অবন্তিকার ফেসবুক ওয়াল জুড়ে শোকের ঝড়, বিচার দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার (২৪) আত্মহত্যার পর তার ফেসবুক ওয়াল জুড়ে চলছে সহপাঠী ও বন্ধুদের শোকের ঝড়। সেইসঙ্গে অবন্তিকার আত্মহত্যার জন্য দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন তারা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার পর কুমিল্লার নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা।

আত্মহত্যার আগে তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে একটি সুইসাইড নোট লেখেন। তাতে তিনি মৃত্যুর জন্য তার এক সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন।

এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী তাকে যৌন হয়রানি করেছেন এবং তারপর তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এবিষয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ জানালে তিনি আম্মানের পক্ষ নিয়ে তার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। সুইসাইড নোটে ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা লেখেন-

‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।

কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে "খানকি তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে? "

আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিকাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সো কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না

আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।

আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজার টা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার!’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা

এদিকে, অবন্তিকার আত্মহত্যার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী এবং বন্ধুদের শোকবার্তায় ভরে যেতে থাকে তার ফেসবুক ওয়াল। এছাড়া দোষীদের বিচার দাবি করেও একের পর এক পোস্ট দিয়ে চলেছেন তারা।

এ বিষয়ে কয়েক বন্ধু ও সহপাঠীর শোকবার্তা তুলে ধরা হলো-

Sumaiya Sumaiya Soma
‘কিছুদিন আগে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে Fairuz Abontika অন্যদের মতো সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই সময় অবন্তিকার সাথে হয়ে যাওয়ার অন্যায়ের বিচারের জন্য এই বিষয়গুলো শেয়ার করেছিলো। অবন্তিকার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একটি অকার্যকর প্রশাসন, মৃত্যুশেল। প্রশাসন কি পারবে অবন্তিকার মৃত্যুর প্ররোচনাকারী অপরাধীদের শাস্তি দিতে??’

ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা

আঁখি সরকার রাই

‘ঈশ্বর জীবন এতো ছোট কেনো? মানুষগুলো এমন অমানুষ কেনো? এত প্রাণবন্ত, স্বাধীনচেতা মেধাবী মেয়েটাকে বাঁচতে দিলো না, আমি ওনাকে দেখতাম ওনার একটিভিটি দেখতাম আর ভাবতাম আমরা কুমিল্লার মেয়েরা আসলেই ট্যালেন্টেড, উদাহরণ টানলে উনার কথা বলতাম, নিজের কথা বলতাম আরো অনেকের নামের সাথে।

অথচ সেই স্ট্রং মানুষটাকেও আত্মহত্যা করতে বাধ্য করলো কিছু মানুষ নামক জানোয়ার।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর মতো একটা জায়গায় এতোটা যন্ত্রণা ভুগতে হলো তাকে, কেউ কী ছিলো না তার পাশে দাঁড়ানোর?
তাকে সাহস জোগানোর?
ওনার মতো আমিও তো এরকম কতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ি, আমাকেও কী কখনো এই পথ বেছে নিতে হবে? এক জীবনে এতকিছু সইবো কেমনে ঈশ্বর?

অবন্তী আপু,
পোস্টটা করার পর সকলের মতামত গুলো দেখে যেতে পারতেন অন্তত, এতগুলো মানুষের ভালোবাসা উপেক্ষা করে চলে গেলেন? অবশ্য এটা আত্মহত্যা না এটা হত্যা, অবন্তী হত্যার বিচার চাই!!’

Fahmida Zaman
‘Fairuz Abontika মেয়েটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের। মাত্র জানলাম সে সুইসাইড করছে এবং ফেসবুকে তার সুইসাইডের কারণ হিসেবে সরাসরি দায়ী করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজনকে।

২০২২ এ ভার্সিটি ডে তে হঠাৎ করে মেয়েটা পিছন থেকে এসে বলে আমাকে তার খুব ভালো লাগে, সে মেসেন্জারে টেক্সটও করেছে এবং তার নাম ফাইরুজ অবন্তিকা, সে ল ডিপার্টমেন্টের।আমার সংগে সে একটা ছবি তুলতে চায়। তখনের তোলা ছবিটা when she was alive and happy. সে বারবার বললো আমার স্বাধীন ডেয়ারিং জীবন তার খুব পছন্দ। Another departed soul has been added to my memories.’

ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা

তৌফিকুল ইসলাম হৃদয়

পৃথিবীর কোনকিছু দিয়ে Fairuz Abontika হত্যার ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে হচ্ছেটা কি? আর কত তাজা প্রাণ অকালে ঝরে পড়বে? বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে?
মেধাবী, প্রতিভাবান একজন শিক্ষার্থী এভাবে হারিয়ে গেল। আর আমরা চুপচাপ বসে আছি? শিক্ষার্থীদের বোধ উদয় হবে কবে? প্রশাসনের টনক নড়বে কবে?
আর...
আমরা মানুষ হবো কবে??
অবন্তীকা জগন্নাথকে কোনদিন মাফ করে দিস না।

Alif Tasnim
The day I went to ABC radio for the first time, I got introduced with Fairuz Abontika apu. Just like me she was also there as a contestant for giving audition. As we endured a lengthy wait, our conversation delved into various topics including cricket, commentary, life, and career, anchoring, and so on. It felt like I'm conversing with someone who was deeply connected to me. I never anticipated that she would pass away under such distressing circumstances. May Allah forgive her all the sins.

আ ফি য়া
Fairuz Abontika হত্যার দায় শুধু দুজনের না৷ আমাদের পুরো জগন্নাথের।
একজন প্রক্টর এমন পিশাচ হইলো না হয়! প্রক্টরিয়াল বডির বাকিরা কেন নিরব ভূমিকায় ছিলো? এই নিরবতা তো ঐ একজনের অন্যায়কে মৌন সমর্থন দেয়া।
বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছেও নাকি বার বার নালিশ করেছিলো। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় চেয়ারম্যান যথেষ্ট পাওয়ারফুল হন। উনি চাইলে পারতেন মেয়েটিকে রক্ষা করতে । বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকও কি একদিনও খেয়াল করলেন না যে একজন শিক্ষার্থী এতোটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে?

আর ভিক্টিমের বন্ধু বান্ধব যারা আছেন, আপনারা অনেকেই নাকি জানতেন বিষয়গুলো। দোষীদের একজন আপনাদেরই সহপাঠী। তবু আপনারা কিছু করতে পারলেন না?

সবাই মিলে কি কিছু করা যেতো না? আর না হোক অন্তত মানসিক সাপোর্টটা তো দিতে পারতেন।

পৃথিবীর কোনো কিছুই মানুষের সেচ্ছামৃত্যুর কারণ হতে পারে না যদি ব্যাক্তি মানসিকভাবে শক্ত থাকেন। যত রোগ বালাই বলেন আর বিপদ বলেন, সবকিছুই আপনাকে তখন কাবু করবে যখন মানসিকভাবে আপনি একা হয়ে যাবেন, ভেঙে পরবেন।

মেয়েটা লড়াই করতে করতে যখন আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো সে একদম একা! কেউ নাই পাশে! তখনই শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।

শ্রদ্ধেয় উপাচার্য Sadeka Halim ম্যামের কাছে অনুরোধ, সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে জগন্নাথের এই কলঙ্ক দূর করুন ।

retha Sarker
Fairuz Abontika আপুর মৃত্যুর পেছনের কারণের ভয়াবহতা এখান থেকে একটু হলেও আঁচ করা যায়। নইলে এমন একজন স্ট্রং এবং একটিভ মানুষ এত সহজে ভেঙ্গে পড়তে পারে না।যতবারই তার কথা মনে করছি তার হাস্যোজ্জ্বল, কর্মচঞ্চল চেহারাটাই ভেসে উঠছে।
প্রশাসনের এই অন্যায় ও নির্লিপ্ত আচরণের বিরুদ্ধে সবাই রূখে না দাঁড়ালে ক্ষমতার এসকল ম্যালপ্র‍্যাক্টিস চলতেই থাকবে এবং আরো কিছু ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ড ঝরে পরবে। আর যারা ঝরবে না, তারা দিনে দিনে ভোঁতা হয়ে যাবে।

Noshin Tabassum Prapty
Fairuz Abontika মেয়েটা আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসতো, খুবই এডমায়ার করতো।এটা আমার কথা না,এটা যারা একটু হলেও ভালো করে জানে অবন্তিকাকে,তারা জানবে আমার কথা।

অবন্তিকার সাথে আমার পরিচয় ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে হলেও ওর সাথে আমার বন্ধুত্ব ওর বিএমএ থেকে আসার পর।ওর কিছু পোস্ট দেখে আমার মনে হয়েছিল মেয়েটা ভালো নেই, ওর কাছ থেকে জানতে চাইলে,ও আমাকে গড়গড় করে সব বলে দেয়। তখন থেকে আমার কাছে ওর শেয়ার করা শুরু এবং হেন কিছু নেই সে আমাকে শেয়ার করেনি।

আমি শুধু অবন্তিকার কথাই বলবো,যে কথাটা অবন্তিকা বুক ফেটে সবাইকে বলতে চাইতো এবং এটাও প্রমাণ করতে চাইতো,

"তোমরা যারা অবন্তিকাকে এতটা খারাপ ভাবে মানুষ এর কাছে রিউমার ছড়াচ্ছো,সে এতটা খারাপ না। সে খুব ই সাধাসিধে একটা মেয়ে,যাকে কেন্দ্র করে তোমরা জটিল গল্প বানাচ্ছো,সে গল্প গুলো বিশ্বাস ও করে ফেলেছো একটা বার তার সাথে কথা না বলে"

সে আমার কাছে আর্তনাদ করে বলতো,"প্রাপ্তি! আমি এত খারাপ মেয়ে না!আমি এটা কাকে বিশ্বাস করাবো? ওরা এই আটজন এমনভাবে আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছে, প্রত্যেকটা মানুষ এর কাছে গিয়ে গিয়ে আমি কয়জনকে প্রমাণ করবো?কেউ আমার কথা শুনবে?"

আমি এই অবন্তিকার কথাই বলবো। আমাকে শুধু সময় দিন।আপনারা এর মাঝে চিন্তা করতে থাকেন, মেয়েটাকে নিয়ে কি পরিমাণ বাজে কথা ছড়ানো হয়েছিল,কোন মুখ গুলো ছড়াচ্ছিল সেটা মনে করতে করতে।

আমি ওর সব কথা হয়তো মনে করে বলতেও পারবো না।আপনারা যারা রিউমার শুনেছেন,সেটা আমাকে মনে করায় দিতে সাহায্য করবেন।

আমি ওর কথাই বলবো ও যা বলতে চেয়েছিল সবাইকে।
আমি মানসিক অবস্থায় নেই সব বলার এখন।
কিন্তু আমি বলবো।
একটু সময় দিন আমাকে।
এর মাঝে আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করবেন না, নক দিবেন না কিছু জিজ্ঞেস করে।
প্লিজজ

Shanta Islam
Fairuz Abontika
মৃত্যু ভীষণ কাছে কেন?
বহুদূর পার হয় নি কেন?
কিছু নরপিশাচের জন্য নিজেকে এমন ভাবে শেষ না ও তো করতে পারতেন।
জীবনে একটা আফসোস থেকেই যাবে আপনার মতো মানুষের সাথে কোনো দিন সামনে থেকে কথা হয়নি আমার।
ওপারে অনেক ভালো থাকবেন অবনী আপু।

Dipu Roy
‘জেনেছি সামনে “হঠাৎ মৃত্যু”
দুইদিন আগেও আপনি বললেন আপু
"আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়"

Abontika জোনাক পাখি হঠাৎ করেই আলো নিভিয়ে চলে গেলো...
কিভাবে পারলেন এটি করতে??
ঈশ্বর আপনাকে ছায়াতলে রাখুক।
ভালো থাকবেন...’

Nazmul Sakin Shanto
সুশান্ত সিং রাজপুত হোক অথবা ফাইরুজ অবন্তিকা আপা, আত্মহত্যার আগে কেউ এদের আশেপাশেও ছিলো না। অথচ ২ জনই যখন মারা গেলো, ফেসবুক জুড়ে Comments And Status* লোকজনের মারাত্মকভাবে Sympathy দেখাইচ্ছে যেই Level এ তাতে ত মনেই হচ্ছে আসামীরা ঘরের বাইরে বের হলে মেরেই ফেলবেন আপনারা!

পারবেন না, কিচ্ছুই হবে না। কয়েকদিন মানববন্ধনের ভণিতা করবেন, আর ১ বছর পর মৃত্যুবাষির্কীর দিন আসলে সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনাদের হারিকেন জ্বালিয়ে খোঁজ করবে এই ব্যাপারে: আপনারা একটু ক্ষোভ জাতীয় কথা বলবেন, আর তাঁরা তাঁদের News Channel'র TRP বাড়াবে!

যদি একজন সত্যিকারের ফাইরুজ আপা পক্ষের মানুষ হন, তাহলে তাঁর মারা যাওয়ার আগে দায়ী ব্যক্তি আম্মান সিদ্দীকী এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে নিজ দায়িত্বে মামলা দিয়ে দিন। ১০০ জন ১০০ মামলা!

তারপর দেখবো, লম্পট গুলো কই যাবে? যদিও আমি এই আত্মহত্যাকে কোনোদিন সমর্থন দিই না, ফাইরুজ আপা আসলেই জীবন যুদ্ধে হেরে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে ফেলছে। আমরা এই ভূল করবো না, ইনশাআল্লাহ। 😒✊🏽

বিশেষ দ্রষ্টব্য: যেহেতু ফাইরুজ আপা মুসলিম ছিলেন, তাই তাঁর ছবি ব্যবহার করে Sympathy আদায় করাকে আমি মুনাফেকি কাজ মনে করি, পারলে শব্দযুদ্ধ করে লড়াই চালিয়ে যান।

   

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আবাসিক হল নিয়ে ‘উসকানিমূলক ও মানহানিকর' মন্তব্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়া এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছে পাঁচ শিক্ষার্থী।

রোববার (০৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এ চিঠি দেয়া হয়।

পাঁচ হলের পক্ষ থেকে চিঠি প্রদানকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রবি চন্দ্র দাস, শেখ হাসিনা হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানি হলের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী উজ্জ্বল হক, কাজী নজরুল ইসলাম হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাছুম।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে আবাসিক হলগুলো বন্ধের ঘোষণা করা হয়। আবাসিক হল বন্ধের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে, ‘আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ঢুকতেছে এবং শিক্ষার্থীদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।’ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এতে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে পড়ে। উপাচার্যের এ দাবি আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য সামাজিকভাবে অপমানজনক। আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষগণও এ ধরনের মন্তব্যকে অনৈতিক বলে মনে করেন। হলসমূহে অস্ত্র কিংবা টাকা ঢুকছে না। এ ধরনের মন্তব্যের কারণে সারাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষগণও শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ৯৩তম সিন্ডিকেটের দাবি প্রত্যাহার করতে হবে। দ্রুতই প্রজ্ঞাপন জারি করে আবাসিক হলগুলো খুলে দিকে হবে এবং শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল সমূহ বন্ধের নির্দেশ দেন। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘হলে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অস্ত্র এবং অর্থ ঢুকছে।’ এ মন্তব্য দ্বারা তিনি কি বুঝিয়েছেন? আমরা আবাসিক শিক্ষার্থীরা টাকার কাছে বিক্রি হয়েছি! আমাদের হাতে যে কেউ টাকা, অস্ত্র ধরিয়ে দিলে আমরা বিক্রি হয়ে যাব? এ হলসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকে। এখানে অনেকেই আছে যারা টিউশন করে পরিবারের খরচ চালায়। অনেক কষ্টে তারা পড়াশোনা করে। এ ধরনের মন্তব্য তাদের পরিশ্রমকে ছোট করে। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য একজন উপাচার্যের মুখে মানায় না। তিনি তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হেয় করেছেন, আমাদের অপমান করেছেন, আমাদের মনঃক্ষুণ্ন করেছেন। উপাচার্যের উচিততার এমন ভিত্তিহীন মন্তব্যের জন্য সকল সাধারণ এবং পাঁচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। সেই সাথে সিন্ডিকেট সভায় আবাসিক হলসমূহ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠিয়ে নিতে হবে। এরজন্য উপাচার্য মহোদয়কে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সভায় অনেকে অনেক ধরনের কথা বলেন। যেখানে ফর্মাল-ইনফর্মাল অনেক কথাই থাকে৷ যে সিন্ডিকেট সদস্য এ কথা সিন্ডিকেটের বাইরে বলে বেড়াচ্ছেন, তিনি সিন্ডিকেটের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন। এছাড়া সিন্ডিকেটের অফিসিয়াল বক্তব্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণ হিসেবে একথা উল্লেখ করা হয়নি। বরং উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’

;

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গণিত বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় ১০ শিক্ষার্থীকে 'এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন' কর্তৃক স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (০৫ মে) সকাল ১১টায় গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জেসমীন আখতারের সভাপতিত্বে চতুর্থ এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের স্বর্ণপদক পরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের হাতে সনদপত্র ও নগদ অর্থের চেক তুলে দেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়৷

এবছর এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদকের জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৫ জন ও স্নাতক পর্যায়ে ৫ জন করে মোট ১০ জন শিক্ষার্থী মনোনীত হন৷ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- প্রকৃতি বিশ্বাস (স্নাতকোত্তর ২০১৭), খন্দকার ফাহাদ মিয়া (স্নাতকোত্তর ২০১৮), রুবিনা বেগম তানজিলা (স্নাতকোত্তর ২০১৯), মোছা: মরিয়াম সুলতানা (স্নাতকোত্তর ২০২০), মোছা. হালিমাতুজ সাদিয়া (স্নাতকোত্তর ২০২১)৷ মো. মিহির আমিন (স্নাতক ২০১৭), সাথী খান (স্নাতক ২০১৮), মোছা. মরিয়াম সুলতানা (স্নাতক ২০১৯), মো. নাসির উদ্দিন সোহাগ (স্নাতক ২০২০), এবং বিটু জয়ধর (স্নাতক ২০২১)।

স্বর্ণপদক ও বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘যেসকল শিক্ষার্থী ভালো ফলাফলের মাধ্যমে এই পদক অর্জন করেছে, এটা তাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কর্ম জীবনে সাফল্য অর্জন করুক সেই কামনা রইলো।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম. নুরুল আলম, বিভাগের শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীরা।

;

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন ৮ ডিসেম্বর



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা জল্পনা কল্পনা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে সমাবর্তন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় -২ অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আগামী ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি ও সভাপতিত্ব করার সম্মতি প্রদান করেছেন।

;

এনএসআই পরিচয়ে চবি শিক্ষার্থীর কাছে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ



চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পদার্থবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এনএসআই পরিচয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে চবি শিক্ষার্থীর সাথে এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয়ে ওই ব্যক্তির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে অত:পর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে আবুল বাহারের ছেলে নাজিম উদ্দীন (৩০) এর বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সুধারামপুর থানায়। বর্তমানে থাকেন নগরীর পাঁচলাইশ থানায়।

এ নিয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বাদীকে দেখা করতে বাধ্য করা এবং হেনস্তা করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, প্রায় সাত মাস পূর্বে ফেইসবুকের মাধ্যমে বিবাদীর সাথে আমার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বর্তমানে এনএসআইতে চাকুরী করেন বলে পরিচয় দেন। এরপর থেকেই বিবাদীর সাথে আমার নিয়মিত কথা চলতে থাকে। কথা বলার এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। পরবর্তীতে বর্ণিত বিবাদী বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে বিভিন্ন সময় আমার নিকট হতে এক লাখ টাকা নেয়। সম্পর্ক থাকাকালীন সে আমাকে প্রায় সময়ই দেখা করার জন্য বাধ্য করতো।

এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, বিবাদীর সহিত আমার প্রেমের সম্পর্ক থাকার কারণে বিবাদী আমার ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ তাহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করতো। বর্ণিত বিবাদী বিভিন্ন সময় আমার শরীরের স্থিরচিত্র বা ভিডিও ধারণ করে তাহার নিকট প্রেরণের জন্য হুমকি প্রদান করতো। বিবাদীর এমন ব্যবহারে আমি অতিষ্ট হয়ে তাহার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

বাদী বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাত অনুমান দশটার সময় বর্ণিত বিবাদী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে আমাকে দেখা করার জন্য জোরাজুরি করলে আমি হল থেকে নেমে ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থলে আসার পরে উক্ত বিবাদী আমাকে টানা হেঁছড়া করে এ সময় আমার বাম হাতের বাহুতে ও ঘাড়ের নিচে নখের আঁচড় দিয়ে সাধারণ জখম করে। তখন আমি বাঁচার জন্য আত্মচিৎকার করলে আমার আত্মচিৎকার শুনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্ররা এগিয়ে এসে বর্ণিত বিবাদীকে আটক করে।

আটক করে তার পরিচয় সঠিকভাবে বলার জন্য বললে সে জানায় যে, সে আমার নিকট মিথ্যা সরকারী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ গ্রহণ করে এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মূলত সে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে সেলসম্যান হিসেবে চাকুরী করে। উক্ত বিষয়ে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অবগত করি।

পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে বর্ণিত বিবাদীকে তাদের হেফাজতে নেয়।

অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মা ফোন রিসিভ করে। তিনি জানান, ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলের সম্পর্ক আছে এ ধরনের কথা আমরা আগে কখনো শুনিনি। তবে গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন করে এ ব্যাপারে আমাকে জানানো হয়েছে। এখন সে পুলিশের হেফাজতে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, প্রায় ছয় মাস আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রেমে জড়ায় প্রতারক মো: নাজিম উদ্দিন। পরবর্তীতে এন.এস.আই'র সদস্য হিসেবেও পরিচয় দেয় এই যুবক। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মেয়েকে দিত বিভিন্ন রকম শর্ত। চুল কেটে ফেলা, রুমমেটদের সাথে সম্পর্কছেদ করা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটার-ও শর্ত দিত মেয়েটিকে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর কথা অনুযায়ী লাখের বেশি টাকা নিয়েছে ছেলেটি। এটিই প্রথম নয় এর আগেও এরকম প্রতারণা করেছে ছেলেটি। যার প্রমাণ আমি পরবর্তীতে পেয়েছি। হাটহাজারী থানায় এ নিয়ে আমি মামলা
করেছি।

মামলার বিষয়ে হাটহাজারী থানার অসি মনিরুজ্জামান বলেন, এরকম একটি ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের কাজ করছেন। অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;