ন্যাম ভবনের বাসায় কত মধু?



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
উপরের সারিতে কৃষিমন্ত্রী, সমাজকল্যাণমন্ত্রী , নিচের সারিতে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী এবং পরিবেশ উপমন্ত্রী।

উপরের সারিতে কৃষিমন্ত্রী, সমাজকল্যাণমন্ত্রী , নিচের সারিতে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী এবং পরিবেশ উপমন্ত্রী।

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিত করা হয় সরকারের পক্ষে। সংসদ সচিবালয় থেকে প্রত্যেক এমপির জন্য নাখালপাড়া ও মানিকমিয়া এভিনিউয়ে অবস্থিতি ন্যাম ভবনে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়। এমপিদের চাহিদার ভিত্তিতে সংসদ সচিবালয় এই বাসা বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। যতদিন তিনি সংসদ সদস্য থাকবেন ততদিন পরিবার নিয়ে ওই বাসাতেই থাকবেন। তবে কেউ যদি বাসা বরাদ্দ না নেন তাতেও কোন আপত্তি নেই সংসদ সচিবালয়ের।

আর যখন সংসদ সদস্যগণ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়ে যান তখন তাদের ঠিকানা হয় মন্ত্রিপাড়ায়। মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া এমপিগণ তাদের পূর্বের বাসা ছেড়ে উঠবেন মন্ত্রী হিসেবে বরাদ্দ পাওয়া নতুন বাসায়। দশম সংসদের অনেক সদস্যই একাদশ সংসদেরও সদস্য। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের দলীয় এমপিরা। একাদশ সংসদ গঠনের পর মন্ত্রিসভায় যাদের নাম উঠেছে ন্যাম ভবনে তাদের নামে পূর্বের বরাদ্দকৃত বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা। সরকার গঠনের ৭ মাস হতে চলল এখনো ন্যাম ভবনের বাসা দখলে রেখেছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী।

সংসদ সচিবালয় থেকে বাসা ছাড়ার জন্য কয়েক দফা নোটিশ দিয়েও কাজে আসেনি। তাই শেষ পর্যন্ত অভিযোগ গেছে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সদ্য শেষ হওয়া তৃতীয় অধিবেশনের শেষ দিন ১১ জুলাই সংসদ ভবনের নবম তলায় সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় নাম উল্লেখ না করে ন্যাম ভবনে বাসা দখল করে থাকা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের ভৎসনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সভায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী ওইসকল মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ন্যাম ভবনের বাসা যদি এতই ভাল লাগে তাহলে মন্ত্রিপাড়ার বাসা ছেড়ে দিন, এখানে চলে আসুন। আর আপনাদের বাসা দেওয়া হয়েছে। আপনাদের ড্রাইভার, পিয়ন, আত্মীয় থাকার জন্য না। বাসায় যারা থাকেন না তারা বাসা ছেড়ে দেন।”  

ওইদিনের সভার পর অনুসন্ধান করে দেখা গেছে ২ মন্ত্রী, ৪ প্রতিমন্ত্রী ও এক উপমন্ত্রী ন্যাম ভবনের বাসা দখলে রেখেই মন্ত্রিপাড়ার বাসাতে থাকছেন। তাদের মধ্যে দুইজন আবার সেদিনের পর ন্যাম ভবনের বাসা ছেড়ে গেলেও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বুঝিয়ে না দিয়েই চলে গেছেন। যে কারণে ওই দুইজনের বাসা এখনো তাদের দখলে রয়েছে মর্মে কাগজে রয়েছে। এ নিয়ে সংসদ সচিবালয়ে কথা উঠেছে ন্যাম ভবনের বাসায় কত মধু যে মন্ত্রিপাড়ার বাসা পাওয়ার পরেও তারা বাসা ছাড়ছে না। অনেকে আবার বলছেন আমি থাকব দেখি কি হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/17/1563352664638.jpg

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ন্যাম ভবনের বাসায় আসলে ওই মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের মধ্যে অনেকেই থাকেন না, কেউ কেউ মাঝে মাঝে দুই একদিন আসেন, আবার চলে যান। ওই বাসায় মূলত তাদের আত্মীয়রা থাকেন।

মন্ত্রিপাড়ার বাসা থাকা সত্ত্বেও ন্যাম ভবনের বাসা দখলে থাকা মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন-কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, এর বাইরে নবনিযুক্ত নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা তার নামে ন্যাম ভবনে বরাদ্দকৃত বাসা এখনো তিনি বুঝে নেননি। যেহেতু প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তাই সেই বাসায় আর হয়ত উঠবেন না।

এদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ন্যাম ভবনের বাসায় নিজে থাকেন না। তাদের আত্মীয়রা ওই বাসায় থাকেন। আর নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী দুই দিন আগে ন্যাম ভবনের বাসা ছেড়ে গেলেও এখনো তারা সংসদ সচিবালয়কে তাদের সেই বাসা বুঝিয়ে দেননি। আর সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেখতে চান শেষ পর্যন্ত কি হয়।

অন্যদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ন্যাম ভবনের বাসাতেই থাকার ইচ্ছে পোষণ করেছেন। আর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যও তার ন্যাম ভবনের বাসাতে মাঝে মাঝে আসেন, অন্য সময় খালিই থাকে।

এ বিষয়ে হুইপ শামসুল হক চৌধুরী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, সংসদ নেতার নির্দেশে আমরা ওইসকল মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদ সদস্যদের নোটিশ করব, আগেও করিছি, এবার চূড়ান্ত নোটিশ। মন্ত্রীদের মধ্যে যারা বাসা ছাড়বেন না তাদের কাছ থেকে ভাড়া কেটে রাখা হবে। আশা করছি, তারা বাসা ছেড়ে দেবেন।  

   

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;

দ্বাদশ সংসদে প্রথম সারির আসনে বসছেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নেতার নির্দেশ ও স্পিকারের পরামর্শ অনুযায়ী জেষ্ঠতার ভিত্তিতে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনে সামনের সারিতে বসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা। এদিন বিকেল ৩টায় বসবে সংসদের প্রথম অধিবেশন।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ। ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মতো সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম সারির প্রথম আসনে বসবেন। পরের আসনে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বসবেন। তার পরের আসনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে।

এ ছাড়া প্রথম সারিতে আসন পেয়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। সংসদ নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে সরকারী দলের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বসবেন।

অন্যদিকে বিরোধী দলের প্রথম সারিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার পাশের আসনটি জাপার রুহুল আমিন হাওলাদার ও পরের তিনটি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে।

এদিকে অধিবেশন চলাকালে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আদেশে বলা হয়েছে, সোমবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

;