২০১৯-২০ অর্থবছরে কোন মন্ত্রণালয়ের জন্য কত বরাদ্দ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৪২ হাজার ৪৭৮ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকার মুঞ্জরি ও বরাদ্দ রেখে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০১৯ সংসদে পাস হয়েছে। আগামী ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বরাদ্দকৃত এ অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করতে পারবে। এর মধ্যে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে দায়যুক্ত ব্যয় নির্ধারণ করা আছে।

রোববার (৩০ জুন) বিকালে সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগে মঞ্জুরি ও বরাদ্দ দাবিগুলো সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বছর ৫৯টি মঞ্জুরি ও বরাদ্দ দাবির উপর ৪৮৪টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দাবির উপর আলোচনা হয়। যে চারটি মন্ত্রণালয় বিভাগের দাবিগুলোর উপর আলোচনা হয় সেগুলো হচ্ছে- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এসব দাবির বিপক্ষে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, রুস্তম আলী ফরাজী, পীর ফজলুর রহমান, রওশন আরা মান্না, বিএনপি’র মো. হারুনুর রশীদ, রুমিন ফারহানা, গণফোরামের মোকাব্বির খান। পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন। এরপর তাদের ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে অর্থ বিভাগ (অর্থ বিভাগ ৮১ হাজার ৭৮৩ কোটি ২৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা), সর্বনিম্ন রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা দাবিগুলো উত্থাপনের পর দুই একজন সংসদ সদস্য ছাঁটাই প্রস্তাব দিলেও সংসদ তা গ্রহণ করেনি। এরপর স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নতুন অর্থবছরের জন্য (নিদির্ষ্টকরণ বিল, ২০১৯) উত্থাপন করেন। পরে বিলটি সংসদে ভোটে দিলে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।

কোন মন্ত্রণালয়ের জন্য কত বরাদ্দ:

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, জাতীয় সংসদ ৩২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তিন হাজার ৫২৮ কোটি ৭৩ লাখ ২১ হাজার টাকা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২৪১ কোটি টাকা, সুপ্রিম কোর্ট বিভাগ ১৯৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এক হাজার ১৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা, নির্বাচন কমিশনে দায়যুক্ত ব্যয় দাঁড়াবে এক হাজার ৯২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দুই হাজার ৯৪১ কোটি ছয় লাখ টাকা, সরকারি কর্ম কমিশন ৩৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এই বিভাগে দায়যুক্ত ব্যয়সহ ১০২ কোটি ২৭ লাখ টাকা, অর্থ বিভাগ ৮১ হাজার ৭৮৩ কোটি ২৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা এই বিভাগে দায়যুক্ত ব্যয়সহ ২২৬ হাজার ১৭৬ কোটি ৭০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ২৩৮ কোটি ২২ লাখ টাকা।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ দুই হাজার ৮৯৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তিন হাজার ৪১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, অর্থনৈতিক সম্পক বিভাগ ৩১০ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা এই বিভাগে দায়যুক্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, পরিকল্পনা বিভাগ এক হাজার ২৩১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ১৪৯ কোটি ১০ লাখ টাকা, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ৩৭৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বাণিজ্যমন্ত্রণালয় ৬৩২ কোটি ২ লাখ টাকা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক হাজার ৬২০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৩২ হাজার ৫২০ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ৩৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা, আইন ও বিচার বিভাগ এক হাজার ৬৫২ কোটি দুই লাখ টাকা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা, জননিরাপত্তা বিভাগ ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা, লেজিসরেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা টাকা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৪ হাজার ১৪১ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১৬ হাজার ৪৩৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৯ হাজার ৯৪৪ কোটি ৩০ হাজার টাকা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এক হাজার ৯৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ছয় হাজার ৮৮১ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় তিন হাজার ৭৪৮ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৩১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ছয় হাজার ৬০৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

তথ্য মন্ত্রণালয় ৯৮৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৫৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক হাজার ৩৩৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এক হাজার ৪৮৯ কোটি ১২ লাখ টাকা।

স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩৪ হাজার ২৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ দুই হাজার ৪৪৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, শিল্প মন্ত্রণালয় এক হাজার ৫৫৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৫৯০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৮০০ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক হাজার ৯৮৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, কৃষি মন্ত্রণালয় ১৪ হাজার ৫৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দুই হাজার ৯৩২ কোটি ৩৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক হাজার ৪৯৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ভূমি মন্ত্রণালয় এক হাজার ৯৪৩ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সাত হাজার ৯৩২ কোটি ৪৫ টাকা, খাদ্য মন্ত্রণালয় ১৭ হাজার ১৫০ কোটি আট লাখ ৮৭ হাজার টাকা, দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ৮৭১ কোটি ৫১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, সড়ক বিভাগ ২৯ হাজার ২৬৪ কোটি আট লাখ টাকা।

রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৬ হাজার ২৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় তিন হাজার ৮৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তিন হাজার ৪২৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় তিন হাজার ৪৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক হাজার ১৯৪ কোটি ৪৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগ ২৬ হাজার ৬৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, সুপ্রীম কোর্ট ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৫শ টাকা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় চার হাজার ৪৫৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। দূর্নীতি দমন কমিশন ৩০ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং সেতু বিভাগ আট হাজার ৫৬৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সাত হাজার ৪৫৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ তিন হাজার ৬৯৪ কোটি ৯২ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

   

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;

দ্বাদশ সংসদে প্রথম সারির আসনে বসছেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নেতার নির্দেশ ও স্পিকারের পরামর্শ অনুযায়ী জেষ্ঠতার ভিত্তিতে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনে সামনের সারিতে বসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা। এদিন বিকেল ৩টায় বসবে সংসদের প্রথম অধিবেশন।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ। ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মতো সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম সারির প্রথম আসনে বসবেন। পরের আসনে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বসবেন। তার পরের আসনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে।

এ ছাড়া প্রথম সারিতে আসন পেয়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। সংসদ নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে সরকারী দলের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বসবেন।

অন্যদিকে বিরোধী দলের প্রথম সারিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার পাশের আসনটি জাপার রুহুল আমিন হাওলাদার ও পরের তিনটি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে।

এদিকে অধিবেশন চলাকালে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আদেশে বলা হয়েছে, সোমবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

;