বর্ষায় ভ্রমণে যা রাখবেন সাথে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বর্ষাকালে ঘুরাঘুরিতে কিছু অনুষঙ্গ অবশ্যই সাথে রাখতে হবে, ছবি: সংগৃহীত

বর্ষাকালে ঘুরাঘুরিতে কিছু অনুষঙ্গ অবশ্যই সাথে রাখতে হবে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টির সময় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হলে, মাথায় রাখতে হয় শতেক দরকারি জিনিসপত্রের হিসাব।

স্বাভাবিকভাবে সবাই চেষ্টা করে কম জিনিস বহন করার। কারণ এতে ঘুরতে সুবিধা হয়।

বৃষ্টিকালীন সময়ে বের হলে সাথে ছাতা তো থাকেই, তবে ছাতার সাথে আরও কয়েকটি প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতে হবে। এ সময়ে কোন জিনিসগুলো সাথে রাখা প্রয়োজন জেনে রাখুন।

ছাতা

বৃষ্টি মানেই সাথে ছাতা বহন করা। অনেকের কাছে বিরক্তকর মনে হলেও ভিজতে না চাইলে ব্যাগে ছাতা রাখতে হবে। কম বৃষ্টি হলে হালকা ভারের ছাতা রাখা যায়, তবে ঝড়ো বৃষ্টি হলে অবশ্যই ভারী ছাতা প্রয়োজন হবে। তা না হলে, প্রবল বাতাসে ছাতার হুক ভেঙ্গে যেতে পারে।

রেইনকোট

শিশু থেকে বড় সকলের জন্যেই রেইনকোট ব্যবহার দারুণ উপযুক্ত। নিজেকে বৃষ্টির হাত থেকে সম্পূর্ণ শুষ্ক রাখতে রেইনকোট সবচেয়ে কার্যকরী। বাচ্চাদের কোথাও নিয়ে গেলে রেইনকোট সাথে রাখুন, বৃষ্টি হলে তা পরিয়ে বাইরে বের হোন, এতে তারা সহজে ভিজবে না। এছাড়া অনেকে বাইক বা সাইকেল চালান। তারাও প্যান্টসহ জ্যাকেট রেইনকোট পরতে পারেন। এতে জামার কোন অংশই ভিজবে না ও বৃষ্টি শেষে শুষ্ক থাকতে পারবেন।

জুতা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562848722180.jpg

বৃষ্টিতে আরেকটি খুব দরকারি হল জুতা। কাদাযুক্ত রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করা খুব অসহ্য হলেও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে চাইলে, যানবাহনের পাশাপাশি হাঁটতেও হয়। এছাড়া বৃষ্টির সময় ঘুরতে গেলে, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় গেলে জুতা নিয়ে বেশ খেয়াল রাখতে হয়। পাহাড়ি অঞ্চলে গেলে শু বা কেডস জাতীয় জুতা, যেগুলো গ্রিপ্স রাখতে পারে সেগুলো ব্যবহার করা উচিৎ। এতে কাদাতে পা সহজে পিছলিয়ে যাবে না এবং বৃষ্টিতে যেসব পোকার পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

তবে আশেপাশে কোথাও বা নিচু স্থানে ঘুরতে গেলে প্লাস্টিক বা যেগুলো দ্রুতই শুকিয়ে যাবে এমন স্যান্ডেল বা জুতা পড়তে পারেন।

ওয়াটারপ্রুফ ও জিপলক ব্যাগ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562848698153.jpg

বৃষ্টির সময় প্রয়োজন এমন ব্যাগ যেটি পানিতে ভিজবে না, পানি প্রবেশ করবে না ও ভিতরের জিনিসপত্রগুলো সুরক্ষিত থাকবে। তাই ব্যাগ যখন কিনবেন দেখে নিন সেটি ওয়াটারপ্রুফ কিনা এবং সেটিতে চেইন ঠিকমত আছে নাকি, যেন খোলা না থাকে।

তোয়ালে বা রুমাল

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562848681028.jpg

বৃষ্টিতে ভিজে ঘুরাঘুরি করতে কমবেশি অনেকই করেন। তবে ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়। ঠাণ্ডা, জ্বর, সর্দি এমন সময়ে খুব জলদি দেখা দেয়। তাই সাথে রাখুন ছোট তোয়ালে বা রুমাল, যেটি সহজেই পানি চুষে নিবে এবং দ্রুত বাতাসের সংস্পর্শে শুকিয়ে যাবে। এতে করে বৃষ্টিতে ভেজার পরপরই মাথার চুলসহ শরীর ভালোভাবে মুছে ফেলা যাবে।

হালকা পোশাক

বৃষ্টির দিন ভারী কাপড় পড়া উচিৎ নয়, কারণ এমন পোশাক বৃষ্টিতে ভিজলে সহজে শুকাতে চায় না। এমন সময় হালকা ধরণের জামা পরিধান করা উচিৎ যেগুলোতে পানি ঝরে যাবে, দাগ বসবে না, দ্রুত শুকিয়ে যাবে এবং পরে আরাম বোধ হবে। এ ধরণের জামা ব্যাগে বেশি জায়গাও নেয় না এবং ব্যাগ ভারীও হয়না।

টর্চলাইট

বৃষ্টির দিন কারেন্টের সমস্যাতো থাকেই, তবে এ সময় দিনভর অন্ধকার পরিবেশ হয়ে থাকে। এ সময়ে পাহাড়-জঙ্গলে ঘুরলে অন্ধকারে সহজে দেখা যায়না। এছাড়া রাতে দুর্ঘটনার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই সাথে রাখুন ছোট টর্চলাইট বা এমন কোনো লাইট যেটির চার্জ অনেকক্ষণ থাকবে ও ভালো আলো দিতে পারবে।

স্মার্ট ওয়াচ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562848621597.jpg

ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে সবকিছুই হাতের মুঠোয়। শুধু যে মোবাইল ফোনে সবকিছু করা হয়, তা নয়। এখন হাতে পড়া ঘড়িতেও রয়েছে মোবাইলের কিছু কার্যক্রম যেমন- ম্যাসেজ দেখা, কল ধরে কথা বলা, কত কিলোমিটার হেঁটেছেন সে হিসাব রাখা, মোবাইল ট্র্যাক করা, দিক নির্দেশনা ইত্যাদি। তাই সম্ভব হলে ঘুরতে যাওয়ার আগে সাথে রাখুন একটি ডিজিটাল ঘড়ি। চমৎকার বিষয়টি হল, স্মার্ট ওয়াচ বৃষ্টিতে ভিজলেও নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। এতে বৃষ্টিতে আপনার মোবাইল বারাবার বের করার প্রয়োজন হবে।

পাওয়ার ব্যাংক

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562848603466.jpg

মোবাইল, লাইট, স্মার্ট ঘড়ি চার্জ দিতে যেখানে সেখানে বিদ্যুৎ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। তাই ডিভাইসগুলোর চার্জের জন্য সাথে রাখুন পাওয়ার ব্যাংক।

মশার ঔষধ 

বৃষ্টিতে মশার উৎপাত চারিদিকে বেশি থাকে। তাই যেখানেই ঘুরতে যাওয়া হোক না কেনো সাথে রাখুন মশার ঔষধ, ক্রিম বা স্প্রে। এছাড়াও সাথে মশার কয়েল বা মশা মারার উপাদান রাখুন।

খাওয়ার ঔষধ

ব্যাগে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ঔষধ যেমন: জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, নাপা বা এইস প্লাস, এলার্জির ঔষধ, গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ, পোকামাকড়, মশা কামড়ানোর ক্রিম, ব্যান্ডেজ, কেটে গেলে ক্ষত পরিষ্কারের জন্য অ্যান্টিসেপটিক ইত্যাদি রেখে দিন।

প্লাস্টিক বা পলিথিন

বৃষ্টিতে আপনার জিনিসগুলো ভিজে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সাথে রাখুন প্লাস্টিকের ব্যাগ বা পলিথিন। আপনার বহনের ব্যাগটি ওয়াটারপ্রুফ হলেও, বেশিভাগ জিনিসপত্র প্লাস্টিকে মুড়িয়ে ব্যাগে রাখুন। বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, ঔষধ, পরিধেয় পোশাক। এতে কোনোভাবে ব্যাগে পানি ঢুকলে জিনিসগুলো ভিজে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও ভিজে যাওয়া জামা-জুতা পলিথিনে মুড়িয়ে ব্যাগে নিতে পারবেন, এতে পানি ছড়িয়ে যাবেনা।

   

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;