চমৎকার সম্পর্কের গাঁথুনিতে মা ও মেয়ে



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
মা ও মেয়ের মাঝে বোঝাপড়া হোক বন্ধুর মতো, ছবি: সংগৃহীত

মা ও মেয়ের মাঝে বোঝাপড়া হোক বন্ধুর মতো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মা-মেয়ের সম্পর্কটি একেবারেই অন্যরকম হয়।

অন্য সকল সম্পর্কের চাইতে একেবারেই ভিন্ন, আলাদা। দু’জনের মাঝে সম্পর্কটি কখনো দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ, মধুর। কখনো দূরত্বের, জটিল। কখনো একে-অপরকে বুঝে উঠতেই পার হয়ে যায় এক জীবন। আবার কখনো পরস্পরের সবচেয়ে কাছের মানুষটি হয়ে ওঠেন একে-অন্যের।

মায়ের সাথে মেয়ের সম্পর্কটি যেমনই হোক না কেন, মায়ের স্থানে মা চিরদিন অপরিবর্তনশীল। সন্দেহাতীতভাবে এটাও সত্য যে, প্রতিটি সম্পর্কের মাঝেই আসে চরাই-উৎরাই, আসে দোটানা। মা-মেয়ের সম্পর্কের মাঝেও একটা নির্দিষ্ট সময় পর তৈরি হয় কিছু ‘ইস্যু’। যা সম্পর্কের মাঝে সৃষ্টি করে ‘ব্যবধান’।

এক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত, ভুল বোঝাবুঝি, অহেতুক অভিমান, অতিরঞ্জিত প্রত্যাশা দায়ী অনেকাংশে। কারণ যেটাই হোক না কেন, মা-মেয়ের মাঝে সম্পর্কটি সবসময় সাবলীল থাকবে, এমনটা চান প্রতিটি মা ও মেয়ে। চমৎকার এ সম্পর্কের মাঝে যে কারণগুলো সমস্যা তৈরি করে থাকে তার কয়েকটি এখানে আলোচনা করা হল।

পরিবর্তনটা প্রয়োজন নিজের

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেটা দেখা যায়, উভয়েই ভাবেন সম্পর্কটি ভালো হতো যদি আমার মা বা মেয়ে পরিবর্তন হতো। এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন, দু’জনেই সম্পর্ন আলাদা মানুষ। তাদের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ ও স্বকীয়তা রয়েছে। রয়েছে নিজস্বতা। কেউই অন্যের জন্য নিজেকে পরিবর্তন করতে বাধ্য নয়। তবে মনে রাখা প্রয়োজন সম্পর্ক থেকে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে অন্যের জন্য কিছুটা ছাড় দিয়েই। মা যদি মেয়ে বুঝতে চেষ্টা করেন, তার মতামতকে গুরুত্ব দেন, মেয়ে কি পছন্দ করে সেটা জানার চেষ্টা করেন তবে সম্পর্কে দূরত্ব অনেকটা কমে যায়। একইভাবে মায়ের সাথে বয়সের ব্যবধান থাকায় চলতি সময়ের সবকিছু তিনি বুঝতে পারবেন না। মায়ের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে, তার অপছন্দের সাথে তাল মিলিয়ে নিজের মতামতকে উপস্থাপন করলে অনেক সমস্যাই সমাধান হয়ে যায়।

প্রত্যাশা হতে হবে বাস্তবসম্মত

মা ও মেয়ে উভয়েই একে-অন্যের প্রতি প্রতাশ্যা রাখেন আকাসসম। এটাই স্বাভাবিক। ছোটবেলা থেকেই মেয়েরা মায়ের কাছ থেকে সর্বোচ্চ যত্ন ও সুরক্ষার মাধ্যমে বড় হয়। ফল মায়ের প্রতি মেয়েদের প্রত্যাশার ধরণ থাকে অনেক বেশি। অন্যদিকে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে গড়ে তোলা মেয়ের প্রতিও স্বাভাবিকভাবে মায়ের প্রত্যাশার পারদ আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সমস্যাটি হলো, কোনভাবে কোন প্রত্যাশা পূরণ না হলেই অনেক বেশি কষ্ট পেতে হয়। যা থেকে সম্পর্কের মাঝে দুরত্ব তৈরি হয়। তাই উভয়ের উভয়ের প্রতি প্রত্যাশা হতে হবে বাস্তবসম্মত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/04/1556949844271.jpg
মা ও মেয়ের মাঝে বোঝাপড়া হোক বন্ধুর মতো।

 

নিজেকে তার স্থানে চিন্তা করা

ইংলিশে খুব ভালো একটি প্রবাদ আছে, Put oneself in someone's shoes. যার অর্থ হলো নিজেকে অন্যের স্থানে ভাবা, তার পরিস্থিতিতে নিজেকে কল্পনা করা। এর মাধ্যমে খুব দারুণভাবেই অন্যের মানসিক অবস্থা, ভীতি, আশংকা, দুশ্চিন্তা ও কোন ঘটনা দেখার ভঙ্গী সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। মেয়ের সবকিছুটা মা কখনোই হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলাবেন না। তেমনিভাবে মায়ের সকল সিদ্ধান্ত মেয়ের মনঃপুত হবে না। উভয়ের পরিস্থিতি বোঝার জন্য তাই উভয়কেই উভয়ের স্থান থেকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

প্রথম পদক্ষেপটা নিজের নিতে হবে

মা-মেয়ের মাঝে মনোমালিন্য হতেই পারে। এমনকি ঝগড়া হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু বিরূপ সময়ের শেষে পরিস্থিতি যখন ঝিমিয়ে গেছে তখন যে আগে অন্যের কাছে গিয়ে কথা বলবে, মান ভাঙাবে সেটা নিয়েই শুরু হয় এক স্নায়ুযুদ্ধ। মা ভাবেন, ও তো আমার মেয়ে। ওরই তো আমার কাছে আগে আসার কথা। ওই তো আগে আমার সাথে কথা বলবে! ওদিকে মেয়ে ভাবে, আমি তো তার মেয়ে, মা নিশ্চয় সব জানে আমি কি চাই। মা-ই তো আমার কাছে আগে আসবে, আমাকে আদর করে দিবে, কথা বলবে!

খুবই অমূলক এই স্নায়ুযুদ্ধ। এমন ভাবনা উভয়পক্ষেরই বাদ দিতে হবে। মনোমালিন্য কিংবা তর্ক যাই হোক না কেন, সবশেষে নিজেকে আগে এগিয়ে নিতে হবে কথা বলার জন্য পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করার জন্য। মা কেন আগে আসলো না, মেয়ে কেন কথা বললও না- এমন ভাবনা শুধু দূরত্বই তৈরি করে।

অমূল্য এই সম্পর্কের মাঝে কোন সমস্যার দেখা দিক, এমনটা কেউই চান না। অযাচিত কোন কারণে চমৎকার এই সম্পর্কের গাঁথুনি যেন নষ্ট না হয়, তাইতো সেদিকে মা ও মেয়ে উভয়েরই খেয়াল রাখতে।

আরও পড়ুন: সন্তানকে বলুন আপনার ব্যর্থতার গল্পটি

আরও পড়ুন: সম্পর্কে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ

   

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;