জাতীয় পার্টির উত্তেজনায় শীতল পরশ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের

রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সিনিয়র নেতা রওশন এরশাদের বিবৃতির পরে অস্থিরতা দেখা দিলেও শীতল হয়ে এসেছে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব। স্বস্তির ঢেকুর তুলছেন জিএম কাদেরের অনুসারীরা।

অনেকে মনে করেছিলেন রওশন এরশাদ হার্ড লাইনে এগিয়ে যাচ্ছেন। যা তার বিবৃতির মাধ্যমে অনেকটা প্রকাশ্য হয়ে পড়েছিলো। রওশন বিবৃতিতে স্পষ্ট করেই ঘোষণা করেছিলেন জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন।

রওশনের এই প্রতিক্রিয়ার পর তৃণমূলে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছিলো। আশঙ্কা করা হচ্ছিলো সবচেয়ে বেশি দফায় ভাঙনের শিকার জাতীয় পার্টি আবার ভাঙতে যাচ্ছে। বিবৃতি পরবর্তী পরিস্থিতি অবলোকন করছিলেন নেতাকর্মীরা।

এরপর সাংবাদিকদের দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জিএম কাদের বিবৃতিতে উড়ো চিঠি বলে মন্তব্য করেন। বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জিএম কাদেরের এই প্রতিক্রিয়ার পর অনেকে আতঙ্কে ছিলেন ঘটনা প্রবাহে। অনেকে ভেবেছিলেন রওশন এবার হার্ডলাইনে যেতে পারেন।

রওশন এরশাদ বিবৃতি দিয়েছিলেন ২২ জুলাই। আর জিএম কাদের সেই বিবৃতিকে উড়ো বলে মন্তব্য করেছিলেন ২৩ জুলাই। এরপর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও রওশন কিংবা রওশন অনুসারীরা কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান নি। এতে স্বস্তি নেমে এসেছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে। বিশেষ করে যারা ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি দেখতে চান তারা বেশ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

জাতীয় পার্টিতে এখন তিন ধরণের মানসিকতার কর্মী সমর্থক রয়েছে। বড় একটি অংশ রয়েছে যারা ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি দেখতে চান। তারা কোনভাবেই চাননা জাতীয় পার্টি আবার ভাঙনের কবলে পড়ুক। নতুন করে সংকট তৈরি হোক। এই অংশে উদারপন্থী এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সংখ্যা বেশি।

আরেকটি গ্রুপ রয়েছে জিএম কাদেরের পেছনে একাট্টা। তারা তাকে জাপার যোগ্য উত্তরসুরি হিসেবে মনে করছেন। এদের মধ্যে কিছু নেতা রয়েছেন যাদের কারো কারো রওশনের নাম শুনলেও গা জ্বালা করে। রওশনের আশপাশে ঘিরে থাকা নেতাদের সঙ্গে যাদের ব্যক্তিগত কিংবা নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই শ্রেণির নেতারা মনে করেন কাদের-রওশন মিলে গেলে রওশনপন্থীদের চাপে তারা হারিয়ে যেতে পারেন। যেভাবে অতীতে তারা চাপে ছিলেন। এই টাইপের বেশ কিছু নেতা এখন জিএম কাদেরের পেছনে সক্রিয়।

তারা অনেকে মনে করছেন কিছু সুবিধাভোগি দল থেকে চলে গেলেই ভালো। তাতে পার্টি আগাছামুক্ত হয়। মুখে এমন কথা বললেও অন্তরে নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের রেশ বিরাজমান। জিএম কাদের যদি এই শ্রেণির নেতাদের মধ্যে মিলে যান তাহলে জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ সঙ্কটাপন্ন বলে মনে করছেন উদারপন্থীরা।

আরেকটি গ্রুপ রয়েছে রওশন এরশাদের পেছনে একাট্টা। এই গ্রুপে সিনিয়র কিছু প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সংসদ সদস্যরা রয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যারা অনেকেই রওশনের নেতৃত্বে অংশ নিয়েছিলেন। এই গ্রুপটির সঙ্গে জিএম কাদেরের দ্বন্দ্বের সূত্রপাতও তখন থেকেই।

ওই নির্বাচন জিএম কাদের কঠোরভাবে বর্জন করেছিলেন। পরে একইসঙ্গে সরকার ও বিরোধীদলে থাকার বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন। এই পন্থীদের পেছনে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সংখ্যা খুবই নগন্য বলে মনে করা হয়। তবে সিনিয়র নেতা ও বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রিসভায় থাকার কারণে কিছু অনুসারী রয়েছে। কারো কারো নিজ নিজ এলাকায় রয়েছে ব্যক্তিগত বলয়।

এই গ্রুপটি কোনভাবেই জিএম কাদেরকে নেতা মানতে নারাজ। তারা চান রওশন নেতৃত্বে থাকুক। আর তারা নিজেরা তার সঙ্গে থেকে রাজনীতি করতে চান। এই মতাদর্শের নেতাদের মধ্যে অনেকে সরকারি দলে একপা দিয়ে রেখেছেন। হয়তো রওশনের নেতৃত্বে জাপা, নয়তো সরাসরি নৌকার পালে বাতাস দিতে চান। তবুও জিএম কাদেরের নেতৃত্বে নয়।

তবে কিছু অতি উৎসাহী নেতার কারণে জিএম কাদেরের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন উদারপন্থীরা। অতি উৎসাহীদের আচার আচরণ এবং ফেসবুকে নানা রকম নেতিবাচক স্ট্যাটাস অনেককে কাদের বিমুখ করে তুলছে। অতি উৎসাহীদের কর্মকাণ্ডে জিএম কাদেরের সমর্থন কিংবা মদদ না থাকলেও পরোক্ষভাবে দায় তার কাঁধেই গিয়ে পড়ছে। ক্ষুব্ধ অনেক নেতা গোপনে রওশনপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।

পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরকে যে শতভাগ নেতাকর্মী মানতে চাইছেন না তা তিনি নিজেও অবগত। ২০ জুলাই জাতীয় পার্টির যৌথসভায় জিএম কাদের মন্তব্য করেছেন তার প্রতি ৯৯ শতাংশ নেতাকর্মীর সমর্থন রয়েছেন।

জাতীয় পার্টির এই নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। এরশাদ জীবিত থাকা অবস্থায় গত ১৬ জানুয়ারি জিএম কাদেরকে তাঁর অবর্তমানে পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ২২ মার্চ আরেক সাংগঠনিক নির্দেশনায় ১৬ জানুয়ারির নির্দেশনা বাতিল করেন এরশাদ।

এরপর কাদেরকে বহালে আন্দোলনে নামে রংপুরের নেতারা। অনেকটা বাধ্য হয়ে ২২ মার্চের নির্দেশনা বাতিল করে কাদেরকে পুনর্বহাল করেন এরশাদ।

গঠনতন্ত্রে পদ না থাকলেও ২০১৬ সালে জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছিলেন এরশাদ। এরপর রওশন পন্থীদের চাপে রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান করেছিলেন এরশাদ।

এরশাদের মৃত্যূতে শূন্য হয়ে যাওয়া রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনকে জিএম কাদেরের অগ্নি পরীক্ষা মনে করা হচ্ছে। এখানে সিদ্ধান্তে কোনো ভুল কিংবা গড়মিল হলে মাসুল দিতে হবে সারাজীবন ধরে। এমনকি দল ভেঙে খণ্ডও হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

জাতীয় পার্টির এ দুর্গের উপ-নির্বচানে রওশন তার পুত্র রাহগীর আল মাহি সা’দ এরশাদকে মনোনয়ন দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে পারে। অনেকদিন ধরেই ছেলে সা’দকে রাজনীতি আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন রওশন। বিগত সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে দাবী।

কিন্তু রওশন এরশাদের এই অভিপ্রায়ে ছাড় দেবেন না কাদের পন্থীরা। রংপুর জাতীয় পার্টির নেতারাও বেকে বসতে পারেন। বিশেষ করে কাদেরপন্থী বলে পরিচিত মহানগর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি এসএম ইয়াসির নিজেও প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নামতে পারেন।

জাতীয় পার্টিতে নেতৃত্বের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বিগত বেশ কিছু নির্বাচনে প্রার্থী না পেয়ে নেতা হায়ার করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশন, ঢাকা সিটি করপোরেশন, উপজেলা নির্বাচন অন্যতম। অনেক ক্ষেত্রে প্রার্থীই দিতে পারেনি দলটি। সে কারণে জিএম কাদেরকে ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উদারপন্থীরা।

 

   

ভোট প্রদান উৎসাহে প্রচারপত্র বিতরণ উদ্বোধন করল আ.লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত করতে প্রচারণামূলক প্রচারপত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি।

প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-উত্তর, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দের হাতে এ প্রচারপত্র তুলে দেন।

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে সব শক্তির উৎস জনগণ। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণ তাদের সে অধিকার প্রয়োগ করবে। আমরা সে অধিকার প্রয়োগে জনগণকে উৎসাহিত করতে দেশব্যাপী প্রচারপত্র বিতরণ করব।

বিতরণ করা প্রচারপত্রে বলা হয়, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনও অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালি জাতির ভাত ও ভোটের অধিকার, ভাষার অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি ও উন্নত নাগরিক-জীবন প্রতিষ্ঠার নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণের এই সাফল্য-সংগ্রামের বিপরীতে দেশবিরোধী একটি অপশক্তি লাগাতারভাবে নানামুখী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। চিহ্নিত এই অপশক্তি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ এবং জনগণের ভোটাধিকারকে নস্যাৎ করতে নির্বাচনবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন ও নির্বাচনবিরোধী এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে প্রচারপত্রে বলা হয়, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া বন্ধ করেছে। গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত এবং নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জিত হওয়ায় আপনাদের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করুন।

এতে আরও বলা হয়, আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটের মাধ্যমে নিশ্চিত করুন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিন। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আপনার এলাকার উন্নয়নে সহযোগিতা করুন। ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করুন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকসহ অন্যান্য সামাজিক অপরাধ প্রতিহত করুন। শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়ে আপনার স্বাধীনতা- আপনার নাগরিক অধিকার- আপনার ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করুন। উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করুন।

;

দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে দেশের বাইরেও নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও দেশি-বিদেশি চক্র অপপ্রচার মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি কর্তৃক আয়োজিত প্রচার পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি উন্নয়ন নির্বাচন বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে সে জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচন কে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সকল শক্তির উৎস। দেশ বিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণ কে সামরিক স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে দীর্ঘকাল পৃষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছে।  

;

রওশন ঘোষিত কমিটিতে নাম দেখে বিস্মিত শেখ আলমগীর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টির কমিটির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবী করেছেন শেখ আলমগীর হোসেন। রওশন ঘোষিত কমিটিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তার নাম দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়ায় তার নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রওশন এরশাদ গত ৯ মার্চ আইবি চত্ত্বরে এক তরফাভাবে জাতীয় পার্টির আয়োজন করেন। এরপর ২০ এপ্রিল আংশিক কমিটি ঘোষণা দেন। সেখানে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন-কে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়।

কমিটি ঘোষণার সংবাদে শেখ আলমগীর হোসেন বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন বলে জাতীয় পার্টির যগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন যে, প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত মূল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বর্তমান জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের এমপি’র নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করে জাতীয় পার্টির পতাকাতলেই আছেন এবং তিনি এও বলেছেন ঐ ভূয়া পার্টির (রওশন-মামুন) সাথে তাঁর সম্পর্ক নাই।

শেখ আলমগীর হোসেন তাঁর নাম জড়িয়ে উক্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রেরণ করে প্রকাশ ও প্রচার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

;

মহসিন কলেজকে গ্রিন ক্যাম্পাস বানাতে চায় ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত হলেও সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজে গাছপালার সংখ্যা দিনে দিনে কমছে। এমন পরিস্থপতিতে কলেজ ক্যাম্পাসকে পুনরায় গ্রিন ক্যাম্পাসে রূপান্তর করতে চায় ছাত্রলীগ।

এর অংশ হিসেবে সোমবার (২২ এপ্রিল) কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও শুরু করেছে সংগঠনটি। প্রথমদিন কলেজের বিভিন্ন জায়গায় শতাধিক বৃক্ষরোপণ করেন তারা।

কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পলাশের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

আনোয়ার পলাশ বৃক্ষরোপণের বিষয়র বলেন, ‘বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে আমাদের ভবিষ্যতকে জলবায়ুর বিরূপ আচরণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য আমাদের মতো তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তাই সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাসকে গ্রিন ক্যাম্পাসে নবরূপায়ন করবে। আর এজন্যই আমাদের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।’

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহারিয়ার সুমন, রাবেয়া বসরি লিজা, হাবিবুর রহমান সুজন, মোহাম্মদ শাহারিয়ার হোসেন, মোহাম্মদ ইমন, লায়লা সিকদার লিপি, নুর আলম, এইচ এম জাহিদ, জনি দাশ, আবির উদ্দিন, মোহাম্মদ কায়সার, সাগর সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, জাহিদ হাসান কাউসার, সাবিদ হাসান, আবরারুল হাসান, শেখ আবদুল আজিজ, মোহাম্মদ মুনতাসিম, নকিব বিন নোমান, ইমতিয়াজ, আসিফুল ইসলাম শিহাব, আক্তার আহমেদ রাব্বী, শাহারিয়ার, এস আই সাইদুল, মোহাম্মদ শোয়াইব, আব্দুল আহাদ, মোহাম্মদ লিমন, ইব্রাহিম হোসেন সাজ্জাদ প্রমুখ।

;