উপ-নির্বাচনের সুযোগ দিতে চান না মোকাব্বির



কামরুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
সিলেট-২ আসনে ভোটে জয়ী গণফোরামের মোকাব্বির খান/ ছবি: বার্তা২৪.কম

সিলেট-২ আসনে ভোটে জয়ী গণফোরামের মোকাব্বির খান/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিষ্ঠার পর গণফোরাম থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান। একাদশ সংসদে তিনি সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচিত হন।

কিন্তু ভোটে জিতেও বিপাকে পড়েছেন মোকাব্বির খান। জোটের সিদ্ধান্তে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেননি তিনি। এর মধ্যে একবার শপথ নেবেন বলে স্পিকারকে চিঠি দিয়েও আবার সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে তিনি শপথ না নিলে আসনটি শূন্য হয়ে যাবে।

নির্বাচিত হয়েও সংসদে না যাওয়ায় বর্তমানে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে বার্তা২৪.কম এর সাথে কথা বলেছেন মোকাব্বির খান। একান্ত সাক্ষাতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, শুধু দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন এবং ৯০ দিনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যেই তিনি শপথ নেবেন বলে আশাবাদী তিনি।

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর জনপ্রিয়তা নির্বাচনে জিততে সাহায্য করেছে কিনা জানতে চাইলে মোকাব্বির খান বলেন, ‘না, আসনটি অত্যন্ত জটিল। এখানে একাধিকবার আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছেন, জাতীয় পার্টি জয়ী হয়েছেন এবং ইলিয়াস আলীও জিতেছেন। এই আসনে কারও একক জনপ্রিয়তা নেই।’

‘তবে ইলিয়াস আলীর ব্যাপারটা অন্যরকম। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ গুম, এটি অনস্বীকার্য যে ওনার ব্যাপারে একটি আবেগ আছে। আমিও বলেছিলাম, সংসদে যেতে পারলে ইলিয়াস আলী কোথায় আছেন অনুসন্ধানের দাবি জানাবো।’

শপথ না নেওয়ায় ভোটারদের মাঝে কোনো প্রতিক্রিয়া আছে কিনা জানতে চাইলে মোকাব্বির বলেন, ‘মারাত্মক প্রতিক্রিয়া আছে। শুনলাম, শত শত লোক আমার দলীয় প্রধানকে চিঠি লিখছেন যে, আপনি (ড. কামালা হোসেন) সারাজীবন গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, আজকে কার স্বার্থে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে সংসদে যেতে দিচ্ছেন না?’

শুধু কি দলের সিদ্ধান্তে শপথ নিচ্ছেন না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘দল ইতিবাচক আছে, কিন্তু আগামীকাল বা পরশু নেব, এমন অবস্থানে নেই।’

শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত একাই নিয়েছিলেন উল্লেখ করে মোকাব্বির বলেন, ‘প্রতি বৈঠকেই দল ইতিবাচক ছিল। আমি ধরেই নিয়েছিলাম, এটা কনভেনশন হয়ে গেছে। তাছাড়া এলাকার একটি অনুষ্ঠানে আমি কথা দিয়েছিলাম যে, মার্চে শপথ নেব।পরে দলের সিদ্ধান্তে তা পরিবর্তন করি।’

দল অনুমতি না দিলে কী করবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, দলকে বোঝাতে পারবো। এটি জনগণের ম্যান্ডেট, দল এটিকে বিবেচনায় নেবে না, আমার বিশ্বাস হয় না।’

তার মানে আপনি শপথ নেবেন- এই প্রশ্নের উত্তরে মোকাব্বির বলেন, ‘হ্যাঁ, দলীয় সিদ্ধান্তেই আমি শপথ নেব। আমি খুবই আশাবাদী।’

তিনি বলেন, ‘গণফোরাম ইতিবাচক আছে, কিন্তু সমস্যা হলো ড, কামাল হোসেন ঐক্যফ্রন্টেরও নেতা। গণফোরাম সিদ্ধান্ত নিলে ওনাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যদি ঐক্যফ্রন্টের ফোরামে আলোচনা করে একসাথে যেতে পারি, সেটি চমৎকার।’

নির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন নাই, তারা জনগণের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন; আর আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও সেখানে জনগণের কথা বলতে পারবো না- আমার মনে হয় না মানুষ এটিকে যুক্তিসঙ্গত মনে করবে।’

বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে মোকাব্বির বলেন, ‘এই যে অসুস্থ, বর্জনের রাজনীতি, সেটি একদিনে হয়নি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি দুই দলই সেটি করছে। ক্ষমতায় গেলে আর ছাড়তে চায় না, আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়।’

গণফোরাম শপথের অনুমতি দিলেও যদি ঐক্যফ্রন্টের অন্য দলগুলো মেনে না নেয় তখন কী করবেন জানতে চাইলে মোকাব্বির বলেন, ‘তাদেরকে যুক্তি দিয়ে বোঝাব। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে যদি সংসদে না যাই, তাহলে সেখানে উপ-নির্বাচন হবে, আসন তো শূন্য থাকবে না। তখন ক্ষমতাসীনরা বলবে, ঐক্যফ্রন্ট জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে জানে না।’

মোকাব্বির খান বলেন, ‘সরকারকে সেই সুযোগটা দিতে চাচ্ছি না। আমার অভিমত হলো, আটটি আসন ছাড়া যে অনিয়ম হয়েছে সেটি সংসদে গিয়ে বলবো। ক্ষমতাসীন দলের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, তা জনগণকে জানাবো।’

‘আমরা আট জন যদি সংসদে যাই, তবে সারাদেশের মানুষের পক্ষে কথা বলবো। সারাদেশের মানুষের বক্তব্য তুলে ধরবো।’

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের শপথ নেওয়ার বিষয়ে মোকাব্বির বলেন, ‘আমাদের আবেদন আলাদা ছিল। ওনার রাজনীতি আমার রাজনীতি থেকে ভিন্ন। আমার সিদ্ধান্ত আমার দল, এলাকার জনগণকে বাদ দিয়ে নয়।’

দল থেকে বহিষ্কারের ভয়ে শপথ নেওয়া থেকে বিরত আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই না। আমাকে বোঝাতে হবে কোন কারণে আমি শপথ নেব না। আর আমি দলকে বোঝাব, কী জন্য শপথ নেওয়া উচিত।’

দল থেকে শপথ নেওয়ার অনুমতি পাবেন বলে আশাবাদী মোকাব্বির খান। নির্বাচনের পরে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতদের শপথ না নেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার মতামত নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

   

শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ দলের অন্যান্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা তার গদি নিয়ে আতঙ্কে আছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা জানে জনগণ তাকে ভোট দেয়নি, ৯৭ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। তিনি আমি আর ডামি, আমরা আর মামুদের নির্বাচন করেছেন। তিনি ভালো করেই জানেন তার গদি চোরাবালির উপর দাঁড়ানো। যেকোনো সময় বালুর মধ্যে ঢুকে যাবে। তিনি সে আতঙ্কেই হাবিবুর রশিদ হাবিব, রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে রেখেছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দিনের আলোয় থাকার চেয়ে বেশি লাল দেয়ালের মধ্যেই থাকেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এতটাই আতঙ্কিত যে, নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও গ্রেফতার কর্মসূচি যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর কারণও আছে। শেখ হাসিনা জানে তার সরকারের কোনও জনসমর্থন নেই।

বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্দীদশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বললেন যে, তাদের (বিএনপি নেতাদের) কোন রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়নি, তারা বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী। তাই তারা জেলে। কিন্তু আপনি যে ১/১১ এর সময় চাঁদা নিয়েছিলেন যার সাক্ষী আপনারই ফুফাতো ভাই এবং ওবায়দুল কাদের। তারা গোয়েন্দাদের কাছে অনেক কথা বলেছেন। আপনার তো কিছু হল না, আপনি তাহলে কে, আপনার মামলার কি হল?

তিনি বলেন, যারা স্বৈরাচারী, যারা একনায়ক, তারা জনগণের পক্ষের মানুষকে কারাগারে ভরে রাখে। হাবিবুর রশিদ হাবিব কি কারো ঘরবাড়ি দখল করেছে, নাকি নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া এমপিদের মতো নিষ্পাপ শিশু ত্বকি হত্যার অভিযোগ রয়েছে? তাহলে তাদের গ্রেফতার না করে কেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিবকে গ্রেফতার করা হল?

রিজভী আরও বলেন, আজ জনগণের টাকা লুট হচ্ছে। মানুষের টাকা এমপিদের পকেটে ঢুকছে, বিদেশে পাচার হচ্ছে। সেদিকে আপনি দেখছেন না, আপনি বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। মনে রাখবেন, ভালোর জয় হবেই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব মজনু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাকর্মীরা।

;

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক আগামী ৩০ এপ্রিল। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্বে করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা অপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবে তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বিশৃঙ্খলা কর্মকাণ্ড করেছে তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দলের সাংগঠনিক বিষয়সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ বিষয় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

;

‘উপজেলা নির্বাচনকালে আ. লীগের কমিটি গঠন-সম্মেলন বন্ধ থাকবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকালীন সময়ে আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়াটা বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটাত্মীয়দের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চায় তাদেরকেও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে কিভাবে বলা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;