গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি সংসদকে অবমাননা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাশেদ খান মেনন / ছবি. সংগৃহীত

রাশেদ খান মেনন / ছবি. সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে : গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি আদালতকে অবমাননা এবং সংসদকে অবমাননা বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, এনার্জি রেগুলেটারি কমিশন-বিইআরসি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করার মধ্য দিয়ে কোর্টকে অবমাননা করেছে, সংসদকে অবমাননা করেছে, সর্বোপরি জনগণকে অবমাননা করেছে।

রোববার (৭ জুলাই) রাতে সংসদ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে একথা বলেন তিনি। এসময় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশন চলছিল। এনিয়ে তিনি সংসদে ৬৮বিধিতে একটি নোটিশ স্পিকারকে দিয়েছেন। নোটিশটি গ্রহণ করলে ওই নোটিশে সমর্থনকারী হাসানুল হক ইনু, মঈনুদ্দিন খান বাদল, মোস্তফা লুৎফুল্লাহসহ অন্যান্যরা বিশদ আলোচনা করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার।

মেনন বলেন, বাজেট অধিবেশনের সমাপ্তির পর পরই এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গ্যাসের মূল্য ৩২ দশমিক ৮ ভাগ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রভাবে গৃহস্থালীতে যেমন, শিল্প পরিবহনে, অর্থনীতির সামগ্রিক সবক্ষেত্রে একটা প্রতিক্রিয়া হবে। যেটা কৃষিমন্ত্রী স্বীকারও করেছেন। তিনি (কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক) বলেছেন জনগণের প্রতিক্রিয়া আছে। জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা আছে। আমি নিজেও হতাশ।

তিনি বলেন, বাজেট বক্তৃতায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাফল্যের প্রশংসা করে বলেছিলাম গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সংসদে আলোচনা করুন। যাতে সকল সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু দেখলাম বাজেট অনুমোদনের চার ঘণ্টার মাথায় বিইআরসি এই ঘোষণা দিয়ে দিলেন, এটা সংসদের চরম অবমাননা। সংসদকে এড়িয়ে যাওয়া।

মেনন বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম মোর্চা অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছিল, বিএনপি তাতে সমর্থন দিয়েছিল কিন্তু তারা মাঠে নামেনি। হরতাল হয়েছে কি, হয় নাই, অথবা কতটুক হয়েছে। হরতালের দিন আগের দিনের চাইতে যানজট বেশি ছিল এই সমস্ত কূটতর্ক নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। বিষয়টির গভীরতা অনুভব করে আলোচনা করা উচিত। বলা হয়েছে মূল্য সমন্বয় করার জন্য এবং ভর্তুকি কমানোর জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছেন।

তিনি বলেন, এলএনজির মূল্য সমন্বয়ের কথা বলা হচ্ছে। ভারত যেখানে এলএনজির আমদানি মূল্য সাড়ে ৬ ডলার প্রতি হাজার সিএফটিতে। আমাদের দেশ আমদানি করেছে সাড়ে ১০ ডলার দিয়ে, পাকিস্তানও সাড়ে ১০ ডলার। আমাদের দেশে হুইলিং চার্জিং চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে গ্যাস শহরের মানুষ ব্যবহার করে। গ্রামের মানুষ এলপিজি ব্যবহার করে। ইতোমধ্যে এলজিপির মূল্য প্রায় ৩২ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মূল্য সমন্বয়ের কারণে এলপিজির মূল্য ৭১ শতাংশ বেড়ে গেছে। যখন সিএনজি বন্ধ করে দেওয়া হবে, তখন সমস্ত সিএনজি স্টেশনগুলো এলপিজিতে রূপান্তরিত হবে। আসলে এলজিপির বাজার ঠিক করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা? সেটাও আলোচনা বিষয়।

তিনি বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে—বিষয়টিকে অবহিত করে সংসদে আলোচনার দাবি করেন। সিদ্ধান্ত সরকার নেবে কোনো সন্দেহ নেই, জনগণের কথা শোনার দায়িত্বও সরকারের। বিইআরসি গণশুনানি নিয়ে মামলা হয়েছে সেই মামলার রুল হয়েছে। সেটার বাইরে গিয়ে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেটা অবৈধ বেআইনী, কোর্টকে অবমাননা করা। তারা (বিইআরসি) সংসদকে অবমাননা করছেন, কোর্টকে অবমাননা করছেন এবং সর্বোপরি জনগণকে অবমাননা করছেন।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রী বাজেটে পেশের পর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কর ভার এমন করা হবে না যাতে জনগণ কষ্ট পায়। আজকে আপনি (ডেপুটি স্পিকার) আমি সবাই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কী কষ্ট সেটা পাচ্ছি। এজন্য ৬৮বিধিতে নোটিশ দিয়েছি। এসময় ডেপুটি স্পিকার বলেন, নোটিশটি স্পিকারের বিচেনাধীন রয়েছে। তাই নোটিশ গ্রহণের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর বিবৃতি দিতে চাচ্ছি না। যদি স্পিকার গ্রহণ করেন তাহলে তো বিশদ আলোচনা করার সুযোগ পাবেন।

   

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;

দ্বাদশ সংসদে প্রথম সারির আসনে বসছেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নেতার নির্দেশ ও স্পিকারের পরামর্শ অনুযায়ী জেষ্ঠতার ভিত্তিতে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনে সামনের সারিতে বসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা। এদিন বিকেল ৩টায় বসবে সংসদের প্রথম অধিবেশন।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ। ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মতো সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম সারির প্রথম আসনে বসবেন। পরের আসনে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বসবেন। তার পরের আসনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে।

এ ছাড়া প্রথম সারিতে আসন পেয়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। সংসদ নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে সরকারী দলের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বসবেন।

অন্যদিকে বিরোধী দলের প্রথম সারিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার পাশের আসনটি জাপার রুহুল আমিন হাওলাদার ও পরের তিনটি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে।

এদিকে অধিবেশন চলাকালে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আদেশে বলা হয়েছে, সোমবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

;