খুঁড়িয়ে চলা ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যত কী?



শিহাবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন গঠন করেছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শুরুতে জোট গঠন নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তা স্তিমিত হয়ে পড়ে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ঠিক মতো চলতে না পারা সরকারবিরোধী এই জোটের ভবিষ্যত কী?

একাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জোট নেতাদের বড় বড় কথার ঝুলি প্রতিধ্বনিত হয়েই ফিরে এসেছে, কার্যত কিছুই করতে পারেনি ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনের আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশ ছিল বেশ আশাজাগানিয়া। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। এমনকি সরকারের বিরুদ্ধে ‘ভোট ডাকাতি ও কারচুপি’র অভিযোগ আনলেও এর প্রতিবাদে সামান্য আন্দোলনও করেনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনী ট্রাব্যুনালে মামলা করার ঘোষণা দেওয়া হয়, কিছু আসন থেকে মামলাও করা হয়। একই সঙ্গে জাতীয় সংলাপ এবং পুনর্নির্বাচনের দাবিতে জনমত গঠনে ও দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সফর করবেন বলে ঘোষণা আসে। কিন্তু তাও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে দেখা যায়নি।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/17/1563379198299.jpgরাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন আছে, তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ড. কামাল হোসেনকে কৌশলে ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মাদ নাসিম তো বলেই দিলেন, ড. কামাল হোসেন সংসদ নির্বাচনে তাদের পক্ষে কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির বন্ধুরা বারবার ভুল করেছে, ২০১৪ সালে একবার গোস্যা করে নির্বাচনে আসেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে এলো লোক ভাড়া করে। কাকে ভাড়া করল? আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত, অত্যন্ত শিক্ষিত ও বিদগ্ধ নেতা ড. কামাল হোসেনকে ভাড়া করে সামনে দাঁড় করাল। তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে মাঠ খালি করে দিলেন। আর আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিলাম। এই হচ্ছে তাদের (বিএনপির) ভাড়াটের মুরোদ। ওরা কামাল হোসেনকে ভাড়া করল ওদের জন্য, আর কাজ করল আমাদের জন্য।’

তবে নাসিমের এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে গণফোরাম।

ভোট প্রত্যাখ্যান করলেও সংসদ সদস্য হিসেবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা শপথ নেন। নির্বাচনী ট্রাইবুন্যালে মামলা করার পর তার কোনো খোঁজ নেই। নির্বাচনের পর নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে একটি কর্মসূচি ডেকেও পরে তা বাতিল করা হয়। জনস্বার্থেও নেই কোন কর্মসূচি সরকারবিরোধী এ জোটের।

সম্প্রতি ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের হয়ে গেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। অপর দিকে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ঐক্যফ্রন্টের সর্বশেষ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে অংশ নেননি। জোটের প্রতি বিএনপি নেতাদেরও আগ্রহ কমছে।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে জামান টাওয়ারের চতুর্থ তলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনের আগে এই ভবনে জোটটির কিছু কার্যক্রম থাকলেও নির্বাচনের পর সংবাদ সম্মেলন, সভা বা কোন অনুষ্ঠানই হয়নি।

এ অবস্থায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ঐক্যফ্রন্টের কোন ভবিষ্যত দেখছেন না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ঐক্যফ্রন্টের কোন ভবিষ্যত আমি দেখতে পাচ্ছি না। তারা কিচ্ছু করতে পারবে না, মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে, বিএনপিকেও। সংসদে বলা হয়েছে ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগের ফর্মুলা বাস্তবায়ন করেছেন। তার কার্যকলাপ দেখে সেটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, কিন্তু সেটা বিশ্বাস করতে চাই না। তিনি নির্বাচনের আগে হুঙ্কার দিলেন কিন্তু নির্বাচনের পর বিড়ালের মতো বসে রইলেন। নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট যে ভূমিকা রেখেছে সে জন্য তাদের ওপর জনগণের কোন ভরসা নেই।

দিলারা চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনটাকে ধ্বংস করে দিল আর তারা (ঐক্যফ্রন্ট) একটা হরতাল ডাকতে পারলো না! তারা দুটি কাজ করতে পারতো, এক. হরতাল ডেকে প্রতিবাদ করা আর দ্বিতীয়টি হলো সংসদে না যাওয়া। এটা বলতে পারি জনগণের বিশ্বাস তাদের ওপর থেকে চলে গেছে।

ঐক্যফ্রন্টের দিকে না তাকিয়ে থেকে বিএনপির যে শক্তি আছে সেটাকেই সংগঠিত করা উচিত বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে তিনি বলেন, প্রথম থেকেই জোট নিয়ে আশাবাদী ছিলাম না, এখনো না। বিএনপি অনেক বড় রাজনৈতিক দল, এরা যদি কাজ করে সেটাই যথেষ্ট। নির্বাচনের আগে এদের সহানুভূতির প্রয়োজন ছিল, এই মুহুর্তে তার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না। কাদের সিদ্দিকী চলে গেলেন, আ স ম রব চলে যাবেন কিনা জানি না। বিএনপির সেদিকে তাকানোর দরকার আছে বলে মনে করি না। নিজেদের যে শক্তি আছে এটাকেই সংগঠিত করতে পারলে যথেষ্ট।

এদিকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা সবাই দল গোছাচ্ছি, বিএনপির মধ্যেও একটা অস্বস্তি চলছে। ড. কামাল হোসেন চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরলেন, আ স ম রবের অপারেশন করা হয়েছে। সব কিছু গুছিয়ে উঠতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। কাদের সিদ্দিকীর বের হয়ে যাওয়া কোন সমস্যা না। ঐক্যফ্রন্ট জনগণের অন্তরে গেঁথে আছে। আমরা দেশের মানুষকে একটা জায়গায় নিয়ে গেছি, তাদের জন্য যা করা দরকার ছিল তা আমরা করতে পারিনি। কিন্তু সরকারের মুখোশ আমরা উন্মোচন করে দিয়েছি দেশের মানুষের কাছে, বিশ্বের কাছে।

   

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;