'হেনস্তার' অভিযোগে পদত্যাগ, বিভাগীয় প্রধান বলছেন ‘মেয়াদই নেই’



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
'হেনস্তার' অভিযোগে পদত্যাগ, বিভাগীয় প্রধান বলছেন ‘মেয়াদই নেই’

'হেনস্তার' অভিযোগে পদত্যাগ, বিভাগীয় প্রধান বলছেন ‘মেয়াদই নেই’

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের সহযোগী সংগঠন লিবারেল মাইন্ডস। এ সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা কর্তৃক 'হেনস্তার' শিকার হওয়ার অভিযোগে স্বীয় পদ থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৩ এর সভাপতি মো: আনোয়ার আজম।

তবে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস বলছেন, ‘পদত্যাগ পত্র দেওয়া ব্যক্তির সভাপতি পদের মেয়াদ নেই। নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাই পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না।’

গত ২৯ জানুয়ারির তারিখ উল্লেখ করে মো: আনোয়ার আজম লিবারেল মাইন্ডসের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি পদত্যাগ পত্র দেন।

পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, ‘২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান স্যারের নির্দেশনায় আমি (সভাপতি) এবং আমার কমিটিরসহ সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন (আবির) ও সেক্রেটারি মো. নয়ন মিয়া বিভাগের সেমিনার রুমে বসে দুপুর দেড়টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই এবং তালিকা তৈরির কাজ করছিলাম। একটুপর সেক্রেটারি নয়ন ছোট একটা কাজে রুমের বাহিরে যায়। এর মধ্যে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা ম্যাম এবং ইসরাত জাহান নিমনি ম্যাম সেমিনার রুমে প্রবেশ করেন।’

‘‘তখন শারমিন ম্যাম আমাকে দেখেই হঠাৎ ক্ষেপে যান এবং বিনা কারণে বকাঝকা ও ধমকাতে থাকেন। সেমিনার রুমের একটি চেয়ারকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'তুমি চেয়ারম্যান হয়ে গেছো নাকি? তুমি ঐ চেয়ারে কী করো?' তখন আমি বললাম, 'ম্যাম, আমিতো ওটাতে বসিনি। ওই চেয়ারটা পাশে সরানো আছে' (যদিও সেমিনার রুমে চেয়ারম্যানের জন্য নির্দিষ্ট করা কোনো চেয়ার ছিল বলে আমার জানা নেই)। এরপর উত্তপ্ত হয়ে তিনি আবার বলেন, 'তুমি এখানে কী করো? তোমার তো ছাত্রত্ব শেষ।' আমি বললাম, 'ম্যাম এগুলো ক্লাবের কাজ। আর এটা আমার দায়িত্ব। এছাড়া, ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত আমার ছাত্রত্ব আছে।' এরপরও তিনি আমাকে ধমকাতে ধমকাতে বললেন, 'এখানে (নির্বাচনে) কেনো তুমি ইন্টারফেয়ার করবে? তোমার লজ্জা করে না? এখানে কেন আসবে?' এছাড়া আরও অকথ্য ভাষায় তিনি আমাকে অপমান করতে লাগলেন।’’

‘শিক্ষক হয়েও ওনি যেহেতু যুক্তি বা অধিকারের বাহিরে গিয়ে যা তা বলে যাচ্ছেন; তখন বুঝতে পারলাম, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তিনি সেমিনার রুমে এসেছেন এবং হেয় প্রতিপন্ন করতে আমাকে বাক্যবাণে জর্জরিত করছেন। এমতাবস্থায় আর কোনো উত্তর দেওয়া সমীচীন হবে না মনে করে ধৈর্য সহকারে নিশ্চুপ শুনে গেলাম। ওনার এসব আচরণ খেয়াল করে সেক্রেটারি নয়ন বাহির থেকে আর রুমে প্রবেশ করার সাহস করেননি।’

ব্য‘ক্তিগত আক্রোশ, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতেই হয়তো তিনি এ ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে আমি ধারণা করছি। বিষয়টি আমি তৎক্ষণাৎ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান স্যারকেও মৌখিকভাবে জানিয়েছি। বিভাগের একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর সাথেও এ ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয় বলে আমি মনে করি।’

পদত্যাগ পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘শুধু ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করার কারণেই শারমিন সুলতানা ম্যাম অন্য একজন শিক্ষক এবং জুনিয়র শিক্ষার্থীদের সামনে আমার সাথে যে ধরনের মানহানিকর বাজে আচরণ করেছেন; আমি তাতে খুবই বিব্রত এবং অপমানবোধ করছি। আমি এত বছর ধরে বিভাগে কাজ করেও বিদায়ী মুহূর্তে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপমান সুলভ আচরণের শিকার হওয়ায় খুবই ব্যথিত ও উদ্বিগ্ন। এভাবে চলতে থাকলে কমিটির সদস্যরা কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এবং শিক্ষার্থীরাও ক্লাবে নিজেদেরকে আর সম্পৃক্ত করবে না। অতএব, উক্ত বিষয়ে আপনার এবং বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমি লিবারেল মাইন্ডসের সভাপতির দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছি এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

এ ব্যাপারে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়া মো: আনোয়ার আজম বলেন, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছিলাম, তখন ম্যাম রুমে প্রবেশ করে, আমার সাথে এমন আচরণ করে। আমি ক্লাবের রানিং দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমার সাথে এমন খারাপ আচরণ আমি মেনে নিতে পারিনি। একজন সিনিয়র শিক্ষার্থী হিসেবে এইটা আমি প্রত্যাশা করি না। আমার কাছে খুবই অপমানজনক লাগছে, তাই আমি আমার পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’

সভাপতি পদের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমার পদের মেয়াদ আছে। আমার পদ ঠিকই আছে।’

এ ব্যাপারে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা বলেন, ‘লিবারেল মাইন্ডসের ইলেকশন কমিটিতে আমি জড়িত নেই। নির্বাচন প্রক্রিয়া কমিটিতে কোনোভাবে আমি অফিসিয়ালি নেই। পদত্যাগকারী ছেলেটি যে ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে সেদিন সেমিনার রুমে বই আনতে গিয়ে তার (আজম) সাথে আমার অল্প কিছুক্ষণ কথা হয়। এরপর সে বের হয়ে যায়। ফলে তার সাথে দুর্ব্যবহারের কোনো প্রশ্নই আসে না। সেমিনার রুমের আলমারি তালাবদ্ধ থাকায় আমি ঘটনাস্থলে থাকা আবিরকে বকাঝকা করেছিলাম। কারণ শিক্ষার্থীদের টাকায় বিভাগের দুইজন শিক্ষার্থীকে সেমিনার রুমের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কেন এরকম সময় জ্ঞানহীন শিক্ষার্থীদের সেমিনারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, সে জন্য আমি আবিরকে বকাঝকা দিয়েছিলাম।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার পক্ষে ক্লাসের দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ওই ছেলেটা প্রচণ্ড মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এই অবস্থায় ক্লাসে স্টুডেন্টদের মুখোমুখি হওয়া সম্ভব না।’

এ ব্যাপারে লিবারেল মাইন্ডস কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মহা: হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পদত্যাগ পত্রে সে যা উল্লেখ করেছে তা সব মিথ্যা, বানোয়াট। আমি তাকে কিছুই করতে বলিনি।’

এ ব্যাপারে ইংরেজি বিভাগীয় হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, ‘শিক্ষাজীবনের শেষ পর্যায়ে এসে একজন ছাত্র যেভাবে শিক্ষকের নামে অভিযোগ দিলো তা দুঃখজনক। আমরা তাকে সময় দিয়েছিলাম এই বিষয়টি নিয়ে বসার জন্য। কিন্তু সে কোনো কথাই শুনেনি। শেষ সময়ে এসে এভাবে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অমূলক অভিযোগ দিয়ে সে আসলে কোনো অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে, সেই ভালো জানে। এইরকম ঘটনার পর শিক্ষকরাও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালাতে আগ্রহ পাবে না। ইতোমধ্যে আমার বেশ কয়েকজন সহকর্মী এমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।’

   

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পিবিআই



জবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদাবাজির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনিক (২৮) সহ পাঁচ জনকে আসামি করে ঢাকার সি.এম.এম আদালতে মামলা করা হয়েছে। ফয়সাল হেলাল (৩৪) নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

রোববার (০৫ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রাপুর আমলি আদালতে মামলা করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার প্রথম আসামি মহিউদ্দিন অনিক (২৮), দ্বিতীয় সৌরভ হাওলাদার (২৭), তৃতীয় রিপন (২৮), চতুর্থ হাসিবুল হাসান হৃদয় (২৮) এবং পঞ্চম হিমু (২৯) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শাহা আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিগণ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী ফয়সাল হেলালকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। হেলাল জীবনের ভয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হতে বিরত থাকে। গত ২৬ এপ্রিল সারাদিন ব্যবসা বাণিজ্য করে তার ব্যবসায়ের বকেয়া পাওনা টাকা থেকে দুই লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা কালেকশন করে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় নিজ বাসায় ফেরার পথে ৪২/৪৩, নর্থব্রুক হল রোডে অবস্থিত রাজমহল হোটেলের সামনে পৌঁছানো মাত্র ১নং আসামি মো. মহিউদ্দিন অনিক এর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিগণ বাদীর গতি রোধ করে দাঁড়ায় এবং বাদীর নিকট যা আছে সব দিয়ে দিতে বলে।

বাদী আসামিদের ভয়ে আসামিদের সাথে কথা বলতে বলতে রাজমহল হোটেলের ভিতর ঢুকে যায়। তখন আসামিগণ বাদীর পিছনে পিছনে রাজমহল হোটেলে ঢুকে বাদীকে ঘেরাও করে ধরে বাদীর নিকট থাকা টাকা পয়সা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে দিতে বলে। তখন ১ ও ২নং আসামি বাদীকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। ১নং আসামি বাদীর পকেটে থাকা দুই লক্ষ উনিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। তখন ২নং আসামি বাদীর নিকট আর কি আছে জানতে চায় ও দিয়ে দিতে বলে। অন্যান্য আসামিগণ বাদীকে বেদম মারপিট করে মারাত্বকভাবে আহত করে ৩নং আসামি তার হাতে থাকা চাকু বেড় করে বাদীকে চাকু দিয়ে আঘাত করতে যায়। তখন বাদীর ডাক চিৎকারে হোটেলে কর্মরত কর্মচারীরা এগিয়ে এসে বাদীকে আসামিদের হাত হইতে রক্ষা করে। ফলে আসামিগণ বাদীর মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা অবশিষ্ট টাকা নিতে পারেনি। কিন্তু যাবার আগে ২নং আসামি আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাদীকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে, অন্যথায় বাদীকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

যেহেতু আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে বাদীকে অবৈধভাবে গতিরোধ করে আটক করে মারধর করে মারাত্মক আঘাত করে আহত করে এবং হত্যা করার চেষ্টা করে বাদীর প্যান্টের পকেট থেকে ২ লক্ষ উনিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। এবং বাদীর নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বাদী এ বিষয়ে কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি জানালে বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার পরে বাদী এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ, মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। তাই বাদী বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলবো।

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি।

;

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

কুবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান শিক্ষার্থীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আবাসিক হল নিয়ে ‘উসকানিমূলক ও মানহানিকর' মন্তব্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়া এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছে পাঁচ শিক্ষার্থী।

রোববার (০৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এ চিঠি দেয়া হয়।

পাঁচ হলের পক্ষ থেকে চিঠি প্রদানকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রবি চন্দ্র দাস, শেখ হাসিনা হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানি হলের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী উজ্জ্বল হক, কাজী নজরুল ইসলাম হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাছুম।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে আবাসিক হলগুলো বন্ধের ঘোষণা করা হয়। আবাসিক হল বন্ধের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে, ‘আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ঢুকতেছে এবং শিক্ষার্থীদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।’ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এতে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে পড়ে। উপাচার্যের এ দাবি আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য সামাজিকভাবে অপমানজনক। আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষগণও এ ধরনের মন্তব্যকে অনৈতিক বলে মনে করেন। হলসমূহে অস্ত্র কিংবা টাকা ঢুকছে না। এ ধরনের মন্তব্যের কারণে সারাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষগণও শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ৯৩তম সিন্ডিকেটের দাবি প্রত্যাহার করতে হবে। দ্রুতই প্রজ্ঞাপন জারি করে আবাসিক হলগুলো খুলে দিকে হবে এবং শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল সমূহ বন্ধের নির্দেশ দেন। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘হলে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অস্ত্র এবং অর্থ ঢুকছে।’ এ মন্তব্য দ্বারা তিনি কি বুঝিয়েছেন? আমরা আবাসিক শিক্ষার্থীরা টাকার কাছে বিক্রি হয়েছি! আমাদের হাতে যে কেউ টাকা, অস্ত্র ধরিয়ে দিলে আমরা বিক্রি হয়ে যাব? এ হলসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকে। এখানে অনেকেই আছে যারা টিউশন করে পরিবারের খরচ চালায়। অনেক কষ্টে তারা পড়াশোনা করে। এ ধরনের মন্তব্য তাদের পরিশ্রমকে ছোট করে। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য একজন উপাচার্যের মুখে মানায় না। তিনি তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হেয় করেছেন, আমাদের অপমান করেছেন, আমাদের মনঃক্ষুণ্ন করেছেন। উপাচার্যের উচিততার এমন ভিত্তিহীন মন্তব্যের জন্য সকল সাধারণ এবং পাঁচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। সেই সাথে সিন্ডিকেট সভায় আবাসিক হলসমূহ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠিয়ে নিতে হবে। এরজন্য উপাচার্য মহোদয়কে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সভায় অনেকে অনেক ধরনের কথা বলেন। যেখানে ফর্মাল-ইনফর্মাল অনেক কথাই থাকে৷ যে সিন্ডিকেট সদস্য এ কথা সিন্ডিকেটের বাইরে বলে বেড়াচ্ছেন, তিনি সিন্ডিকেটের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছেন। এছাড়া সিন্ডিকেটের অফিসিয়াল বক্তব্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণ হিসেবে একথা উল্লেখ করা হয়নি। বরং উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’

;

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

গণিতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল, জাবির ১০ শিক্ষার্থী পেল স্বর্ণপদক

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গণিত বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় ১০ শিক্ষার্থীকে 'এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন' কর্তৃক স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (০৫ মে) সকাল ১১টায় গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জেসমীন আখতারের সভাপতিত্বে চতুর্থ এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের স্বর্ণপদক পরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের হাতে সনদপত্র ও নগদ অর্থের চেক তুলে দেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়৷

এবছর এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদকের জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৫ জন ও স্নাতক পর্যায়ে ৫ জন করে মোট ১০ জন শিক্ষার্থী মনোনীত হন৷ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- প্রকৃতি বিশ্বাস (স্নাতকোত্তর ২০১৭), খন্দকার ফাহাদ মিয়া (স্নাতকোত্তর ২০১৮), রুবিনা বেগম তানজিলা (স্নাতকোত্তর ২০১৯), মোছা: মরিয়াম সুলতানা (স্নাতকোত্তর ২০২০), মোছা. হালিমাতুজ সাদিয়া (স্নাতকোত্তর ২০২১)৷ মো. মিহির আমিন (স্নাতক ২০১৭), সাথী খান (স্নাতক ২০১৮), মোছা. মরিয়াম সুলতানা (স্নাতক ২০১৯), মো. নাসির উদ্দিন সোহাগ (স্নাতক ২০২০), এবং বিটু জয়ধর (স্নাতক ২০২১)।

স্বর্ণপদক ও বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘যেসকল শিক্ষার্থী ভালো ফলাফলের মাধ্যমে এই পদক অর্জন করেছে, এটা তাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কর্ম জীবনে সাফল্য অর্জন করুক সেই কামনা রইলো।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম. নুরুল আলম, বিভাগের শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীরা।

;

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন ৮ ডিসেম্বর



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা জল্পনা কল্পনা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে সমাবর্তন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় -২ অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আগামী ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি ও সভাপতিত্ব করার সম্মতি প্রদান করেছেন।

;