শীতে ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শীতে ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা

শীতে ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সবজি বাজারে ব্রকলি এখন একটি পরিচিত নাম। ব্রকলি মূলত শীতকালীন সবজি। ব্রকলি বা ব্রোকোলি ক্রসিফেরী গোত্রের অন্তর্ভূক্ত শীতকালীন সবজি। এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট, আঁশ আছে। এই সবজি হৃদরোগ, বহুমূত্র এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

অনেকটা ফুলকপির মত চেহারার এই সবজি যেমন পুষ্টিগুণসম্পন্ন, তেমনই সুস্বাদু। ফ্লু জাতীয় সর্দি, কাশি, জ্বরের হাত থেকে রক্ষা করে ব্রকোলি। 'সালফোরাফেন' থাকার কারণে ব্রকোলি করোনাভাইরাস রুখতেও সাহায্য করে। ব্রকোলি দিয়ে সবজির পদ রান্না এখন সাধারণ মানুষের রান্নাঘরেও জায়গা করে নিয়েছে। সালফোরাফেন ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে এবং অত্যধিক অনাক্রম্যতা থেকে কোষকে রক্ষা করতেও কার্যকর। ফলে ব্রকোলি অনেকটা বেশি কার্যকর বিশেষ কয়েকটি রোগ প্রতিরোধ করতে।

ব্রকলির স্বাস্থ্যগত উপকারিতা : ব্রকলি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি, নিয়মিত খেলে এসব রোগ থেকে মুক্তি মিলবে- 

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্রকলি অনন্য। ব্রকলিতে থাকা বিটা ক্যারোটিন, এস্ট্রোজেন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। বিশেষ করে স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্রকলি অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া প্রোস্টেট, কোলন, ফুসফুস, যকৃত ক্যান্সারের প্রতিরোধেও ব্রকলির কার্যকারিতা বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে।

অ্যালার্জির সমস্যা দূর করে
গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালার্জির সমস্যা ও যেকোন প্রদাহ দূর করতে ব্রকলির জুড়ি নেই। ব্রকলিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩, অ্যানজাইম। যা প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া যারা আর্থাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্যও ব্রকলি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ব্রকলি ভিটামিন সি ও সেলিনিয়ামের গুণেও ভরপুর। এই উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দেহে ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে।ফলে সর্দি-কাশির সমস্যা কমে যায়।

হাড় মজবুত করে
হাড় মজবুত রাখতে ব্রকলি খুবই কার্যকর। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে হাড়ের জন্য খুবই ভালো। এছাড়া ব্রকলিতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস।
সব বয়সীদের জন্যই ব্রকলি উপকারি। তবে বাড়ন্ত শিশু ও স্তন্যদানকারী মায়ের জন্য ব্রকলির উপকারিতার শেষ নেই।

ত্বক ভালো রাখে
ত্বক সুস্থ রাখে ব্রকলি। ব্রকলিতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক করে ঝলমলে। যারা ত্বক সুস্থ রাখতে চান তারা নিয়মিত ব্রকলি খেতে পারেন। প্রাকৃতিকভাবেই এটি ত্বক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন কে, ফলেট ও অ্যামিনো এসিড ত্বকের জন্য বেশ ভালো।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
এ ছাড়া এতে প্রচুর আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।

বার্ধক্য প্রতিরোধ করে
ব্রকলিতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বয়সের ছাপ কমাতে অত্যন্ত উপকারি। শুধু তাই নয়, ত্বকের মরাকোষ, ব্রণ, দাগ দূর করতে ভূমিকা রাখে। তাই নিয়মিত ব্রকলি খাওয়া ভালো।

ক্ষতিকর উপাদান দূর করে
আমাদের দেহে নানা ধরনের ক্ষতিকর উপাদান জন্ম নেয় এবং নানা রোগব্যাধির কারণ হয়। দেহের ক্ষতিকর উপাদান দূর করতে ব্রকলি খুবই কার্যকর। ফলে অনেক রোগ-বালাই থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এ ছাড়া ব্রকলি হজমে সহায়তা করে, পেট ভালো রাখে।
দুর্দান্ত কিছু পুষ্টি উপাদানের কারণে সেরা সবজিগুলোর মধ্যে ব্রকলি একটি। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় ব্রকলি রাখুন।

তথ্যসূত্র-ইটিভি ভারত

   

ভাজা বনাম কাঁচা, যে বাদাম বেশি উপকারী



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাদাম / ছবি: সংগৃহীত

বাদাম / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাদাম অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রোটিন, উপকারী স্নেহ, ফাইবার, খনিজ উপাদানসহ অনেক পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। মিষ্টিজাতীয় খাবারসহ বিভিন্ন রান্নায় নানানরকম বাদাম ব্যবহার করা হয়। নাস্তা হিসেবে বাদাম এমনিতে আস্তও খাওয়া যায়। বাদাম অনেকে হালকা ভাজা বা রোস্টেড বাদাম খেতে পছন্দ করেন। চিকিৎসকরাও প্রতিদিন অল্প করে হলেও, বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।

রোস্টেড বাদাম খুব জনপ্রিয় একটি নাস্তাজাতীয় খাবার। বেশিরভাগ বাদাম খোসা থেকে ছাড়িয়ে তারপর ভাজা হয়। তবে চিনা বাদাম খোসাসহই ভাজা হয়ে থাকে। বাদাম সাধারণত দু’ভাবে রোস্ট করা যায়। প্রথম হচ্ছে তেলে ভাজা এবং অন্যটি হলো আঁচে ভাজা।

তেল, ঘি বা মাখন দিয়ে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম ইত্যাদি ভেজে খাওয়া হয়। অনেক সময় বিভিন্ন বাদাম মাক্রোওভেন বা চুলাতেই তেল ছাড়া শুধু আঁচে ভাজা হয়। মূলত কাঁচা বাদামকে ভাজা হয় এর স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা এবং মচমচে ভাব আনার জন্য। ভাজার পর বাদামের রঙও কিছুটা পরিবর্তন হয় আর আর্দ্রভাব কমে গিয়ে একটু ক্রিস্পি বা মচমচে স্বাদ আসে।

অনেকেই ভাবেন বাদাম কাঁচা খাওয়া বেশি ভালো নাকি ভাজা? বাদাম ভাজার কারণ এর পুষ্টিগুণ আবার কমে যায় কিনা! জেনে নেওয়া যাক ভাজা আর কাঁচা বাদামের পার্থক্য-

১. স্বাদ এবং রঙে পরিবর্তন থাকলেও বাদাম যেকোনো ভাবে খাওয়াই অনেক উপকারী। যদিও ভাজা বাদামে তেল ও ক্যালরির পরিমাণ একটু বেশি থাকে। তবে পার্থক্য খুবই নগণ্য।

 ২. বাদামে প্রচুর মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এসব ফ্যাট রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদয়কে সুরক্ষিত রাখে। কিছু পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট তাপের সংস্পর্শে আসলে নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে অনেক্ষণ ধরে রান্না করা বা উচ্চ তাপে ভাজা বাদামে এসব উপাদান ক্ষতিগ্রস্থ এবং অক্সিডাইজ হয়ে যায়।

৩. ভিটামিন ‘ই’,  ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস- এসব উপাদানের উত্তম উৎস হলো বাদাম। এসব উপাদান তাপের প্রতি সংবেদনশীল। এরফলে তাপ দেওয়া বাদামের এসব উপাদান হারিয়ে যেতে পারে।

৪. ভাজা বাদামে যে অনন্য স্বাদ, রঙ এবং গন্ধ থাকে তা মেলার্ড নামক রাসায়নিক যৌগ গঠন করতে পারে। এই মেলার্ড অ্যামিনো অ্যাসিড অ্যাসপারাজিন এবং বাদামের গ্লুকোজের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন

;

আপেল জুস শরীরে যে প্রভাব ফেলে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আপেল জুস

আপেল জুস

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে ‘অ্যান অ্যাপেল অ্যা ডে, কিপস দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে।’ যার সোজা বাংলায় অর্থ হলো, প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। মূলত, আপেলের গুণাগুণ প্রকাশ করে এই প্রবাদ।

তবে এত উপকারী আপেল দিয়ে যখন জুস তৈরি হয় তখন তার গুণাগুণ কি একইরকম থাকে- এটা বেশ বড় একটা প্রশ্ন। অনেকেই ফ্রেশ আপেল জুস পান করতে পছন্দ করে। তবে তারা হয়তো জানেই না এটা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাবও ফেলতে পারে।

ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ শুভা রমেশ এল. বলেছেন, ‘আপেলের জুস অ্যালকোহলের মতো ক্ষতিকারক হতে পারে। এই বিষয়টি শুনে চমকে যাওয়া স্বাভাবিক, তবে একেবারে ভিত্তিহীন নয়। এক্ষেত্রে কিছুটা বিচার বিবেচনা করা প্রয়োজন। উভয় পানীয়ই আমাদের শরীরে অনেকগুলো প্রভাব ফেলে যা পারক পক্ষে একইরকম। সেগুলো কে চিহ্নিত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। ’

আপেলের রস এবং অ্যালকোহলের গ্রহণে এতে থাকা শর্করা আমাদের শরীরে ভিন্নরকম প্রক্রিয়া শুরু করে। যেমন রক্তে শর্করা ও চিনির পরিমাণ, লিভারের কার্যকারিতা তারতম্যে ব্যাঘাত এবং ওজন বৃদ্ধির মতো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

ঘূর্ণিঝড়ের বন্দি সময় কাটাবেন যেভাবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবন্দি / ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবন্দি / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদিন ধরে অনবরত ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা হাওয়ার তোড়ে বাইরে বের হওয়ার জো নেই। এইদিকে বিদ্যুৎবিভ্রাটও সীমাহীন। এই মুহূর্তে মোবাইল, ল্যাপটপ সহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করাও ঠিক নয়। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য চার্জ বাঁচিয়ে রাখতে হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের মতে আগামী এক সপ্তাহ বৃষ্টি হবে। এমন অবস্থায় সারাদিন ঘরে বসে থাকা বিরক্তিকর হতে পারে। তবে পরিবারের সবার সঙে্গ এই অবসর সময়কে আনন্দঘন করে তুলতে পারেন।

১. সাধারণত যেসব পরিবারের অধিকাংশ সদস্য কর্মজীবী তারা একে অপরের সঙ্গে কথোপকথনের বিশেষ সুযোগ হয় না। এই বৃষ্টির সময়ে ঘরবন্দি থেকে সকলে মিলে বসে গল্প করতে পারেন।

২. পরিবারের সবাই বসে একসঙ্গে কোনো খেলা খেলতে পারেন। ক্যারাম, সাপ-লুডু, দাবা, উনো এরকম খেলাগুলো উপভোগ করতে পারেন।

৩. ঘরে থেকে পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে বিশেষ কিছু রান্না করতে পারেন। এছাড়া নাস্তাজাতীয় খাবার নিয়ে ঘরের মধ্যেই ছোটখাটো ঘরোয়া পিকনিকের আয়োজন করতে পারেন।

বৃষ্টি উপভোগ

৪. একঘেঁয়েমি কাটানোর জন্য কোনো পারিবারিক সিনেমা দেখতে পারেন। গল্পের বই পড়া, গান শোনা অথবা একত্রে মজার ধাঁধাঁ সমাধান করার মতো বিভিন্ন কাজ করেও আনন্দ উপভোগ করে সময় কাটাতে পারেন।

৫. পরিবারের শিশু এবং ছোট সদস্যদের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝিয়ে বলতে পারেন। এছাড়া, ঘুর্ণিঝড়ে করণীয় এবং সতর্কতাগুলো মজার ছলে বলতে পারেন। এতে শিশুরাও গল্প করতে করতে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে এবং সতর্কতা সম্পর্কে অবগত হতে পারবে।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে প্রবল হাওয়া বইতে থাকে। এই সময় বাইরে যাওয়ায় নানারকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খুব জরুরি প্রয়োজন না হলে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং ঘরেই অবস্থান করুন। বাতাস উপভোগ করতে বা বৃষ্টিতে ভেজার জন্য বাইরে যাওয়া উচিত হবে না।    

তথ্যসূত্র: প্যারেন্টস  

;

ঘূণিঝড়ের সময়ে সতর্কতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঘূণিঝড়ের সময় করণীয়

ঘূণিঝড়ের সময় করণীয়

  • Font increase
  • Font Decrease

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। উপকূল অঞ্চলগুলোতে ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি আর উত্তাল ঢেউয়ের প্রকোপ। কিছু অঞ্চলে পানি ও বাড়তে শুরু করেছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করার পরও অনেকে নির্বিকার। ঘূর্ণিঝড়ের এমন সংকটময় মুহূর্তে সাবধান হতে হবে সকলকে। ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে কি করতে হবে জেনে নিন-

১. মোবাইল, টিভি সহ অন্যান্য গণমাধ্যম থেকে নিজ এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিন। বিদ্যুৎ সংকট হলে রেডিও থেকে খবর নিন। অথবা এলাকায় প্রচার করা সতর্ক বাণী মনেযোগ দিয়ে শুনুন।  

২. নিজের পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সতর্কতা সম্পর্কিত তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করতে থাকুন। ঘূর্ণিঝড়ের জরুরি অবস্থার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকুন। বৈদ্যুতিক জিনিসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখুন। 

৩. বিপদে বিচলিত হওয়া যাবে না। অন্যদের কাছে নিজ অবস্থানের তথ্য পাঠান। গুজব উপেক্ষা করুন এবং এধরনের খবর রটানো এড়িয়ে চলুন। এতে বিপদের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত আতঙ্ক সৃষ্টি এড়ানো যাবে।

৪. শুধুমাত্র অফিসিয়াল তথ্য বিশ্বাস করুন। আপনার এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা চালু থাকলে স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যান। পাশাপাশি রেডিওসহ অন্যান্য মাধ্যমে সতর্কবাণী প্রচারে খেয়াল রাখুন। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আনুমানিক বিপদ পরিস্থিতি জেনে নিন।

৫. উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মহাবিপদ সংকেত দিয়ে সতর্কতা দেওয়ায় নিচু সৈকত বা উপকূল থেকে দূরে সরে যান। উঁচু জমিতে বা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন।

৬. উপকূল এবয় বন্দর অঞ্চলে যাদের বাড়ি নিরাপদে উঁচু জমিতে তারা বাড়িতেই অবস্থান করুন। যদি বাড়ি খালি করতে বলা হয় তবে অতিসত্তর আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে দ্বিধা করবেন না।

৭. সেসব অঞ্চলে যাদের বাড়িতে কাঁচের জানালা ও দরজা আছে তারা বোর্ড দিয়ে আগলে বা শাটার লাগিয়ে রাখুন। বাইরে থেকে আড়াল করার শক্তিশালী বিকল্প মাধ্যম থাকলে তাও ব্যবহার করতে পারেন। নয়তো ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে কাচের জানালা ভেঙে আরও বড় বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

মহাবিপদ সংকেতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন

৮. ঢেকে রাখা যায় এমন পাত্রে যথাসম্ভব অতিরিক্ত খাবার এবং পানীয় জল সংরক্ষণ করুন। প্রয়োজনে যেন বহন করা যায় সে ব্যবস্থা করে রাখুন।

৯. হারিকেন, লণ্ঠন, টর্চ মোম বা অন্যান্য জরুরী বাতি ধরনের জিনিস হাতের কাছে রাখুন। প্রয়োজনীয় জিনিস বহনযোগ্য শক্তিশালী পানিপ্রতিরোধক ব্যাগে প্যাক করুন। ওষুধ, শিশু বা বয়স্কদের জন্য বিশেষ খাবার, শুকনো খাবার, ব্যাটারি, চার্জার সহ অন্যান্য জিনিস সংগ্রহ করে রাখুন।

১০. বন্যা বাড়ি ছাড়তে হলে মূল্যবান জিনিস বাড়ির উপরের তলায় নিয়ে যান। ছোট এবং আলগা জিনিস, যা প্রবল বাতাসে উড়তে পারে, ঘরে নিরাপদে সংরক্ষণ করা উচিত।

১১. ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কেটে না যাওয়া অবধি বাতাস শান্ত হয়ে গেলেও বাইরে বেরোবেন না। বিরূপ পরিস্থিতিতে আগে জীবন বাঁচানোর চিন্তা করুন। সহায়-সম্পত্তি নিয়ে হাহাকার করা বোকামি। আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বরতরা  যতক্ষণ না আপনাকে চলে যাওয়ার জন্য জানানো হয় ততক্ষণ আশ্রয়কেন্দ্রেই অবস্থান করুন।

 তথ্যসূত্র: এনডিএমএ

;