জীবাণু দ্বারা প্রভাবিত হয় আমাদের আবেগ ও আচরণ!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
জীবাণু।

জীবাণু।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোন ধারনা আছে কি, আপনার শরীরে কতগুলো জীবাণুর বসবাস? একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে ১০ হাজার ভিন্ন প্রজাতির ১০০ ট্রিলিয়নের অধিক জীবাণু (মাইক্রোব) থাকে। উত্তরটা কিন্তু আঁতকে ওঠার মতোই।

মানবদেহে বসবাসকারী জীবাণুদের মোট ওজন ২-৬ পাউন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মগজের ওজনের দ্বিগুণ। যে কারণে বলা হয়ে থাকে, মানুষের শরীরের ৯০ শতাংশই হচ্ছে জীবাণু, বাকি ১০ শতাংশ মানবদেহ!

এতক্ষণ ধরে শরীরে বসবাসকারী জীবাণুদের সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো। মূল বিষয়টা জানানো হবে এখন। শরীরের বিভিন্ন অংশে বসবাসকারী এই সকল জীবাণুই কিন্তু মানুষের আবেগ ও আচরণের উপর দারুণ প্রভাব বিস্তার করে।

গবেষণা থেকে দেখা গেছে ডিপ্রেসেন্ট প্রভাব তৈরি হয় ল্যাকটোব্যাসিলাস (Lactobacillus) ও বিফিডোব্যাকটেরিয়াম (Bifidobacterium) নামক দুইটি পাকস্থলিস্থ ব্যাকটেরিয়ার সাহয্যে। উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও হতাশার মতো আচরণগুলো তৈরির জন্যেও দায়ী থাকে ভিন্ন ধরণের জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া।

ব্যাপারটা কেমন যেন পুতুলখেলার মতো মনে হচ্ছে, তাই না? যেন জীবাণুগুলো আমাদের আচরণ ও আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করছে নিজেদের মতো করে। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তেমন নয়।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি বিভাগের গবেষক ক্যাটেরিনা জনসন জানান, মাইক্রোব সমূহ আমাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রন করে না। বরং স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী তারা পাকস্থলীতে জন্ম নেয় ও বৃদ্ধি পায় এবং প্রাকৃতিকভাবে আমাদের আচরণের উপর তাদের প্রভাব বিস্তার করে।

এবার জেনে নেওয়া যাক দারুণ একটি গবেষণা সম্পর্কে। এই গবেষণাটি বুঝতে সাহায্য করবে আসলেও জীবাণু আমাদের আবেগ ও আচরণের উপরে কীভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

২০১১ সালে ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির এক দল গবেষক দুইটি ইঁদুরের উপর গবেষণা চালায়। প্রথম ইঁদুরটি ছিল ভয়ার্ত ও চুপচাপ (ইনট্রোভার্ট)। যেখানে দ্বিতীয় ইঁদুরটি ছিল খুবই চঞ্চল ও সামাজিক (এক্সট্রোভার্ট)।

গবেষকেরা ইঁদুর দুইটিকে একটি উঁচু স্থানে ছেড়ে দেন। তারা দেখতে চেয়েছিলেন, ইঁদুর দুইটি উঁচু স্থান থেকে নিচে নামতে কতক্ষণ সময় নেয়। সময় হিসেব করে দেখা গেলো, ইন্ট্রোভার্ট ইঁদুরটি উঁচু স্থানে বেশ অনেকক্ষণ এদিকে-সেদিক ঘোরাফেরা করে প্রায় সাড়ে চার মিনিট পর খুব ধীরে ও ভয়ের সাথে নিচে নেমে আসে। ওদিকে এক্সট্রোভার্ট ইঁদুরটিকে উঁচু স্থানে রাখার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই লাফ দিয়ে নিচে নেমে যায়।

এই পরীক্ষাটির পর গবেষকেরা ইঁদুর দুইটির মাইক্রোবায়োটা একে-অন্যের শরীরে প্রবেশ করায়। এরপর পুনরায় একই পরীক্ষা চালায়। ফলাফলে দেখা গেলো, ইন্ট্রোভার্ট ইঁদুরটি আগের চাইতে এক মিনিট আগে নিচে নেমে আসে, অর্থাৎ সাড়ে তিন মিনিটের মাথায় ইঁদুরটি উঁচু স্থান থেকে নামে। ওদিকে এক্সট্রোভার্ট ইঁদুরটি এক মিনিট সময় পর নিচে নামে, যেখানে আগের পরীক্ষায় ইঁদুরটি কয়েক সেকেন্ডের মাথায় নিচে নেমে এসেছিল!

একইভাবে একজন মানুষের আচরণের উপর প্রভাব বিস্তার করে তার শরীরে বসবাসরত মাইক্রোব সমূহ। বিশেষত পাকস্থলিস্থ ব্যাকটেরিয়া শুধুই যে আচরণের উপর প্রভাব বিস্তার করে তাই নয়, ব্রেইন ক্যামিস্ট্রিতেও তারতম্য আনে, তৈরি করে সেরোটোনিন। সেরোটোনিন তৈরিকারী মাইক্রোব সমূহ হলো- ক্যান্ডিডা, স্ট্রেপটোকোক্কাস, ইশেরিকিয়া ও এন্ট্রোকোক্কাস। আনন্দ বোধ ত্বরান্বিত করার জন্য সেরোটোনিন বিশেষভাবে পরিচিত।

পাকস্থলীতে থাকা এই জীবাণু কিংবা ব্যাকটেরিয়া কীভাবে অনুভূতিগুলো আমাদের মগজে পৌছায়- খুব স্বাভাবিকভাবেই এমন প্রশ্ন মাথায় উঁকি দিবে। সেক্ষেত্রে জেনে রাখুন, আমাদের পাকস্থলী ও অন্ত্র থেকে সরাসরি মগজে এই অনুভূতিগুলো পৌছাতে সাহায্য করে ‘ভেগাস’ নামক নার্ভ। এই নার্ভ অন্ত্র থেকে একদম মগজ পর্যন্ত বিস্তৃত। যা অনুভুতিগুলোকে পৌছে দিতে সাহায্য করে। শুধু এই পদ্ধতিই নয়, এছাড়াও আরো বেশ কিছু পদ্ধতির সাহায্যে অনুভূতি মগজ পর্যন্ত পৌছে থাকে।

কিন্তু মূল প্রশ্ন হলো, কেন জীবাণু আমাদের আবেগ ও আচরণের উপর এই প্রভাব বিস্তার করে? উত্তরটাও খুব সহজ, নিজেদের বংশ বিস্তার ও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। এই ব্যাপারটি সহজভাবে বোঝানোর জন্য একটি মজার চক্র তুলে ধরা হলো।

এই চক্রটি আবর্তিত হয় বিড়াল থেকে ইঁদুরের মধ্যে। বিড়ালদের জন্য বিশেষ ধরণের একটি জীবাণু আছে, যার নাম টোক্সোপ্লাজমা গন্ডি। এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত বিড়াল খোলা স্থানে জীবাণুর ডিমসহ মল ত্যাগ করার মাধ্যমে চক্রটি শুরু হয়। আমরা সকলেই জানি ইঁদুর সবকিছু খায়। যার ফলে টোক্সোপ্লাজমার প্রভাবে ইঁদুর গর্ত থেকে বের হয়ে বিড়ালের মল খেতে উদ্যত হয়। এই সুযোগে বিড়াল ইঁদুরকে সহজেই শিকার করে খেতে পারে। টোক্সোপ্লাজমা শুধু বিড়ালের পাকস্থলিতেই পুনরায় বংশবিস্তার করতে পারে। যে কারণে এই চক্রের মাধ্যমে টোক্সো তার বংশ বিস্তার করতে পারে।

ঠিক একই ঘটনা ঘটে থাকে মানুষের সাথেও। তাদের বিভিন্ন ধরণের আবেগ ও আচরণের প্রকাশের মাধ্যমে ত্বরান্বিত হয় জীবাণুদের বংশবিস্তার। কিছু জীবাণু আমাদের সামাজিক হতে সাহায্য করে ও আমাদের মন ভালো রাখে। যার ফলে আমরা বাইরে ঘুরতে বের হই, পরিচিতদের সাথে সাক্ষাৎ করি। এই সকল ক্রিয়ার মাধ্যমে খুব সন্তর্পনে জীবাণু তাদের বংশ বিস্তার করে থাকে।

তাইতো যে অনুভূতিকে আমরা মন খারাপ কিংবা মন ভালো থাকা বলছি, সেটা অনেকটাই আমাদের শরীরে বীরদর্পে বাস করা জীবাণুদের ষড়যন্ত্র!

 

   

রমজানে যেসব কাজ এড়িয়ে যাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান সবচেয়ে পবিত্র মাস। ইবাদতের এই মাসে কেবল ভালো কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা জানেন রমজান মাসে কি করা উচিত। তবে অনেকেই জানেন না, এই এক মাস কোন কাজগুলো একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-     

অকারণে রোজা ভাঙা: রমজানে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক এবং প্রধান নির্দেশনা। সংযমের মাসে রোজা রেখে সংযম চর্চা করা হয়। রমজান মাসে শেহরির পর এবং ইফতারের আগে কিছুই খাওয়া যাবেনা। রোজা রেখে ভেঙে ফেলা একদমই উচিত নয়। তাই খুব বিশেষ কারণ ছাড়া রোজা ভাঙবেন না।     

ঝগড়া-বিবাদ: সকল খারাপ অভ্যাস কমিয়ে ফেলা বা নিয়ন্ত্রণে রাখা রমজানের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য। যেকোনো ধরনের খারাপ আচরণ, ঝগড়া, তর্ক এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে রমজান মাসেস একদমই এসব করা যাবে না। এমনকি অহংকারও অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস। কোনো বিষয় নিয়েই অহংকার করে অথবা কাউকে ছোট করে কথা বলা উচিত না।   

দানশীলতার অভাব: দান দক্ষিণা প্রদান খুবই ভালো কাজ। নিজেদের কাছে থাকা অতিরিক্ত জিনিসগুলো, যাদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া উচিত। সকলেরই সাধ্য অনুযায়ী টাকা, খাবার, পোশাক- এসব গরীবদের দেওয়া উচিত।   

ইফতারের পর অপকর্মে লিপ্ত: অনেকে মনে করেন, রমজান মাসে শুধু দিনের বেলা ইবাদত আর ভালো করতে হয়। ইফতারের পরই পরই অনেকে মদ, সিগারেটের মতো নেশাজাত দ্রব্য সেবন শুরু করে। এসব কাজ রমজানের শিক্ষাকে ব্যর্থ করে দেয়।   

অলস সময় পার করা: সারাদির না খেয়ে রোজা থাকার ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত থাক। অনেকে এই বাহানায় কাজ করতে চান না। তারা মনে করেন রোজা রেখে সারাদিন শুয়ে, বসে, ঘুমিয়ে কাটালে কোনো অসুবিধা নেই। আদতে এমন নয়। নিতান্ত নড়াচড়া করতে পারেনা অথবা খুব অসুস্থ মানুষ ছাড়া সকলেরই প্রতিদিনেরই রুটিন অনুসারেই কাজ করে যেতে হবে।  

নামাজ না পড়া: মুসল্লীদের মধ্যে অনেকেই রোজা রাখলেও নামাজ পড়েন না। নামাজ না পড়লে রোজা রাখার মাহাত্ম্য নেই। রমজান মাসে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি হয়। তাই একবেলাও নামাজ বাদ দেওয়া ঠিক না।  

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

রমজানে অপচয় করার অভ্যাস ত্যাগ করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাকার অপচয়

টাকার অপচয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস। হযরত মোহম্মদ (সা.) এর নির্দেশনায় মুসল্লীগণ রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করেন। এই এক মাস সর্বাঙ্গে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চর্চা করে তারা। অনেকে মনে করেন, রোজার অর্থ শুধু না খেয়ে থাকা। তবে রোজা মূলত সংযম শেখানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এই সংযম শুধু খাদ্যের নয়, মনুষ্যের সকল ধরনের নেতিবাচক দিকের।   

অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা রমজান মাসে একদমই করা উচিত নয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অকারণে টাকা নষ্ট করা। রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে ঈমান রক্ষাকারী কাজই করা উচিত। অপচয় করার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। রমজান মাসে অপচয় করা একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।  

অনেককেই দেখা যায় ইফতারে অনেক বেশি পদের খাবার আয়োজন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অনেকেই ইফতারে দামি খাবারের ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে নিজের প্রয়োজনকে সংযত করা আবশ্যক। অপ্রয়োজনে খাবারের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করে তা না খেয়ে নষ্ট করা- দুটোই অপচয় ঘটায়। তাছাড়া, বেশি খাবারের চাহিদার কারণে রান্নার কাজে যা ব্যয় থাকেন তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া সবাই ঈদে সকলেই নতুন পোশাক কেনে। তবে কারো মধ্যে সাধ্যের বাইরে গিয়ে পোশাক কেনা প্রবণতাও দেখা যায়। অনেকে কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে অতিরিক্ত সময় কাটান। রমজান মাস ইবাদত করার মাস। এই সময় যত বেশি সম্ভব ধর্মীয় কাজে এবং মসজিদে সময় কাটানো উচিত।

অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারে না। সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। এতে তাদের জীবনও ‍কিছুটা সহজ হবে, আপনারও মানসিক শান্তি মিলবে। 

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;