ পর্যবেক্ষণ করলে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়া যায়। সেগুলোতে মদ না থাকলেও মদের টাটকা গন্ধ মেলে।

তবে, আশিকুজ্জামান জয় নিজ গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের সাথে সম্পর্ক খারাপ কেন- এই জের ধরে মারধরের কথা স্বীকার করলেও মদ পানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। যদিও আশিকুজ্জামান জয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, একটি দেশি মদের বোতল নিয়ে বসে আছেন। পাশে রাখা আছে আরও দুইটি মদের বোতল।

এসব ব্যাপারে এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরী জানান, আমরা গতকাল (বুধবার) হাউজ টিউটরাসহ কক্ষটিতে গিয়েছিলাম। আমরা আপাতত কক্ষটি সিলগালা করে দিয়েছি। রুমে যে থাকতো তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। আমরা পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিব।

মাদক কারবারির ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টের সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলব। তার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে হল প্রভোস্টসহ আমরা তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা নিব।

   

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আবাসিক হল নিয়ে ‘উসকানিমূলক ও মানহানিকর' মন্তব্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়া এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছে পাঁচ শিক্ষার্থী।

রোববার (০৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এ চিঠি দেয়া হয়।

পাঁচ হলের পক্ষ থেকে চিঠি প্রদানকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রবি চন্দ্র দাস, শেখ হাসিনা হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানি হলের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী উজ্জ্বল হক, কাজী নজরুল ইসলাম হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাছুম।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে আবাসিক হলগুলো বন্ধের ঘোষণা করা হয়। আবাসিক হল বন্ধের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে, ‘আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ঢুকতেছে এবং শিক্ষার্থীদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।’ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এতে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে পড়ে। উপাচার্যের এ দাবি আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য সামাজিকভাবে অপমানজনক। আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষগণও এ ধরনের মন্তব্যকে অনৈতিক বলে মনে করেন। হলসমূহে অস্ত্র কিংবা টাকা ঢুকছে না। এ ধরনের মন্তব্যের কারণে সারাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষগণও শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ৯৩তম সিন্ডিকেটের দাবি প্রত্যাহার করতে হবে। দ্রুতই প্রজ্ঞাপন জারি করে আবাসিক হলগুলো খুলে দিকে হবে এবং শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল সমূহ বন্ধের নির্দেশ দেন। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘হলে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অস্ত্র এবং অর্থ ঢুকছে।’ এ মন্তব্য দ্বারা তিনি কি বুঝিয়েছেন? আমরা আবাসিক শিক্ষার্থীরা টাকার কাছে বিক্রি হয়েছি! আমাদের হাতে যে কেউ টাকা, অস্ত্র ধরিয়ে দিলে আমরা বিক্রি হয়ে যাব? এ হলসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকে। এখানে অনেকেই আছে যারা টিউশন করে পরিবারের খরচ চালায়। অনেক কষ্টে তারা পড়াশোনা করে। এ ধরনের মন্তব্য তাদের পরিশ্রমকে ছোট করে। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য একজন উপাচার্যের মুখে মানায় না। তিনি তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হেয় করেছেন, আমাদের অপমান করেছেন, আমাদের মনঃক্ষুণ্ন করেছেন। উপাচার্যের উচিততার এমন ভিত্তিহীন মন্তব্যের জন্য সকল সাধারণ এবং পাঁচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। সেই সাথে সিন্ডিকেট সভায় আবাসিক হলসমূহ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠিয়ে নিতে হবে। এরজন্য উপাচার্য মহোদয়কে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সভায় অনেকে অনেক ধরনের কথা বলেন। যেখানে ফর্মাল-ইনফর্মাল অনেক কথাই থাকে৷ যে সিন্ডিকেট সদস্য এ কথা সিন্ডিকেটের বাইরে বলে বেড়াচ্ছেন, তিনি সিন্ডিকেটের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন। এছাড়া সিন্ডিকেটের অফিসিয়াল বক্তব্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণ হিসেবে একথা উল্লেখ করা হয়নি। বরং উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’

;

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গণিত বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় ১০ শিক্ষার্থীকে 'এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন' কর্তৃক স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (০৫ মে) সকাল ১১টায় গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জেসমীন আখতারের সভাপতিত্বে চতুর্থ এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের স্বর্ণপদক পরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের হাতে সনদপত্র ও নগদ অর্থের চেক তুলে দেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়৷

এবছর এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদকের জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৫ জন ও স্নাতক পর্যায়ে ৫ জন করে মোট ১০ জন শিক্ষার্থী মনোনীত হন৷ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- প্রকৃতি বিশ্বাস (স্নাতকোত্তর ২০১৭), খন্দকার ফাহাদ মিয়া (স্নাতকোত্তর ২০১৮), রুবিনা বেগম তানজিলা (স্নাতকোত্তর ২০১৯), মোছা: মরিয়াম সুলতানা (স্নাতকোত্তর ২০২০), মোছা. হালিমাতুজ সাদিয়া (স্নাতকোত্তর ২০২১)৷ মো. মিহির আমিন (স্নাতক ২০১৭), সাথী খান (স্নাতক ২০১৮), মোছা. মরিয়াম সুলতানা (স্নাতক ২০১৯), মো. নাসির উদ্দিন সোহাগ (স্নাতক ২০২০), এবং বিটু জয়ধর (স্নাতক ২০২১)।

স্বর্ণপদক ও বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘যেসকল শিক্ষার্থী ভালো ফলাফলের মাধ্যমে এই পদক অর্জন করেছে, এটা তাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কর্ম জীবনে সাফল্য অর্জন করুক সেই কামনা রইলো।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম. নুরুল আলম, বিভাগের শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীরা।

;

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন ৮ ডিসেম্বর



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা জল্পনা কল্পনা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে সমাবর্তন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় -২ অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আগামী ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি ও সভাপতিত্ব করার সম্মতি প্রদান করেছেন।

;

এনএসআই পরিচয়ে চবি শিক্ষার্থীর কাছে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ



চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পদার্থবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এনএসআই পরিচয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে চবি শিক্ষার্থীর সাথে এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয়ে ওই ব্যক্তির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে অত:পর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে আবুল বাহারের ছেলে নাজিম উদ্দীন (৩০) এর বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সুধারামপুর থানায়। বর্তমানে থাকেন নগরীর পাঁচলাইশ থানায়।

এ নিয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বাদীকে দেখা করতে বাধ্য করা এবং হেনস্তা করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, প্রায় সাত মাস পূর্বে ফেইসবুকের মাধ্যমে বিবাদীর সাথে আমার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বর্তমানে এনএসআইতে চাকুরী করেন বলে পরিচয় দেন। এরপর থেকেই বিবাদীর সাথে আমার নিয়মিত কথা চলতে থাকে। কথা বলার এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। পরবর্তীতে বর্ণিত বিবাদী বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে বিভিন্ন সময় আমার নিকট হতে এক লাখ টাকা নেয়। সম্পর্ক থাকাকালীন সে আমাকে প্রায় সময়ই দেখা করার জন্য বাধ্য করতো।

এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, বিবাদীর সহিত আমার প্রেমের সম্পর্ক থাকার কারণে বিবাদী আমার ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ তাহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করতো। বর্ণিত বিবাদী বিভিন্ন সময় আমার শরীরের স্থিরচিত্র বা ভিডিও ধারণ করে তাহার নিকট প্রেরণের জন্য হুমকি প্রদান করতো। বিবাদীর এমন ব্যবহারে আমি অতিষ্ট হয়ে তাহার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

বাদী বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাত অনুমান দশটার সময় বর্ণিত বিবাদী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে আমাকে দেখা করার জন্য জোরাজুরি করলে আমি হল থেকে নেমে ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থলে আসার পরে উক্ত বিবাদী আমাকে টানা হেঁছড়া করে এ সময় আমার বাম হাতের বাহুতে ও ঘাড়ের নিচে নখের আঁচড় দিয়ে সাধারণ জখম করে। তখন আমি বাঁচার জন্য আত্মচিৎকার করলে আমার আত্মচিৎকার শুনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্ররা এগিয়ে এসে বর্ণিত বিবাদীকে আটক করে।

আটক করে তার পরিচয় সঠিকভাবে বলার জন্য বললে সে জানায় যে, সে আমার নিকট মিথ্যা সরকারী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ গ্রহণ করে এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মূলত সে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে সেলসম্যান হিসেবে চাকুরী করে। উক্ত বিষয়ে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অবগত করি।

পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে বর্ণিত বিবাদীকে তাদের হেফাজতে নেয়।

অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মা ফোন রিসিভ করে। তিনি জানান, ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলের সম্পর্ক আছে এ ধরনের কথা আমরা আগে কখনো শুনিনি। তবে গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন করে এ ব্যাপারে আমাকে জানানো হয়েছে। এখন সে পুলিশের হেফাজতে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, প্রায় ছয় মাস আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রেমে জড়ায় প্রতারক মো: নাজিম উদ্দিন। পরবর্তীতে এন.এস.আই'র সদস্য হিসেবেও পরিচয় দেয় এই যুবক। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মেয়েকে দিত বিভিন্ন রকম শর্ত। চুল কেটে ফেলা, রুমমেটদের সাথে সম্পর্কছেদ করা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটার-ও শর্ত দিত মেয়েটিকে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর কথা অনুযায়ী লাখের বেশি টাকা নিয়েছে ছেলেটি। এটিই প্রথম নয় এর আগেও এরকম প্রতারণা করেছে ছেলেটি। যার প্রমাণ আমি পরবর্তীতে পেয়েছি। হাটহাজারী থানায় এ নিয়ে আমি মামলা
করেছি।

মামলার বিষয়ে হাটহাজারী থানার অসি মনিরুজ্জামান বলেন, এরকম একটি ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের কাজ করছেন। অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;