কোরবানি ঈদের প্রস্তুতি: সংগ্রহে রাখুন প্রয়োজনীয় সামগ্রী



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে ফেলুন। ছবি: তামিম

তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে ফেলুন। ছবি: তামিম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদের দিন দেখা দিতে আর মাত্র একদিন বাকি।

হাজারো কাজের ব্যস্ততা যেন উঁকি দিচ্ছে এখন থেকেই। যে কোন উপলক্ষ্য আয়োজন মানেই বাড়তি ব্যস্ততা। আর সেই উপলক্ষ্য যদি হয় কোরবানির ঈদ তবে যেন ষোল আনাই পূর্ণ হয়।

সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা থাকে কোরবানি পশুর মাংস সঠিকভাবে ভাগ করা, আত্মীয়-পরিজনদের মাঝে বন্টন করা ও নিজেদের জন্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে। সকালে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে শুরু হয় ব্যস্ততার পালা। পালাক্রমে চলতে থাকে একের পর এক কাজ।

খুব সাধারণভাবেই কোরবানির ঈদের প্রস্তুতিতে অন্যান্য সকল কিছুর পাশাপাশি কোরবানি সংক্রান্ত ব্যস্ততা থাকে সবচাইতে বেশি। হাতে দু’দিন থাকতে কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস গুছিয়ে রাখলে কাজ করতে সুবিধা হবে অনেকটা।

এক নজরে দেখে নিন কোন সরঞ্জাম ও সামগ্রীগুলো গুছিয়ে রাখা জরুরি।

আরো পড়ুন: কীভাবে স্বল্প স্থানে পর্যাপ্ত মাংস সংরক্ষণ করবেন?

কাঠের গুঁড়ি

ঘরে ভালো কাঠের গুঁড়ি আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন। যদি বেশি দিনের পুরনো হয়ে যায় কিংবা কাঠের গুঁড়ির জায়গায় জায়গায় ভেঙ্গে যাওয়া থাকে তবে নতুন কিনে ফেলুন।

বটি ও ছুরি

মাংস সঠিক মাপমতো কাটার জন্য বটি, ছুরি ও দা ধার করিয়ে রাখুন। নইলে মাংস কাটাকুটিতে ঝামেলা পোহাতে হবে। তবে ধার করানোর সময় খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্ত ধারালো যেন না হয়। এতে কাট কেটে যাবার সম্ভবনা থাকে।

জীবাণুনাশক উপাদান

কোরবানির ঈদের দিন ছোট কিংবা বড় দুর্ঘটনা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। কারণ বটি ও ছুরির কাজ তুলনামূলক বেশি থাকে। এছাড়া কোরবানির পশুর হাড়ের খোঁচা থেকেও হাত কেটেছড়ে যায়। তখন দ্রুত জীবাণুনাশক উপাদান যেমন ডেটল কিংবা স্যাভলন ব্যবহার করতে হবে। ঘরে যদি ডেটল শেষ হয়ে যায়, তবে ছোট একটি বোতল কিনে রাখুন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/20/1534756427702.jpg

চাঁটাই কিংবা পাটি

কোরবানি পরবর্তি সময়ে ও মাংস রাখার জন্য চাঁটাই প্রয়োজন হবেই। যেহেতু পুরো বছরে জিনিসটি প্রয়োজন হয় না, অনেকেরই হয়তো খেয়াল থাকবে না চাঁটাই কেনার কথা।

দাঁড়িপাল্লা

মফঃস্বল এলাকার দিকে অনেকের বাড়িতেই নিজস্ব দাঁড়িপাল্লা থাকে। শহুরে এলাকার বাসাতে দাঁড়িপাল্লা না থাকাটাই স্বাভাবিক। কশাই পুরো কোরবানির মাংস পরিমাপ করে দিলে বন্টনের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে নিজেরও মাংস পরিমাপ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে ডিজিটাল দাঁড়িপাল্লা কিনে ফেলতে পারেন। অথবা বাসার পাশের কোন মুদি দোকান থেকেও ভাড়া আনতে পারেন কয়েক ঘন্টার জন্য।

পলিথিন

মাংস বন্টন ও সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন মাপের পলিথিন ব্যাগের প্রয়োজন হবে। ঈদের দিন কিনবেন ভাবলে ভুল করবেন। প্রথমত ঈদের দিন বেশীরভাগ মুদি দোকান বন্ধ থাকে। দ্বিতীয়ত, কিছু মুদি দোকান খোলা থাকলেও বাড়তি চাহিদার মুখে পলিথিন ব্যাগ পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়। দু’দিন হাতে থাকতেই ছোট ও বড় কয়েকটি মাপের পলিথিন কিনে ফেলুন।

ব্লিচিং পাউডার

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্লিচিং পাউডার আবশ্যক। রক্ত, ময়লা ও জীবাণু দূর করার জন্য ব্লিচিং পাউডার ব্যবহারের বিকল্প নেই। কোরবানি ও কোরবানির কাজ শেষে বাসার নিচের অংশ ও বাসা সংলগ্ন রাস্তায় ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে। এছাড়া ঘর, বারান্দা ও রান্নাঘরের পরিচ্ছন্নতাতেও ব্লিচিং পাউডার প্রয়োজন হবে।

আরো পড়ুন: মশলার জোগাড়, দেরি নয় আর

শলার ঝাড়ু

বাসার নিচের অংশ, ঘর, রান্নাঘর ও বারান্দার অংশ পরিষ্কারের জন্য ছোট একটি শলার ঝাড়ু ক্লিনে ফেলুন। গরম পানি ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঝাড়ুর সাহায্যে পরিষ্কার করলে দ্রুত রক্ত ময়লা দূর করা সম্ভব হবে।

বড় পাত্র

কোরবানির পশুর মাংস, হাড়, চর্বি, ভুঁড়ি, কলিজা ও মাথা আনা-নেওয়া ও ধারণের জন্য বড় আকারের পাত্রের প্রয়োজন হবে।  প্রয়োজনের সময় দেখা যায় যথেষ্ট বড় কোন পাত্র পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এখনই সংগ্রহ করে ফেলুন বড় আকারে পাতিল কিংবা গামলা।

চুন

এই জিনিসটার কথা হয়তো অনেকে একেবারেই ভুলে যাবেন। কিন্তু ভুঁড়ি পরিষ্কার করতে চুন প্রয়োজন হবেই। অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সময় এক কৌটা চুনও কিনে ফেলুন খেয়াল করে।

   

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;