ঘানি ভাঙা খাঁটি সরিষার তেলের খোঁজে



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
কাঠের ঘানি ভাঙা খাঁটি সরিষার তেল। ছবি: সৈয়দ নবী

কাঠের ঘানি ভাঙা খাঁটি সরিষার তেল। ছবি: সৈয়দ নবী

  • Font increase
  • Font Decrease

এতো ভেজালের ভিড়ে বিশুদ্ধ কোন কিছু পাওয়া সত্যিই কষ্টকর।

দোকানে পাওয়া ‘খাঁটি সরিষার তেল’ এর উপর ভরসা রাখাটাও যেন বেশ সাহসিকতার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ইদানিং। যে কারণে ব্যাকপ্যাক কাঁধে এক সকালে বেরিয়ে পড়া, ঘানি ভাঙা খাঁটি ও বিশুদ্ধ সরিষার তেলের খোঁজে।

গন্তব্য ছিল সাভার। ঢাকা থেকে এতোদূর যাওয়া যে উদ্দেশ্যে, সেখানে যাওয়ার জন্য প্রথমে নামতে হবে সাভার বাসস্ট্যান্ডে। এরপর রিকশা নিয়ে যেতে হবে সাভারের ‘দক্ষিন নামা বাজার’ এলাকায়। এই বাজারেই খোঁজ মেলে ঘানি ভাঙা সরিষার তেলের দোকানের। দোকানটির নাম রুবেল এন্টারপ্রাইজ।

 

নতুন এক অভিজ্ঞতা, নতুন কিছু দৃশ্য

দোকানে ঢুকতেই অপরিচিত দৃশ্যে আটকে যায় চোখ। কলুদ বলদের সাহায্যে ঘুরছে কাঠের তৈরি ঘানি। ঘানি ঘোরার সঙ্গে তাল রেখে ফোঁটায় ফোঁটায় চুইয়ে পড়ছে বিশুদ্ধ সরিষার তেল। কিছুক্ষণ পরপর ঘানির বলদ পরিবর্তন করছেন দায়িত্বরত ব্যক্তি। সরিষা শেষ হলে বস্তা থেকে নতুন সরিষা এনে দিচ্ছেন আবার। শহুরে চোখ এই দৃশ্যের সাথে পরিচিত নয়। অনেকটা অবাক ও কিছুটা উত্তেজনা নিয়ে চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে গল্প করতে বসে পড়ি দোকানের মালিক মোঃ আরশাদ আলী-র সঙ্গে।

কথায় কথায় জানালেন, বিগত বিশ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি কাজ করছেন ঘানি ভাঙা সরিষার তেল নিয়ে। তার বাবাও এই ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে সাভারে তিনি নিজের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন।

ইলেকট্রিক কলে নয়, কাঠের ঘানি ভাঙা তেলই বিশুদ্ধ!

নামা বাজারে বেশ কয়েকটি ইলেকট্রিক কলে ভাঙা সরিষার তেলের দোকান আছে। তার মাঝে আরশাদ আলীর দোকানটা যেন প্রাচীন ঐতিহ্যকে আগলে রেখেছে পরিশ্রম ও সততার সঙ্গে। তিনি জানান, কাঠের ঘানি ভাঙা তেল ও ইলেকট্রিক কলে ভাঙা তেলের ভেতর রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। পার্থক্যটা কেমন?

আমরা সবাই জানি যে খাঁটি সরিষার তেলের ঝাঁজ খুব কড়া হয়। আদতে ঘটনা ভিন্ন। একেবারে খাঁটি দেশীয় সরিষা কাঠের ঘানিতে ভাঙা হলে, সেই তেলের ঝাঁজ হয় খুবই কম। কিন্তু সুঘ্রাণ হয় তীব্র! যেখানে ইলেকট্রিক কলে পিষ্ট হয়ে ও অনেকটা পুড়ে যে সরিষার তেল পাওয়া যায়, তার সুঘ্রাণ তীব্র না থাকলেও, ঝাঁজ থাকে অনেক বেশি। কারণ, তেল তৈরির প্রক্রিয়ায় সরিষা পুড়ে তেল তৈরি হয়।

আরশাদ আলীর ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গেও কথা হয় এই তেল নিয়ে। তিনি জানান, সদ্যজাত শিশুর শরীরেও এই তেল ব্যবহার করা যাবে নিশ্চিন্তে। একেবারে ঝাঁজবিহীন হওয়ায়, শিশুর শরীরে কোন জ্বালাপোড়া হবে না এবং শিশুর শরীরে তেলের সম্পূর্ণ পুষ্টিই শোষিত হবে।

সচেতন ক্রেতাদের পছন্দ যে সরিষার তেল

ষাট বছর বয়সী আরশাদ আলী ও আশরাফুল ইসলামের সাথে গল্প করার মাঝেই বেশ কয়েকজন ক্রেতা আসলেন সরিষার তেল কেনার জন্য। এর মাঝে একজন হলেন মোঃ ওহাব। ‘কেন এই সরিষার তেল কিনছেন? দোকানেও তো কত ধরণের সরিষার তেল আছে, ইলেকট্রিক কলে ভাঙা সরিষার তেলও আছে। সব কিছু বাদ দিয়ে এই তেল কেন’?

খুব আনন্দের সঙ্গে উত্তরে তিনি জানালেন, বিগত প্রায় বছর দশেক ধরে এই রুবেল এন্টারপ্রাইজ থেকে নিয়মিত সরিষার তেল কিনছেন তিনি। এই অভ্যাসে কোন ব্যতিক্রম হয়নি কখনো। ঘানি ভাঙা এই সরিষার তেল ছাড়া অন্য সরিষার তেলের রান্না তিনি খেতে পারেন না, ব্যবহারও করতে পারেন না।

মোঃ ওহাবের কথার জের ধরে আরশাদ আলী জানালেন, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তো বটেই দেশের বাইরেও তার তেলের কদর ও চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ি উৎপাদন নেই। ক্রেতাদের চাহিদার জোগান দিতেই হিমসিম খেতে হয় তাদের।

যে কারণে ইলেকট্রিক ঘানি নয়, কাঠের ঘানি ভাঙা সরিষার তেলের ব্যবসা

আরশাদ আলীর কাছে প্রশ্ন করেছিলাম, এই কাঠের ঘানি ভাঙা সরিষার তেল বিক্রির পাশাপাশি ইলেকট্রিক কল দিয়ে সরিষার তেল তৈরির পরিকল্পনা আছে কিনা তার। উত্তরে মিষ্টি হেসে জানালেন, যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন, যতদিন তার এই ব্যবসা থাকবে- ততদিন এই কাঠের ঘানি ভাঙা সরিষার তেল বিক্রি করেই কাটাবেন।

দিনে তিন মণ সরিষা থেকে ৪৫-৫০ কেজি তেল তৈরি হয়। যেখানে ইলেকট্রিক কলে তিন মণ সরিষা থেকে প্রায় দেড়শ কেজি তেল তৈরি করা সম্ভব। এই কারণে তেলের দামটাও একটু বেশি পড়ে তার। প্রতি কেজি ২২০ টাকা। দামটা চড়া হলেও, বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা থাকায় ক্রেতারা তার কাছ থেকেই নিতে চান সরিষার তেল।

খুব প্রফুল্ল ও গর্বভরে তিনি আরও জানান, আজতক দেশী ও বিদেশি সরিষা মিশিয়ে তেল তৈরি করেননি তিনি। যে কারণে পরিচিত মহলে তার বেশ সুনাম রয়েছে। তার পরিশ্রম ও সততার স্থানে কোন আঁচ কখনোই আসতে দেননি বলেই, ক্রেতাদের কাছ থেকে পেয়েছেন অফুরান ভালোবাসা।

এই সকল কারণে নিজের ছোট ব্যবসার পরিসরের মাঝেই, কাঠের ঘানিতে ভাঙা বিশুদ্ধ ও খাঁটি সরিষার তেলই বিক্রি করে যেতে চান সবসময়। তার ছেলে আশরাফুল ইসলামেরও ইচ্ছা আছে বাবার হাতে গড়ে ওঠা এই ব্যবসার হাল ধরে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

গল্পে গল্পে দিন গড়ালে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিদায় নিতে হয় তাদের কাছ থেকে। ফেরার পথে অবাক হয়ে ভাবতে হয়, এখনও কেউ খুব যত্নে আগলে রেখেছে নিজের হাতে গড়ে তোলা সীমিত লাভের ব্যবসা। যার সাথেই কিনা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ঐতিহ্যের দারুন একটি দিক।

   

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;