ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে চট্টগ্রামের ১৫ টি উপজেলার মধ্যে আটটিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা টাকার হিসাবে প্রায় পৌনে ৪৩ কোটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দ্বীপ এলাকা সন্দ্বীপে।
রোববার (২ জুন) রাতে বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার।
সম্প্রতি জেলার ত্রাণ ও পুর্নবাস দফতর ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক হিসেব করা হয় প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা যায়, জেলার ১৫টি উপজেলার মধ্যে ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, বোয়ালখালী, পটিয়া ও সাতকানিয়াসহ মোট সাতটি উপজেলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বাকি আট উপজেলায় মোট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৪২ কোটি ৭২ লাখ ৬১ হাজার ১৭৪ টাকার। এর মধ্যে সন্দ্বীপে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হয়েছে, যা টাকার পরিমাণে ২৮ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার ১৭৪।
এছাড়া চন্দনাইশ উপজেলায় ৭ কোটি টাকার, মিরসরাই উপজেলার ২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকার, আনোয়ারা উপজেলায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার, বাঁশখালী উপজেলায় ১ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, লোহাগাড়া উপজেলায় ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, সীতাকুণ্ড উপজেলায় এক কোটি ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকার এবং কর্ণফুলী উপজেলায় ৫৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে চট্টগ্রাম জেলায় ৪২ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে। আমরা হিসেব করে এই প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল, যেটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। এটি গত ২৬ মে সন্ধ্যা থেকে ২৭ মে সকাল নাগাদ স্থলভাগ অতিক্রম করে।