শেখ হাসিনাকে 'আমার নেত্রী' বললেন বিএনপির হারুন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশিদ হারুন, ছবি: সংগৃহীত

সংসদে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশিদ হারুন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদে অধিবেশনে যোগ দিয়েই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চাইলেন দলটির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ হারুন। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'আমার নেত্রী' বলেও সম্বোধন করেন তিনি।

সংসদ অধিবেশনে তিনি বলেন, 'আমার নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) অনুরোধ করব, অবিলম্বে বিষয়টার (খালেদার মুক্তি) কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আমরা আশা করি আদালত যদি স্বাধীনভাবে চলতে পারে, ওখানে যারা আছেন তারা যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, তাহলে আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কালই জামিন পাবেন। আপনি (শেখ হাসিনা) দ্রুত ব্যবস্থা করুন।'

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের চতুর্থ কার্য দিবসে কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় প্রস্তাব (সাধারণ) এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির সাংসদ বলেন, 'দেশের নিম্ন আদালত থেকে জঘন্যতম মামলায় জামিন পাচ্ছে। অথচ আমাদের নেত্রীর জামিন হচ্ছে না। তাই সংসদ নেতার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করব আপনি বিশেষ করে উনি হুইল চেয়ারে চলাচল করছেন। উনার জেলাখানায় থাকার কথা নয়। উনার জামিন পাওয়া উচিত। আপনি বিচার করেন সমস্যা নাই অন্তত জামিন দেন। দেশে হাই কোর্ট আছে, জজ কোর্ট আছে, বিচার করেন, অন্তত জামিনের ব্যবস্থা করেন।'

হারুনুর রশিদ বলেন, 'মাননীয় নেত্রী দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে কারাগার বন্দী। উনি হুইল চেয়ারে চলাফেরা করছেন। উনার আসলে জেলে থাকার কথা নয়। অন্তত পক্ষে উনার জামিন হওয়া উচিত। উচ্চ আদালতকে যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেন, ওখানে যারা নিয়োজিত এটর্নি জেনারেল, সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছে। তারা যদি সত্যিকার অর্থে বাধা প্রদান না করে আমি বিশ্বাস করি উনি কালকেই জামিন পাবেন। উনি কালকেই জামিন পাবেন আমরা প্রত্যাশা করব।'

এ সময় তিনি সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'মাননীয় সংসদ নেতা আপনি পারেন, আপনি যে পারবেন সেটি প্রমাণ করেছেন। এইজন্য বলব এখন বিষয়গুলোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দেবেন, এটিও বলবেন যে হ্যাঁ তাদের সংসদ সদস্যরা সংসদে প্রবেশ করেছেন, আমিও মুক্তি দিয়েছি। তাহলে দেশের মানুষের কাছে বলতে পারব প্রধানমন্ত্রী আমরা সংসদে গেছি তার ফলশ্রুতিতে নেত্রীকে মুক্তি করেছেন।'

তিনি বলেন, 'দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আনার জন্যে এখানে বিএনপিকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বিএনপি এভাবে দেশে সত্যিকার অর্থে শান্তি ফিরে আসবে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে হবে। দেশে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে। কিন্তু দেশে ভয়াবহ লুটপাট হচ্ছে। যেভাবে লুটপাট হচ্ছে সেগুলো বিরুদ্ধে যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। আমরা কয়েকজন সদস্য। আমরা সংসদে এসেছি সত্যিকারের কথাগুলো বলার জন্য। দেশের সংগঠিত ঘটনাগুলো বলব। সঠিক তথ্য বলার চেষ্টা করব। সুযোগ দিলে আপনারাই উপকৃত হবেন। সংসদকে কার্যকর করতে চান তাহলে সংখ্যালঘু এদের সুযোগ দেবেন। এখানে তোষামতি করার জন্য নয়। আমরা সত্যিকার কথাগুলো বলতে এসেছি।'

একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, 'দেশকে অবশ্যই মাদকমুক্ত করতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করতে হবে।' নুসরাত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করায় সংসদ নেতাকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, 'গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন নিয়ে নিঃসন্দেহে সারাদেশে বিতর্ক রয়েছে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। যেভাবেই বলি না কেন ৩০ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নাই। আমরা ৫ জন সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ করে এখানে এসেছি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে আরও দুইজন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ৯০ দিন শেষ হওয়ার শেষ দিনে আজকে সংসদে প্রবেশ করার জন্য দলকে সম্মত করাতে আমাদের অনেক কাঠখড়ি পোড়াতে হয়েছে।'

এর আগে বিকেলে হারুনুর রশিদ হারুন সহ বিএনপির চার নির্বাচিত প্রার্থী শপথ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিএনপির শপথ নেওয়া পাঁচজনই সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন।

   

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;

দ্বাদশ সংসদে প্রথম সারির আসনে বসছেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নেতার নির্দেশ ও স্পিকারের পরামর্শ অনুযায়ী জেষ্ঠতার ভিত্তিতে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনে সামনের সারিতে বসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা। এদিন বিকেল ৩টায় বসবে সংসদের প্রথম অধিবেশন।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ। ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মতো সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম সারির প্রথম আসনে বসবেন। পরের আসনে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বসবেন। তার পরের আসনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে।

এ ছাড়া প্রথম সারিতে আসন পেয়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। সংসদ নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে সরকারী দলের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বসবেন।

অন্যদিকে বিরোধী দলের প্রথম সারিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার পাশের আসনটি জাপার রুহুল আমিন হাওলাদার ও পরের তিনটি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে।

এদিকে অধিবেশন চলাকালে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আদেশে বলা হয়েছে, সোমবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

;