দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
বাদ দিতে হবে অকারণ দুশ্চিন্তার অভ্যাস। ছবি: সংগৃহীত

বাদ দিতে হবে অকারণ দুশ্চিন্তার অভ্যাস। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জীবনে দুশ্চিন্তা থাকবেই।

তবে তার কাছ থেকে নিজেকে যথাসম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা বহাল রাখতে হবে। প্রয়োজনে তো বটেই, অপ্রয়োজনেও দুশ্চিন্তা এসে ভর করে মনে ও মাথায়। এই দুশ্চিন্তা কিংবা উদ্বেগ সুস্থিরতা আনতে দেয় না জীবনে ও প্রতিদিনের কাজে।

নিজেকে এই দুশ্চিন্তার কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা প্রয়োজন মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার খাতিরেই। প্রতিদিনের হাজারো কাজের চাপ, পারিপার্শ্বিক অস্থিরতার মাঝেও দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখা সম্ভব।

সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দূরে রাখতে হবে

খুব সূক্ষ্মভাবেই ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মনের উপর প্রভাব ফেলে। যা থেকে দেখা দেয় মানসিক দুশ্চিন্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বন্ধুদের সঙ্গে নিজেকে ও নিজের বর্তমান অবস্থাকে নিজের অজান্তেই আমরা তুলনা করি। যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অকারণ উদ্বেগের উদ্রেক করে। বন্ধুর সিক্স প্যাক আছে, বান্ধবী জমকালো শাড়ি কিনেছে কিংবা ভ্যাকেশন কাটাতে থাইল্যান্ডে গিয়েছে- এর মাঝে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা, নিজের জন্য মনঃকষ্টে ভোগা ও উদ্বেগের মুখোমুখি হওয়ার মতো ঘটনা নতুন কিছু নয়। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিরতি নিন একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর।

দুশ্চিন্তা সাধারণ জীবনের একটি অংশ

একেবারে চিন্তামুক্তভাবে জীবনযাপন করা কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। এই অসম্ভব বিষয়টিকে মেনে নিতে হবে। জানতে ও মানতে হবে, দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হওয়া নিত্য জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দুশ্চিন্তার বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে তাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা শিখতে হবে। কীভাবে দুশ্চিন্তাকে যথাসম্ভব কমিয়ে ও নিজেকে পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে, তার পরিকল্পনা করতে হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/15/1547541715193.jpeg

কাজটি করে ফেলতে হবে

ইংলিশে খুব সুন্দর একটি শব্দ আছে, প্রক্র্যাস্টিনেশন (Procrastination). যার অর্থ আগত কোন ঘটনাকে আগে থেকে ভেবে ও নিজের মতো করে চিন্তা করে অহেতুক মানসিক দুশ্চিন্তায় ভোগা। এই সমস্যাটি সবার মাঝে আছে কম কিংবা বেশি। কোন কাজ নিয়ে খুব বেশি সময় চিন্তা করলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ দেখা দিবে। তাই আগে থেকে অহেতুক দুশ্চিন্তা না করে, যত দ্রুত সম্ভব কাজটি করে ফেলতে হবে। অহেতুক দুশ্চিন্তা পরিকল্পনা নষ্ট করে দিতে পারে ক্ষেত্র বিশেষে।

দুশ্চিন্তার শারীরিক লক্ষণগুলো বোঝার চেষ্টা করতে হবে

হুট করে দুশ্চিন্তা দেখা দিলে মানসিক চাপের প্রভাব দেখা দেয় শরীরের উপরেও। দুশ্চিন্তার সঙ্গে অনেকের হাতের তালু ঘামে, অনেকের তেষ্টা পায়, অনেকে চোখে ঘোলা দেখা শুরু করে। আপনার ক্ষেত্রে কোন লক্ষণটি প্রকাশ পায় সেটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। যখনই কোন লক্ষণ দেখা দিবে নিজেকে শান্ত করতে হবে, মাথা থেকে অহেতুক দুশ্চিন্তা বাদ দিতে হবে।

নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে

অলস সময়েই সাধারণত উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাগুলো মাথায় জট পাকাতে শুরু করে। নিজেকে তাই ব্যস্ত রাখতে হবে। ছোট কিংবা বড় যেকোন ধরণের কাজের সঙ্গে নিজেকে জড়িত রাখার চেষ্টা করতে হবে। সেটা হতে পারে কারোর সঙ্গে দেখা করা, নিজের পছন্দের কোন কাজ করা, রান্না করা, গান শোনা ইত্যাদি। মূল কথা, পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর নির্ভর করে নিজেকে কাজের সঙ্গে জড়িত রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: ক্লান্তিটা যখন শারীরিক নয়, মানসিক!

আরও পড়ুন: রাগ থাকুক নিয়ন্ত্রণে

   

তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।

এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায় চলুন জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো-

সূর্যের তাপ:

ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। 

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহার:

রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া:

‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:

ঘর ঠান্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠান্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠান্ডা পানির বোতল রাখলে ঠান্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন:

ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা:

ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দা টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ঠান্ডা হয়ে আসে।

চুলা বন্ধ রাখা:

চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এই সময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় ও ঠান্ডা হয়ে আসে।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

;

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;