যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হওয়ায় ফিলিস্তিনিদের উল্লাস
স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গাজা উপত্যকায় একটি প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার পরপরই রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনিরা।হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় উল্লাস করেছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন সাইটে শেয়ার করা ভিডিও ক্লিপগুলোতে দেখা গেছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ, খান ইউনিস এবং কেন্দ্রীয় দেইর আল-বালাহ শহরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় হামাস জানায় যে, তারা গাজা উপত্যকায় প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
হামাসের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং তার সংগঠনের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুমোদনের কথা জানিয়েছেন।
হামাস এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এমন সময় অনুমোদন দিল যখন ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের পূর্ব পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়ে সেখানকার ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করে। প্রায় ১৫ লাখ উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। ইসরায়েল অনেক দিন থেকেই এই রাফাহতে অভিযান চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে।
মিশরের রাষ্ট্রীয় আল কাহেরা নিউজ চ্যানেল একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার ভোরে বলেছে, গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য হামাসের একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার ভোরে কায়রোতে আসে।
এর আগে হামাসের প্রতিনিধি দলটির সদস্যরা তাদের নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য দুই দিনের যুদ্ধবিরতি আলোচনার পর রোববার মিশরের রাজধানী ত্যাগ করেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়। সেই সঙ্গে অন্তত ২০০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এর জবাবে ওইদিন থেকেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় গত কয়েক মাসের ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজার ৭০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সেই সঙ্গে প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।