বছরজুড়েই তোপের মুখে ছিল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ

  সালতামামি


সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ একই মন্ত্রণালয়ের পৃথক দু’টি বিভাগ। বিদায়ী বছরে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতিহাসের খাতায় নাম লেখালেও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ হঠাৎ বছরজুড়েই ছিল জনগণের তোপের মুখে।

তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে ঢিমেতাল নিয়ে ছিল বিশেষজ্ঞদের চরম আপত্তি। সেই সঙ্গে বিদেশি কোম্পানিকে চড়াদামে কাজ দেওয়া, বছরজুড়েই নানা দুর্ঘটনা, সর্বশেষ তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে গণপরিবহনের বিশৃঙ্খলার সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ে এই বিভাগের কাঁধে।

নভেম্বর মাসের ৩ তারিখে (মধ্যরাত থেকে) হঠাৎ করেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়। দাম বাড়ানোর সময় ইতিহাসের সকল রেকর্ড গুঁড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন । লিটার প্রতি ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। ওই ঘোষণার পরে গণপরিবহনে অরাজকতা নেমে আসে। বাস মালিকরাও ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করতে থাকে। যাত্রীদের সঙ্গে টুকাটুকি শুরু হলে অঘোষিত ধর্মঘটে চলে যায় বাস মালিকরা। শেষতক গাড়ি মালিকদের চাপেই ২৭ শতাংশ গাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দেয় সরকার। ভাড়া বাড়ানোর পরে সিএনজিচালিত বাসেও বর্ধিত ভাড়া নিতে থাকলে আরেক লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়। সমাধান হিসেবে ডিজেল চালিত বাসে স্টিকার সাটানো হয়।

এই ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথম দিকে বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন চলে আসলেও ১৯ নভেম্বর রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় রাজধানী শহর ঢাকা। লাগাতার আন্দোলনের মুখে প্রথমে বিআরটিসির বাসে পরে ৩০ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে ঢাকায় হাফভাড়া করার ঘোষণা দেন বাস মালিকদের সংগঠন।

করোনার সংকট কাটিয়ে না উঠতেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোয় তখন অনেকেই সমালোচনা মুখর হয়েছিলেন। যদিও জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার দাম বাড়ানোর কথা। বিশ্ববাজারে দাম কমে গেলে আবার কমানো হবে। তাদের সেই বক্তব্য অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন তেলের দাম বাড়লে নানামুখী প্রতিঘাত হয়। বরং তেলের দাম অন্যভাবে সামাল দিলে অরাজকতা হতো না।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অক্টোবর ২০২১ মাসে মোট ৭২৬.৭১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলেছে বিপিসি। আর ভাড়া বাড়ানোর কারণে দৈনিক ২শ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুণতে হবে। বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা মুনাফার জন্য ৭৩ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শুধু ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির উত্তাপে নয়, বছরজুড়েই নানা দুর্ঘটনায় সমালোচিত হয় জ্বালানি সেক্টর। আগের বছর (২০২০) নারায়ণগঞ্জ মসজিদে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের প্রাণহানির ক্ষত না মুছতেই ২০২১ সালে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা সেক্টরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।

সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে জুনে রাজধানীর মগবাজারে। ভয়াবহতা এতো ব্যাপক ছিল আশপাশের ভবন ও রাস্তার ওপর বাসে থাকা যাত্রীরাও আহত হন। রাস্তার বিপরীত দিকের ভবনে থাকা আড়ংয়ের শো-রুমের সব কাঁচ ভেঙে রাস্তায় পড়ে যায়। কয়েকশো গজ দূরে থাকা একটি বাসের সবগুলো কাঁচ ভেঙে পড়ে যায়। দেশ বিদেশের মিডিয়ায় জায়গা করে নেয় মগবাজার ট্রাজেডি।

ওই ক্ষত দূর না হতেই ১২ নভেম্বর ফতুল্লায় একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ২ নারী নিহত ও ১৫ জন আহত হন। মগবাজার থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে পুরান ঢাকায় গ্যাস বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধসহ ১০ জন আহত হন। এছাড়াও ছোট খাটো আরও অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে গ্যাস সংশ্লিষ্ট অগ্নিকাণ্ডে। বিদায়ী বছরে সব মিলিয়ে শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদের। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হয়েছে কিন্তু খুব একটা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। অনেক সুপারিশ এসেছে কিন্তু সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার নজির কমই রয়েছে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চলে গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। তিতাস গ্যাসের নেটওয়ার্কের অনেক লাইনই তিন-চার দশকের পুরোনো, শত শত লিকেজ, জীর্ণ লাইন রয়েছে। পাশাপাশি নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য জটিল করে তুলেছে পরিস্থিতি। রাস্তার উন্নয়ন, ওয়াসা, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়িতেও নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গ্যাসের পাইপলাইনের ক্ষয় রোধে ক্যাথডিক প্রটেকশন (সিপি) ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় নিম্নমানের সিপি ব্যবহার করা হয়। পাইপের সঙ্গে থাকা ক্ষয়রোধী কভারও দেওয়া হয় নিম্নমানের। ফলে লাইন দ্রুত জীর্ণ হয়ে পড়ে। এভাবে জরাজীর্ণ লাইনগুলো হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী।

এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্যাসের রাইজার থেকে চুলা পর্যন্ত অনেক বাসায় লিকেজ রয়েছে, সুইচের গোড়াতেও লিক রয়েছে। যারা প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করছে, এরাই আমাকে বলেছে রাইজার থেকে চুলা পর্যন্ত লিকেজের কথা। এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব গ্রাহককেই নিতে হবে, তাদেরকে সচেতন হতে হবে।

জ্বালানি বিভাগের দর্শন নিয়েও রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল নিজস্ব সম্পদের সর্বোচ্চ আহরণ ও ব্যবহার। কিন্তু বাংলাদেশ দিন দিন আমদানির দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে, কখনও বাধ্য হয়ে কখনও স্বেচ্ছায় সপে দিয়েছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে স্বল্প সময়ে যে কাজ করেছেন অন্যরা দীর্ঘসময়ে তার ধারে কাছেও নেই।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন বলেছেন, জ্বালানি খাতে বঙ্গবন্ধু যেটুকু করে গিয়েছিলেন সেটার সুবিধা ভোগ করছি, আমরা তার নীতি, পথও অনেকটা হারিয়ে ফেলেছি।

তিনি বলেছেন, গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। সেদিকে সেভাবে দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে না। দেশীয় জ্বালানির বিকল্প হতে পারে না। অবশ্যই বিকল্প রাখা উচিত।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ১/২ বছরে যেভাবে কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু এতো বছরে যদি চলতে পারতাম তাহলে চিত্র ভিন্ন হতো। যিনি এক-দুই বছরে পুরো সাগরকে অনুসন্ধানের আওতায় আনলেন। তবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের আইডিয়াল সিচুয়েশন আর দেখতে পেলাম না।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এখনও তিমিরেই রয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর মাত্র ৪০টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে, একই সময়ে ত্রিপুরা কূপ খনন করেছে ১৬০টি। ত্রিপুরা (মাত্র ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তন) ১৬০টি কূপ খনন করে মাত্র ১১টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার করেছে, এরমধ্যে ৭টি থেকে উৎপাদন করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সফলতার হার অনেক উচ্চ। ১০টি কূপ খনন করে ১টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে তিনটি কূপ খনন করে ১টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে প্রথম কূপ খনন করা হয় ১৯১০ সালে। বর্তমান সময় পর্যন্ত (১১০ বছরে) মাত্র ৯৫টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে। এতে করে ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। এর বাইরে মোবারকপুর, কশবা ও কুতুবদিয়ার মতো কয়েকটি ফিল্ড রয়েছে যেগুলোতে গ্যাসের আঁধার পেলেও বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য নয় বলে ঘোষণা করা হয়নি। যে কারণে বাংলাদেশের তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম এখনও তিমিরেই বলা হয়।

তবে স্থবিরতা কাটিয়ে কিছুটা গতিতে ফেরাতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার। গত ১১ বছরে ১৯টি অনুসন্ধান কূপ খনন করেছে। কূপ খননে বঙ্গবন্ধু সরকারের সাফল্য ছিল পিলে চমকানোর মতো। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরে সময়ে ৯টি কূপ খনন করেছিলেন। অফসোরে (সাগরে) ৭টি এবং স্থলভাগে ছিল ২টি। আর অবশিষ্ট ৩৬ বছরে অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে মাত্র ১২টি।

সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম এখনও প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে গভীর সমুদ্র অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে গেছে এই কার্যক্রমের বাইরে। সাগরে বাংলাদেশের সীমানার ওপার থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে মিয়ানমার। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানার ওপার থেকে ১১৬টি কূপ দিয়ে গ্যাস উত্তোলন করছে ত্রিপুরা। অবহেলিত পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা অশোকনগরে তেল আবিষ্কার করেছে ভারত।

এতে করে এতোদিন যারা দেশের পশ্চিমাঞ্চলে (রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা অঞ্চল) তেল-গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই মনে করতেন তারাও এখন নড়েচড়ে বসেছেন। বিশাল এই অঞ্চলটিকে গত ১১০ বছরে মাত্র ৬টি কূপ খনন করা হয়েছে তার মধ্যে ৫টিতেই তেল-গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তারপর আর কাজ হয়নি কূপগুলো নিয়ে। এ কারণে আজকে দেশ জ্বালানি সংকটে পড়েছে। বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। তারপরও সংকট সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। বন্ধ আবাসিকে গ্যাস সংযোগ, শিল্পে দেওয়া হচ্ছে বেছে বেছে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

   

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা এখন থেকে কেবল নগদে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এখন থেকে একমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে নগদ লিমিটেড প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ভাতা বিতরণ করবে।

রোববার (২ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং নগদ লিমিটেডের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা নগদ একমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে এই ভাতা বিতরণ করবে।

চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আরও ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্কিম পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আসাদুল হক এবং ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তরুণ কান্তি শিকদার।

চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) স্মৃতি কর্মকার। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ডাক অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আবু তালেব। এবং নগদ লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম।

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় সহায়তা করার জন্য এই ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নেন। যাত্রার শুরু থেকে বিভিন্ন শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তার পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে এই ভাতা বিতরণ করা হয় ডিজিটাল মাধ্যমেও। সে সময় থেকে গত বছর পর্যন্ত এই ভাতার উল্লেখযোগ্য একটা অংশ বিতরণ হতো নগদের মাধ্যমে। তবে এখানে অন্য মোবাইল আর্থিক সেবাও দায়িত্ব পালন করত। এবারের চুক্তির ফলে এমএফএসগুলোর মধ্যে নগদ এককভাবে এই ভাতা বিতরণ করবে।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা, প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা স্বচ্ছভাবে বিতরণ করায় নগদের সাফল্যের কারণেই ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাকে একক দায়িত্ব দিয়েছেন তারা। এছাড়া একাধিক মোবাইল আর্থিক সেবাকে দায়িত্ব দিলে হিসাব রাখা জটিল হয় এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় না বলে এককভাবে এই প্রতিষ্ঠানটিকে তারা বেছে নিয়েছে।

নগদের সাথে এই চুক্তি করায় সন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় এই শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গড়ে উঠেছে। আমরা চাই, এই ট্রাস্ট যেভাবে অসহায় ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেয়, তা যেন স্বচ্ছভাবে বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ এখন সফলভাবে ডিজিটাল হয়েছে। সেজন্য আমরা সব সেবাই ডিজিটাল মাধ্যমে দিতে চাই। নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে সরকারের সাথে মিলে ডিজিটালাইজেশনের কাজ করছে। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা সফলতা ও স্বচ্ছতার সাথে বিতরণ করছে। সেজন্যই নগদের ওপর আস্থা রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।

অনুষ্ঠানে নগদের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, নগদ শুধু ব্যবসা করার জন্য কাজ করে না। সরকারের অংশীদার হিসেবে দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি আমরা। তার অংশ হিসেবে ২৭টি মন্ত্রণালয়ের ভাতা সাফল্যের সাথে বিতরণ করছে নগদ। এবার প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ভাতা বিতরণের জন্য একমাত্র এমএফএস হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা এই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।

করোনার সময় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা বিতরণের মাধ্যমে নগদ ভাতা বিতরণের কাজ শুরু করে। এরপর সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা ও প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণে তাদের দারুণ স্বচ্ছতা ও সাফল্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে উৎসাহিত করেছে।

  সালতামামি

;

ইজিবাইকের জ্বালানি খরচ সব থেকে কম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইজিবাইকে প্রতি কিলোমিটারে জ্বালানি খরচ হয় মাত্রা ৯৭ পয়সা আর প্রাইভেটকারে ৮.৬০ টাকা। বাসযাত্রায় খরচ হয় ২ টাকা ১৫ পয়সা। ইজিবাইকের প্রকৃত খরচ তার থেকেও কম বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

রোববার (২ জুন) সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত 'উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট'-এর (ক্লিন) উদ্যোগে সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে ইজিবাইকের ভূমিকা’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন দাবি করা হয়।

‘ক্লিন’-এর গবেষণা কর্মকর্তা সেজিনা খান বলেন, দুর্ঘটনাপ্রবণ হলেও ইজিবাইক অন্তত ট্রাক, লরি, বাস ও মোটরসাইকেলের তুলনায় নিরাপদ। বিগত সাত বছরের (২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল) দুর্ঘটনা প্রতিবেদন অনুসারে, মোট দুর্ঘটনার ৮.৬ শতাংশের জন্য ইজিবাইক দায়ী। অথচ ট্রাক ও ভারী যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, ২৭ শতাংশ। মোটরসাইকেলের কারণে ২৪.৬ শতাংশ এবং বাসের কারণে ১৫.৭১ শতাংশ।

সেজিনা খান বলেন, শহরের সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের তুলনায় ইজিবাইক সব থেকে সবুজ যানবাহন। প্রতি কিলোমিটারে ইজিবাইক (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) ৪৯.৫৬ গ্রাম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ করে।

পক্ষান্তরে, একটি ১৫০০ সিসি প্রাইভেটকার থেকে নির্গত হয় ১৫৯.১৬ গ্রাম ও মাইক্রোবাস থেকে ১৯৮.০৩ গ্রাম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রায় ১৪ লাখ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (ইজিবাইক) আছে। এর অধিকাংশই এদেশের স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি।

ইজিবাইক নির্মাণ, চালনা, মেরামত ও চার্জিংয়ের সঙ্গে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষের কর্মসংস্থান যুক্ত হয়ে আছে। দেশে যথাযথ জনপরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামীণ ও শহুরে সাধারণ যাতায়াতকারীদের জন্য ইজিবাইক বা অটোরিকশা একটি আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। প্রায় আড়াই কোটি মানুষ স্বল্প দূরত্বের যাতায়াতের জন্য ইজিবাইক ব্যবহার করে থাকেন।

গবেষণাটির অন্যতম গবেষক কানিজ রাবেয়া বলেন, এই যানবাহন দেশের অর্থনীতিতে প্রতিবছর প্রায় ৯৭ হাজার ৬শ ২৫ কোটি টাকার অবদান রাখে। এর মধ্যে ইজিবাইক নির্মাণখাত ৭ হাজার ৫শ কোটি, ব্যাটারি তৈরি ও বাজারজাতখাত ৮ হাজার কোটি টাকা এবং চালনা, মেরামত ও চার্জিংখাত ৮২ হাজার ১শ ২৫ কোটি টাকার ভূমিকা পালন করে।

‘ক্লিন’-এর প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী বলেন, বিদ্যুৎখাতের অলস সক্ষমতা কমাতে ইজিবাইক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিবছর ইজিবাইকে চার্জ দিতে প্রায় ৪শ ৯০ কেটি ৫০ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ দরকার হয়, যা ৬শ ৫৯ মেগাওয়াটের সমান। বর্তমানে বিদ্যুৎখাতে ৬৪.২ শতাংশ অতিরিক্ত সক্ষমতা রয়েছে। ইজিবাইকগুলো এর অন্তত ৫.৬৪ শতাংশ কমানোয় ভূমিকা পালন করছে।

ইজিবাইক আরো নিরাপদ ও সবুজ করার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ১০ দফা সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

  সালতামামি

;

সোনা গায়েব শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের ইসলামী ব্যাংকের বক্তব্য



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার গ্রাহক রোকেয়া আক্তার বারী ও তার কন্যা নাসিয়া মারজুকা যৌথ নামে ২০০৬ সাল থেকে ব্যাংকের একটি লকার ব্যবহার করে আসছেন। প্রতিটি লকার খোলার জন্য ২টি চাবির প্রয়োজন হয়। যার একটি গ্রাহক ও অপরটি ব্যাংকের নিকট থাকে। গ্রাহকের চাবি ব্যতীত শুধুমাত্র ব্যাংকে রক্ষিত চাবি দিয়ে কোনভাবেই লকার খোলা সম্ভব নয়। ব্যাংকিং নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহককে তার লকারের মূল চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। লকারে রক্ষিত মালামাল ও তার পরিমাণ সম্পর্কে একমাত্র গ্রাহক ব্যতীত ব্যাংকার বা অন্য কোন ব্যক্তির জানার সুযোগ নেই।

গত ৮ এপ্রিল উক্ত গ্রাহক লকার ব্যবহারের জন্য ব্যাংকে আসেন। ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রাহকের উপস্থিতিতে মাস্টার কি (চাবি) দিয়ে লকার আনলক করেন। পরবর্তীতে গ্রাহক যথারীতি তার নিকট রক্ষিত চাবি ব্যবহার করে পরিপূর্ণভাবে লকার খুলে তার কাজ শেষে লকার বন্ধ করে ব্যাংকারকে অবহিত করে চলে যান। যেহেতু লকার হোল্ডারের চাবি দিয়ে বন্ধ করা হয় সেহেতু লকার বন্ধ করার সময় নিয়ম মোতাবেক ব্যাংকের কারো উপস্থিত থাকার সুযোগ নেই। একমাত্র তিনিই তার লকার বন্ধ করতে পারেন।

উল্লেখ্য, লকার হোল্ডার লকার বন্ধ না করা পর্যন্ত তার চাবি বের করে আনা যায় না। গ্রাহক নির্দিষ্ট লকারে কী নিয়ে গেছেন বা রেখে গেছেন তা ব্যাংকের জানার সুযোগ নেই। গ্রাহক যাওয়ার সাথে সাথে ব্যাংক কর্মকর্তা লকার রুমের মূল ফটক নিয়ম মাফিক তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেন।

গত ২৯ মে উক্ত লকার হোল্ডার তার লকার ব্যবহার করতে এসে তার গহনা খোয়া গেছে বলে জানান। অথচ এর আগে তিনি নিজে লকার বন্ধ করে চাবি নিয়ে গেছেন। তারপর লকার হোল্ডার একবার বলেন তার ৩০০ ভরি সোনা নাই, কিছুক্ষণ পর আবার জানান ১৫০ ভরি সোনা নাই এবং কিছুক্ষণ পর আবার জানান ১৫০ ভরির মধ্যে অর্ধেক পেয়েছেন, বাকি অর্ধেক পান নাই। তিনি এ ধরণের স্ববিরোধী বিভ্রান্তকর তথ্য প্রদান করেন। কিছুক্ষণ পর চট্টগ্রামের চকবাজার থানার পুলিশ ফোর্স সরেজমিন লকার রুম পরিদর্শন করেছেন।

ইতোমধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট তথ্যানুসন্ধান কমিটি গ্রঠন করেছে। এ কমিটির প্রদত্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যাংক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

  সালতামামি

;

দক্ষ জনবল তৈরিতে মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই: এফবিসিসিআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের শিল্প কারখানায় দক্ষ জনশক্তির অভাবে মেশিনারিজ ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায় অতিরিক্ত লোকবল দরকার হয়। অনেক সময় কারখানার মেশিনারিজ পরিচালনা করতে বিদেশ থেকে লোকবল আনতে হয়। বিনিময়ে উচ্চ বেতনের সম্মানি প্রদান করতে হয় তাদের। এছাড়া দক্ষতার অভাবে বিদেশে গিয়েও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর শ্রমিকদের তুলনায় কম বেতনে কাজ করতে হয় বাংলাদেশি শ্রমিকদের। এই অবস্থায় দেশে দক্ষ জনবল তৈরিতে উন্নত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর আরও জোর দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল শিক্ষা অন্তর্ভুক্তিসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও একাডেমিয়াগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

শনিবার (১ জুন) বিকেলে এফবিসিসিআইর দক্ষতা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এসময় তিনি দেশের জনবলের দক্ষতা উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীগণ, সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পমালিক, ব্যবসায়ীসহ স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এফবিসিসিআইতে একটি সেমিনার আয়োজনের পরামর্শ দেন।

এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যা দেশের জন্য সম্পদ। এ সম্পদকে কাজে লাগাতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন জরুরি।

তিনি বলেন, দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও স্বদিচ্ছা রয়েছে। সরকারকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করতে হবে আমাদের ব্যবসায়ীদের।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ শোয়েব বলেন, বর্তমান যুগ রোবটিকস, অটোমেশনের যুগ। অনেক শিল্প কারখানা আছে রোবটিকস, অটোমেশনে চলছে। কিন্তু তারপরেও গার্মেন্টস, স্পিনিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে জনবলের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু দক্ষতার অভাবে চীন, জাপানের তুলনায় এখানে উৎপাদন কম। এখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন খাতভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নের বিষয় একাডেমিক কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। দক্ষতার অভাব থাকলে উৎপাদনশীলতা, রফতানি ও রফতানি আয় বৃদ্ধি-সবকিছুই বাধাগ্রস্ত হবে।

সভায় বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্র ও করণীয় নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। প্রেজেন্টেশনে উন্নত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ প্রাপ্তি সহজিকরণ, শিল্পের সাথে একাডেমির সমন্বয়, উন্নত প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে একাডেমিক কারিকুলাম সাজানো, লিঙ্গবৈষম্য কমানো ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক নিয়াজ আলী চিশতী, কমিটির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ।

  সালতামামি

;