বঙ্গবন্ধুর আদর্শের তরুণ প্রজন্মই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখবে: শোভন



তপন কান্তি রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: সাম্প্রদায়িক শক্তিকেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ- ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে তরুণ প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে চান বলে বার্তা২৪.কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন শোভন।

শোভন বলেন, বর্তমানে সাম্প্রদায়িক শক্তি একটি বড় সমস্যা। তারা মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বাস করে না, এরা প্রতিক্রিয়াশীল। এই অপশক্তি দেশের ভেতরে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে; রুখে দিতে হবে তাদের।

ছাত্রলীগ অসম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর মুখপাত্র দাবী করে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে কখনোই মাথানত করবে না ছাত্রলীগ। যেকোনো মূল্যে তাদের প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিকশিত করতে হবে; সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা এবং তরুণ প্রজন্মকে প্রগতিশীল করে দেশের নাগরিক থেকে বিশ্ব নাগরিকে রূপান্তরিত করতে হবে। 

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ যেহেতু ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি; তাই সাধারণ ছাত্র সমাজের কাছে যাব; তাদেরকে বলব সম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়ার; যারা অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী; তারা আমাদের সঙ্গী হবেন- এ বিশ্বাস আছে।’

ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্রকর্মী হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর রাজনীতি করার পর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন শোভন। 

তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা ও আবেগের জায়গা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি নিজে আমাদেরকে পছন্দ করেছেন, এর চেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় আমার কাছে আর কিছু নেই। আমি খুবই ভাগ্যবান।’

ছাত্রলীগের দায়িত্ববোধ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব হচ্ছে একটা বোঝার মতো। গাধার ওপরে যেমন বোঝা দিলে তাকে টানতে হয়, আমি সেই দায়িত্ব পেয়েছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন বোঝাটা টানতে পারি ।’

আওয়ামী লীগ পরিবারে জন্ম নেওয়া রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘আমার পরিবার রাজনৈতিক পরিবার। রক্তে আওয়ামী লীগ। আমি আওয়ামী লীগের সন্তান। দাদু বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চলাফেরা করেছেন। আমাদের পারিবারিক যে ছবির এ্যালবাম, সেখানে আমি দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছবি দেখতাম; ভাবতাম আমাদের পরম আত্নীয় তিনি, আমাদের আপনজন। নেতাকর্মীদের আনাগোনা ছিল আমাদের বাসায়, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই দেখতাম- ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের বাড়িতে আসত। চা দেয়া লাগত; আমি ছোটবেলায় চা দিতাম। নিজে না পারলে কাজের লোকজনদের বলতাম চা দিতে। এভাবে আমার রাজনীতিটা শুরু।’

দাদার মুখে বঙ্গবন্ধুর নানা গল্প শুনেছেন। বলেন, ‘আমার দাদা ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে পড়াশুনা করেছেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরিচয়। তারপর ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। তখন আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হচ্ছে। রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ঊনসত্তরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পথেপ্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছেন। সত্তরের নির্বাচনে দাদুকে কুড়িগ্রাম আসন থেকে মনোনয়ন দেন বঙ্গবন্ধু। তিনি নির্বাচিত হন, পরে তিয়াত্তর সালে সংসদ সদস্য হন।’

রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন দাদার কাছে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনে। এটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে আসার আগে বঙ্গবন্ধুকে আমি চিনেছি। ভীষণ মাত্রায় বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতাম। সেখান থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কারণে আমরা বাংলাদেশটা পেয়েছি।’

১৯৬৯ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু দেশের নানা প্রান্তে ছুটে বেড়ান, এটা তাকে আকৃষ্ট করে সবসময়, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সারাদেশের ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করতে চান তিনি।

তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেরিয়েছেন। তখন আমাদের উত্তরবঙ্গেও বঙ্গবন্ধু আসেন; তার মধ্যে কুড়িগ্রাম গিয়েছিলেন। কুড়িগ্রাম শহর থেকে ভুরাঙ্গামারী অনেক দূরে; যেতে হয় নদী পার হয়ে। বঙ্গবন্ধু নদী পার হয়ে গিয়েছিলেন বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়।

‘মেঠোপথে আর কাশফুলের বনের ঘেরা পথ ধরে ঘুরে বেরিয়েছেন। তিনি রাজনীতিটা নিজের জন্য করতেন না। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার রাজনীতির মূল লক্ষ্য।’

বঙ্গবন্ধু মতো তরুণ প্রজন্মকে সৎ ও আদর্শবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সব সময় অসহায় ও নির্যাতিতদের পাশে ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের জন্য তার ছাত্রত্ব পর্যন্ত বাতিল করা হয়।’

বঙ্গবন্ধু ছিলেন ন্যায়ের পথে, সত্যের পথে। তাই বর্তমান ছাত্র সমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান, তারাও যেন সৎ এবং নিষ্ঠাবান হন। তারা যেন কখনও নীতির সঙ্গে আপোষ না করেন।

শোভন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইতিবাচক সংগঠন। ছাত্রলীগ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলনসহ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সব আন্দোলনে অবদান রেখেছে। ছাত্রলীগ অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর মুখপাত্র। সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে আমরা কখনও মাথানত করব না। তাদেরকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করব। ছাত্রলীগ ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি; তাই সকল অসম্প্রদায়িক চেতনায় ছাত্র সমাজকে একত্রিত করে আগামীতে পথ চলতে চাই।’

ডাকসুসহ সারাদেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ডাকসু নির্বাচন হোক। তার স্বপ্ন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত ডাকসু ভিপি-জিএস দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া।’

ভবিষ্যতে রাজনীতি করে ছাত্রলীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি একজন সৎ ও আদর্শবান নাগিরক হতে চাই। যাতে দেশের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারি এবং বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ তা বাস্তবায়ন করতে পারি।’

   

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;

গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই বিএনপির: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতবৃন্দ লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে তারা অগুন-সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত অপশক্তি সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের কথা বলে। সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে। তবে যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে- জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে কারণে বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য প্রদান করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন গুরুত্ব অপরিসীম। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা তখন বরাবরের ন্যায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

বিবৃতিতে তিনি বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

;