ছাত্রদলের কাউন্সিল ১৪ সেপ্টেম্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থগিত হওয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে বয়সসীমা তুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের সময় বহিষ্কার করা বিলুপ্ত কমিটির ১২ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে সার্চ কমিটির সঙ্গে স্কাইপে যুক্ত হয়ে বৈঠক করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্রদলের কাউন্সিল আয়োজনে সার্চ কমিটিতে রয়েছেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরই সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলের কাউন্সিলের সময় ও স্থান জানানো হবে।

ছাত্রদলের কাউন্সিলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি প্রধান, ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিল আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে। বহিষ্কার করা ছাত্রদলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। একই সঙ্গে আগামী কাউন্সিলের বিভিন্ন কমিটিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

উল্লেখ্য, মেয়াদ শেষ হওয়া ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে গত ১৫ জুলাই কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রার্থী হতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল ২০০০ সালের আগে যে সকল ছাত্র এসএসসি পাস করেছেন, তারা কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্রদলের একাংশ। তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। পরে কাউন্সিলের কার্যক্রম স্থাগিত রাখা হয়।

   

মানুষকে দুঃখে-কষ্টে ফেলে ফায়দা লুটাই বিএনপির রাজনীতি: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি-রফতানি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ থেকে যেটা আমদানি করলে খরচ কম হবে সেটা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ঠগবাজি, স্ট্যান্ডবাজির রাজনীতির নামে বাংলাদেশের মানুষকে আরও দুঃখ, কষ্টের মাঝে নিমজ্জিত করে যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটা যায় সেটাই হলো বিএনপি-জামায়াতের নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট নীতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইডিইবি ভবনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরোধীতার নামে, সরকারের বিরোধীতার নামে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষের কষ্ট, বেদনাকে বাড়াবার জন্য বিএনপি-জামায়াতিরা যে অপরাজনীতি করছে, তার নতুন সংস্করণ হলো ভারত বিরোধীতার নামে ভারতী পণ্য বর্জন করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা করা।

নাছিম বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, এ দিবসটি নতুন করে বঙ্গবন্ধু আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনুপ্রাণিত করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দু’লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এখনো যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে আমাদের দেশের মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা এখন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তারা অপকর্ম দুষ্কর্মের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষকে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, মুনাফালোভী, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তাদের দমন করার জন্য অনেক ভাষণ দিয়েছেন। ৫৩ বছর পরও কতিপয় কালোবাজারি ব্যবসায়ী শুধু মানুষকে কষ্ট দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রাজনীতি কেও পৃষ্টপোষকতা করছে। জাতির পিতার রাজনীতিতে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। তাই সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের জায়গা গড়ে তুলতে হবে। দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা দেখি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারি, তাহলেই শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। তাহলেই আমরা বাংলাদেশ বিরোধী নির্মূল করতে পারব।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ৭৫ -এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, ইতিবাচক রাজনীতির কথা বলেছেন, তারা কেউ জেলখানার বাইরে ছিল না। যারা বাংলাদেশকে রক্তাক্ত কসাইখানা বানাতে চায়, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা আর রাজনৈতিক নির্যাতন এক হতে পারে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

;

দমন নিপীড়ন আ.লীগের প্রধান হাতিযার: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর বলেছেন, এই সরকার একটি ফ্যাসিস্ট সরকার। দমন নিপীড়ন তাদের প্রধান হাতিয়ার৷ দমন নিপীড়ন না করলে তারা (আ. লীগ) টিকে থাকতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আমরা বিএনপি পরিবারের আয়োজনে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রায় ৮০ ভাগ সদস্য আওয়ামী লীগের দমন নীতির শিকার হিয়েছেন৷ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছে। সেই শুরু থেকেই এই ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের অধিকার গুলোকে কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা একক করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দমন নিপীড়নের কবলে পড়ে আজ অনেকে বাবাকে ফিরে পেতে চায়। ছোট থাকতে বাবাকে হারিয়েছে। গুম করে রাখা হয়েছে বেঁচে আছে নাকি নেই তাও পরিবারের লোকজন জানে না। কেউ কেউ অনেক বড় হয়েছে তবুও হাসি মুখে কথা বলতে পারে না। এই হচ্ছে আমাদের নির্যাতিত, নিপীড়িত, খুন হওয়া, গুম হওয়া অসহায় পরিবার গুলোর বর্তমান অবস্থা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ শুধু এই পরিবার গুলোর নয়। সারা বাংলাদেশের একি অবস্থা শুরু হয়েছে। আমাদের দলের শুধু নয়। সারা বাংলাদেশে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে মানুষ সব সময় একটা ভয়ে থাকে। ত্রাসে থাকে। কখন কাকে কীভাবে তুলে নিয়ে যায়। কোন নিশ্চয়তা নেই।

এসময় মির্জা ফখরুল বিএনপির নিপীড়িত, নির্যাতিত ও গুম খুন হওয়া নেতাদের পরিবার ও সন্তানদের উদ্দেশ্য করে বলেন, কখনো মনে করবা না যে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। যুবকদের বলতে চাই কোনো ভিরুতা কোনো হতাশা যেন তাদের গ্রাস না করে। পাখা বন্ধ করা যাবেনা। পাখা উড়াতে হবে। চলতে হবে তীরে পৌঁছাতে হবে। শুভ দিন আমাদের আসবেই। বিচার হবেই। কারণ অন্যায় কোনো দিন টিকে থাকতে পারেনা। সত্যের জয় হবে।

বক্তব্য শেষে, বিএনপির নিপীড়িত, নির্যাতিত ও গুম খুন হওয়া নেতাদের পরিবার ও সন্তানদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

‘বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা পৃথিবীতে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়, আর বিএনপি-জামায়াত এই হত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে একটি হোটেলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে, এদের চিহ্নিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় ৩২ হাজারের বেশি মানুষ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে, তারমধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। লন্ডন, ওয়াশিংটন, সিডনীসহ বিশ্বের বহু জায়গায়, এমন কি ইসরায়েলের তেল আবিবেও মানুষ এই হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। অথচ ক্ষমতায় যাবার লোভে বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে নাই, কোনো বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে এই ভয়ে। অর্থাৎ তারা আজ ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে।

মন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল একটি বড় দেশ তাদেরকে ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাদের অনুকরণে তারা ঢাকায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখন তারা হাঁটে। হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করে। এটা তারা করুক, কিন্তু আগের মতো আগুন সন্ত্রাস যেন না করতে যায়, তাহলে জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দেবে।

এ সময় ইসলামের কল্যাণে সরকারের অবদান তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ইসলাম ও আলেম সমাজের কল্যাণে যা করেছেন, অন্য কোনো সরকার তা করেনি। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতিদান, প্রতিটি উপজেলায় মনোরম মসজিদ, শিক্ষকসহ মক্তব, আলেমদের সম্মান প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে।

ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর সভাপতিত্বে ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান এএএম একরকমুল হক ও অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন হেলালী এবং স ম হামেদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মারুফ আজহারী প্রমুখ মাহফিলে বক্তৃতা দেন।

;

বিএনপি গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে: কাদের

বিএনপি গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে: কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ধারণ করে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপিই এ দেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। বিএনপি নেতাদের উচিত ছিল তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা। অথচ তারা সেটা না করে বরাবরের ন্যায় দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা আজ যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু নয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশ স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে মানবসভ্যতার ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। একইভাবে হন্তারকের দল ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সেদিন ঘাতকচক্র অসহায় নারী, শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? কোথায় ছিল মানবাধিকার? ১৯৭৫-এর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়ার হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রুপের হাসি হাসে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই। গণতন্ত্রের জন্য তাদের এই আহাজারি মূলত একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের অধিপতি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। এদেশের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ এই অন্ধকারের অপশক্তির বিরুদ্ধে আজ ঐক্যবদ্ধ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে অসাংবিধানিক পন্থায় বন্দুকের নলের মুখে জাতিকে জিম্মি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। বিচারপতি সায়েমকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে সরিয়ে দিয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদ দখল করেছিল। ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের প্রহসনের নির্বাচনের নামে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। জিয়ার তথাকথিত গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র! লাগাতার সামরিক শাসন বলবৎ রেখে জনগণের ওপর দুঃশাসনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করে গণতন্ত্রকামী জনগণের সঙ্গে নির্মম তামাশা করেছিল স্বৈরাচার জিয়া; অবৈধভাবে একই সঙ্গে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিল। স্বৈরাচার জিয়া পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে নির্বাসিত করেছিল। স্বৈরাচার জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ধারণ করে চলেছে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বৈরাচার জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। জাতিকে মিরপুর ও মাগুরা মার্কা উপ-নির্বাচন উপহার দিয়েছিল বিএনপি! নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতাদখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে তখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়াবহ নজির স্থাপন করা হয়েছিল। ২০০১ পরবর্তী সময়কালে বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বৈরাচারের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।  

;