দেহ ও মনের সুস্থতায় ইয়োগা



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট/ লাইফস্টাইল
ইয়োগা চর্চা শরীর ও মন উভয়ের জন্যেই প্রয়োজন।

ইয়োগা চর্চা শরীর ও মন উভয়ের জন্যেই প্রয়োজন।

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরনো এই শরীর চর্চার ধারাটি বর্তমান সময়ে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জিমে ভারী যন্ত্রের সাথে যারা নিজেকে মোটেও মানিয়ে নিতে পারেন না, তাদের জন্য ইয়োগা বেশ উপযোগী।

নিয়মিত ইয়োগা চর্চার ফলে বাড়তি ওজন কমে যাওয়া এবং পেশী সুগঠিত হয়ে ওঠার পাশাপাশি রয়েছে দারুন স্বাস্থ্য ও মানসিক উপকারিতা।

একশটির বেশী ধরণ রয়েছে ইয়োগার। যার মধ্যে কিছু হলো ‘ফাস্ট-পেসড এবং কিছু রিল্যাক্সিং। তবে যেকোন ধরনের ইয়োগাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যেকোন বয়সের সাথে মানিয়ে যাওয়া দারুন এই শরীরচর্চার ধারাটির চমৎকার কিছু শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উপকারি নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো।

শারীরিক:

শারীরিক ব্যথার উপশমে সাহায্য করে

বেশ কিছু গবেষণা থেকে দেখা গেছে যেনির্দিষ্ট কিছু ইয়োগা আসন ও ওষুধ সেবনের ফলে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, পিঠে ব্যথার মতো ক্রনিক শারীরিক ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার নিয়মিত ইয়োগা করলে ব্যথা সেরে যায়, ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হয় না।

ফুসফুস ও শ্বাসপ্রশ্বাসের উন্নতিতে সাহায্য করে

ফুসফুস ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যার জন্য অভিনব একটি ইয়োগা রয়েছে। যার নাম‘কমপ্লিট ব্রিদিং’। অভিনব এই ইয়োগার নিয়মিত চর্চার ফলে মাত্র এক মাসের মাঝেই শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যার সমাধান সম্ভব। ইয়োগা করার সময় নাকের সাহায্যে শ্বাস নিতে বলা হয়। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসেরও উন্নতি ঘটে।

ঘুম গাঢ় হতে সাহায্য করে

সারাদিনের ব্যস্ততার কারনে শরীরে ক্লান্তি এসে ভর করে। তারপরেও সমস্যা দেখা দেয় রাতে বালিশে মাথা রাখার পর। শরীর জুড়ে ক্লান্তি থাকলেও চোখে ঘুমের কোন আভাস নেই। ‘ইয়োগা নিদ্রা’একটি বিশেষ ধরণের ইয়োগা যা শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি কারণ। স্নায়ুর উপরে প্রভাব বিস্তার করে রাতে দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য করে থাকে।যার ফলে নিয়মিত ইয়োগা চর্চা ঘুমের সমস্যা দূর করতে পারে।

উচ্চরক্ত চাপ কমিয়ে আনে ইয়োগা চর্চা

উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা কমিয়ে আনতে দারুন কার্যকরি হলো নিয়মিত ইয়োগা চর্চা করা। খুব সাধারণ ইয়োগার ধরণ ‘শবাসন’ চর্চার মাধ্যমে তিন মাসের মাঝেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা একেবারে কমে যায়। অনেকক্ষেত্রে নিরাময়ও হয়ে যায়।

রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে/ কমাতে সাহায্য করে

ইয়োগা চর্চার ফলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এর মাত্রা কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সঙ্গেরক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী

ইয়োগার ভিন্নধর্মী শারীরিক ভঙ্গীর ফলে পেশীতে টান পরে এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নাড়াচাড়া হয়ে থাকে। যার ফলে শরীরের ভেতরে লিম্ফ (Lymph) নামক এক ধরণের তরল নিঃসৃত হয়। এই তরল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।

হাড় মজবুত করে

লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণাতে দেখা গেছে, ওজন বা ভার উত্তোলক ঘরানার ইয়োগা চর্চার ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং হাড় মজবুত হয়।

ওজন উত্তোলক ঘরানার ইয়োগা হলো নিজের শরীরের ওজনকে নিজেকেই বহন করা তথা, ইয়োগার ভঙ্গীর ফলে নিজের শরীরের ওজন বহন করা। এক্ষেত্রে হাড়ের উপর চাপ পড়ার ফলে হাড়ের সহনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি ইয়োগা চর্চার ফলে মানসিক দুশ্চিন্তা তৈরিকারী হরমোন কর্টিসোলের নিঃসরণ হ্রাস পায়। ফলে হাড়ের ক্যালসিয়ামের মাত্রা সঠিক থাকে।

মানসিক স্বাস্থ্যের উপকারিতা সমূহ:

মন খারাপভাব দূর করে

মানসিক অবসাদ কিংবা হতাশা থেকে মন খারাপ ভাব তৈরি হলেও, অনেক সময় অকারনেই মন খারাপ হয়। এমন হুটহাট মন খারাপভাব দেখা দিলে পিঠে পেছনের দিকে বাঁকিয়ে ইয়োগার ‘কিং ড্যান্সার পোজ’ চেষ্টা করা যেতে পারে। এতে শরীরের পেশীতে টান পড়ে এবং সেরোটোনিন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে মন খারাপভাব দ্রুত কেটে যাবে।

মনযোগী হতে সাহায্য করে

ইয়োগার মূলমন্ত্র, বর্তমান সময়ের প্রতি মনযোগী হওয়া। এতে কাজের প্রতি মনোযোগের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।গবেষণা থেকে দেখা যায়, যারা নিয়মিত ইয়োগা চর্চা করেন তাদের সামঞ্জস্যতা, স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার উন্নতি হয়ে থাকে।

মানসিক শান্তি প্রদান করে

নিয়মিত ইয়োগা চর্চার ফলে যেকোন ধরণের নেতিবাচক অনুভূতি হ্রাস পায়। হতাশা, আফসোস, রাগ, ভয়, মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে এবং ইতিবাচক অনুভূতি তৈরিতে ইয়োগা দারুন কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মানসিক চাপের ফলে মাইগ্রেন, ইনসমনিয়া, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হবার চেষ্টা করতে হবে। সেক্ষেত্রে ইয়োগা দারুন একটি উপায়।

   

রমজানে অপচয় করার অভ্যাস ত্যাগ করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাকার অপচয়

টাকার অপচয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস। হযরত মোহম্মদ (সা.) এর নির্দেশনায় মুসল্লীগণ রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করেন। এই এক মাস সর্বাঙ্গে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চর্চা করে তারা। অনেকে মনে করেন, রোজার অর্থ শুধু না খেয়ে থাকা। তবে রোজা মূলত সংযম শেখানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এই সংযম শুধু খাদ্যের নয়, মনুষ্যের সকল ধরনের নেতিবাচক দিকের।   

অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা রমজান মাসে একদমই করা উচিত নয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অকারণে টাকা নষ্ট করা। রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে ঈমান রক্ষাকারী কাজই করা উচিত। অপচয় করার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। রমজান মাসে অপচয় করা একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।  

অনেককেই দেখা যায় ইফতারে অনেক বেশি পদের খাবার আয়োজন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অনেকেই ইফতারে দামি খাবারের ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে নিজের প্রয়োজনকে সংযত করা আবশ্যক। অপ্রয়োজনে খাবারের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করে তা না খেয়ে নষ্ট করা- দুটোই অপচয় ঘটায়। তাছাড়া, বেশি খাবারের চাহিদার কারণে রান্নার কাজে যা ব্যয় থাকেন তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া সবাই ঈদে সকলেই নতুন পোশাক কেনে। তবে কারো মধ্যে সাধ্যের বাইরে গিয়ে পোশাক কেনা প্রবণতাও দেখা যায়। অনেকে কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে অতিরিক্ত সময় কাটান। রমজান মাস ইবাদত করার মাস। এই সময় যত বেশি সম্ভব ধর্মীয় কাজে এবং মসজিদে সময় কাটানো উচিত।

অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারে না। সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। এতে তাদের জীবনও ‍কিছুটা সহজ হবে, আপনারও মানসিক শান্তি মিলবে। 

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;

যেসব খাবার খেয়ে রোজা ভাঙাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্যকর ইফতার

স্বাস্থ্যকর ইফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র সময়। সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ।

টানা একমাস রোজা রাখার কারণে, শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে। তাই সারাদিন রোজা থাকার পর এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষেই দূর করে দিতে পারে। জেনে নিন, রোজা ভাঙার সময় যেসব খাবার বেশি উপকারী হতে পারে-

ফল: রোজা ভাঙার সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত যা সহজেই হজম করা যাবে। এজন্য ফল একটি ভালো উপকরণ হতে পারে। সারাদিন নির্জলা উপবাসের কারণে শরীরে পানির ঘাটতিও হয়। তাই তরমুজ, আঙ্গুর, আপেল, নাশপাতির মতো ফল খেতে পারেন। এসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। তবে টকজাতীয় ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।  

ডিম: রোজা রাখার কারণে যে পেশিক্ষয় হয়, সেই ক্ষতিপূরণ করার জন্য ডিম খেতে পারেন। ডিম যেমন প্রোটিনের একটি উত্তম মাধ্য, তেমন খাওয়ার জন্য রান্না করতেও সময় কম লাগে। ডিম অমলেট, মামলেট বা সিদ্ধ যেভাবেই খেতে চান, প্রস্তুত করতে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যয় করলেই হয়।

মাছ: মাছে প্রোটিন ছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘ভিটামিন ডি’ থাকে। তাছাড়া বেশিরভাগ মাছেই পর্যাপ্ত চর্বি থাকে। খাবার তেলের থেকে মাছের থেকে পাওয়া তেল অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। সারাদিন রোজা রাখার পর প্রোটিনের উৎস হিসেবে, মাংসের চেয়ে মাছ উত্তম। বিশেষ করে রেডমিট (গরু, খাসি) খেয়ে একদমই রোজা ভাঙা উচিত নয়। কারণ, এসব হজম করা বেশ কঠিন।

প্রোবায়োটিকস: সারাদিন রোজা রাখার কারণে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হয়। তাই অন্ত্রে অস্বাভাবিকা দেখা দিতে পারে। হজমে সমস্যা ছাড়াও অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারে প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। যেমন- দই, কম্বুচা ইত্যাদি।  

অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো একপ্রকার বিদেশী ফল। এটি অনেক নরম হয়, তাই সহজেই হজমযোগ্য। একটু খাওয়ার নারকেল তেল বা জলপাই তেলের সাথে এই ফল খাওয়া যেতে পারে।

সবজি: রোজা রেখে ফল এবং সবজি খাওয়া অত্যন্ত ভালো। বিশেষ করে ফুলকপি, ব্রকলির মতো ফল রোজার পর অধিক কার্যকরী হতে পারে।   

তথ্যসূত্র: ফেয়ারপ্রাইস

;