গৃহ নির্যাতনের ৭টি নীরব লক্ষণ!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
গৃহ নির্যাতনের প্রতীকী ছবি।

গৃহ নির্যাতনের প্রতীকী ছবি।

  • Font increase
  • Font Decrease

আপনার খুব কাছের ও প্রিয় বন্ধুটিই সময়ে সময়ে গৃহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন। অথচ আপনি কিচ্ছুটি জানেন না, বুঝতেও পারছেন না।

যে বান্ধবীটি তার সঙ্গে হওয়া প্রতিদিনের সব ঘটনা আপনার কাছে বলার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন, সেও খুব যত্নের সাথে এড়িয়ে যান তার সাথে ঘটা নির্যাতনের ঘটনাগুলো। হাসিমুখে থাকা প্রাণোচ্ছল মেয়েটিকে দেখে বোঝার কোন উপায়ই নেই, গতরাতে তার সঙ্গে কী হয়েছে!   

অস্বীকার করার কিছু নেই, আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারীই কোনো না কোনভাবে গৃহ নির্যাতনের শিকার হন এবং সেই বিষয়টিকে লুকিয়ে রাখেন মিথ্যে হাসির আড়ালে। আপনার অবস্থান থেকে ভাবতেই পারেন- কেন নির্যাতনের শিকার হয়েও মুখ বন্ধ করে থাকবে, কেন প্রতিবাদ করবে না, কেন নিজের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেবে না নির্যাতিতা!

কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, সব নারী মানসিকভাবে দৃঢ় ও শক্ত নয়। হয়তো পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে সে শক্ত কোন অবস্থান নিতে পারছেন না। এমন সব ক্ষেত্রে বোঝার চেষ্টা করতে হবে, কাছের ও প্রিয় মানুষটি এমন বিপদজনক পরিস্থিতিতে আছেন কিনা।

লুকিয়ে রাখার পরেও কীভাবে শনাক্ত করবেন, পরিচিত ও কাছের কোন নারী গৃহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন কিনা? কিছু আচরণ স্পষ্টতই প্রকাশ করে গৃহ নির্যাতনের বিষয়টি।

স্বামীর আশেপাশে থাকলেই চুপ হয়ে যাওয়া

সাধারণত সে খুবই হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত থাকেন। কিন্তু তার স্বামী আশেপাশে আসলে এবং স্বামীর সঙ্গে থাকলে একেবারেই চুপচাপ হয়ে থাকেন। খুব একটা কথাও বলতে চান না। কারণ তিনি ভয়ে থাকেন, কখন কোন কথার জের ধরে সমস্যা শুরু হয়!

নিজের বিষয়ে খুবই নিচু ধারণা পোষণ করা

যারা প্রতিনিয়ত গৃহ নির্যাতনের শিকার হন, তারা ধীরে ধীরে নিজের সম্পর্কে খুব নিচে ধারণা পোষণে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। সকল কিছুতেই নিজেকে দোষী ভাবেন। কারণ নির্যাতক স্বামী প্রতিটি কারণে তাকেই দোষারোপ করেন। যা তার মনের উপরে দাগ ফেলে দিয়েছে। এমন আচরণ খুব গভীর ভাবে মানসিক নির্যাতনের লক্ষণ প্রকাশ করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/10/1536566266505.jpg

বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া

খেয়াল করুন, হুট করেই আপনার বন্ধুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে সরে গিয়েছেন কিনা! এমনকি ফোনে তাকে খুব একটা পাওয়াও যায় না। এমনটার পেছনে হাজারো কারণ থাকতেই পারে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় স্বামীর বাধ্য হতে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে হয়েছে নারীকে।

আঘাতের চিহ্নের কোন ব্যাখ্যা দিতে না পারা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/10/1536566224805.jpg

চোখের পাশে কীভাবে ব্যথা পেয়েছে জানতে চাইলে বন্ধু জানালেন, দরজায় বাড়ি খেয়ে ব্যথা পেয়েছেন। কিংবা হাতের এমন স্থানে কালশীটে দাগ যেখানে সচরাচর ব্যথা পাওয়ার কথা নয়। প্রশ্ন করলে উত্তরে জানলেন, তিনি নিজেও জানেন না কীভাবে ব্যথা পেয়েছেন! খটকা লাগছে কি এমন কথা শুনে? সেটাই স্বাভাবিক। জেনে রাখুন, এমন ব্যাখ্যাহীন আঘাতের চিহ্ন বহন করে নীরব গৃহ নির্যাতনের লক্ষণ!

একদম শেষ সময়ে অকারণে পরিকল্পনা ক্যান্সেল করা

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে একসাথে ঘোরার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু ঘুরতে বের হবার আগের দিন অকারণে মন খারাপের সাথে পরিকল্পনা ক্যান্সেল করে দিলেন আপনার বন্ধু। কারণ জানতে চাইলে সঠিক ও নির্দিষ্টভাবে কোন কারণও দেখাতে পারলেন না। হয়তো তিনি স্বামীর কাছ থেকে অনুমতি পাননি বের হবার, হয়তো শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখাতে চাননি তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/10/1536566246103.jpg

নিজের পছন্দ, মতামত ও অর্থনৈতিক অবস্থার উপর কোন নিয়ন্ত্রন না থাকা

খুব সামান্য বিষয়েও তিনি সিদ্ধান্ত নিতে দোনামনা করেন, অর্থনৈতিক দিকেও কোন নিয়ন্ত্রন নেই নিজের হাতে। এমনকি নিজে কী পরবেন, কোথায় বেড়াতে যাবেন, কি রাঁধবেন- এই সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া তার হাতে থাকে না। সকল সিদ্ধান্ত নিতে স্বামীর মুখাপেক্ষী হতে হয় তাকে। কারণ তার নিজের নেওয়া কোন সিদ্ধান্ত যদি স্বামীর মনঃপুত না হয়, তবেই শুরু হবে নির্যাতন!

মনের ভুলে নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বসলেও কথা ঘুরিয়ে নেওয়া

গল্পচ্ছলে কিংবা কথায় কথায় হয়তো নির্যাতনের বিষয় তুলে ফেলবেন তিনি। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই অন্য কোন কথায় বিষয়টিকে চাপা দিয়ে দিতে চাইবেন। কথা ঘুরিয়ে ফেলবেন। লুকাতে চাইবেন নির্যাতনের বিষয়টি। কারণ এখনও আমাদের দেশে ও সমাজে গৃহ নির্যাতনের বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা, আলোচনা করাকে বাঁকা দৃষ্টিতে দেখা হয়।

ভয়ানক এই সামাজিক সমস্যা ও ব্যাধি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সচেষ্ট হতে হবে সবাইকে। যার উপর নির্যাতন চলছে, তিনি নিজের স্বপক্ষে দাঁড়াতে না পারলেও, তার কাছের ও প্রিয় মানুষদের উচিৎ নির্যাতিতার পাশে গিয়ে দাঁড়ানো, তাকে সাহস দেওয়া ও সাহায্য করা।  

   

নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও যত্ন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বংশ রক্ষা মানব জাতির জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ সে ধারা রক্ষা করে আসছে। ভবিষ্যতেও মানব জাতির বংশ বিস্তারে সন্তান ও সন্তান লালন-পালন করবে।

অনেকেই আছেন সন্তান প্রতিপালন নিয়ে চিন্তিত থাকেন। এ জন্য শিশুর জন্মের পর থেকেই তাদের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। এমনকী মেয়ে-শিশু বড় হওয়ার পর তার নিরাপদ গর্ভধারণ এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের ব্যাপারে পরিবার থেকেই সচেতন হতে হবে।

স্বাস্থ্য এবং গর্ভের উর্বরতা বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক বছরে প্রজননের ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বে শিশু জন্মদানের সংখ্যা স্থানভেদে লোপ পেয়েছে। এছাড়া গর্ভধারণকালে নানান রকম সমস্যা ছাড়াও গর্ভধারণে অনেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে অনেক নারীকে। অধিকাংশ নারী বেশি বয়সে গর্ভধারণ করায় নানান রকম জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকের ক্ষেত্রেই কিছু সাধারণ সমস্যাও হয়ে থাকে।

বেশির ভাগ নারীদের ক্ষেত্রে এসব সমস্যাগুলো দেখা যায়। এ বিষয়ে ভারতীয় চিকিৎসক দীপিকা মিশ্র জানান, নারীরা প্রায়ই পিরিয়ডে অনেক বেশি রক্তপাত (মেনোরেজিয়া), অনিয়মিত মাসিক বা মাসিকের সময় অত্যন্ত ব্যথার (ডিস্মেনোরিয়া) মতো উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান।

তিনি বলেন, এই সবই মূলত প্রজনন স্বাস্থ্যের অস্বাভাবিক এক লক্ষ্মণ। এছাড়াও বিভিন্ন হরমোন, ডিম্বাশয়ের সিস্ট বা পেশির বেশি বৃদ্ধি ক্যান্সারের মতো সমস্যাসহ গর্ভের উর্বরতার কমতি লক্ষ করা যায়।

দীপিকা মিশ্র বলেন, এসব সমস্যা অবহেলা করা একদমই উচিত নয়। কারণ, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভাবস্থা এবং সন্তান ধারণ উর্বরতার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।

তিনি বলেন, শিশুর জন্মের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাপদ যৌনতার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। এছাড়াও অন্যান্য ছোট-বড় সমস্যাকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

নারী গর্ভের উর্বরতা বিশেষজ্ঞ নেহা ত্রিপাঠি, নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য নিম্নলিখিত কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলি হচ্ছে-

নিয়মিত চেক-আপ: সন্তানে আগ্রহী নারীদের অভিজ্ঞ গাইনোকোলজিক্যাল চেক-আপ করানো জরুরি। এছাড়া নিয়মিত চিকিৎসা করানো উচিত। যেমন- প্যাপ স্মিয়ার, ম্যামোগ্রাম এবং এইচপিভি স্ক্রিনিংয়ের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব বিষয় শনাক্ত করতে অসুবিধা হয়, তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

জীবনধারা: আমাদের শরীর সুস্থতা রক্ষার দিকটি আমরা নিজেরাই ঠিক করতে পারি। এর মধ্যে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম রুটিন কাজ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ বিষয়গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ব্যথা বা অস্বস্তি: শরীরে কোনো অস্বস্তি, ব্যথা অনুভূত হলে নিজে নিজে কোনো কিছু করা উচিত নয়। এতে বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। স্রাবে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞ স্বাস্থ্যসেবাকারী বা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

বাজে অভ্যাস: ধূমপান এবং অ্যালকোহল কেবল লিভার ও হৃদপিণ্ডেরই ক্ষতি করে তা নয়; প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপরও ভীষণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া ক্যান্সারের ঝুঁকি তো রয়েছেই।

আপ-টু-ডেট থাকা: যৌনতা এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই উচিত।

;

দুধ ছাড়াও হাড় ভালো থাকবে যে সব খাবারে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। এটি আমাদের হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। হাড়কে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে আমাদের খাদ্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। জেনে নিন দুধ ছাড়াও যেসব খাবার হাড়কে করে শক্তিশালী। 


চর্বিযুক্ত মাছ

ম্যাকরেল, স্যামন এবং সার্ডিন জাতীয় মাছ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার। যা হাড় এবং পেশীগুলিতে ভিটামিন সরবরাহ করে। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার হাড়কে ভালো রাখে এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।


মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে থাকে নির্দিষ্ট মাত্রার ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। হাড়ের জন্য প্রয়োজন হয় পটাসিয়ামেরও। ম্যাগনেসিয়াম প্রধানত ভিটামিন ডি স্তরকে ভারসাম্য করে, যেখানে মিষ্টি আলু কার্যকর থাকে। 


গাঢ় সবুজ শাক

গাঢ় সবুজ শাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যেমন- পালং শাক, কালে, কলার্ড। এছাড়াও অনেক ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবজি প্রতিদিন খাওয়া উচিত।


বাদাম এবং বীজ

বাদাম ও বীজ পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। আপনার ডায়েটে বাদাম চিয়া, বীজ, তিলের বীজ এবং পোস্ত অন্তর্ভুক্ত করুন। কারণ এগুলি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। তাই প্রায় প্রতিদিনই এসব খাবার খাওয়া উচিত।


সাইট্রাস ফল

কোলাজেন হল এক ধরনের প্রোটিন, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। সুতরাং, স্ট্রবেরি, পেঁপে, গোলমরিচ এবং আরও অনেক কিছু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।


কমলা সবজি

ভিটামিন এ আমাদের হাড়ের কোষগুলিকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিনযুক্ত সবজি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। যেমন- আম, গাজর এবং ক্যানটালুপ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।


মটরশুটি

মটরশুটি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। অতএব, আপনার সাদা মটরশুটি খাওয়া উচিত যা আপনাকে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে সাহায্য করবে।


শুকনো ডুমুর

শুকনো ফল ভিটামিনের একটি ভালো উৎস। যা আমাদের হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করে। প্রতেকেরই ডুমুর প্রতিদিন খাওয়া উচিত।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

 

;

তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।

এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায় চলুন জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো-

সূর্যের তাপ:

ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। 

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহার:

রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া:

‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:

ঘর ঠান্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠান্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠান্ডা পানির বোতল রাখলে ঠান্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন:

ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা:

ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দা টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ঠান্ডা হয়ে আসে।

চুলা বন্ধ রাখা:

চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এই সময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় ও ঠান্ডা হয়ে আসে।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

;

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;