সুস্থ চোখের স্বরলিপি



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
সুস্থ চোখের জন্য যত্ন প্রয়োজন।

সুস্থ চোখের জন্য যত্ন প্রয়োজন।

  • Font increase
  • Font Decrease

‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না’। বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ বাক্যের মতোই সুস্থ চোখ ও চোখের সুস্থতার বিষয়ে সকলের ভেতরই গা-ছাড়া ভাব কাজ করে। গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার দায়িত্ব পালনে হেলাফেলা করলে, ভুক্তভোগী হতে হবে নিজেকেই।

তাইতো শারীরিক সুস্থতার মতোই জরুরি চোখের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত জীবনে চোখকে সুস্থ রাখতে মেনে চলতে হবে এই সহজ কিছু নিয়ম।

দিনের বেলায় সানগ্লাস পরতে ভোলা যাবে না

শুধু স্মার্টনেসের জন্যই নয়, চোখের সুরক্ষার জন্যেও প্রয়োজন সানগ্লাস। রোদের ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন (UV Ray) চোখের উপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। দ্য আমেরিকান অপটোমেট্রিক এসোসিয়েশন জানায়, রোদের আলোতে অধিক সময় থাকার ফলে ফটোকেরাটাইটিস (Photokeratities) এর সমস্যা তৈরি হয়। এর ফলে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, আলোতে সমস্যা হওয়া, চোখে ঘন ঘন পানি আসার সমস্যা দেখা দেয়। যদিও এই সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী নয়, তবুও বারংবার একই সমস্যা দেখা দিলে চোখের ক্ষতি হতে পারে।

সানগ্লাস রোদের এই ক্ষতিকর রশ্মিকে ৯০-৯৫ শতাংশ প্রতিরোধ করে। ফলে চোখ ও চোখের আশেপাশের অংশ রোদের আলো থেকে সুরক্ষিত রাখে।

/uploads/files/Dr8nonF9Z9sLoVVBsW16jeoiNGGjdqAk8uAf77Ty.jpeg

কমাতে হবে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের ব্যবহার

অফিসে কিংবা বাসাতে সারাদিন কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকা হয়। অতিরিক্ত সময় ইলেক্ট্রনিক এই সকল যন্ত্রের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখে দেখা দেয় ড্রাই আই সিনড্রোম। যার ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে ওঠা ও রাতের ঘুমের চক্রে সমস্যা দেখা দেয়। তাই চেষ্টা করতে হবে, জরুরি কাজ ব্যতীত এই সকল যন্ত্র ব্যবহারের মাত্রা যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে।

ড্রাই আই সিনড্রোম এড়াতে একটি কার্যকরী উপায় হলো ২০-২০-২০ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ ফিট দূরের কোন একটি বস্তুর উপর ২০ সেকেন্ড সময় তাকিয়ে থাকতে হবে। এতে চোখের উপর প্রেশার অনেকটাই কমে যায়।

চোখ একদম কচলানো যাবে না

চোখে ধুলাবালি পড়লে সাথে সাথেই আমরা খুব জোরে চোখ কচলানো শুরু করি। এর ফলে বেশ আরামবোধ হয় এবং চোখের ময়লা দূর হয়। যতই আরামবোধ হোক না কেন, চোখে কোন ময়লা পড়লে একেবারেই চোখ কচলানো বা চুলকানো যাবে না। কারণ এই অভ্যাসের ফলে চোখের কর্ণিয়া দুর্বল হয়ে যায়। কর্ণিয়া হলো চোখের আইরিশ ও পিউপিলের উপরের স্বচ্ছ ও পাতলা একটি পর্দা। এছাড়াও চোখ কচলানোর ফলে চোখের আশেপাশের অংশের চামড়ার অংশেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ও চামড়ার ইলাস্টিসিটি নষ্ট হয়ে যায়।

আরো পড়ুন: অস্বাস্থ্যকর এই ‘অভ্যাস’গুলো অসুস্থ করে তুলছে আপনাকে!

অনেক সময় চোখ চুলকানোর আগে হাত ধোয়া হয় না। যার ফলে চোখ ও চোখের আশেপাশের অংশে ইনফেকশনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাইতো, চোখে কোন ময়লা পড়লেও হাত দিয়ে জোরে না কচলিয়ে পরিষ্কার কোন কাপড় কিংবা তোয়ালের সাহায্যে মুছে নিতে হবে।

চোখের জন্য ব্যবহার করতে হবে মানসম্মত মেকআপ পণ্য

চোখে ব্যবহৃত মেকআপ পণ্যের উপরে চোখের সুস্থতার অনেকটা নির্ভর করে। আইশ্যাডো, আইলাইনার, কাজল, মাশকারা ও আইশ্যাডো ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ব্যবহারে চোখে জ্বালাপোড়া, ড্রাই আই সিনড্রোম সহ চোখে ইনফেকশনের সমস্যাও দেখা দেয়। চোখের মেকআপ কেনার আগে লেবেলে মেয়াদ দেখে নিতে হবে এবং মেকআপ ব্যবহারের আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। একইসাথে চোখের মেকআপ ভালোভাবে তুলে এরপর ঘুমাতে হবে। নইলে চোখ সহ চোখের আশেপাশের অংশের ত্বকেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

/uploads/files/F1L0zA26xJQYHURyT4lCejyQRmmND6mfpPnlNLIj.jpeg

অবশ্যই কন্টাক্ট লেন্স খুলে ঘুমাতে হবে

যেকোন অনুষ্ঠানে গ্ল্যামার ভাব আনতে কন্টাক্ট লেন্স পারফেক্ট একটি অনুষঙ্গ। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফিরে অলসতার অজুহাতে কন্টাক্ট লেন্স চোখে রেখেই ঘুমিয়ে যাওয়া মস্ত বড় ভুল হবে। চোখের ভেতরে কন্টাক্ট লেন্স থাকা অবস্থায় সারারাত কাটিয়ে দিলে চোখে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। যার ফলে সাধারণ চোখের সমস্যা সহ অনেক বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনাও তৈরি হয়।

আরো পড়ুন: শিশুর নিরাপত্তায় আপনি কতটা সতর্ক

ডাক্তারের কাছে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করাতে হবে

চোখে কোন সমস্যা দেখা দিচ্ছে না মনে করে হয়তো চোখের ডাক্তারের কাছে যাওয়া হচ্ছে না। কিন্তু চোখের কিছু সমস্যা সহসাই বোঝা যায় না বা ধরা পড়ে না। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা নিজেদের চোখের সমস্যা ঠিকভাবে বুঝতে পারেন না। সেজন্য প্রতি মাসে অন্তত একবার চোখের ডাক্তারের কাছে চেকআপ করানো উচিৎ। এতে চোখ যেমন সুস্থ থাকবে, তেমনই চোখে কোন সমস্যার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে প্রাথমিক পর্যায়েই সমাধান করা সম্ভব হবে।

   

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;