বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আনন্দ র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি পালন করছেন নেতকর্মীরা।

গোপালগঞ্জ

সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। পরে সেখানে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

Gopalganj AL

এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, আওয়ামী লীগ নেত্রী মারুফা আক্তার পপি, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলি খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সরদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার খায়ের, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা, কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর প্রমুখ।

ময়মনসিংহ

সকালে ময়মনসিংহের কালীবাড়ী রোডের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন নেতাকর্মীরা। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। এতে সহ-সভাপতি অ্যাডডভোকেট কবির উদ্দিন ভুইয়া, অ্যাডভোকেট পীযুষ কান্তি সরকার, সম্পাদক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান শামীম, এম এ কুদ্দুছ, শওকত জাহান মুকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Mymensing AL

মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২৩ জুন সন্ধ্যা ৭টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মাসব্যাপী আলোকসজ্জার উদ্বোধন, মোমবাতি প্রজ্জলন, কেককাটা ও আলোচনা সভা। ৬ জুলাই বিকেল ৫টায় টাউনহল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১৮ জুলাই বিকেল ৪টায় অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে প্রতিটি উপজেলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ের প্রবীণ, পরীক্ষিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত একজনসহ পাঁচ নেতাকে সম্মাননা প্রদান।

২৪ জুলাই বিকেল ৩টায় রেলওয়ে কৃষ্ণচুড়া চত্বরে জমায়েত হয়ে আওয়ামী লীগের ইতিহাস সম্বলিত ছবি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, প্যানা, পোস্টার, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ছবি, সরকারের উন্নয়নমূলক চিত্র নিয়ে একটি আনন্দ র‌্যালি টাউনহল প্রাঙ্গণে শেষ হবে।

রংপুর

সারা দেশের মতো রংপুরেও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ -এর ৭১তম বর্ষে পদার্পণ উৎসব।

Rangpur AL

বোরবার (২৩ জুন) সকালে বিভাগীয় নগরী রংপুরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের বেতপট্টি কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন নেতারা।

দিবসটি উপলক্ষে নগরীতে পৃথক শোভাযাত্রা বের করা হয়। আনন্দ শোভাযাত্রাটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডিসির মোড় বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

Rangpur AL

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দীন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়ার রহমান শফি, সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, কোষাধক্ষ্য আবুল কাশেম, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম টুটুল, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি মর্তুজা মনসুর, সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা চৈতি, রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাছিমা জামান ববি, মহানগর মটর শ্রমিক লীগের সাধারণ এম এ মজিদ প্রমুখ।

ঠাকুরগাঁও

উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ। দিবসটি উপলক্ষে রোববার (২৩ জুন) দুপুরে নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে জেলা কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেন।

পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

Thakurgoan

এসময় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা. সাদেক কুরাইশী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আলম টুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনাংশু দত্ত টিটো, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জুলফিকার আলী ভূট্ট, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম প্রমুখ।

নবাবগঞ্জ

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় পালিত হচ্ছে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে সকালে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে র‌্যালি বের করা হয়।

Nababganj

পরে একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয় পথসভা। এতে বক্তব্য দেন সাবেক গণপরিষদ সদস্য আবু মো. সুবেদ আলী টিপু, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন খাঁন পাভেল, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন, মহিলা আওয়ামী নেত্রী মরিয়ম মোস্তফা সিমু, জেলা পরিষদ সদস্য এস.এম সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী গীগ নেতা মিজানুর রহমান কিসমত, সাফিল উদ্দিন, মোশারফ হোসেন জুয়েল, জালাল উদ্দিন রুমি, আব্দুর রশিদ, কৃষকলীগ নেতা মিজানুর রহমান সেলু, মেহেদী হাসান স্বপন প্রমুখ।

সিলেট

দুপুরে সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে র‍্যালি বের করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। পরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা।

Syllhet AL

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, র‌্যালি, প্রচার ও পুঞ্জিকা প্রকাশ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় ইত্যাদি। এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারই প্রথম প্রতি জেলা থেকে দু’জন করে প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাকে সংবর্ধনা দেবে দলটি। 

আরও পড়ুন: গৌরবময় ৭১ বছরে পা রাখল আ.লীগ

আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উজ্জীবিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণা

   

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;

মানুষকে দুঃখে-কষ্টে ফেলে ফায়দা লুটাই বিএনপির রাজনীতি: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি-রফতানি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ থেকে যেটা আমদানি করলে খরচ কম হবে সেটা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ঠগবাজি, স্ট্যান্ডবাজির রাজনীতির নামে বাংলাদেশের মানুষকে আরও দুঃখ, কষ্টের মাঝে নিমজ্জিত করে যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটা যায় সেটাই হলো বিএনপি-জামায়াতের নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট নীতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইডিইবি ভবনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরোধীতার নামে, সরকারের বিরোধীতার নামে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষের কষ্ট, বেদনাকে বাড়াবার জন্য বিএনপি-জামায়াতিরা যে অপরাজনীতি করছে, তার নতুন সংস্করণ হলো ভারত বিরোধীতার নামে ভারতী পণ্য বর্জন করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা করা।

নাছিম বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, এ দিবসটি নতুন করে বঙ্গবন্ধু আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনুপ্রাণিত করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দু’লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এখনো যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে আমাদের দেশের মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা এখন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তারা অপকর্ম দুষ্কর্মের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষকে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, মুনাফালোভী, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তাদের দমন করার জন্য অনেক ভাষণ দিয়েছেন। ৫৩ বছর পরও কতিপয় কালোবাজারি ব্যবসায়ী শুধু মানুষকে কষ্ট দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রাজনীতি কেও পৃষ্টপোষকতা করছে। জাতির পিতার রাজনীতিতে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। তাই সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের জায়গা গড়ে তুলতে হবে। দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা দেখি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারি, তাহলেই শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। তাহলেই আমরা বাংলাদেশ বিরোধী নির্মূল করতে পারব।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ৭৫ -এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, ইতিবাচক রাজনীতির কথা বলেছেন, তারা কেউ জেলখানার বাইরে ছিল না। যারা বাংলাদেশকে রক্তাক্ত কসাইখানা বানাতে চায়, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা আর রাজনৈতিক নির্যাতন এক হতে পারে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

;