‘আসক্তি’ দেখা দিতে পারে এই সকল কাজেও!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
সেলফি তোলার অভ্যাসটিও হতে পারে আসক্তির কারণ। ছবি: সংগৃহীত

সেলফি তোলার অভ্যাসটিও হতে পারে আসক্তির কারণ। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসক্তি শব্দটা পড়ার সাথে সাথেই নিশ্চয় ড্রাগ, অ্যালকোহল কিংবা জুয়া খেলার আসক্তির বিষয়টি মাথায় কাজ করবে।

আসক্তি কখনোই ইতিবাচক ধারণা তৈরি করে না। আসক্তি শব্দটা যেমন নেতিবাচক, তেমনভাবে জীবনের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়।

তবে আসক্তি শুধু ড্রাগস কিংবা পানীয়ের উপরে নয়- নিত্য ব্যবহার্য জিনিস, আচরণগত অভ্যাস এমনকি অনুভূতির উপরেও দেখা দিতে পারে আসক্তি। এমন কিছু বিষয়ের উপরে আসক্তি দেখা দিতে পারে, যা অবাক করে দিবে আপনাকে। অন্যান্য যে সকল বিষয়ের উপর আসক্তি দেখা দিতে পারে, তার কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো।

কেনাকাটা করা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/28/1548667961319.jpeg

অনেকেই কথার কথা বলেন, কেনাকাটা করা নেশার মতো হয়ে গেছে একদম। এক্ষেত্রে নোট নিয়ে রাখুন, কেনাকাটা করাটা আক্ষরিক অর্থেই নেশার মতো হয়ে যায়। ‘টু বাই অর নট টু বাই: হোয়াই উই ওভারশপ অ্যান্ড হাও টু স্টপ’ বইয়ের লেখিকা এপ্রিল লেন বেসনস জানান, ভালো বোধ করার জন্য এবং নিজের মাঝে নিরাপদজনিত বোধকে কাজ করানোর জন্য অনেকেই কেনাকাটার প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়েন। এমনকি কেনাকাটা করার মাধ্যমে নিজেকে শান্ত রাখা সম্ভব হয় এবং নিজের মানসিক অশান্তিকে সাময়িকভাবে কমানো যায়’।

কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনি কেনাকাটার প্রতি আসক্ত কিনা! কেনাকাটার সম্ভবনার উপর যখন আপনার মুড পরিবর্তন নির্ভর করবে এবং অন্য কোন কাজে মন ভালো করা কষ্টকর হয়ে উঠবে, তখন বুঝতে হবে এক্ষেত্রে আপনার আসক্তি তৈরি হয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত কেনাকাটার ফলে পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে যখন নতুন কেনা পণ্য ও পণ্যের বিল লুকিয়ে রাখতে হবে, তখন বুঝতে হবে আসক্তি বেড়ে গেছে বেশ অনেকখানি।

গান শোনা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/28/1548668058012.jpeg

মজা করেই অনেকে বলেন, গান শুনলে নেশার মতো বোধ হয়। মজাচ্ছলে বলা কথাটিরও বাস্তব ভিত্তি রয়েছে। তবে আশার কথা হলো, এই আসক্তিটিকে জীবন থেকে সরানোর কোন প্রয়োজন নেই। ‘ন্যাচার’ জার্নালে প্রকাশিত সায়েন্টিফিক রিপোর্টের তথ্য মতে, উপভোগ্য ও পছন্দসই ভালো মানের সংগীত ‘ন্যাচারাল হাই’ অনুভূতি তৈরি করে। জার্নালে উল্লেখ করা হয়, ভালো খাবার খাওয়ার ফলে যেই অনুভূতিটি তৈরি হয়, গান শোনার ক্ষেত্রেও সেই একই অনুভূতিটি কাজ করে নিউরোট্রান্সমিটারে ডোপামিন নিঃসরণের মাধ্যমে।

সাইক্রিয়াটিস্ট ডেই নুয়েন জানান, এই কেমিক্যাল নিঃসরণের ফলে সেই একই কাজ বারবার করার আমাদের আগ্রহ তৈরি হয়। যে কারণে পারফেক্ট পছন্দসই গান বারবার শোনার প্রতি আমাদের খুব সহজেই আসক্তি চলে আসে।

চুল টানা

ট্রিকোটিলোম্যানিয়া (Trichotillomania) নামক কেমিক্যাল এর প্রভাবে চুল টানা কিংবা আঙ্গুলে চুল প্যাঁচানোর মতো কাজটি থেকে নিজেকে নিবৃত রাখতে পারেন না আসক্ত ব্যক্তি। ক্যালিফোর্নিয়ার সার্টিফায়েড ডার্মাটোলজিস্ট অ্যানা গুয়ানচে জানান, এটা অনেকটাই অন্যমনস্ক একটি অভ্যাস। টিভি দেখার সময়, কারোর কথা শোনার সময় একেবারেই অন্য মনে চুল তানার কাজটি করে থাকেন অনেকে।

সেলফি তোলা

যেখানেই যাওয়া হোক না কেন- নতুন সেলফি তোলা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা, নতুন লাইক কমেন্ট চেক করার মাধ্যমে ডোপামিন নিঃসরণের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। যার ফলাফল স্বরূপ একটা সময় পর এই অভ্যাসটি আসক্তিতে রূপ নেয়। ফলে ঘনঘন সেলফি তোলার প্রবণতা দেখা দেয় তুলনামূলক বেশ খানিকটা বেশি।

ব্যস্ততা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/28/1548667985892.jpeg

এই পয়েন্টে অনেকেই প্রশ্ন তুলবেন, ব্যস্ত থাকার সঙ্গে আসক্তির সম্পর্ক আছে কি আদৌ? আছে বৈকি। ছুটে চলার এই জীবনে ব্যস্ততার সাথেই যেহেতু সখ্যতা বেশি থাকে, সেক্ষেত্রে যে আসক্তিও তৈরি হবে এ নতুন কিছু নয়। যেহেতু মানুষ একা থাকতে পছন্দ করে না, নিজের একাকীত্বকে কাটাতে ও একা থাকার সময়কে সংক্ষিপ্ত করতে এখন অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে অতিরিক্ত ব্যস্ততার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে, ব্যস্ত জীবনযাপন করছে।

ভিডিও গেমস

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/28/1548668000647.jpeg

সাইক্রিয়াটিস্ট ডেই নুয়েন জানান, খেলায় জিতে যাওয়ার আবেদনটা সবসময়ই অন্যরকম। এর সাথে যখন সম্পূর্ণ একটি ভার্চুয়াল জগতের সংমিশ্রণ ঘটে তখন বাস্তব জীবনের চাইতেও বেশি রোমাঞ্চ বোধ হয়। এই আসক্তিটি মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যেতে পারে। অতি দীর্ঘ সময় ভিডিও গেম খেলা, স্ক্রিন টাইমের প্রতি বেশি ঝুঁকে যাওয়া, অন্যান্য কাজের তোয়াক্কা না করা, প্রয়োজনীয় বিষয়ে গাফেলতি করার মতো লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে ধীরে ধীরে। যা ব্যাক্তিজীবনে তো বটেই, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়।

ভালোবাসা

এই পয়েন্টটি পড়ে বিদ্রূপাত্মক হাসি দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। ‘ফিলোসফি, সাইকিয়াট্রি এন্ড সাইকোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্যানুসারে জানা যায়- বিহাভিয়ারাল, সাইকোলজিক্যাল এন্ড নিউরোসাইকোলজিক্যাল ইঙ্গিত প্রমান করে যে, ভালোবাসার অনুভূতির সঙ্গে ক্রনিক ড্রাগ খোঁজার আচরণের মাঝে অনেক বেশি মিল রয়েছে। যে কারণে ভালোবাসার অনুভূতি প্রকট আকার ধারণ করলে মানুষ সঠিক-বেঠিক কিংবা লজিক্যাল চিন্তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

আরও পড়ুন: দীর্ঘায়ু পাওয়া যাবে মাত্র দশ মিনিটেই

আরও পড়ুন: সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন? খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলোতে

   

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;