দেশে বিদেশি ‘পতাকা উত্তোলনে’ যে সমস্যা



কবির য়াহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকায় কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। 

সোমবার (৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শিত হয়। সংগঠনটির একই কর্মসূচি ছিল দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সেটাও পালিত হয়েছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অল্প সময়ের মধ্যে হলেও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। সরকার-দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটি কর্মসূচির প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করে তাতে পিলে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য; যেখানে লেখা ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশ।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সমাবেশ নিয়ে আপত্তি থাকার কথা না কারো, কিন্তু প্রশ্ন জেগেছে স্বাধীন দেশে অন্য দেশের ‘পতাকা উত্তোলন’ নিয়ে। এখানে উচিত-অনুচিতের দ্বন্দ্ব আছে, আছে আইনি বিধিনিষেধ; এবং এ-ব্যাপারে কি আদৌ সচেতন ছিল সংগঠনটি?

প্রশ্ন তুলেছিলাম এ-নিয়ে ফেসবুকে। বলেছিলাম, ‘এটা অতি-আবেগী, হাস্যকর ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত। ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে, আমরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছি; কিন্তু দেশটির পতাকা উড়ানোর মতো কর্মসূচি পতাকার আবেদন অনুধাবন করতে না পারার মতো ছেলেমানুষি ও হঠকারী কর্মসূচি। এটা ব্যক্তি-ব্যক্তিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে করা যায়, কিন্তু দেশব্যাপী কর্মসূচি দিয়ে করার মতো আনুষ্ঠানিক করা যায় না। কর্মসূচি দিয়ে পতাকা উড়ানো মানে দেশ ও পতাকার প্রতি নিবেদন, আনুগত্য প্রদর্শন। এটা কেবল নিজ দেশের প্রতিই করা যায়। অন্য দেশের প্রতি করা যায় না। একদিনের জন্যে হোক, এক ঘণ্টা কিংবা এক মিনিটের জন্যে হলেও এই আনুগত্য প্রকাশ অপ্রত্যাশিত। এটা নিজ দেশের লাল-সবুজের পতাকার প্রতি আনুগত্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

ফেসবুকে লেখার পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, এটা সংহতি সমাবেশ মূলত। পতাকা উত্তোলনের বিষয়টি এখানে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়ে গেছে কেবল। তারা সচেতন থাকবেন এ-বিষয়ে, যাতে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকার সঙ্গে আনুগত্য ও নিবেদনের প্রশ্নে সাংঘর্ষিক না হয়।

ছাত্রলীগের এই কর্মসূচির প্রতি চোখ রেখেছিলাম। ভিনদেশি পতাকা উত্তোলন বিষয়টির চাইতে সংহতির বিষয়টি তখন চোখে পড়েছে। আগ্রাসনের প্রতিবাদে তারা বক্তব্য রেখেছেন, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি মানবিক আবেদনে জোর দিয়েছেন। দেশে-দেশের ছাত্র আন্দোলনের যে তরঙ্গ তাতে সামিল হওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা। এখানে মানবিক দিক যেমন আছে, তেমনি আছে ছাত্র-আন্দোলনের গভীরতা।

তারপরেও প্রশ্ন থাকে। কারণ ওই ‘পতাকা উত্তোলন’ প্রসঙ্গ! পতাকার আবেদন, নিবেদন এবং আনুগত্য। কারা, কোথায়, কী প্রক্রিয়ায় পতাকা উত্তোলন করতে পারে-এ সম্পর্কে কি সচেতনতা আছে সকল মহলে? সত্যি বলতে কী, এখানে আমাদের জানা-বুঝার সীমাবদ্ধতা রয়েছে অনেক।

‘জাতীয় পতাকা বিধিমালা’ রয়েছে আমাদের। এই পতাকা বিধিমালা মেনে চলা প্রতিটি নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য। এটা কেবল কর্তব্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, অমান্য করলে আছে পড়তে হয় শাস্তির মুখে। ২০১০ সালে প্রণীত সংশোধিত পতাকাবিধি অনুযায়ী জাতীয় পতাকার ব্যবহার বিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। বিষয়টি কম-আলোচিত হলেও যে স্পর্শকাতর, তা এ-থেকেই অনুমেয়।

আমাদের দেশের পতাকা, কিন্তু নির্দিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ছাড়া চাইলেই কি আমরা ব্যক্তি-পর্যায়ে যেকোনো সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পতাকা উত্তোলন’ করতে পারি? মর্যাদার প্রশ্ন, তাই এখানেও আছে নিয়ম। ২০২৩ সালের সংশোধিত পতাকাবিধি অনুযায়ী ঈদে মিলাদুননবি, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, জাতির পিতার জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, এবং সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত যেকোনো দিবসে কেবল বাংলাদেশের সর্বত্র পতাকা উত্তোলন করার নিয়ম। এরবাইরে আছে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিধিবদ্ধ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান। বিদেশি পতাকা উত্তোলনের বিষয়েও উল্লেখ আছে জাতীয় পতাকা বিধিমালায়। এর ৯ ধারায় স্পষ্ট, বাংলাদেশে কারা এবং কী প্রক্রিয়ায় বিদেশি পতাকার ব্যবহার করতে পারবে।

প্রসঙ্গের অবতারণা মূলত ছাত্রলীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু খানিক অমনোযোগিতা হয়েছে মূলত পতাকা উত্তোলন বিষয়ে চলে যাওয়ায়। জাতীয় পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখানে বিদেশি পতাকা উত্তোলনের কোন কর্তৃপক্ষ নয়। এখানে কর্মসূচি ঘোষণা করে পরক্ষণে কেন্দ্রে হয়ত সচেতনতার খানিক প্রচেষ্টা ছিল, কিন্তু দেশব্যাপী এটা সম্ভব হয়নি। আমাদের ধারণা জাতীয় পতাকা বিধিমালা সম্পর্কে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে। ফলে সবখানে যে নিয়ন্ত্রণ-নিয়মরক্ষা, সেটা হয়নি।

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আমাদের পুরনো দাবি। এই দাবি থেকে আমাদের সরে আসার সম্ভাবনা নাই। তবে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে আমরা যেন সংযত থাকি, অন্তত আনুগত্য ও নিবেদনের প্রশ্ন যখন সামনে চলে আসে। দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের অগণন নেতাকর্মী। এই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের সামনে কোন কর্মসূচি দেওয়ার সময়ে খেয়াল রাখা উচিত দেশ-বিদেশ প্রশ্নে যেন কোন সাংঘর্ষিক কিছু না ঘটে। পতাকা নিয়ে যখন কর্মসূচি আসবে তখন যেন এমন কোন কিছু না ঘটে যাতে নিজ দেশের পতাকার মর্যাদাহানি ও পতাকাবিধির ব্যত্যয় না হয়।

কেবল ধারণা থেকে নয়, অভিজ্ঞতা থেকেই বলি, বিপুল লোকের অংশগ্রহণে কোন কর্মসূচিতে নিয়ন্ত্রণ সচরাচর থাকে না। পতাকা নিয়ে আগেও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, মর্যাদাহানি হয়েছে। ওসব জায়গা থেকে আমাদের শেখার ছিল। আমরা হয়ত পুরোপুরি শিখিনি। তবু আশাবাদী হতে চাইছি। ভুল থেকে শিক্ষাগ্রহণের যে শিক্ষা সেটাকে গ্রহণ করতে চাই। ছাত্রলীগের এই কর্মসূচি থেকেও তাই একই প্রত্যাশা।  

আমাদের পঠন-পাঠনে বিস্তর সীমাবদ্ধতা। এটা স্বীকার করে এখান থেকে প্রাপ্তির সুযোগ খোঁজা যেতে পারে। দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি পতাকা উত্তোলন নিয়ে খুব ক্ষীণ স্বরে হলেও যে প্রশ্ন, সেটাকে আমলে নেওয়া যেতে পারে এক্ষেত্রে। এবং এখান থেকে পঠনে আগ্রহ বাড়াতে হবে শিক্ষার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের। জাতীয় পতাকাবিধি নিয়ে পাঠ ও আলোচনার সুযোগকে গ্রহণ করতে হবে। কে জানে একটা ভুল হয়ত দেখাতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার!

   

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্বাচিপ এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

রোববার (১৯ মে) স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আজকে যদি আমাদের নতুন প্রজন্ম জানতে চায়, বাংলাদেশ কেমন আছে? আমরা বলব অবশ্যই ভালো আছে। করোনা মহামারির সময় বাংলাদেশ সফলভাবে সেটি মোকাবিলা করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন ও জনসেবায় চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

স্বাচিপ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফলভাবে দেশ পরিচালনা করছেন। নেত্রী আছেন সংসদে, আমরা আছি রাজপথে। এই কথাটি যেন আক্ষরিক অর্থে সব সময় সত্য হয়। কখনো যেন এটির ব্যতয় না ঘটে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেত্রী সংসদ থেকে নির্দেশ দিবেন, আমরা সেই নির্দেশ পালন করব। শুধু চিকিৎসক সমাজ নয়, দেশের সর্বত্রই স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সমাজ গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

স্বাচিপ রাজশাহী জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ চিন্ময় কান্তি দাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান মিলন, বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোস্তফা আলম নান্নু, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক (সাগর) প্রমুখ।

এর আগে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ অন্যান্য অতিথিরা।

এর আগে সকাল ১১টায় জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণ, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক সহ সকল অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের পর দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

;

‘প্রধানমন্ত্রী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ সহজে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন। ভূমিহীন পরিবারের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অসহায় মানুষের চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছেন।

রোববার (১৯ মে) সকালে মিরপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের আয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় ৩০ জন ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগী ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মাঝে ১৫ লাখ টাকার চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দারিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে।

এ সময় রোগীদের উদ্দেশে সংসদ সদস্য আরও বলেন, রোগে আক্রান্ত হওয়া শুধু আপনাদের কষ্ট নয়, আপনাদের পরিবারেও সমস্যা। মহান আল্লাহ আপনাদের মাফ করুক, রোগের কথা শুনলে আমার নিজেরও কষ্ট হয়। তাই সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এমপি হিসেবে এসব রোগীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জামসেদ আলীর সভাপতিত্বে এসময় মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবি করিমুন্নেসা, এমপি পত্মী দিশা আরেফিন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

মিরপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত ১৫ লাখ টাকার চেকের সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় উপজেলার ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগী এবং থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ৩০ জনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

;

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন-আরসা গোলাগুলি, অস্ত্রসহ আটক ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ।

এসময় আরাসার সন্ত্রাসীদের সাথে এপিবিএনের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এপিবিএন এসময় ১৮ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। পাল্টা গুলি ছুঁড়ে আরসা সদস্যরাও। গোলাগুলির ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল বলেন, শনিবার (১৮ মে) রাতে ওই এলাকার ক্যাম্প-২০ এর পাহাড়ে এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- উখিয়ার ক্যাম্প-১৭ এইচ ব্লকের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের মৃত ফজল করিমের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩০) ও বাদশা মিয়ার ছেলে মো. হারুন (২২)।

এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় তৈরি বড় ওয়ান শুটার গান (এলজি), ৪টি মাঝারি সাইজের ওয়ান শুটার গান (এলজি), ১টি দেশীয় তৈরি এমএমজি সাদৃশ্য ওয়ান শুটার গান, ২টি লম্বা কিরিচ, ৪টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১ রাউন্ড কার্তুজ, ১১টি গুলির খোসা, ২টি কার্তুজের খোসা, হ্যান্ড গ্রেনেডে ব্যবহৃত দুই প্যাকেট লোহার বল ও ২টি ওয়াকিটকি চার্জার উদ্ধার করা হয়।

অধিনায়ক ইকবাল জানান, নাশকতার উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ- হ্যান্ড গ্রেনেডসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার শীর্ষ চার সন্ত্রাসী অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি টিম রবিবার রাতে ক্যাম্প-২০ এর এস১/বি৭ ব্লকস্থ কাটা তার সংলগ্ন পাহাড়ের পেয়ারা বাগানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদগুলো উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

;

‘অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার প্রবাসী কর্মীদের আরও উন্নত, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে সব অংশীজনদের সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘দি প্রজেক্ট লঞ্চিং এন্ড স্টেকহোল্ডার নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট ফর দ্য রিইন্টিগেশন অব মাইগ্রান্ড ওয়ার্কার্স প্রজেক্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

এ সময় পার্লামেন্টারি ককাস অব মাইগ্রেশন এন্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপারসন তানভীর শাকিল জয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচজ পিনানি, আইলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টার তুমো পৌতিয়াইনেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও এনজিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন এবং তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের বিশাল অবদানকে সর্বদা স্বীকার করে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, আমরা তাদের (অভিবাসী কর্মী) থেকে অনেক কিছু নিয়েছি, এখন তাদের কিছু ফেরত দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা ও কাউন্সেলিং দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা যাতে সমাজে সুষ্ঠুভাবে বসবাস করতে পারে, চাকরি খুঁজে পায়, ব্যবসা শুরু করতে পারে এজন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে।

এ সকল প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের দেশে এবং দেশের বাইরে উন্নত সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

;