জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী জোট চূড়ান্ত



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম
ছবি: সংগ্রহীত

ছবি: সংগ্রহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক নির্বাচনী সমঝোতামূলক জোট হতে যাচ্ছে। ৬টি শর্তে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও জাতীয় পার্টি জোটবদ্ধ হচ্ছে বলে জানা গেছে। জোটের বিষয়টি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।

আগামী শনিবার (১১ আগস্ট) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ দু’টি দলের জোটবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে উভয় দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

চুক্তির শর্তগুলো নিয়ে কেউ সরাসরি কথা চাননি। তবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। যে ছয় শর্তের ভিত্তিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের চুক্তি হচ্ছে সেগুলো হলো-
১. কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করা হবে না।
২. হজরত মোহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এটা সংবিধানে যুক্ত করা হবে।
৩. কওমি মাদরাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
৪. ইসলাম, নবী, রাসূল ও সাহাবীদের নামে কটূক্তিকারীদের শাস্তির বিধান সম্বলিত আইন করা হবে।
৫. সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে।
৬. সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।

ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস একটি নিবন্ধিত (নিবন্ধন নং ৩৩) রাজনৈতিক দল। দলটির প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক। তিনি চারদলীয় জোটের অন্যতম রূপকার ও নেতা ছিলেন। কিন্তু জোট সরকারের আমলে কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতিসহ নানাবিধ দাবী অপূরণ থাকায় ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে চারদলীয় জোট ত্যাগ করেন।

জোট থেকে বের হবার পর আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যের চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ ও খেলাফত মজলিসের মাঝে ২০০৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনী সমঝোতা চুক্তি হয়। পাঁচদফা নির্বাচনী চুক্তিতে বলা হয়- উভয় দল সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিজয়ী হলে এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবে। দুই দলের চুক্তির পর থেকে নানাবিধ সমালোচনার প্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ এক তরফাভাবে চুক্তিটি বাতিল করে।

এর পর থেকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আর কোনো জোটে যোগ দেয়নি। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে রিক্সা প্রতীকে ১২টি আসনে অংশ নেয় এবং ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জন করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/09/1533820864569.jpg

বিভিন্ন জোট গঠন ও জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসকে নিয়ে প্রচুর গুঞ্জন ও আলোচনা হয়েছে। অবশেষ সব আলোচনা থামছে এরশাদে সঙ্গে জোট গঠনের মধ্য দিয়ে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘মূর্তি স্থাপন বিরোধী আন্দোলন’ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মতবিনিময় করে। তখন থেকেই দুই দলের সম্পর্কের শুরু।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে থাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে ২০১৭ সালের ৭ মে ‘সম্মিলিত জাতীয় জোট’ (ইউএনএ) নামে ‘ইসলামী মূল্যবোধের’ নতুন এক জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই জোটে দু’টি নিবন্ধিত দলসহ মোট ৫৮টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। নিবন্ধিত দল দু’টি হচ্ছে জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। গুঞ্জন ছিলো- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ওই জোটে যোগ দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা আর ওই জোটে যাননি। খেলাফত মজলিস জোট করতে চলছে জাতীয় পার্টির সঙ্গে। তবে তারা সম্মিলিত জাতীয় জোটে যোগ দেবেন কিনা- সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘হ্যাঁ, ছয়টি শর্তের ভিত্তিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জোট করতে যাচ্ছে। ওই শর্তের সবগুলোই ইসলামি মূল্যবোধ সংক্রান্ত। এখানে দলীয় বা ব্যাক্তি স্বার্থ বলে কিছু নেই। জাতীয় পার্টি এবং খেলাফত মজলিস সরকার কিংবা বিরোধী দল যেখানেই থাকুন না কেন- ওই ছয় শর্ত বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করবে।’

১৯৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বর শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন এবং ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন যুব শিবির একীভূত হয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৫ সালে নেতৃত্বের প্রশ্নে বিভক্ত হয় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। তার পরও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ সাংগঠনিকভাবে বেশ মজবুত। প্রায় ৫০টি জেলায় তাদের সক্রিয় কমিটি রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতেও তারা রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোটে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১৫টি আসন দাবী করবে বলে জানা গেছে। দলের আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান (সিলেট-৬), মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক (ঢাকা-৭), সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ঈসমাইল নুরপুরি (নরসিংদী-৫), নায়েবে আমির মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩) ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন (কিশোরগঞ্জ-৬) আসন থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

এ বিষয়ে মুফতি মাহফুজুল হক বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক আলোচনা শুরু হয়েছে। এখনও বলার মতো কিছু হয়নি। আলোচনা হচ্ছে।’

   

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;

গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই বিএনপির: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতবৃন্দ লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে তারা অগুন-সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত অপশক্তি সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের কথা বলে। সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে। তবে যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে- জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে কারণে বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য প্রদান করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন গুরুত্ব অপরিসীম। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা তখন বরাবরের ন্যায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

বিবৃতিতে তিনি বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

;