শপথ ইস্যুতে দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপির নির্বাচিতরা



শিহাবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপির সংসদ সদস্যদের (এমপি) শপথ গ্রহণে ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। তবে তারা দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে তারা জানিয়েছেন, শপথ নিতে তাদের উপর এলাকার মানুষ চাপ দিচ্ছে। এ অবস্থায় করণীয় জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব অপেক্ষা করতে বলেছেন।

বিজয়ী এমপিদের কেউ কেউ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যদি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে তারা শপথ নিতে প্রস্তুত। অপরদিকে, দল যদি বলে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া যাবে না, তাহলে কী করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তর কারো কারো কাছ থেকে সরাসরি পাওয়া যায়নি।

গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সারা দেশে বিএনপির ছয় প্রার্থী সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এরা হলেন- বগুড়া-৬ আসনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বগুড়া-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে মো. হারুন উর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।

কিন্তু এই নির্বাচনে ‘আওয়ামী লীগ ভোট চুরি নয়, ডাকাতি করেছে’, এমন অভিযোগ আনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান।

এদিকে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাকি পাঁচ নির্বাচিত বৈঠক করেন। এসময় ফখরুল ও বাকি সদস্যদের মধ্যে শপথ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে সবাই নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। একই সাথে দলের মহাসচিবের কাছে শপথ নেওয়ার বিষয়েও ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন নির্বাচিত বাকি পাঁচ সদস্যরা। তখন মির্জা ফখরুল তাদের আরও অপেক্ষা করতে বলেন। একই সাথে দলের হাই কমান্ড যে সিধান্ত নেয় সেই সিদ্ধান্তের মধ্যে থাকতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেন।

বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ মোশাররফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘‘আমরা সবাই মিলে অফিসে বসেছিলাম, শুধু চা-চক্র। মহাসচিব বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তে আমরা যা করব, সবাই এক সাথেই করব। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করা ঠিক হবে না। আর আমরা সবাই বলেছি, যে দলের বাইরে আমরা কিছু করব না। হাই কমান্ড থেকে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে তাই মেনে নেওয়া হবে। এর বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করার প্রশ্নই আসে না।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত মতামত, আমি বিএনপি করি বলেই সারা বাংলাদেশে বিএনপির ছয় জনের একজন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। আমার নেত্রী খালেদা জিয়া আজকে জেলে, একজন বয়স্ক মানুষ, এক ছেলে মারা গেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ ছেড়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তারা যদি এতো বড় ত্যাগ শিকার করতে পারেন, তাহলে আমি কেন পারব না? দল যা বলবে, সেটাই করব; দলের বাইরে কিছু করব না।’’

ঠাকুরগাও-৩ আসনের নির্বাচিত সাংসদ জাহেদুর রহমান মনে করেন সংসদে গিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কথা বলা উচিৎ। বার্তা ২৪.কমকে তিনি বলেন, ‘‘আমার এলাকার মানুষের চাপ রয়েছে, সে ব্যাপারে মহাসচিবকে জানিয়েছি। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান বলে, সংসদে গিয়ে আমাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য কথা বলা উচিৎ। আমরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নিলে তো সরকারের পতন হয়ে যাবে না। তবে এখন পর্যন্ত দলের প্রতি আমরা আনুগত আছি, দলের বাইরে কোনো সিধান্ত নেব না আমরা।’’

খালেদা জিয়াকে মুক্তির বিনিময়ে বিএনপি সংসদে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এভাবে বা প্যারোলে তার মুক্তি নিতে আগ্রহ নেই বিএনপির। দলটির দাবি, জামিনের মাধ্যমে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে; যা তার প্রাপ্য সাংবিধানিক অধিকার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত উকিল আবদুস সাত্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, শপথ নিয়ে সবাই চিন্তা ভাবনা করছে। আমাদের যাদের আগ্রহ আছে, আমরা তো জিজ্ঞাসা করি। আমরা এতো কষ্ট করে এমপি হয়েছি, আমাদের একটা চাওয়া আছে না?

দল যদি বলে শপথ নেওয়া যাবে না, এরপরও কি আপনারা শপথ নেবেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ অবস্থায় তো আমরা কিছু বলতে পারি না। সেটা সময়ই বলে দেবে। আমরা এমন পরিস্থিতিতে এর আগে পড়িনি। আমরা হঠাৎ করে কিছু করতে পারি না। মোদ্দা কথা হলো- আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করব না।

চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. হারুন উর রশীদ বলেন, ‘‘মহাসচিব আমাদের এক ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছেন, আবার আমাদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন যে, এই দুঃসময়ে আমরা নির্বাচিত হয়ে এসেছি। একই সাথে তিনি বলেছেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নানা ধরনের খবর প্রচারিত হচ্ছে, সে দিক থেকে সতর্ক থাকতে হবে। একই সাথে আমরা যেন দলীয় শৃঙ্খলাও ভঙ্গ না করি। তিনি বলেছেন, আমরা যেন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত না নেই।’’

   

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা ফারুখ বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

;

পানি সংকটে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, এই ভরা বোরো মৌসুমে পানি সংকটের কারণে ধান উৎপাদন ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই খরাকালে তিস্তা নদীতে আর পানি মিলছে না বললেই চলে। নদীতে পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তা ব্যারেজ রোডমার্চ ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা সুরক্ষার দাবিতে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে মরুকরণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বামজোট নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, রংপুর অঞ্চলের ধান, পাট, আলুসহ অন্যান্য কৃষি ফসল দেশের অনেকাংশে চাহিদা পূরণ করে। এখন পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত আর ক্রমান্বয়ে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য জুলফিকার আলী, সদস্য অমল সরকার ও ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উজানের দেশ থেকে নেমে আসা নদীগুলো জালের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেশের ঋতুবৈচিত্র্য, প্রাণপ্রকৃতি, কৃষিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু ভারত আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ প্রকল্পের নামে একে একে ৪৯টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করার আগ্রাসীনীতি গ্রহণ করেছে।

বামজোট নেতারা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বৈরীপূর্ণ হলেও তারা সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করেনি। সরকার দাবি করে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বন্ধুত্বের নমুনা পানি প্রত্যাহারে বর্ষাকালে সবগেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। আবার সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদী ভারত দেশে ভূ-প্রাকৃতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।

প্রসঙ্গত; গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে এই রোডমার্চের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল রোডমার্চের সমাপনী দিন। সমাবেশে শেষে একটি মিছিল নগরের প্রধান সড়ক পথ রংপুর জিলা স্কুল মোড় গিয়ে রোড মার্চটি তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা করে।

;

এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি করল জেলা আওয়ামী লীগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কি থেকে বহষ্কিার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাহিরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।

;

বানারীপাড়ায় ইউপি যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বানারীপাড়ায় পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমিটিতে যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মো. ইয়াসিন নামের এক সক্রিয় যুবদল কর্মীকে বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মিজান ফকির আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মো. ইয়াসিন জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ওই অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে মো. ইয়াসিনকে সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এমন কী বিভিন্ন সময় মিজান ফকির তার স্ত্রীর বিকাশ নম্বরে ও নগদে আড়াই লাখ টাকা পেমেন্ট নিয়েছেন।

মো. ইয়াসিন অভিযোগ করেন, টাকা নিয়েও তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়নি। বরং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অতি সম্প্রতি মো. আবুল কালামকে আহ্বায়ক ও ফিরোজ মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।

পদবঞ্চিত যুবদল নেতা মো. ইয়াসিন লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, জন্মলগ্ন থেকে তার পরিবার বিএনপি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এজন্য তাকে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। এরপরেও তাকে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া সত্ত্বেও অন্য পক্ষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ইয়াসিন বলেন, ‘আমাকে সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিভিন্ন সময় বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে যে টাকা নিয়েছেন, তার প্রমাণসহ স্টেটমেন্ট জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়ের করা অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে'।

পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদার ও সদস্য সচিব মিজান ফকির বলেন, মূলত পদবঞ্চিতরা এসব মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

;