নগরে ডায়াবেটিস মেলা



প্রভাষ আমিন
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে অনেক রকম মেলা হয়, বইমেলা, বাণিজ্য মেলা, ফল মেলা, ফুল মেলা, মধু মেলা, শেয়ার বাজার মেলা; মেলার কোনো শেষ নেই। নগরে এবার বসছে ডায়াবেটিস মেলা। বই মেলায় বই মিললেও ডায়াবেটিস মেলায় ডায়াবেটিস পাওয়া যাবে না, বরং পাওয়া যাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায়। না ডায়াবেটিস একবার ধরলে মুক্তির উপায় নেই, উপায় আছে নিয়ন্ত্রণের। সেটাই জানা যাবে ডায়াবেটিস মেলায়।

ডায়াবেটিস আশীর্বাদ না অভিশাপ? যে রোগ একবার ধরলে আর ছাড়ে না, বরং তিলে তিলে টেনে নেয় মৃত্যুর দিকে; তাকে তো সবাই অভিশাপই বলবেন। কিন্তু যে ব্যাধি থেকে মুক্তির কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নেই, তাকে অভিশাপ ভেবে নিজের ভাগ্যকে শাপ শাপান্ত করে তো লাভ নেই। বরং চাইলে আপনি ডায়াবেটিসকে আশীর্বাদে বদলে দিতে পারেন। যে রোগ আপনাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছে, চাইলে সেই রোগই আপনার জীবন লম্বা করতে পারে।

ডায়াবেটিস নেই, এমন মানুষ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন। মনে করেন, আমি সুস্থ, যা ইচ্ছা তাই করতে পারব, আমার কিছু হবে না। তাতে তার শরীরে গোপনে নানা রোগ বাসা বাধে। একদিন হুট করে মরে যান। কিন্তু সেই লোকেরই ডায়াবেটিস ধরা পড়ে গেলে বাধ্য হয়ে তাকে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হয়। খাওয়া, ঘুম সব নিয়ম মেনে। লোভ সামলাতে হয়। সকালে হাঁটতে হয়।

সবমিলিয়ে জীবন চলে আসে দারুণ রুটিনে। যেটা আসলে সবারই দরকার। ডায়াবেটিস হলে ভয়ে আমরা মানি, নইলে মানি না। মানলে যেটা হয় হুট করে মরার ঝুঁকি কমে যায়। আয়ু বেড়ে যায়। যে রোগ আপনার আয়ু বাড়িয়ে তাকে অভিশাপ বলবেন কোন মুখে। তবে সাবধান, ডায়াবেটিসকে আশীর্বাদ ভেবে উৎফুল্ল হওয়ার সুযোগ নেই। নিয়মে একটু ঢিল পড়লেই, ডায়াবেটিস আপনাকে ধ্বংস করে দেবে।

ডায়াবেটিস একা নয়, সুযোগ পেলে ডায়াবেটিস আরও অনেককে আমন্ত্রণ জানিয়ে আনবে। রক্তে চিনি বেড়ে গেলে আপনার ঘা শুকাবে না, অপারেশন করতে পারবেন না, ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাবে আপনার কিডনি, লিভারসহ অন্যান্য অঙ্গ। তাই ডায়াবেটিস বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আসলে ভয়ঙ্কর অভিশাপ। ডায়াবেটিস ঠেকানোর কোনো উপায় নেই।

বজ্রপাতের মতো আচমকা হানা দিতে পারে যে কারো শরীরে, যে কোনো বয়সে। বংশে কারো ডায়াবেটিস থাকলে ঝুঁকি বেশি, তবে না থাকলেও হতে পারে। বয়স ৪০ পেরুলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তবে আগেও হতে পারে। ডায়াবেটিস ভূমিকম্পের মতো, বজ্রপাতের মতো; কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই আঘাত করবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 'নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলে ডায়াবেটিস সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। তারপরও ডায়াবেটিস আপনার শরীরে বাসা বেঁধে ফেললে তাকে অভিশাপ বানাবেন না আশীর্বাদ, সেটা কিন্তু আপনার ওপর নির্ভর করছে।'

তবে আপনি যাতে ডায়াবেটিসকে আশীর্বাদ বানাতে পারেন, সে জন্য আপনার পাশে দাঁড়াতে, কৌশল শেখাতেই বসছে তিনদিনের ডায়াবেটিস মেলা। কংগ্রেসিয়া নামের একটা সংগঠন এই মেলার আয়োজন করছে। রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আগামী ১১ এপ্রিল দুপুর ২টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে ১৩ এপ্রিল বিকেল ৩টা পর্যন্ত। ডায়াবেটিস মেলায় এক ছাদের নিচে মিলবে সব সেবা।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া এবং ডায়াবেটিসের যত্ন ও সেবাদানকারী সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগীর যোগাযোগ স্থাপন করা, জনসাধারণকে সম্ভাব্য ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করা, কর্মশালা, বক্তৃতা ছাড়াও হাতে-কলমে ডায়াবেটিসের যত্ন ও নিয়ন্ত্রণের শিক্ষাদান এবং সুলভে ডায়াবেটিসের পণ্য ও সেবা প্রদানের আকাঙ্ক্ষা থেকেই এ মেলার আয়োজন।

সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান নবম স্থানে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে প্রায় ৯০ লাখ, বছরে বাড়ছে আরও ১ লাখ রোগী। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, 'সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করলে রোগী নিজেই ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে ডায়াবেটিস মহামারী আকার ধারণ করছে। এ মহামারী ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে। এরকম একটি উদ্যোগই ডায়াবেটিস মেলা।'

তিনদিনের এই মেলায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী, তাদের পরিবারের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ, চিকিৎসক, পুষ্টিবিদসহ ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবেন। মেলায় অংশগ্রহণ করতে কোন প্রবেশ মূল্য লাগবে না। যে কেউ যে কোন সময় যে কোন সেশনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে যারা ডায়াবেটিস মেলার নির্ধারিত ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক পেজে ‘ডায়াবেটিস মেলা’য় নিবন্ধন করবেন তারা মেলার পক্ষ থেকে নিয়মিত আপডেট পাবেন।

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে তো আপনি আসবেনই। না থাকলেও আসুন, জেনে রাখুন ভবিষ্যৎ সতর্কতাগুলো। সুস্থ থাকুন, দীর্ঘ নিরোগ জীবন লাভ করুন।

   

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

প্রচণ্ড উত্তাপে পুড়ছে দেশ, জেনে নিন হিট স্ট্রোকের উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। গতবছরের শেষভাগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল এল নিনোর কারণে চলতি বছর তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াবে। ইতিমধ্যে গরমে অস্থির সকলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সামনে গরম আরও বাড়বে। মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি তাপমাত্রা ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই গরমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান মানুষ হিট স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। অনেকে অতিরিক্ত গরমে মারাও যাচ্ছেন। এত গরম কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই বাইরে গেলে নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করা উচিত। তবে যাদের হিট স্ট্রোক হচ্ছে তারা হয়তো বুঝতেও পারছেন না। হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অবশ্যই হিট স্ট্রোকের উপসর্গগুলো লক্ষ্য করতে হবে। জেনে নেই হিট স্ট্রোকের উপসর্গ-  

১। দেহতাপ

দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত দেহতাপ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা এরচেয়ে বেশি তাপমাত্রাই হিট স্ট্রোকের পূর্বাভাস। 

২। ব্যবহার

হিট স্ট্রোকের আক্রমণের আগে মানুষের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- এলোমেলো আচরণ, শরীরে অস্বস্তি, চোখে ঝাপ্সা দেখা, বিরক্তবোধ করা, খিচুনি হওয়া এমনকি কোমায় চলে যাওয়ার মতো অনুভূতি।  

৩। ঘাম

গরম আবহাওয়ার কারণে ত্বক গরম এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সেই কারণে প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে।

৪। বমি

হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ হিসেবে পেটের অস্বস্তিকেও চিহ্নিত করা হয়। অনেকে গরমে অসুস্থ বোধ করে বমি করেন। বা বমি না হলেও অনেক সময় শুধু বমি বমি ভাব হয়।

৫। ত্বক

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।

৬। শ্বাস

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগ করা অস্বাভাবিক হয়ে যায়। সাধারণত শ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হতে দেখা যায়।

৭। হৃদক্রিয়া

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথেই পালস উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ তাপের কারণে যখন শরীরে অস্বাভাবিকতা শুরু হয় তখন শরীর ঠান্ডা করার জন্য হৃদয়ের উপর চাপ বাড়ে।

৮। মাথা ধরা

হিট স্ট্রোক হওয়ার সময় মাথা ঝিমঝিম করা সাধারণ একটি উপসর্গ।

তথ্যসূত্রঃ মায়ো ক্লিনিক

;