সম্মেলনের প্রস্তুতিতে আ.লীগের তৃণমূলে ধীরগতি



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের লেগো

আওয়ামী লীগের লেগো

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর মেয়াদী আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের অক্টোবরে। অক্টোবরকেই সম্ভাব্য মাস হিসেবে ধরে কেন্দ্রীয় সম্মেলন আয়োজন করতে চায় টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনায় থাকা দলটি। ইতোমধ্যেই সম্মেলন আয়োজনের ইচ্ছের কথা জানিয়ে দলের শীর্ষনেতাদের প্রস্তুতি নেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় সভাপতির সঙ্গে কয়েকদফায় সম্মেলন সংক্রান্ত নানা ইস্যু নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা সেরে নিয়েছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছে অনুসারে সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দলটি। তবে তৃণমূলে সম্মেলনের গতি বেশ ধীর।

সারা দেশের তৃণমূলের বিভিন্ন পর্যায়ে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো সম্মেলন শেষ করতে বিশেষ কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনোদের নবায়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং দলের নিজস্ব কার্যালয়ের ঠিকানা স্থায়ী কী না- এসব তথ্য তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাতে বলা হয়েছে। তবে আসন্ন কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে তৃণমূলের মেয়াদোত্তীর্ণ সব কমিটি গঠনও নানাবিধ কারণে সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন তারা।

সূত্র মতে, টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অধিকাংশ ইউনিটের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। অনেক জেলা ও উপজেলায় নিয়মিত সম্মেলন নেই। কোথায় কোথাও সম্মেলন হয় নি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। নিয়মিত সম্মেলন ও কমিটি গঠন না হওয়ায় সংগঠন স্থবির। কোথাও কোথাও সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়েও পড়েছে। কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সময় আশ্বাস পেলেও এলাকাগুলোর নেতাকর্মীরা নির্ধারিত সময়ে নতুন কমিটি পাননি।

তূণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে’ মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ও উপজেলাগুলোতে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার ঘোষণা দেওয়ায় তৃণমূলে চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কারণ এর মধ্যে তৃণমূলকে ঢেলে সাজাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে আটটি বিভাগীয় টিম গঠন করে দেন। তৃণমূল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে অনেক জেলায় বর্ধিত সভাও শেষ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু তৃণমূলে সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি সেভাবে নেই।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান শেষ করেই আমরা আমাদের জেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন আয়োজনের কার্যক্রম শুরু করব। ইতোমধ্যেই আমরা প্রতিটা উপজেলা,থানা ও ইউনিয়ন ইউনিটগুলোতে সম্মেলনের তারিখ ঠিক করে জানাতে বলেছি।’

কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে তৃণমূলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো সম্মেলন ঠিক ভাবে হবে কী না সেটি নিয়ে শঙ্কা আছে তৃণমূলেই। তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুন মাসে সফল ভাবে দলের ৭০ তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়েই ব্যস্ত ছিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল। জুলাই মাসটাই হাতে সময়। সামনে আগস্ট মাস শোকের মাস। ঐতিহ্যগতভাবে সে মাস জুড়ে কোন সম্মেলন কিংবা কমিটি হবে না। অক্টোবরের আগে তখন বাকী থাকবে মাত্র দুই মাস। কিন্তু এখনো সেরকম প্রস্তুতি নেই।

কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, জাতীয় সম্মেলন অক্টোবর মাসেই হবে। তাই যে যে এলাকাগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আছে সেগুলোতে সম্মেলন আয়োজন খুব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কেন্দ্রীয় সম্মেলন পেছানোরও কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ,সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলের জাতীয় সম্মেলন শেষ করার প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্মেলন না করার কোনো বিকল্প নেই।

 এদিকে এই মুহূর্তে দলে নতুন রিক্রুটের জন্য দারুণ সক্রিয় হাইকমাণ্ড। দুইকোটি নতুন সদস্য দলে ভেরানোর লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে সাড়ম্বরে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। ওই বছর গণভবনে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনের সদস্য পদ সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু পরের বছর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের জোয়ারে তা অনেকটাই স্থিমিত হয়ে যায়। ২০১০ সালে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও ওই বছরও তা বেশিদিন চলেনি। তবে এবার সেটি হতে দিতে চান না দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি দলীয় ফোরামের বিভিন্ন আলোচনায় তিনি নতুন রিক্রুটমেন্ট করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তৃণমূলের নেতাদের দলে নতুন রক্ত সঞ্চালনা করতে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা দেশের সব জেলা ও উপজেলায় আগামী ১ জুলাই থেকে দলের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে। দলের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে এবার পারিবারিক পরিচয়কে বড় করে না দেখে নতুন সদস্যদের রাজনৈতিক পরিচয়কেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।’

যদিও রোববার (৩০ জুন) দলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তারুণ্যের শক্তি,বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ নীতির আলোকে আগামী ২১ জুলাই সারাদেশে নতুন ভোটারদের আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে অন্তুর্ভুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে।’

   

সরকার সন্ত্রাসীদের উপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের উপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কোনো জনগণ নাই, জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না। তবে সন্ত্রাস নির্ভর সরকারের পরিণতি ভালো হবে না।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের রক্তাক্ত করতে আওয়ামী লীগ জনপথের পর জনপথে শিমুলদের মতো এমপি বানিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা দেশে নৈরাজ্য ও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী গত ১৩ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে সিংড়ার দিকে রওনা হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ফুলবাগান এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে মাইক্রোবাসে থাকা সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয়। পায়ে তিনটি গুলি করে।

খবর পেয়ে বিএনপির দুই কর্মী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে তাৎক্ষণিক রাজশাহীতে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়।

নাটোরের এমপি শিমুলের সন্ত্রাসী বাহিনীরা ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, তার উপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। সরকার বিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামে তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার উপর ক্ষুব্ধ। কিন্তু হত্যা করে, নিপীড়ন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

;

আ. লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য, এটা বর্জন করলেই শেষ।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) 'মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে 'অন্তরে মম শহীদ জিয়া'।

আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হলো আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই শেষ। বর্জন করার তো করছেনই, এখন এটাকে তাড়ানো যায় কিনা। তাহলেই তো শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতির মুক্ত হওয়া সম্পন্ন। অন্য পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল, ভারত যদি পাশে না থাকতো, তাহলে আমরা এই ৭ তারিখের আমি, ডামি, স্বামী, সমকামী নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না। এজন্যই এই ঝামেলার শুরু হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহহমান যদি স্বাধীনতার পাঠক হন, তাহলে লেখক কোথায়? সেই কাগজটি কোথায়? জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের (বিএনপি) কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজের কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত জাতির অন্তরে, ইতিহাসে। জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা কখনোই সম্ভব নয়। আজকের ইতিহাস কখনোই পরিপূর্ণ ইতিহাস নয়।

অন্তরে মম শহীদ জিয়ার উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোঃ রহমতুল্লাহ, এডভোকেট রফিক সিকদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ডঃ কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

;

জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা (বিএনপি) এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫-এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ নতুন ইতিহাস জানতে পেরেছে। জিয়াউর রহমান যে প্রকৃত পক্ষে একজন খলনায়ক ছিল সেটিও মানুষ জানতে পেরেছে।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকারী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংগঠনের সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

;

বিদেশী প্রভুর কাছে নতজানুদের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা অবস্থান নেয়, যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে যারা ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবিক বিবেচনায় সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমাদের যেমন কমিটমেন্ট আছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাচিয়ে রাখার জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাচিয়ে রাখার জন্য বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী অপশক্তি, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে বাংলাদেশকে যারা কলুষিত করতে চায় তাদের নির্মূল করার জন্য এই ঐতিহাসিক মার্চ মাসে আমাদের শপথ, প্রতিজ্ঞা আরও জয়োধ্বনিতো হউক।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;