বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূলে মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগে অংশ নেওয়া অতিথিবৃন্দ।

ছবি: মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগে অংশ নেওয়া অতিথিবৃন্দ।

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি কর্তৃক, ইউএসএআইডি এবং চ্যালেঞ্জ টিবি বাংলাদেশ (সিটিবি) প্রজেক্টের সহযোগিতায়, জাতীয় পর্যায়ের একটি মাল্টি সেক্টর পলিসি ডায়ালগ এর আয়োজন করা হয় গতকাল রোববার (২৪ মার্চ)।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ঘোষিত প্রতিশ্রুতিসমূহের পর্যালোচনার জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব, নীতিনির্ধারকবৃন্দ, বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ শতাধিক অংশগ্রহণকারী উক্ত সংলাপে অংশ নেন।

প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার বৈশ্বিক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে একটি শক্তিশালী বক্তব্য নিয়ে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ বছরের বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য “It's Time” এর সাথে মিল রেখে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি) কর্তৃক বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “It's time to end TB in Bangladesh” যার বাংলা অনুবাদ “এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার”।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506113775.jpg

২৪ মার্চ ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত পলিসি ডায়ালগটি ছিল জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি সহ বিভিন্নক্ষেত্রে নীতিনির্ধারক পর্যায়ের ব্যাক্তিবর্গের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মত জাতীয় পর্যায়ের একটি নীতিনির্ধারণী সংলাপ। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রফেসর (ডাঃ) মোঃ শামিউল ইসলাম, পরিচালক এমবিডিসি ও লাইন ডিরেক্টর টিবি-এল ও এএসপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সকল অংশগ্রহনকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং UN HLM এর লক্ষ্য অর্জণে সারাদেশে যক্ষ্মার সেবা কার্যক্রমের প্রতি দৃষ্টি প্রদান করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি চলমান কর্মসূচির নীতিমালা ও অগ্রাধিকার, যক্ষ্মা মোকাবেলায় বিগত দশকগুলোতে অর্জিত সাফল্য ও এখন পর্যন্ত বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধরেন।

বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য হিসেবে ডঃ শামসুল অলম, সদস্য (সিনিয়র সচিব), জিইডি, পরিকল্পনা কমিশন, মিঃ আর্ল আর মিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত, অধ্যাপক ডাঃ খান আবুল কালাম আজাদ, প্রিন্সিপাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ডিন, মেডিকেল অনুষদ, প্রফেসর ডা: ইকবাল অর্সলান, প্রাক্তন ডীন ও মহাসচিব, বিএমএ এবং ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রমুখ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক ও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506129641.jpg

আলোচ্য বিষয়সমূহের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিলো বিদ্যমান সম্পদসমূহের সংহত ব্যবহার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি; শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয় সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন; ব্যক্তিখাত ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধীবৃন্দকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্তকরন; যক্ষ্মা মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ; যক্ষ্মা খুঁজে বের করা, চিকিৎসা প্রদান ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে সুশীল সমাজের আরো স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ ইত্যাদি।

বর্তমান যক্ষ্মা রোগ পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার প্রদান করে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রতিশ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অর্জণে রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা এবং জোরালো ও সামঞ্জস্যপূর্ণ বিনিয়োগ প্রয়োজন। উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ যক্ষ্মা মোকাবেলায় সম্ভাব্য সুযোগ অনুসন্ধান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের বিষয়ে একমত হন। সংলাপে অংশগ্রহণকারীবৃন্দ যক্ষ্মারোগ মোকাবেলায় নাগরিক সমাজ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের, বিশেষ করে মার্কিন সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506148646.jpg

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, ডাঃ মুরাদ হাসান, এম পি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়, উক্ত নীতিনির্ধারণী সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের যক্ষ্মা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ে সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের চলমান যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচিকে সমর্থন প্রদান ও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখার জন্য ইউএসএআইডি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি সারাদেশে যক্ষ্মা রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্প্রসারনের জন্য জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্থানীয় সরকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধের জন্য আরো জোরদার উদ্যোগ গ্রহণে ও যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরীতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ'।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/25/1553506231862.jpg

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মি. আর্ল আর মিলার ও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, 'আমেরিকান সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে বাংলাদেশে বিগত দশ বছরেও যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এখানে এবং সারা বিশ্বে সম্মিলিত লক্ষ অর্জনে আমেরিকান সরকার সকল দেশ এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ'।

সংলাপ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জনাব আসাদুল ইসলাম, সম্মানিত সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রফেসর (ডাঃ) মোঃ শামিউল ইসলাম, পরিচালক এমবিডিসি ও লাইন ডিরেক্টর টিবি-এল ও এএসপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জনাব জি এম সালেহ উদ্দিন, সম্মানিত সচিব, মেডিকেল এডুকেশন ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাঃ মুস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল এসাসিয়েশন (বিএমএ), ডাঃ এডউইন সি সালভাদর, ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বাংলাদেশ, মি. ডেরিক ব্রাউন, মিশন ডিরেক্টর, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ, ডাঃ পুষ্পিতা সামিনা, ক্লিনিক্যাল সার্ভিস লিড, অফিস অব পপুলেশন, হেল্থ, নিউট্রিশন এন্ড এডুকেশন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ, ডাঃ অস্কার কর্ডন, কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর, চ্যালেঞ্জ টিবি প্রজেক্ট, বাংলাদেশ, এমএসএইচ, আইআরডি এবং অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

   

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;

হুপিং কাশিতে আক্রান্ত, মেনে চলুন এই বিষয়গুলো!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুপিং কাশি খুবই গুরুতর একটি রোগ। বোর্ডেটেলা পারটুসিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ হয়। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মানুষের শ্বাসনালীতে আক্রমণ করার ফলে হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক উপসর্গ হলো কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট। ইদানিং বেশ কয়েকটি দেশে হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়। গত বছরের তুলনায় এই বছর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় ২০ গুণ বেশি। তাই হুপিং কাশির ক্ষেত্রে সতর্কতা বাড়াতে হবে।

সতর্কতা বাড়ানোর আগে অবশ্যই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও সংক্রমণ শিথিল করার উদ্দেশ্যে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। জেনে নিই হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হলে কি করতে হবে-

১. টিকা: যেকোনো রোগের প্রতিরোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো টিকাগ্রহণ। বেশির ভাগ রোগের জন্যই প্রতিরোধমূলক টিকা রয়েছে। শিশুদের ছোট থেকেই বাধ্যতামূলক কিছু টিকাদান করা হয়। সাধারণত ২ মাস বয়স থেকে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করা হয়।

২. স্বাস্থ্যবিধি: ছোট থেকেই সকলের পরিষ্কার করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অনুশীলন করতে হবে। বাড়ি বড়দের উচিত সাবান পানিতে দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য শিশুদের উৎসাহিত করা। বিশেষ করের বাইরে থেকে ফেরত আসার পর, হাঁচি-কাশির পরে বা নোংরা কিছু ধরার পর। এছাড়া টয়লেট থেকে এসে এবং অবশ্যই খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে। এছাড়াও কাপ, চামচ, গ্লাস বা মগ ইত্যাদি জিনিস ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার করাই ভালো।   

৩. নাক-মুখ ঢাকা: শুধু হুপিং কাশি নয়, বেশিরভাগ ছোঁয়াচে রোগই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই অবশ্যই হাঁচি বা কাশি আসলে সবসময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। অথবা কোনো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে নিন যেন জীবাণু না ছড়াতে পারে। হাতের কাছে কিছুই না পেলে কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নিন। হাঁচি এবং কাশির সময় ‍মুখ ঢেকে নিলে রোগ ছড়ানো অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

৪. বাড়িতে থাকা: হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত হলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। একেবারেই বের না হলে আরও ভালো। অত্যাধিক সংক্রমণ ঝুঁকি থাকার কারণে অন্যদেরও উচিত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা।

৫. চিকিৎসা: আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসাও গ্রহণ করতে হবে। 

;