সৌদির সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি ব্যাখ্যা চাইলেন দুই এমপি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে (১৪ ফেব্রুয়ারি) একটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। এটা সংবিধানের ২৫ বিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দুইজন সংসদ সদস্য। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দাবি করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিষয়টি উত্থাপন করেন ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। তার বক্তব্যের সমর্থন করে কথা বলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।

স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মেনন বলেন, আমি সংবিধানে ২৫ বিধির প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিবিসি’র সংবাদের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, গত পরশু  বিবিসি সংবাদ দিয়েছে যে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশ ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা। আমরা জানতে পেরেছি চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হওয়ার পর্যায়ে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বীকার বা অস্বীকার কোনটাই করে নাই। ওই সমঝোতা চুক্তির আওতায় ইয়েমেন সীমান্তে বাংলাদেশের ১৮০০ সেনা নিয়োগ দেওয়ার কথা। সৌদি আরবে ইসলামী সেনাবাহিনী কাউন্টার টেরোরিজম কমিশন (আইএমসিটিসি) বাংলাদেশ থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ ৪ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য নামও দেওয়া হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ হয়েছে ।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে যখন সৌদি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাস বিরোধী উদ্যোগে বাংলাদেশ নাম লিখেছিল তখনই আমরা বলেছিলাম আমাদের জন্য কতটা ইতিবাচক হবে তার চুলছেড়া বিশ্লেষণ জরুরি। খটকা ছিল তখনই এবং সেই সময় সৌদি আরব যেটাকে ৩৪ জাতি সামরিক জোন বলেছিল। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইনিয়ে বিনিয়ে তখন বলেছিল এটা একটি সন্ত্রাস বিরোধী সন্মিলিত উদ্যোগ। সেই সময় জনগণের সেই উদ্যোগ এবং আশঙ্কাকে নিরসন করে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে সৌদি আরবে যে দুটি মসজিদ রয়েছে মক্কা এবং মদিনায় হেরেম শরীফ, এই মসজিদ দুটি যদি আক্রমণের মুখে পড়ে তখনই কেবল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাঠাবে এর বাইরে কখনো কোনো সেনাবাহিনী পাঠাবে না। আমরা আশস্ত হয়েছিলাম কিন্তু এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদিও স্পষ্ট করে কিছু বলছে না। কিন্তু আমরা জেনেছি এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হওয়ার পর্যায়ে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এই চুক্তির মধ্য দিয়ে আমাদের সংবিধানের ২৫ বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না? সেটা অবশ্যই পরীক্ষা করা প্রয়োজন। সংবিধানে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান বজায় রাখতে বলা হয়েছে। এই দুই দিক দিয়ে  বিষয়টি পর্যালোচনার দাবি রাখে। প্রথমটি হচ্ছে সেনাবহিনী মোতায়েন। এটা জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের সাথে সঙ্গিতপূর্ণ কি না? দ্বিতীয়ত আমাদের সেনাবাহিনী বিদেশ উপস্থিতিতে আমাদের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি কি হবে?

তিনি বলেন, আমরা জানি ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্ব যে সমঝোতা এবং যুক্তরাষ্ট্র মিলে সেখানে প্রতিমুহূর্তে আক্রমণ চালাচ্ছে হুতি বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য। আমরা জানি আরব দেশের বসন্তের তার বিকৃত প্রয়োগ ঘটিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে কি ধরণের পরিণতি সৃষ্টি করেছিল। এবং সৌদি আরব সেখানে কি সুবিধা নিতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব স্পষ্ট করে বলেছেন ইয়েমেনের ঘটনা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয়। সেখানে আমাদের সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে সীমান্তে মাইন অপসারণ করবেন, আমাদের সেনাবাহিনী যারা একদিন ইরাকি আগ্রসনের বিরুদ্ধে কুয়েতে মাইন অপসারণ করে সুনাম অর্জন করেছিল, তারা কেন মাইন অপসারণের নামে নিজেদের জীবন দেবে। যেটা সংবিধান অনুমোদন করে না।

মেনন বলেন, শুধু তাই নয় যখন ইয়েমেন সীমান্তে আমাদের সেনাবাহিনী থাকবে খবু স্বাভাবিকভাবেই একটি বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক এখানে সৃষ্টি হবে। আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট করে বলেছি কোন বিরোধপূর্ণ ঘটনায় আমাদের সেনাবাহিনী বা বাংলাদেশ সেখানে অংশ নেবে না। আমরা এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো বিবৃতি পাইনি। তাই আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০০ বিধিতে একটি বিবৃতি দাবি করছি। পাশাপাশি স্পিকার (আপনিও) বিষয়টি সংবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কি না আপনার কাছ থেকে রুলিং আশা করছি।

ফখরুল ইমাম বলেন, সংসদ রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক অঙ্গ। সংবিধানের ১৪৫ (ক) বলা আছে কোনো বৈদেশিক চুক্তি হলে সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবেন এবং রাষ্ট্রপতি সেটা সংসদে দেবেন । এটা আলোচনা করলে কি অসুবিধা ছিল? আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী গতকালও এখানে ছিলেন, উনি উনি জানতেন এই চুক্তিটা হবে। উনি আমাদের অধিকার ক্ষু্ণ্ন করে কি না এটা আমার প্রশ্ন।

তিনি বলেন, আমাদের না জানিয়ে, সংসদকে পাশ কাটিয়ে আজকে যদি সেশন না থাকত তাহলে বুঝতাম যে পার্লামেন্টকে অবজ্ঞা করেন নাই। আমার মনে হচ্ছে সংসদকে অবজ্ঞা করে, পাশ কাটিয়ে সংসদকে মূল্যহীন ভেবে এই জিনিসিগুলো করা হয়েছে। এটা সরকারের জন্য কতটুক যুক্তিযুক্ত হয়েছে। আমরা টিকফা চুক্তিও দেখেছি, কোন চুক্তি আপনার (স্পিকারের) দফতরে জমা পড়েছে কি না আমি জানি না। ২৫ বছরের চুক্তিও আছে কি না আমি জানি না। এটা আরও পরিচ্ছন্ন হওয়া উচিত। এই সংসদের মান মর্যাদা আমাদের গণতন্ত্রের মূল্যায়নের জন্য। আমরা চাই গণতন্ত্র আস্তে আস্তে এগিয়ে যাক।

   

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;

দ্বাদশ সংসদে প্রথম সারির আসনে বসছেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নেতার নির্দেশ ও স্পিকারের পরামর্শ অনুযায়ী জেষ্ঠতার ভিত্তিতে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনে সামনের সারিতে বসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা। এদিন বিকেল ৩টায় বসবে সংসদের প্রথম অধিবেশন।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ। ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মতো সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম সারির প্রথম আসনে বসবেন। পরের আসনে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বসবেন। তার পরের আসনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে।

এ ছাড়া প্রথম সারিতে আসন পেয়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। সংসদ নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে সরকারী দলের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বসবেন।

অন্যদিকে বিরোধী দলের প্রথম সারিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার পাশের আসনটি জাপার রুহুল আমিন হাওলাদার ও পরের তিনটি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে।

এদিকে অধিবেশন চলাকালে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আদেশে বলা হয়েছে, সোমবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

;