সংসদীয় দলের নেতার প্রশ্নে জাপায় মতপার্থক্য



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদীয় দলের নেতা ও রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারছে না জাতীয় পার্টি। রওশন এরশাদ চান, নিজেই সংসদীয় দলের নেতা হতে। আর জিএম কাদের-ই হোক দলটির সংসদীয় তথা বিরোধীদলীয় নেতা এমনটাই চাচ্ছেন তার অনুসারীরা।

কাদের অনুসারীরা এখানে পার্টির গঠনতন্ত্রকেও টেনে আনছেন ঢাল হিসেবে। পার্টির গঠনতন্ত্রে বলা আছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানই হবেন সংসদীয় দলের প্রধান। প্রয়াত এরশাদের একচ্ছত্র নির্দেশনায় চলা দলটির গঠনতন্ত্রে এই ধারা যুক্ত করা হয় দলের অষ্টম কাউন্সিলে (২০১৬ সাল)। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসতে রাজি ছিলেন না প্রয়াত এরশাদ। সেই সুযোগে বিরোধীদলীয় নেতা হয়েছিলেন তখনকার দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।

প্রথমে বিষয়টি সহজভাবে নিলেও পরে বিষয়টি এরশাদের জন্য নানা রকম বিড়ম্বনার সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা এলে প্রটোকল অনুযায়ী রওশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। আর উল্টো ঘটতো এরশাদের ক্ষেত্রে, সাক্ষাৎ চেয়ে উল্টো ধরনা দিতে হয়েছে দু-একটি ক্ষেত্রে।

নানা কারণে বছর খানেক পরে এরশাদ নিজেই বিরোধীদলীয় নেতা হতে চেয়েছিলেন। তখন বেঁকে বসেছিলেন রওশন এরশাদ। সে সময়ে দলের সংসদ সদস্যরাও রওশনের পেছনে একাট্টা ছিলেন। এরশাদ চাইলেও সরাতে পারেননি রওশনকে। দশম সংসদের শেষদিন পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতার চেয়ারে ছিলেন রওশন।

সেই ক্ষোভ থেকেই ২০১৬ সালের কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে পার্টির চেয়ারম্যানকে পদাধিকার বলে সংসদীয় দলের নেতা বানানো হয়। এখন সেই সংশোধনীকে সামনে আনা হচ্ছে সংসদীয় দলের নেতা প্রশ্নে।

কিন্তু রওশন এরশাদের কাছে গঠনতন্ত্র কি পাত্তা পাবে? তিনি ইতোমধ্যেই সংসদীয় দলের নেতা হতে চান বলে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এরশাদের মৃত্যুর পর জিএম কাদের তার বাসায় দেখা করতে গেলে খোদ রওশনই এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, 'তুমি পার্টির চেয়ারম্যান হয়ে দলকে সংগঠিত কর। আমি আর কয়দিন বাঁচব। বিরোধীদলীয় নেতা হই। আমি মরে গেলেতো তুমিই সব দেখবে'।

জানা যায়, প্রথমদিকে জিএম কাদেরেরও নাকি এতে তেমন আপত্তি ছিল না। কিন্তু এই নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে উভয় সংকট দেখতে পাচ্ছেন তার অনুসারীরা। রওশন যদি সংসদীয় দলের নেতা হন, তখন সংসদ সদস্যরা হবেন রওশনমুখী। এতে দলের মধ্যে নেতৃত্বের সংকট তৈরি হতে পারে। এমনিতেই অনেক সিনিয়র নেতা জিএম কাদেরের ডাকে সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না। আবার বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা বাংলাদেশ সফরে এলেও প্রটোকল পাবেন না জিএম কাদের।

এ কারণে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন জিএম কাদেরের অনুসারীরা। কিন্তু ভাবলেই কি সব হয়ে যাবে? এমনটি ভাবতে পারছেন না অনেকে। রওশন বেঁকে বসলে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। তাতে সলতে জোগান দেওয়ার জন্য অনেক সিনিয়র নেতাই গোঁফে তা দিচ্ছেন। অনেক সংসদ সদস্যও রয়েছেন এই দলে। আবার কেউ কেউ রওশনের সঙ্গে রয়েছেন ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য করার কৃতজ্ঞতা থেকে।

জোর করে কিছু করতে গেলে হিতের বিপরীত ঘটতে পারে। বিশেষ করে গঠনতন্ত্রের দোহাই দিয়ে জিএম কাদের বিরোধীদলীয় নেতা হতে চাইলে। রওশনের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির নতুন কমিটি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন তার একাধিক অনুসারী। এ জন্য বিশেষ ব্যক্তিত্বের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছেন উভয় শিবির। এরই প্রেক্ষিতে যোগাযোগ রক্ষা করেও চলছেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।

একই রকম সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হয়ে পড়া এই আসনে রওশন এরশাদ তার ছেলে সা'দ এরশাদকে (রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ) প্রার্থী করতে চান।

অনেকদিন ধরেই ছেলে সা'দকে রাজনীতিতে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন রওশন। বিগত সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে দাবি তুলেছিলেন। রওশন এরশাদ চান, সা’দই হোক জাতীয় পার্টিতে এরশাদের উত্তরসূরি।

মালয়েশিয়া প্রবাসী সা’দ বিগত নির্বাচনের আগে থেকেই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। এরশাদ যখন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে অন্তিম শয্যায়, সরব দেখা গেছে তাকে। মা রওশন এরশাদের সঙ্গে প্রায় হাসপাতালে যেতেন। ছবি তুলে তা মিডিয়ায় পাঠানো হতো। বাবা এরশাদের মরদেহের সঙ্গে রংপুর চলে যান। পরদিন সেখানে কবর জিয়ারত করেন। এবার ঈদের নামাজও পড়েছেন রংপুরে।

কিন্তু রওশন এরশাদের এই অভিপ্রায়ে ছাড় দিতে রাজি নন রংপুরের স্থানীয় নেতারা। কাদেরপন্থী বলে পরিচিত রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি এসএম ইয়াসির নিজেও প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। এছাড়া আরও হাফ ডজন আগ্রহী প্রার্থী রয়েছেন জাপার দুর্গ খ্যাত এই আসনে।

অসুস্থ এরশাদ যখন কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদ ও বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তখন প্রকাশ্য আন্দোলনে নেমেছিলেন ইয়াসিররা। আগে যে গ্রুপিং কিছুটা গোপন ছিল ওই আন্দোলনে তা প্রকাশ্য হয়ে পড়ে। রংপুরের নেতাদের কাঁধে সওয়ার হয়ে জাতীয় পার্টির মসনদে ফেরেন জিএম কাদের। তবে ভাবির মন যোগাতে গিয়ে জিএম কাদের কি পারবেন অন্যদের উপেক্ষা করতে?

রংপুর জাপার নেতারা মনে করেন, এটা করলেও আসনটি হারাতে হতে পারে। কারণ সা'দের বিষয়ে রংপুরের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি রওশনের বিষয়েও অনেকের অ্যালার্জি রয়েছে। ২০০৮ সালের উপ-নির্বাচনে রংপুর থেকে নির্বাচিত হলেও রংপুরবাসী তাকে সেভাবে কাছে পায়নি।

শনিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যের যৌথসভায় বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। বৈঠক শেষে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, 'রংপুর উপ-নির্বাচনের প্রার্থী প্রশ্নে একটি কমিটি করে দেওয়া হবে। তারাই চূড়ান্ত করবেন প্রার্থী। এর আগে স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে চার জনের নাম প্রস্তাব চাওয়া হবে। সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন প্রশ্নেও ওই কমিটি সিদ্ধান্ত দেবেন'।

তবে দলের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই বলেও দাবি করেন জাপা মহাসচিব।

   

উপজেলা নির্বাচন

বরিশালে নতুন তিন প্রার্থী নিয়ে দুই উপজেলায় তোলপাড়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে নতুন দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নিয়ে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলাবাসীর মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

নতুন প্রার্থীদের জয়জয়কারে চরম বেকায়দায় পড়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হেভিওয়েটের প্রার্থীরা।

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরিবর্তনের পক্ষে সাধারণ সমর্থকরা ওই তিন প্রার্থীর পক্ষে কোমর বেঁধে মাঠে নামতে শুরু করেছেন। প্রার্থীরাও অনেকদিন ধরে নির্বাচনি মাঠও চষে বেড়াচ্ছেন।

গণসংযোগে নেমে তারা উন্নয়নবঞ্চিত উপজেলাবাসীর তীব্র ক্ষোভের কথা শুনলেও ভোটারদের কোনো ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন না। তিন প্রার্থীই প্রায় একই সুরে কথা বলছেন, অতীতের জনপ্রতিনিধিদের মতো মুখে কথার ফুলঝুড়ি ছড়াতে চাই না! তারা শুধু এটুকুই বলছেন, নির্বাচিত হতে পারলে ভাগ্যবঞ্চিতদের ভাগ্য উন্নয়নে সবকিছু কাজে প্রমাণ করে দেবো। আর দুই বছরের মধ্যে ভাগ্য উন্নয়নে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবো।

আলোচিত ওই তিন প্রার্থী হলেন- মুলাদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দীন খসরু। ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক পরিচিত জহির উদ্দীন খসরুর পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এবার প্রকাশ্যে গণসংযোগে মাঠে নেমেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীরা।

অপর দুই প্রার্থী হলেন- বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদে জনতার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনি মাঠে আলোড়ন সৃষ্টি করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক মেধাবী ছাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. আদনান আলম খান বাবু এবং বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও আলোচিত নারীনেত্রী মৌরিন আক্তার আশা।

জানা গেছে, বরিশাল-৩ (মুলাদী ও বাবুগঞ্জ) সংসদীয় আসনটি অনেকদিন থেকেই জাতীয় পার্টির দখলে। স্থানীয় নির্বাচনে জাপা এককভাবে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও প্রার্থীদের বিজয়ী হতে জাপার সমর্থন মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ দুই উপজেলায় জাতীয় পার্টির বৃহৎ অংশের কর্মী-সমর্থকরা ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে উল্লিখিত আলোচিত তিন প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমেছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী দুই ভাই
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে জেলার হিজলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন আপন দুই ভাই। এনিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে হিজলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার।

গত ২৩ এপ্রিল দুপুরে যাচাই-বাছাইতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিকভাবে বৈধ ঘোষণা করা পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে দুইজনই হলেন আপন দুইভাই। তারা হচ্ছেন- সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদার ও তার ছোটভাই আলতাফ মাহমুদ দিপু সিকদার।

অপর তিন প্রার্থী হলেন- নজরুল ইসলাম রাজু ঢালী, দেলোয়ার হোসেন ও হাফিজুর রহমান। জেলার আরো একটি উপজেলায় আপন দুইভাই প্রার্থী হচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।

 

;

বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছেন। তাদের বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানে এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। এতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমূণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য 'বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি' বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

;

আবারও একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আ.লীগ- রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আবারও একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, সংসদীয় এলাকাগুলোতে ‘এমপি রাজ’ শুরু হয়েছে। এমপির ভাই, খালা মামাদের দিয়ে ‘এমপি রাজ’ চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দাবদাহে নগরবাসীকে পানি বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রহুল কবীর রিজভী এ সব কথা বলেন।

এ সময় তিনি ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ওবায়দুল কাদের এখন ‘সন্ত্রাসীদের মন্ত্রী’, ‘গুণ্ডাদের মন্ত্রী’। তাই, বিএনপি কর্মসূচি দিলে পালটা কর্মসূচি দেন।

রিজভী বলেন, সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন বিএনপির প্রোগ্রামের সঙ্গে মিল রেখে প্রোগ্রাম দেন? তিনি (ওবায়দুল কাদের) উত্তরে বললেন, বিএনপিকে মানসিক চাপে রাখতে নাকি কর্মসূচি দেন। আসলে যারা ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’, তারাই এ সব কাজ করেন।

তিনি বলেন, এসব তো করে পাড়া-মহল্লার গুণ্ডারা। সন্ত্রাসী যারা, তারা।

রিজভী আরো বলেন, শেখ হাসিনা গণবিরোধী নীতি, গণবিরোধী প্রকল্প নিতে কখনো ভাবেন না। দেশে আজ চাল সংকট, আদা সংকট, পেঁয়াজ সংকট। এসবের পেছনে মূল কারণ শেখ হাসিনার গণবিরোধী প্রকল্প। এক কথায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, শেখ হাসিনার ব্যর্থতা।

রাজনীতির প্রধান কাজ ‘সমাজ সেবা’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সারাবিশ্বের রাজনীতি একটি সমাজ সেবা কাজ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের গণবিরোধী কাজের জন্য আমাদের সব সময় রাজপথে থাকতে হয়। এ জন্য আমরা সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি না।

এসময় বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেন রিজভী।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ইঞ্জিনিয়ার ইসরাকশ, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;