কুষ্টিয়ায় বেঙ্গল টোব্যাকো গোডাউনে অভিযান: রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ
অনুমোদন না থাকা এবং বিপুল পরিমাণের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে এমন অভিযোগে কুষ্টিয়ার শহরতলীর জুগিয়ায় বেঙ্গল টোব্যাকোতে অভিযান পরিচালনা করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট। অভিযানে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ কুষ্টিয়া অঞ্চলের রাজস্ব কর্মকর্তারা এবং গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযানে অংশ নেন।
রোববার (৫ মে) বিকেলের দিকে কুষ্টিয়া শহরতলীর জুগিয়া কদমতলার আতিয়ার বেঙ্গল টোব্যাকো নামের ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচলনা করা হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান শেষে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখার আদেশ দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গল টোব্যাকোতে অবৈধভাবে কাঁচা তামাক (র টোব্যাকো) ও প্রসেস টোব্যাকো স্টোর করা হয়। পরে এসব তামাক অবৈধভাবে ভাবে যারা সিগারেট তৈরি করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এই বিক্রির প্রক্রিয়া পুরোটাই ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে। এছাড়াও এসব তামাক বিভিন্ন অবৈধ সিগারেট প্রস্তুতকারক এর কাছে সরবরাহ করা হয়।
তিনি আরও জানান, আজকের অভিযানে প্রায় ২০ লাখ কেজি অপরিশোধিত তামাক ও ৩৫০ কার্টুন (৭০ হাজার কেজি) প্রসেস তামাক পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪২ কোটি টাকা (৪০ কোটি টাকা মূল্যের অপরিশোধিতো তামাক ও ২ কোটি টাকা মূল্যের প্রসেসড তামাক)। যার ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ ৯ কোটি টাকার উপরে।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী অপরিশোধিত তামাকের ক্ষেত্রে ৭% অগ্রিম আয়কর ও ৭.৫% ভ্যাট এবং প্রসেস টোব্যাকোর ক্ষেত্রে ১৫% ভ্যাট ও ৪% অগ্রিম আয়কর পরিশোধ করতে হয়।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সুত্রে জানা যায় যে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযানের বিষয়ে বেঙ্গল টোব্যাকোর সত্তাধিকারি আতিয়ার রাহমান জানান, এই তামাক ভারগো টোব্যাকো ও তারা টোব্যাকোকে সরবরাহ করা হবে। তামাকের বেবসা ছাড়াও এদের সি এন জি পাম্প, পাইপ তৈরি ও বেঙ্গল মোটরস নামক ট্রান্সপোর্ট বেবসা আছে।
এদিকে গতবছর ১৯ মে একই প্রতিষ্ঠানে এমন অভিযানের ঘটনা ঘটে।