আইলাইনার ব্যবহারে এড়িয়ে যান এই ৫টি ভুল



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
কিছু ভুল প্রায় সকলেই করেন আইলাইনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে। ছবি: সংগৃহীত

কিছু ভুল প্রায় সকলেই করেন আইলাইনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্লাস, অফিস কিংবা পারিবারিক কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় খুব ভারি মেকআপ করা হয় না কারোরই।

তবে চোখের পাতায় আইলাইনার ও ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকের ছোঁয়া যেন না থাকলেই নয়।

সমস্যা দেখা দেয় মনের মতো আইলাইনার ব্যবহার করার সময়। পছন্দসই ডিজাইনে ও মাপে আইলাইনার দেওয়া যেন বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। এর সাথেই থাকে দুই চোখের আইলাইনার একই ডিজাইনে দেওয়ার প্রচেষ্টা।

সাধারণত আইলাইনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী পাঁচটি ভুল করে থাকেন। কী সেই সকল ভুল সেটাই এখানে তুলে ধরা হলো।

ভুল ধরণের আইলাইনার ব্যবহার করা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/29/1538201692612.jpg

বর্তমান মেকআপ ওয়ার্ল্ডে নানান ধরণের আইলাইনার পাওয়া যায়। লিকুইড আইলাইনার, পেন আইলাইনার, জেলপেন আইলাইনার, কোহ্ল আইলাইনার প্রভৃতি। লিকুইড আইলাইনারের মাঝে থাকে লম্বা স্টিক ও ছোট স্টিকের আইলাইনার। প্রথমেই আপনাকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে, কোন ধরণের আইলাইনার আপনার জন্য সঠিক এবং আপনি ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। ভুল ধরণের আইলাইনার ব্যবহারের ফলে বেশিরভাগ সময়ই চোখে সুন্দরভাবে আইলাইনার দেওয়া যায় না।

একটা লাইন আঁকার চেষ্টা

খুব সূক্ষ্মভাবে আইলাইনার দিতে চান অনেকেই। কিন্তু চোখের পাতার উপর চিকন একটি লাইন আঁকার জন্য প্রয়োজন হয় অনেকদিনের অনুশীলন। বিউটি এক্সপার্ট কিংবা বিউটিশিয়ানরা খুব সহজেই এই কাজটা করতে পারলেও, যিনি সপ্তাহে একদিন কিংবা দুইদিন আইলাইনার ব্যবহার করেন তার জন্য কাজটি বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই এক লাইনের আইলাইনার দেওয়ার চেষ্টা না করে কিছুটা মোটা লাইন এঁকে আইলাইনার দেওয়ার চেষ্টা করলে, আইলাইনার দেওয়ার প্রক্রিয়া বেশ সহজ হয়ে যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/29/1538201679231.jpg

এক টানেই ক্যাট আই ফ্লিক তৈরি করা

উপরের সমস্যাটির মতোই এই প্রবণতা দেখা যায় বেশিরভাগ আইলাইনার ব্যবহারকারীদের মাঝে। কিন্তু মনে রাখতে হবে- এক লাইনে চিকন করে আইলাইনার দেওয়াটার মতোই এক লাইনে ক্যাট আই ফ্লিক তৈরি করাটাও বেশ কঠিন। যার জন্য প্রচুর অনুশীলনের প্রয়োজন হয়। এক টানে ক্যাট আই ফ্লিক তৈরি করতে চাওয়ার ফলে দুই চোখের ফ্লিক দুই রকম হয়ে যায় কিংবা বাঁকা হয়। ক্যাট আই ফ্লিক আঁকতে চাইলে, ছোট কয়েকটি দাগ টেনে এরপর আঁকতে হবে।

আইলাইনারের ব্রাশ খুব কাছ থেকে ধরা

খেয়াল করে দেখবেন, আইলাইনার দেওয়ার সময় মনের ভুলে আইলাইনারের ব্রাশের খুব কাছে ধরে থাকেন আপনি। এই ভুলের কারণে ব্রাশ হোল্ডারের যেখানে প্রেশার দেওয়ার কথা, সেখানে প্রেশার পড়ে না। ফলে যতই নিজের পছন্দমতো আইলাইনারের ডিজাইন করার চেষ্টা করুন না কেন, আঁকাবাঁকা ও এলোমেলো হয়ে যায় আইলাইনারের লাইন।

চোখ বন্ধ করে আইলাইনার দেওয়া

চোখের পাতা বন্ধ করেই তো আইলাইনার দেওয়া হয়, এটা আবার ভুল কীভাবে হয়! আপনি নিজেও যদি এইভাবেই আইলাইনার দিয়ে থাকেন, তবে জেনে রাখুন আইলাইনার দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় ভুল হলো চোখ বন্ধ করে আইলাইনার দেওয়া। কেনো? কারণ চোখের পাতা বন্ধ করে আরেকটি চোখ খোলা রেখে আইলাইনার দেওয়ার সময়, চোখের উপরের পাতা বেশ খানিকটা কুঁচকে যায়। এতে আইলাইনারের লাইন ভেঙে যায় ও আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। নিয়ম হল, যে চোখের উপরে আইলাইনার দেওয়া হচ্ছে, সেই চোখ আধ-খোলা করে রাখা। এতে চোখের উপরের পাপড়ি টানটান থাকে এবং ঠিকভাবে আইলাইনার দেওয়া যায় সহজেই।

   

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;

যেসব খাবার খেয়ে রোজা ভাঙাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্যকর ইফতার

স্বাস্থ্যকর ইফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র সময়। সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ।

টানা একমাস রোজা রাখার কারণে, শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে। তাই সারাদিন রোজা থাকার পর এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষেই দূর করে দিতে পারে। জেনে নিন, রোজা ভাঙার সময় যেসব খাবার বেশি উপকারী হতে পারে-

ফল: রোজা ভাঙার সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত যা সহজেই হজম করা যাবে। এজন্য ফল একটি ভালো উপকরণ হতে পারে। সারাদিন নির্জলা উপবাসের কারণে শরীরে পানির ঘাটতিও হয়। তাই তরমুজ, আঙ্গুর, আপেল, নাশপাতির মতো ফল খেতে পারেন। এসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। তবে টকজাতীয় ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।  

ডিম: রোজা রাখার কারণে যে পেশিক্ষয় হয়, সেই ক্ষতিপূরণ করার জন্য ডিম খেতে পারেন। ডিম যেমন প্রোটিনের একটি উত্তম মাধ্য, তেমন খাওয়ার জন্য রান্না করতেও সময় কম লাগে। ডিম অমলেট, মামলেট বা সিদ্ধ যেভাবেই খেতে চান, প্রস্তুত করতে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যয় করলেই হয়।

মাছ: মাছে প্রোটিন ছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘ভিটামিন ডি’ থাকে। তাছাড়া বেশিরভাগ মাছেই পর্যাপ্ত চর্বি থাকে। খাবার তেলের থেকে মাছের থেকে পাওয়া তেল অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। সারাদিন রোজা রাখার পর প্রোটিনের উৎস হিসেবে, মাংসের চেয়ে মাছ উত্তম। বিশেষ করে রেডমিট (গরু, খাসি) খেয়ে একদমই রোজা ভাঙা উচিত নয়। কারণ, এসব হজম করা বেশ কঠিন।

প্রোবায়োটিকস: সারাদিন রোজা রাখার কারণে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হয়। তাই অন্ত্রে অস্বাভাবিকা দেখা দিতে পারে। হজমে সমস্যা ছাড়াও অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারে প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। যেমন- দই, কম্বুচা ইত্যাদি।  

অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো একপ্রকার বিদেশী ফল। এটি অনেক নরম হয়, তাই সহজেই হজমযোগ্য। একটু খাওয়ার নারকেল তেল বা জলপাই তেলের সাথে এই ফল খাওয়া যেতে পারে।

সবজি: রোজা রেখে ফল এবং সবজি খাওয়া অত্যন্ত ভালো। বিশেষ করে ফুলকপি, ব্রকলির মতো ফল রোজার পর অধিক কার্যকরী হতে পারে।   

তথ্যসূত্র: ফেয়ারপ্রাইস

;

দোলযাত্রায় রঙ খেলায় মেনে চলতে হবে যেসব নিয়ম



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দোলযাত্রায় রঙ খেলা / ছবি : বিং এআই

দোলযাত্রায় রঙ খেলা / ছবি : বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ রঙ উৎসবের দিন। সনাতন ধর্মাবলম্বদের দোলপূর্ণিমার এই উৎসবে নানা রঙের আবিরে চারদিক রঙিন হয়ে ওঠে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মের ভেদাভেদে আবদ্ধ থাকে না মানুষ। সকলকেই দেখা যায় মনের আনন্দে রঙ মাখামাখি হয়ে উল্লাস করতে। বসন্তে প্রকৃতির জীর্ণতা ছেড়ে রঙিন হয়ে ওঠার আনন্দে রঙ ছড়ায় তারা। দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং শাঁখারি বাজারে মহা সমারোহে এই উৎসব উদযাপিত হয়।

রঙ-বেরঙের আবিরের সাথে মেতে ওঠা দোল উৎসব অসেক আনন্দের। তবে অনেক সময় দেখা যায়, রঙ খেলার পর অনেকের ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। রঙে ব্যবহৃত উপাদান অনেকের ত্বকে অস্বস্তি করতে পারে। অথবা চুলের নানারকম ক্ষতি করতে পারে। ত্বকের এই ক্ষতিকর দিক এড়িয়ে চলা খুব জরুরি। নয়তো ষোল আনা আনন্দের সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠা সম্ভব হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক, হোলিতে রঙ খেলার আগে যেসব ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।

১. কম ক্ষতিকর রঙ ব্যবহারের চেষ্টা করুন। শ্রীকৃষ্ণ যখন রাধারানিকে রঙ মেখে হোলি খেলা শুরু করেছিলেন তখন আবির তৈরি হতো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। বিভিন্ন রঙিন প্রাকৃতিক উপাদান থেকে ভিন্ন ভিন্ন রঙ তৈরি করা হতো। তবে এখন রঙ তৈরি করা হয় কারখানায়। আবিরের রঙ উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করা হয় রাসায়নিক উপাদান। তাই রঙ কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন রাসায়নিক উপাদান খুবই কম মাত্রায় থাকে। বেশি সস্তা রঙ কেনা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ সেসব রঙে ক্ষতিকর উপাদান বেশি থাকার সম্ভাবনা থাকে।

২. রঙ নিয়ে খেলায় বেশি মত্ত হয়ে যাওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর স্থানগুলো থেকে যতটা সম্ভব রঙ দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে চোখের চারপাশের অংশ খুব সাবধানে রাখতে হবে। রঙ চোখে গেলে অস্বস্তি, জ্বালাতন, এলার্জি, পানি পড়া ছাড়াও অন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যাও হয়ে যেতে পারে। অনেকে চোখে লেন্স পড়েন। তাদের চোখে রঙ গেলে সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে যায়।

৩. অনেকের ত্বকে হোলির রঙের কারণে ত্বকশুষ্ক, জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি, চুলকানি, এলার্জির মতো অনেক সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাই রঙ খেলার আগে ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে রঙ লাগা এড়াতে ত্বকে তৈলাক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে রঙ তোলা খুব সহজ হয়।

৪. ত্বকের মতো একই ভাবে রঙের ক্ষতিকর দিক থেকে চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য চুলে নারকেল তেল ব্যবহার করা উত্তম। অথবা চুল ওড়না, স্কার্ফ বা টুপি দিয়ে ঢেকে রাখুন।

৫. রঙ খেলার আগে অবশ্যই নখ ছোট করে কেটে যাওয়া উচিত। রঙ খেলার পর এসে ভালো করে পরিষ্কারও করতে হবে। নয়তো খাবারের সাথে তা পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৬. রঙ খেলার সময় হালকা রঙ গুলো বাছাই করুন। যেমন আকাশি, হলুদ, গোলাপি, ইত্যাদি। সবুজ, নীল, বেগুনীর মতো গাঢ় রঙ গুলো এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ এগুলো তুলে পরিষ্কার করা কষ্টসাধ্য।

৭. রঙ খেলার সময় যথা সম্ভব শরীরের বেশিভাগ অংশ ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। ফুল হাতা এবং ঢিলাঢালা জামাকাপড় পড়লে শরীর রঙের ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।    

তথ্যসূত্র: সিআইটিটিএ ওয়ার্ল্ড     

;